তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৭
আবেগ ও উত্তেজনা নিয়ে ইতিহাস লেখা যায় না
-- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, পয়লা ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আবেগ ও উত্তেজনা নিয়ে ইতিহাস লেখা যায় না। ব্যক্তিগত মতাদর্শ পরিহার করে অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতিহাস লেখা উচিত। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির জীবনে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখার সময় শেষ হয়ে যায়নি। বরং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখার এখনই উপযুক্ত সময়। উদাহরণস্বরূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এখনো ইতিহাস ও উপন্যাস লেখা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স প্রকাশিত নতুন লেখক শামীমা সুলতানার প্রথম উপন্যাস “স্বপ্নপুরুষ” এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক গল্প ও উপন্যাস রচিত হলেও গবেষণামূলক ও ইতিহাসভিত্তিক গ্রন্থের সংখ্যা কম। মুক্তিযুদ্ধের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়াসহ অনেক যুদ্ধ এখনো বাকি। শামীমা সুলতানা সে যোদ্ধাদের একজন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, অনুপ্রাণিত ও সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুইডেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আকতার এম জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপন্যাসটির লেখক শামীমা সুলতানা, লেখক কাজী ইকবাল ও পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শায়ক।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা
সংশোধিত
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৬
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করলেন কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট
ঢাকা, পয়লা ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে আজ তাঁর দপ্তরে কানাডা সরকারের কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট মার্টিন যাবলোকি সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, কানাডা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
মার্টিন যাবলোকি বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রশংসা করে জানান, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অচিরেই বাংলাদেশের সফরে আসবেন। কানাডা সরকার পিপিপিভিত্তিক বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে কানাডা সরকারের আগ্রহের কথাও তিনি ব্যক্ত করেন। নিজ দেশে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে চলে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার কথা উল্লেখ করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার বিষয়সহ সরকারের সাহসী উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। তিনি দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতসমূহের উন্নয়নে দু’দেশের অব্যাহত অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরো বেগবান হবে।
#
তৌহিদুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৫
স্পিকারের সাথে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, পয়লা ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য জেন লিমবার্টের (ঔবধহ খধসনবৎঃ) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কিত সংসদীয় প্রতিনিধিদল আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা সংসদীয় গণতন্ত্র, বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও বাংলাদেশের তৈরিপোশাক শিল্প প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মোচন করেছেন মানবতার নবদুয়ার, স্থাপন করেছেন মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। ৫ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসময় স্পিকার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্বজনমত বৃদ্ধিতে ইইউভুক্ত দেশসমূহের জোরালো ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন সংসদসদস্যের মধ্যে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং ৫০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে মহিলা সংসদসদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদে এ পর্যন্ত ১৩০টি আইন পাস হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ও বিরোধীদলের অংশগ্রহণে বর্তমানে সংসদ বেশ কার্যকর। আর্থসামাজিক সকল সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বর্তমান সরকার দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান।
জেন লিমবার্ট রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে স্পিকারকে আশ্বস্ত করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা ইইউ ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
তারিক/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৪
খালেদা-তারেকের বিচার দুর্নীতিবাজদের জন্য সতর্কবার্তা
--- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, পয়লা ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘রাজনৈতিক বিচার বা প্রতিহিংসার শিকার নয়, খালেদা জিয়া ও তারেক তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করছে। খালেদা-তারেকের বিচার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য সতর্কবার্তা।’
১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ^ বেতার দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বেতারভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত শ্রোতা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক রাজনীতির প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘হাওয়া ভবনের দুর্নীতির অভিযোগে বহুপূর্বেই জনতার আদালতে দ-িত খালেদা-তারেক এবার আইনের আদালতে দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হলো।’
এসময় বাংলাদেশ বেতারকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সাহসী প্রচারযন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে, আর যারা বেতারে শব্দসৈনিক হিসেবে যুদ্ধ করেছে, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।
মন্ত্রী বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে বেতার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের বিশ^ বেতার দিবস বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে জনপ্রিয় করে তুলতে বেতারের অবদানকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার বাংলাভাষা ও বাঙালিয়ানা চর্চার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র এবং দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বেতার জীবনের কথা বলে।
গণমাধ্যমের বিষয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অপরাধীদের প্রতি সহানুভুতি তৈরি নয়, অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গণমাধ্যমকে অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে যাতে তাদের স্থান রাজনীতি ও ক্ষমতার বাইরেই হয়।’
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) হোসনে আরা তালুকদার।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাতীয় বেতার ভবন থেকে বিশ^ বেতার দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালিতে তথ্যসচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলসহ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিল্পী ও কলাকুশলী অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস মোড় ঘুরে জাতীয় বেতারভবনে এসে শেষ হয়। বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ।
#
আকরাম/ফারহানা/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৩
সিঙ্গাপুরে বিজনেস সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন
ঢাকা, পয়লা ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য খুবই লাভজনক স্থান। সরকারের নিয়োগবান্ধব নীতি ও পরিবেশ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, এখানে কমখরচে বিশ^মানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১শ’টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এলে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সবধরণের সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী আজ সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার, সিঙ্গাপুর আয়োজিত ‘সেমিনার টু প্রমোট ট্রেড এন্ড কমার্স বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড সিঙ্গাপুর’ শীর্ষক বিজনেস সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় সরকার আইন প্রণয়ন করে সুরক্ষা দিয়েছে। এখন বাংলাদেশে যেকোনো বিনিয়োগকারী শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারে, প্রয়োজনে লাভসহ সমুদয় অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারে বিনিয়োগকারী। মন্ত্রী বলেন, সরকার রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করছে। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের সাথে এফটিএ করার চিন্তা করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের জন্য ভালো ট্যুরিস্ট স্পট হতে পারে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে, যাতে সিঙ্গাপুরের ট্যুরিস্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী হয়। এ বিষয়ে উভয় দেশের ব্যাবসায়ীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বা দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার। নি¤œআয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার সকল শর্ত বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পূরণ করেছে, কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে।
বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট মোঃ শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। সিঙ্গাপুরের ব্যাবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ এবং সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ব্যাবসায়ী প্রতিনিধিগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন
#
বকসী/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮২
লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান
--- স্পিকার
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম ও অনন্য। উত্তরাধিকার সূত্রে নয় বরং লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সংবিধান।
স্পিকার আজ ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ আয়োজিত ‘ইধহমষধফবংয ধহফ ওঃং ঈড়হংঃরঃঁঃরড়হ ’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই অতি স্বল্পসময়ে তিনি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতিকে উপহার দেন এ অনন্য সংবিধান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এই ৩টি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গের কার্যাবলীর মধ্যে সমন্বয় ও সংগতি থাকতে হবে।
স্পিকার বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধান জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা প্রদান করে। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ এ চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে- যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর কাক্সিক্ষত সোনার বাংলার ঠিকানায়। এরই মধ্যে এমডিজি অর্জিত হয়েছে, এসডিজি’র লক্ষ্যে কাজ চলছে, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
এসময় ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স, আর্মড ফোর্সেস ওয়ার্ক কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ, ফ্যাকালটি মেম্বার এবং স্টাফ অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
তারিক/ফারহানা/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮১
পিআইডির সাবেক প্রধান আলোকচিত্রগ্রাহক আমির খসরুর ইন্তেকাল
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্য অধিদফতরের সাবেক প্রধান আলোকচিত্রগ্রাহক মো. আমির খসরু গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি..........রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। মরুহুমের মরদেহ আজ চট্টগ্রাম জেলার মিরেরসরাই উপজেলার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রধান তথ্য অফিাসারের শোক
প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার তথ্য অধিদফতরের সাবেক আলোকচিত্রগ্রাহক আমির খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
#
অনসূয়া/শামীম/২০১৮/১৬২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮০
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তফশিলি ব্যাংক হিসেবে রূপান্তর হতে যাচ্ছে -নুরুল ইসলাম বিএসসি
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তফশিলি ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী আশা করেন। তিনি আরো বলেন, এর ফলে স্বল্পসময়, খরচ ও সহজে দেশে রেমিটেন্স আসবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে তফশিলি ব্যাংকে রূপান্তর করতে পরিশোধিত মূলধন পুনর্গঠনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে আরো ১ শত কোটি টাকার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
চেক প্রদানকালে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ১শ’ কোটি টাকার চেকটি কর্মসংস্থান মন্ত্রী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্তাব জাবিনের হাতে তুলে দেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশগামী কর্মী ও প্রত্যাগত কর্মীদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসনে সহজশর্তে ঋণপ্রদান এবং স্বল্পখরচ ও সহজে দেশে রেমিটেন্স আনয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১১ সালে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ৯৫ কোটি টাকা ও সরকারের ৫ কোটি টাকা নিয়ে প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকটিতে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে ২ শত ৪৫ কোটি টাকা এবং সরকার হতে ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্তাব জাবিনসহ মন্ত্রণালয়, অধীনস্থ সংস্থাসমূহ ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৬০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৯
পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সরকারের আহ্বান
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
পাট সেক্টরকে লাভজনক করার জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শতভাগ দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে উৎপাদন ও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পাটপণ্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। পরিবেশ রক্ষার্থে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিনথেটিক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক তন্তুজাত পণ্যের ব্যবহার গুরুত্ব প্রদানের কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে বহুমুখী পাটপণ্যের ব্যবহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ প্রান্তিক চাষি এবং বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি), বাংলাদেশ জুট মিলস্ এসোসিয়েশন (বিজেএমএ), বাংলাদেশ জুট স্পির্নাস এসোসিয়েশন (বিজেএসএ) এর প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার শ্রমিকদের জীবিকা ও কর্মসংস্থান পাট উৎপাদন ও পাটশিল্পের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এছাড়াও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থার সাথে আরো প্রায় ৭০ হাজার লোক জড়িত রয়েছে। পাটখাতকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের বিকল্প নেই। তাই দেশের পাটকলগুলো এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শ্রেণির উদ্যোক্তা বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে এবং বিদেশে তা রপ্তানি ও দেশের বাজারে বিপণনের জন্য সরকারিভাবে বিজেএমসি, বেসরকারিভাবে বিজেএমএ ও বিজেএসএ এর সদস্যভুক্ত কিছু মিল এবং এ মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর উদ্যোক্তাগণ কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া সকল মন্ত্রণালয়, অধিনস্থ দপ্তর/সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে পাটপণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
#
হায়দার/অনসূয়া/রিফাত/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৪৩০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৮
এ বছর বাজারে আসছে বাংলাদেশে তৈরি হোন্ডা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
চলতি বছরের মধ্যেই বাজারে আসছে বাংলাদেশে তৈরি জাপানের বিশ্বখ্যাত হোন্ডা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন এবং জাপানের হোন্ডা মটরস্ কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এ মোটরসাইকেল বাজারজাত করবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের এক প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে এ তথ্য জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে আজ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে অব্যাহত নীতি সহায়তা প্রদান এবং স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় কোম্পানির কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের নীতি সহায়তার ফলে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। গত অর্থবছরের বাজেটে এখাত সংশ্লিষ্ট সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে একই সাথে মোটরসাইকেল বিক্রি শতকরা ১৫০ ভাগ এবং সরকারের রাজস্ব আয় প্রায় সাড়ে ৬ শ’ কোটি টাকা বেড়েছে। তারা মোটরসাইকেলখাতে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী বাজেটেও শুল্ক সুবিধা বজায় রাখার তাগিদ দেন। একই সাথে তারা প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি জানান।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার আমদানির পরিবর্তে দেশেই ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশেও শুল্ক সুবিধাসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। হোন্ডা মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ যৌথ বিনিয়োগে কিংবা শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারখানাগুলোতে প্রস্তুত করা হবে। এর ফলে দেশেই শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে ওঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, হোন্ডা মোটর কোম্পানির লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার নোরিয়াকি আবে, এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের পরিচালক আকিরা মুরায়ামা, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রা. লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউইচিরু ইশি, হেড অভ্ ফাইন্যান্স শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমানসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
জলিল/অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৮/১৪৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৭
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
সর্বকালেরর সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও মান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের আমলে প্রণীত এ আইনটি ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এ প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মত বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস পালন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিই। আমাদের সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারিখাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশ থেকে প্রতিদিন ৪৮৫টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। আমরা সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণট্রাস্ট গঠন করেছি। সাংবাদিকদের জীবনজীবিকার উন্নয়নের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রেসক্লাবগুলোকে আধুনিকায়ন করে তোলার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে গড়ে তোলা হচ্ছে ৩১ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার। আমাদের এসকল পদক্ষেপের ফলে দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তথ্যপ্রাপ্তির সকল সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সুরক্ষা, মাননিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানাবিধ কর্মপ্রয়াসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এখন অধিকতর কার্যকর ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করছে।
আমি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।
জয় বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/রিফাত/সুর্বণা/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৩০০ ঘন্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৪৭৬
বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি দবিসে রাষ্ট্রপতরি বাণী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফব্রেুয়ার)ি :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামদি বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি দবিস উপলক্ষে নম্নিোক্ত বাণী প্রদান করছেনে :
"বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি দবিস উপলক্ষে আমি বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলিসহ গণমাধ্যমরে সাথে সংশ্লষ্টি সকলকে জানাই আমার আন্তরকি শুভচ্ছো ও অভনিন্দন।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতরি পতিা বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান এর সাথে সাংবাদকিদরে সখ্য ছলি আজীবন। তনিি তাঁর গভীর মানবকি দৃষ্টকিোণ দয়িে এই পশোর সমস্যা, উন্নয়ন ও সম্ভাবনার কথা অনুভব করতনে। স্বচ্ছোচারী নয়, বরং গণতন্ত্ররে সহযোগী শক্তি হবে সাংবাদকি সমাজ-এই উপলব্ধি থকেইে জাতরি পতিা সংবাদপত্ররে স্বাধীনতা নশ্চিতিকরণ, মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নরে উদ্দশ্যেে ১৯৭৪ সালে বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি আইন প্রণয়ন করনে। তাঁর এ প্রয়াসকে বাস্তবায়তি করার পাশাপাশি সংবাদপত্ররে গুণগত মাননশ্চিতি করতে ও হলুদ সাংবাদকিতা রোধে কাজ করে চলছে বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি।
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে এবং প্রাতষ্ঠিানকি রূপ দতিে স্বাধীন ও নরিপক্ষে সংবাদপত্ররে ভূমকিা খুবই গুরুত্বর্পূণ। সংবাদপত্ররে স্বাধীনতা, তথ্যরে প্রবশোধকিার এবং জনগণরে ক্ষমতায়ন পারস্পরকি সর্ম্পকযুক্ত। স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পার,ে মানবাধকিার ও আইনরে শাসন প্রতষ্ঠিায় গুরুত্বর্পূণ অবদান রাখতে পার।ে মানবাধকিাররে র্সাবজনীন ঘোষণায়ও মুক্তস্বাধীন মতামতভত্তিকি সাংবাদকিতা নশ্চিতি করার কথা বলা হয়ছে।ে এ দশেরে প্রতটিি গণতান্ত্রকি আন্দোলনে সাংবাদকিদরে ভূমকিা ছলি অত্যন্ত দায়ত্বিশীল ও সময়োপযোগী, যা এখনও অব্যাহত। বস্তুনষ্ঠি সংবাদ ও মতামত পরবিশেনরে মাধ্যমে সাম্য ও ন্যায়ভত্তিকি সমাজ প্রতষ্ঠিার পাশাপাশি পাঠকদরে সত্য ও কল্যাণরে দকিে এগয়িে নয়িে যাওয়া সংবাদপত্র ও সাংবাদকিদরে দায়ত্বি। সে দায়ত্বি পালনে গণমাধ্যম কখনো পছিপা হবে না-এ বশ্বিাস আমার রয়ছে।ে
র্বতমান সরকাররে নতেৃত্বে বাংলাদশে দ্রুত উন্নয়নরে মহাসড়কে এগয়িে যাচ্ছ।ে ২০২১ সালরে মধ্যে বাংলাদশেকে একটি মধ্য-আয়রে এবং ২০৪১ সালরে মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দশেে পরণিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ ও র্কমসূচি বাস্তবায়ন করছ।ে এসব র্কমসূচরি সুষ্ঠু বাস্তবায়নে গণমাধ্যমরে দায়ত্বিশীলতা ও সহযোগতিা খুবই জরুরি বলে আমি মনে কর।ি
বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি নীতি প্ৰণয়ন ও বাস্তবায়ন, প্রশক্ষিণ ও মতবনিমিয়রে মাধ্যমে গণমাধ্যম র্কমীদরে পশোগত দক্ষতা উন্নয়নে ইতবিাচক অবদান রাখছ।ে আমি আশা করি গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি অধকিতর র্কাযকর ভূমকিা পালন করব।ে
আমি বাংলাদশে প্রসে কাউন্সলি দবিস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল র্কমসূচরি সফলতা কামনা কর।ি
খোদা হাফজে, বাংলাদশে চরিজীবী হোক।"
#
হাসান/অনসূয়া/রফিাত/সুর্বণা/আসমা/২০১৮/১৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৫
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডবাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্টগার্ডবাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ কোস্টগার্ডবাহিনীর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আওয়ামী লীগ সরকার সুবিশাল সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশাল সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ও যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোস্টগার্ড এর আধুনিকায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমরা দেশীয়