Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd জুলাই ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৩ জুলাই ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২৯৩৮

 

গণসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফকির আলমগীর

                                  - সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :   

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, গণসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফকির আলমগীর। বাংলাদেশে গণসংগীতের ক্ষেত্রে তাঁর সমকক্ষ বা জনপ্রিয় দ্বিতীয় কোন শিল্পী নেই। নিজের শ্রম, সময়, অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে তিনি গণসংগীতকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন এবং গণমানুষের সুখ-দুঃখের কথা তাঁর গানে তুলে ধরেছেন। আমরা জানি, মহান মুক্তিযুদ্ধে গণসংগীত কীভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপ্ত করেছে, অনুপ্রাণিত করেছে, সাহস জুগিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের এমন একজন শব্দসৈনিক হলেন জনপ্রিয় গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আজ আমরা তাঁকে স্মরণ করি।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে জননন্দিত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের প্রথম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘কথা-গানে ফকির আলমগীরকে স্মরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফকির আলমগীর সম্পর্কে আলোকপাত করেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ, প্রয়াত ফকির আলমগীরের সহধর্মিণী সুরাইয়া আলমগীর এবং বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ঋষিজ, উদীচী, ক্রান্তি, সত্যেন শিল্পীগোষ্ঠী, ভিন্নধারা, পঞ্চভাস্কর, সমস্বর, উঠোন এবং আরিফ রহমান ও আবিদা রহমান সেতু।

প্রতিমন্ত্রী এর আগে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রকাশনা সংস্থা ‘অন্যপ্রকাশ’ আয়োজিত কবি জামাল হোসেনের কাব্যগ্রন্থ “একমুঠো পলিমাটি” এর মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।

#

ফয়সল/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২১১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৯৩৭

আজকে যদি শেখ হাসিনা বাদ দিয়ে অন্য কেউ দেশ পরিচালনায়

থাকতো তাহলে এই দেশ হয়তো শ্মশানে পরিণত হতো

                                              --নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

বিরল (দিনাজপুর), ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই):  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই দেশের যা কিছু অর্জন তার সবকিছু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং আমরা গর্ববোধ করি বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশ পরিচালনা হচ্ছে। আজকে যদি শেখ হাসিনা বাদ দিয়ে অন্য কেউ দেশ পরিচালনায় থাকতো তাহলে এই দেশ হয়তো শ্মশানে পরিণত হতো।

আজ দিনাজপুরের বিরলের ১০ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের জগতপুরে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীন উত্তর গোবিন্দপুর, বিরল-২ এর ৩৩/১১ কেভি ২০/২৮ এমভিএ ইনডোর উপকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান্যের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য বেশি ব্যস্ত ছিলেন। তারা ব্যস্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের যে দেশ পরিচালনা, সেটাকে কীভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় এই নিয়ে। তারা ব্যস্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে কীভাবে কালিমা লেপন করা যায়। এই সকল কাজে তারা রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে এবং রাষ্ট্রের অর্থ ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারা ২১ বছর যাবৎ চেষ্টাই করেছে। জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা ২১ বছরেও একটি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে নাই বা আনতে পারে নাই। হাজার বছরের একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে বাংলাদেশে আমাদের কোনো আত্মপরিচয় ছিল না। জাতি হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশ এখনও স্বাধীনতা পায়নি, বঙ্গবন্ধু আমাদের সেই স্বাধীন স্বত্তা এনে দিয়েছিলেন, আমাদের পরিচয় এনে দিয়েছিলেন। সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি একটি শাসনতন্ত্র এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সংবিধান দিয়েছিলেন। এত স্বল্প সময়ে সংবিধান কেউ দিতে পারে নাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মিথ্যার রাজনীতি করি না। আমরা তারই ধারাবাহিকতায় সঠিক পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা ক্ষুধা ও দরিদ্রতাকে জয় করেছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ পেয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মানুষ খেয়ে পরে বেঁচে আছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক সমস্যার সমাধান হয়েছে।

পরে প্রতিমন্ত্রী বিরল সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৯ এর উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২১১৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর :  ২৯৩৬

 

সালিশি আইন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে

                       -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :  

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি হিসেবে মধ্যস্থতা ও সালিশি কার্যক্রম বাংলাদেশে দীর্ঘকাল যাবৎ চলে আসলেও সালিশি আইন, ২০০১ বাংলাদেশকে আধুনিক সালিশি কার্যক্রমের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। এ আইন দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘সালিশি আইন, ২০০১ অবিলম্বে সংস্কার প্রয়োজন’ শীর্ষক এক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বিনিয়োগ বিকাশে সালিশি আইন সংস্কারের প্রয়োজনীতার কথা স্বীকার করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রবর্তনের মূল উদ্দেশ্যে হলো দ্রুত, সহজে ও সাশ্রয়ীভাবে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করা। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগ আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিয়াক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) এর চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সেলিম আর এফ হোসেন, বিয়াকের ভাইস চেয়ারম্যান মুহোম্মদ এ (রুমি) আলী পলিসি এক্সচেঞ্জ অভ্ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ প্রমুখ ‘সালিশি আইন, ২০০১’ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় বক্তারা বিদ্যমান ‘সালিশি আইন ২০০১’- এর ত্রুটি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে সালিশি পদ্ধতি জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে উক্ত আইনের কতিপয় ধারা সংশোধনের জন্য সুপারিশ প্রদান করেন।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট আইনজীবী, কর্পোরেট হাউসের প্রতিনিধি সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

#

 

রেজাউল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২০৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ২৯৩৫

 

উন্নয়ন প্রশাসনে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ পেলো পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :  

প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পেলেন প্রশাসনের ২৭ জন কর্মকর্তা ও ৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আগে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হতো। এবার ‘জনপ্রশাসন পদক’-এর নাম বদলে নতুন আঙ্গিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানে কর্মকর্তাদের এ পদক দেওয়া হলো।

আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় ও একটি ইউনিটের কাছে পদক তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা, ২০২২’ অনুযায়ী সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন প্রশাসন, মানব উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা, অপরাধ প্রতিরোধ, জনসেবায় উদ্ভাবন, সংস্কার, গবেষণা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়েছে।

এবার ‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’য় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি দর্শন বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের ধারণা বাস্তবে রূপায়ন করে ‘উন্নয়ন প্রশাসনে’ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় উন্নয়ন প্রশাসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, ড্রেজিং কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমি পুনরুদ্ধার, উদ্ধারকৃত জমিতে বনায়ন, আশ্রয়ন, শিল্প পার্ক স্থাপন, নিচু জমি উঁচু করে ভিলেজ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে যার স্বীকৃতিস্বরুপ এই সম্মাননা অর্জন।

এছাড়াও নদী ড্রেজিং এর মাধ্যমে ১৭টি জেলায় ৩ হাজার ৪১৭ দশমিক ২৫ হেক্টর ভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮২ দশমিক ৬২ টাকা এবং ক্রসড্যাম ও ক্লোজার নির্মাণের মাধ্যমে ভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮২১ দশমিক ৫০ হেক্টর।

উল্লেখ্য, সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এ পর্যন্ত ৩ বার জনপ্রশাসন পদক গ্রহণ করেছেন। তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পদায়ন হওয়ার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালীন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার টানা ৫বার গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস এর সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ এবং বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন কর্তৃক অতীশ দীপংকর শান্তি পুরস্কার অর্জন করেছেন।

#

 

গিয়াস/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২১২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৯৩৪

 

যানজট নিরসন ও পর্যটক বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে আধুনিক বাস টার্মিনাল

                                               ---পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

 

বান্দরবান, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই):  

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের ফলে যানজট নিরসন ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মিত হলে পর্যটন শহর বান্দরবানের চেহারা আরো আকর্ষণীয় হওয়ার পাশাপাশি পর্যটক বেড়ে যাবে বলে জানান মন্ত্রী।

 

আজ বান্দরবান পৌরসভার হাফেজ ঘোনা এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ করছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের সকল কাজে জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার পার্বত্যাঞ্চলে যে সকল উন্নয়ন কাজ করছে জনগণকে সে সকল উন্নয়ন প্রকল্পগুলো রক্ষণাবেক্ষণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

 

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজা সরওয়ার, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোঃ ইয়াছিন আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।

 

 

#

নাছির/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২০১২ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৯৩৩

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই):  

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রাজধানীর হাতিরঝিলে এ নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। নৌ শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্‌যাপন হচ্ছে। মাছে-ভাতে বাঙালির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করছি। যেখানে পানি আছে অর্থাৎ লেক, নদী, পুকুর সর্বত্রই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নিরাপদ মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নৌ শোভাযাত্রার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এবং মৎস্য সেক্টরে যারা ভালো অবদান রেখেছেন তাদের পদক প্রদান করবেন।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সরকার চায় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওড় যেন মুক্ত থাকে এবং মাছ চাষের জন্য উপযোগী অবস্থায় থাকে। পরিবেশ যেন দূষিত না হয়, পানি যেন দূষিত না হয়। মা মাছ ও জাটকা ধরা থেকে সবাই যেন বিরত থাকে, যাতে মাছ বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাছের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আমাদের হয়েছে। ভবিষ্যতে মাছ রপ্তানি করে আমরা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধিতে মৎস্য খাত ভূমিকা রাখবে সেটাই লক্ষ্য।

নৌ শোভাযাত্রায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, নৌপুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বর্ণাঢ্য সড়ক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

#

ইফতেখার/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২০১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২৯৩২

 

বিএনপি দেশের মানুষকে ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়

                                        --- এনামুল হক শামীম

 

শরীয়তপুর, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই):  

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের মানুষকে জিম্মি করে জনগণকে ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাইছে বিএনপি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আগেও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে। যেহেতু বিএনপির জন্মই অবৈধ পন্থায়, তাই নির্বাচনের বদলে ভিন্ন পথে ক্ষমতায় যাওয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তবে ক্ষমতায় যেতে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।

আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পৌরসভা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুগ্রহে জেলে না থেকে বাসায় আছেন। আর বাংলাদেশের নাগরিকত্বহীন তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা দেশের মানুষের সঙ্গে সরাসরি প্রতারণা। শুধু তারেক রহমান নন, তার পরিবারের সব সদস্যই পাসপোর্ট স্যারেন্ডার করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বিসর্জন দিয়েছেন। এখন লন্ডনে কোম্পানি খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ফলে তারা কীভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পরিচালনা করতে পারেন, তা কারো বোধগম্য নয়। বিএনপির অপকর্মের কারণেই জনগণ আজকে তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির কোনো কথা বা কাজের ওপর জনগণের এখন কোনো আস্থা নেই ।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে উপ-মন্ত্রী শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে উন্নয়ন করেছি আমাদের যে সফলতা আছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে তাহলে বাংলাদেশের এমন কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে পরাজিত করতে পারে।

নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর শেখের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক মাল এবং সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাসানুজ্জামান খোকন।

 

#

গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৯১২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ২৯৩১

নির্বাচন ছাড়া সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি

                        ---কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :  

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। সরকারের পতন ঘটাতে চাইলে নির্বাচনের মাধ্যমে করতে হবে। ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। জনগণ আমাদেরকে ভোট না দিলে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে চলে যাব। কিন্তু জ্বালাও পোড়াও এর আন্দোলন করে বিএনপি বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, কোনো দিন ক্ষমতায়ও আসতে পারবে না।

আজ রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে 'বছরব্যাপী পুষ্টিকর ও উচ্চমূল্যের ফল উৎপাদন' শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ একাডেমি অভ্ এগ্রিকালচার (বাগ), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বিএনপির আমলে সবসময়ই মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব বলে গত ১৩ বছরে দেশে কোনো মঙ্গা হয়নি। এ সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করে দিয়েছে। এরপরও মূল্যস্ফীতি একটু বাড়লে বিরোধিতা করা হয়। ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশের বেশি। বিগত ১৩ বছর ধরে একটানা আমরা মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নিচে রেখেছি। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক সংকটের কারণে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে।  তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। 

মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট হচ্ছে, মানুষ সেটি মোকাবিলা করছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

সার প্রসঙ্গে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্যাস না পেলেও দেশে কোনোভাবেই সারের সংকট হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সারের বিষয়টি নিয়ে আমার কথা হয়েছে। গ্যাস না পেলে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করে কৃষকদের সরবরাহ করা হবে। সেখানে (আন্তর্জাতিক বাজারে) সারের দাম বেশি হলেও দেশে যাতে সারের সংকট না হয় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ।

বাগের প্রেসিডেন্ট ও ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট কাজী এম বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাথুরাম সরকার, বাগের জেনারেল সেক্রেটারি এমএ মজিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পুষ্টিকর ও উচ্চমূল্যের ফলের ওপর পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বছরব্যাপী ফল উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী মাসুদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুর রহিম। প্রবন্ধে বাংলাদেশে পুষ্টিকর ও উচ্চমূল্যের ফল চাষের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। স্ট্রবেরি, ড্রাগনফল, কাজুবাদাম, রাম্বুটান, লংগান, কফি, রকমেলন, আম, লিচু, মাল্টাসহ বিভিন্ন উচ্চমূল্যের ফল চাষের বিরাট সুযোগ রয়েছে এবং চাষ খুবই লাভজনক।  ১ হেক্টর জমিতে আম চাষে ৩ লাখ ৪০ হাজার, লিচুতে ৪ লাখ ৬৩ হাজার, ড্রাগনে ৫ লাখ ২৬ হাজার, মাল্টা চাষে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা নিট লাভ করা সম্ভব বলে জানানো হয়।

 

                                                   #

কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৮১২ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ২৯৩০

 

আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে

           ----আইনমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :  

 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে। এজন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।

আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীগণের জন্য এডিআর কর্মশালা এবং জেলাভিত্তিক সেরা প্যানেল আইনজীবীগণকে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা এবং বাংলাদশে ইউএসএইড- এর প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস একটিভিটি নামক প্রোগ্রাম এ কর্মশালার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদানকল্পে জাতিকে উপহার দেন ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০'। এর মাধ্যমে শুরু হয় দেশের অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকরণের যাত্রা।

আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল ও সেবাবান্ধব করে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ঢাকায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা করেছে। উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধনের মাধ্যমে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। ফলস্বরূপ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং প্যানেল আইনজীবীগণের নেতৃত্বে বিকল্প পন্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, প্যানেল আইনজীবীগণের কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা এবং ইউএসএইড এর প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস এক্টিভিটি যৌথভাবে লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীগণকে সম্মাননা স্মারক প্রদানের জন্য আজকের এই আয়োজন করেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক নির্বাচিত প্রকল্প এলাকার সেরা ৪০ জন প্যানেল আইনজীবীর জন্য দিনব্যাপী এডিআর বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য, লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীদের কাজকে দেশব্যাপী প্রচার করা, যাতে অন্যান্য আইনজীবীগণ এ কাজে উদ্বুদ্ধ হন, আইনি সহায়তার মামলাগুলো গ্রহণ করেন এবং দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, গত দুই বছরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও লিগ্যাল এইড অফিসগুলোর মাধ্যমে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম, আইনি পরামর্শ এবং এডিআর পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি কার্যক্রম সফলতার সাথে চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতেও বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বিচারক, আইনজীবী, সরকারি-বেসরকারি সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পেলে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম আরো কার্যকর, গতিশীল ও শক্তিশালী হবে।

অনুষ্ঠানে জেলাভিত্তিক ৪০ জন সেরা প্যানেল আইনজীবীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আইনমন্ত্রী।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদশে ইউএসএইড এর ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স অফিসের পরিচালক Kristin Walls এবং প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস একটিভিটি'র চিফ অভ পার্টি Heather Goldsmith বক্তৃতা করেন।

                                             #

রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৭৫৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২৯২৯

 

নামসর্বস্ব দলের সাথে বৈঠক বিএনপির রাজনৈতিক সংকটের প্রমাণ

       -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, নামসর্বস্ব নানা দলের সাথে বৈঠক করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে তারা চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে।

আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন- বিএফডিসিতে সাংবাদিকরা<

2022-07-23-16-07-3b1fc4ab8049bcec42004cc70108f513.doc