তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৮১
ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে হবে
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
চাঁদপুর, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ চাই, সে বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভের মূল হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। আর সেই স্মার্ট নাগরিককে শরীর ও মনে সুস্থ মানুষ হতে হবে। সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই।
আজ চাঁদপুর স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো ক্রীড়ামোদী রাষ্ট্রনায়ক খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। তাঁর সরকারের সময়ে বিগত ১৫ বছর সর্বক্ষেত্রে খেলাধুলায় উন্নতি হয়েছে এবং এটি সবার দৃষ্টি কেড়েছে। আগামীতেও তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলাধুলায় আরো ভাল করবে এটি সবার প্রত্যাশা।
মন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা নিয়মিত না হলে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণও নিয়মিত হয় না। তাদের খেলার উৎসাহ উদ্দীপনা সেটা সেভাবে থাকে না এবং চর্চা হয় না। চাঁদপুরে যেন পুরো বছরজুড়ে খেলাধুলা অব্যাহত থাকে সে ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আজকে এ অনুষ্ঠানে এসে অনেক ভালো খবর পেয়েছি। অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটে আমরা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এরা নিশ্চয়ই জাতীয় পর্যায়ে গিয়ে ভালো করবে। আবার মহিলা ফুটবলে অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় পর্যায়ে গোলকিপার আমাদের চাঁদপুরের মেয়ে মেঘলা। যে কারণে আমরা চাঁদপুরের মানুষ গর্বিত। কাজেই আমাদের মেঘনা পাড়ের মেয়েরা এখন সবকিছু রক্ষা করছে।
এসময় মন্ত্রী চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুসমূহকে আর্থিক অনুদানের চেক ও শীতবস্ত্র তুলে দেন।
সফরকালে মন্ত্রী সদর উপজেলা পরিষদ, চাঁদপুরের উদ্যোগে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ ও উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের উদ্যোগে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ হিসেবে নিবন্ধিত সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
দিনের অপর এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চাঁদপুর হতে জেলার ১৩২ জন রোগীর হাতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ১৩২ রোগীর হাতে ৫০ হাজার টাকা করে চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানসমূহে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে. আর. ওয়াদেদ (টিপু)সহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাকির/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২২৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৮০
দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যাবে না
-- ভূমিমন্ত্রী
খুলনা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি):
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সকল দপ্তরকে ঘুসবিহীন কাজ করতে হবে। জনগণের কাজ সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। সেটাই হবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যাবে না। দেশের সামাজিক ও আর্থনৈতিক উন্নয়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভূমিসেবাকে সহজ করে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আজ খুলনা ডুমুরিয়া আঠারোমাইল বাজার চত্বরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাঁর স্বপ্ন ছিলো সুখী সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে আজ প্রশংসিত।
অনুষ্ঠানে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবু হাসান, মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার নেছার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদ সুরঞ্জন ঘোষসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
রাতে মন্ত্রী ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার, খুলনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এসময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
ফেদৌস/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭৯
আম্বিয়ান্তে ফেয়ার অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্যাভিলন উদ্বোধন করেন
- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত ‘আম্বিয়ান্তে ফেয়ার’-এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্যাভিলন উদ্বোধন করেন। এরপর মন্ত্রী ‘আম্বিয়ান্তে ফেয়ার’-এর অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী ‘আম্বিয়ান্তে ফেয়ার’-এ অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি আম্বিয়ান্তে ফেয়ার আয়োজকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এছাড়াও জার্মানির ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে। এ সফরে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপি)-এর নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশ ও সহকারী একান্ত সচিব হোসাইন মাহমুদ জোনাইদ তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে আছেন ।
মন্ত্রী আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, তিনি ছয়দিনের সরকারি সফরে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে রয়েছেন।
#
সৈকত/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭৮
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে
----খাদ্যমন্ত্রী
রাজশাহী, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি):
খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন এতটা মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে; যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আজ রাজশাহীতে একটি হোটেলে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন রাজশাহী কর্তৃক ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর সরকারের কূটনৈতিক-মানবিক সহায়তা, ভারতের সকল নাগরিকের অকুণ্ঠ সমর্থন বাংলাদেশ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দুই দেশের উন্নয়ন-নিরাপত্তায় অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে ভারত -বাংলাদেশ পারস্পরিক আস্থা-শ্রদ্ধা-সম্মান ও ভালোবাসা ভবিষ্যতে আরো গভীর হবে। ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকতাবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
#
কামাল/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২১০৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭৭
শিশুদেরকে সমাজের যোগ্য ও দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে
-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিশুরা আগামী দিনে দেশের কাণ্ডারী হবে। শিশুদেরকে সমাজের যোগ্য ও দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধনীর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি আবাসিক প্রতিষ্ঠানের নিবাসী শিশুদের অংশগ্রহণে দু’দিনব্যাপী ঢাকা বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিভগের কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তাফা কামাল।
মন্ত্রী বলেন, শিশুদেরকে সমাজের যোগ্য ও দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবার জন্য আমাদের যত প্রয়াস সেগুলোকে সার্থক ও সফলভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তারা সমাজের সমান অংশীদার মানুষ হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে তারা আত্মনিয়োগ করবে এবং সেই সোনার বাংলা গড়ার কারিগর হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুরা রয়েছে তাদের জন্যও আমরা জেলা, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো। তারাও পিছিয়ে থাকবে না, তাদেরও শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এই আয়োজনগুলো নিয়মিতভাবে করবো।
মন্ত্রী শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনটাকে সুন্দর করবার জন্য আমাদের দেশ-মাতৃকাকে ভালোবাসতে হবে। ভালোবেসে আমাদের এই দেশটাকে উন্নত করবো, এই জন্য আমাদের সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির পিতার জীবন থেকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ত্যাগ ও সংগ্রামের যে আদর্শ, সেটি যেন আমরা আত্মস্থ করতে পারি, বুঝতে পারি এবং সেটি আত্মস্থ করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
পরে মন্ত্রী দুইদিনব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আগামীকাল এই ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
#
জাকির/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭৬
কোনো রোগীকে যাতে ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে না হয় সেটি নিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে
-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে বিগত সময়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে, এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। এখনো রোগীরা ফ্লোরে চিকিৎসা নেয়। ঢাকা মেডিকেলের ফ্লোরে রোগীদের চাপে হাটা চলা করাই মুশকিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসকদের জন্য তো কঠিন কাজ। আমরা এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। ফ্লোরে চিকিৎসা যাতে কাউকেই নিতে না হয় সেটি নিয়ে খুব দ্রুতই কাজ শুরু করা হচ্ছে।
আজ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বেশিরভাগ চিকিৎসকরা কেন উপজেলা বা তৃণমূল পর্যায়ে থাকেন না, পরিদর্শনকালে হাসপাতালে উপস্থিত মিডিয়াকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে কেন চিকিৎসকরা থাকেন না সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উপজেলা পর্যায়ে একজন চিকিৎসককে থাকতে হলে সেখানে তার জন্য সুযোগ সুবিধাও তো থাকতে হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তাও আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। সামান্য কোন কারণে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর আক্রমণ করা হলে এবং সেখানে তাদেরকে নিরাপত্তা ঠিকভাবে দেওয়া না হলে চিকিৎসকরা পরিবার পরিজন ছেড়ে এত দূরে গিয়ে থাকবেন না সেটাই তো স্বাভাবিক। এজন্য আমাদেরকে প্রথমে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এই বিষয়টিতেও গুরুত্ব দিয়েছি। আশা করছি, আগামীতে এই সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ছাড়াও বিকেলে স্থানীয় বিভিন্ন তৃণমূল স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য চিকিৎসক, নার্সদের সাথে আলাদা করে একটি মতবিনিময় সভা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি, সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্রগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি দুদিনের একটি সরকারি সফরে চট্রগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে বর্তমানে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭৫
রাজবাড়ী জেলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ রেলপথ মন্ত্রীর
গাজীপুর, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতি, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক মিলন মেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিত্ব প্রদান করায় রাজবাড়ী জেলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
আজ জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গাজীপুরে বার্ষিক মিলন মেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠানে এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতি, ঢাকা এর পক্ষ থেকে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । এর আগেও এই সমিতি আয়োজিত বনভোজন ও মিলনমেলায় আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম, আজও আপনাদের মায়ার টানে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসেছি এবং রাজবাড়ী ও কালুখালী উপজেলার অনেক গুণী ব্যক্তিত্বের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। আল্লাহ চাহেন তো আগামীতেও আপনাদের সাথে থাকব।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
#
সিরাজ/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭৪
রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উদ্যাপিত
রাজশাহী, ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি):
আজ আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস। ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকে বাংলাদেশসহ ডব্লিউসিও সদস্যভুক্ত ১৮৫টি দেশে একযোগে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মিলে নবীন-পুরানো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল দশটায় রাজশাহী শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোডের্র কর নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, কর ধার্যের বিষয়টি বেশ প্রাচীন। সভ্যতার আদি থেকে এর সম্পর্ক। প্রাচীনকালে কর ধার্যের কারণটা ছিল রাজ পরিবার, রাজ কর্মচারী এবং ভৌগোলিক সীমানা সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের বেতন ভাতা জোগান দেওয়া। কর ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন সাধিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে। সেখানে কল্যাণকর রাষ্ট্রের ধারণাটা ব্যাপকভাবে সামনে চলে আসে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশটা হয়তো এখনো সেই পর্যায়ে যেতে পারেনি। প্রতিটা নাগরিক আর্থিক ব্যবস্থা সেভাবে সুসংগঠিত করতে পারেনি। তারপরও রাষ্ট্র অনেকগুলো কল্যাণকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আছে শিক্ষা সম্প্রসারণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে- বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, খাদ্য বণ্টন ব্যবস্থা, স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ। বেশ কিছু দিন আগেও আমাদের দেশে অনেক মানুষ অনাহারে থেকেছে সারা দিন কোনো খাবার জোটেনি। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা সুসংগঠিত করার মাধ্যমে আমরা সেই জায়গা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে পেরেছি।
রাষ্ট্রের কাজ শুধু অবকাঠামো নির্মাণ নয় উল্লেখ করে আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, রাষ্ট্রকে কল্যাণকর ভূমিকায় আবতীর্ণ হতে হয়। সে পথ পরিক্রমা চলমান আছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়ে পুরো দেশ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
এ সময় রাজশাহী অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে যেগুলো অতি জরুরি, তা দ্রুত এগিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
রাজশাহীর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী কর আপীল অঞ্চলের কর কমিশনার মনোয়ার আহমেদ, রাজশাহী চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ আবুল ওয়াহেদ।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন রাজশাহী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার মোঃ নূর উদ্দিন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
তৌহিদ/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭৩
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মার্ট, দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে
-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিরল (দিনাজপুর), ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মার্ট, দক্ষ এবং ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । এজন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং দক্ষ নাগরিক তৈরিতে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। দিনাজপুরের ২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যে সম্মান জানিয়েছেন, সেই সম্মানের কাছে আমি সবসময় ঋণী। এই সম্মান-শ্রদ্ধা এই ভালোবাসাই আমাদের শেষ কথা নয়। আমাদের আরো অনেক পথ চলতে হবে। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা। আজকে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সোনার বাংলা হচ্ছে। বাংলার মানুষের কাছে আজকে স্বাধীনতার সুখ অনুভূত হচ্ছে।’ “আমরা এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা আরো উপরে তুলে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দিয়েছেন স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গত ১৫ বছরে ধাপে ধাপে যে পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার সেগুলো নিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে দৃশ্যমান করেছেন।”
এ সময় মন্ত্রীকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা জানাতে যারা আসেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাকে শুভেচ্ছা জানানো তখনই সার্থক হবে, যখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নাগরিক তৈরি বের হবে।’ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যার যার জায়গা থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা আহ্বান জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এই বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে তেমন প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার আছে, প্রত্যেকটি মানুষের করণীয় আছে।’ “আমরা যে যে জায়গায় কাজ করছি, আমরা যেন সেই জায়গাগুলোতে আন্তরিকতার সাথে, নিষ্ঠার সঙ্গে যেন কাজ করি।” তিনি বলেন, আগামীতে কর্মসংস্থানের যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে, সেই কর্মসংস্থান তৈরি হবে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে এবং দক্ষ নাগরিক তৈরি করতে হবে। এই জায়গায় আমাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয় যাবে না।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিকি সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, থানার ওসি গোলাম মাওলা, বিরল উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আবুল কাশেম অরু, ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রতিমন্ত্রীকে।
#
জাহাঙ্গীর/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭২
সকল মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন
-কৃষিমন্ত্রী
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১২ মাঘ (২৬ জানুয়ারি) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বলেছেন, সকল মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মানুষের খোঁজখবর রাখেন। চা শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী খুবই ভালোবাসেন এবং সম্প্রতি তিনি চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন।
আজ শ্রীমঙ্গলের মাজদিহি চা বাগানে অসহায় ও শীতার্ত চা-শ্রমিকের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চা-শ্রমিকের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে সাত বার আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। কয়েকদিন আগের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আবারও আমাকে এমপি বানিয়েছেন আর প্রধানমন্ত্রী আমাকে কৃষিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনাদের জীবনমানের আরো উন্নয়ন না করতে পারলে, দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন না করতে পারলে মন্ত্রী হিসাবে আমার কোনো মূল্য নেই।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক, কৃষকের সেবক। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে আমি নির্দেশনা দিয়েছি, কোনো কৃষক যাতে কষ্ট না পায়, সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসাবে আমি সবসময় কৃষকের সাথে থাকব। লক্ষ্য একটাই-কোনো জমি খালি রাখা যাবে না। জমি খালি রাখলে, ফসল না ফলালে মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করা যাবে না।
চা-শ্রমিক ও কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বাড়ির আঙিনা খালি রাখবেন না। অন্তত কিছু শিম গাছ, লাউ গাছ, করল্লা গাছ, কয়েকটি বেগুন গাছ, কিছু শাকসবজি লাগান; এতে নিজের খাবারের প্রয়োজন মিটবে, বাজার থেকে কিনে খেতে হবে না।
পরে কৃষিমন্ত্রী কমলগঞ্জ উপজেলার মিরতিংগা চা বাগান, পাত্রখোলা চা বাগান এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা রানার উচ্চ বিদ্যালয়ে পৃথক অনুষ্ঠানে অসহায় ও শীতার্ত চা-শ্রমিকের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
#
কামরুল/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৭১
নটরডেম কলেজের ৭৫তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন নটরডেম কলেজের মতো আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
---পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ মাঘ, (২৬ জানুয়ারি) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নটরডেম কলেজের মতো আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। আর ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে পারে।
আজ ঢাকায় নটরডেম কলেজের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নটরডেম কলেজের মতো আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয় সমাজের নেতৃত্ব, দেশের নেতৃত্ব। আমাদের দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে। সকলে মিলে একসাথে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক কল্যাণময় রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি ৭৫ বছর ধরে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি বলেন, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি প্রয়োজন। নটরডেম কলেজ এরকম দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মন্ত্রী নটরডেম কলেজের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিব