তথ্যবিবরণী নম্বর: ১০৯৩
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ অনিয়মে তদন্ত কমিটি গঠন
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
গাজীপুর, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরির পর জানাজানি হলে তা ভেঙে ফেলার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আজ গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান। এ সময় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অঞ্জন কুমার সরকার মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরিতে অনিয়ম এবং তা ভেঙে ফেলার সংবাদ (কালের কন্ঠ) পত্রিকায় প্রকাশ হলে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। তারপর তিনি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। বাস্তবতা দেখতে ঘটনাস্থলে এসে তিনি অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরিতে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। এর সাথে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সুনাম জড়িত। এ ধরনের অনিয়মে যাদের নাম আসবে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
উল্লেখ্য, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে গাজীপুরে সদর উপজেলায় ১৬০টি ঘর নির্মাণ শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া কাজে শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে।
#
সেলিম/এনায়েত/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২২/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১০৯২
বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত
এথেন্স (গ্রিস), ১৬ মার্চ :
আজ প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের বিখ্যাত মেগারো মিউজিকিস হলে বাংলাদেশ এবং গ্রিসের মধ্যে সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং গ্রিসের পক্ষে হেলেনিক রিপাবলিক অভ্ গ্রিসের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী ড. লিনা মেন্দোনি চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।
গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ এবং গ্রিসের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এলেনি দ্বন্দলাকিসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্স ও গ্রিক সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিটি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা আরো বেগবান হবে। বাংলাদেশ এবং গ্রিসের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও গঠনমূলক সহযোগিতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও শিক্ষার্থী বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হলো।
#
ফয়সল/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯১
নির্বাচন কমিশনকে সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
বঙ্গভবন, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
নির্বাচন কমিশনকে সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আজ বঙ্গভবনে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনারগণ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোঃ আহসান হাবিব খান, রাশিদা সুলতানা, মোঃ আলমগীর এবং মোঃ আনিসুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই মুখ্য। দায়িত্ব পালনের সাথে ক্ষমতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশা করেন নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, নির্বাহী বিভাগসহ সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারগণ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন, সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খন্দকার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৯০
নির্ধারিত সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে
-- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের নির্ধারিত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের কালক্ষেপন করা যাবে না।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পসমূহের ফেব্রুয়ারি মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নির্দেশনা সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। মন্ত্রণালয় হতে নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বর্তমান অর্থবছরের অবশিষ্ট সময়ে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো সক্রিয় হয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ এবং প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
#
আনোয়ার/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৮৯
বাংলাদেশ এবং গ্রিসের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
এথেন্স (গ্রিস), (১৬ মার্চ) :
বাংলাদেশ এবং প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত হলো সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি। বাংলাদেশের পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং গ্রিসের পক্ষে গ্রিসের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী স্টেলিয়নি মেন্দনি চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।
আজ এথেন্সের মেগারো মিউজিকিস হলে বাংলাদেশ এবং গ্রিসের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ এবং গ্রিসের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এলেনি দ্বন্দ্লাকিসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্স ও গ্রিক সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ ও গ্রিস এর মধ্যে শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা আরো বেগবান হবে এবং বাংলাদেশ ও গ্রিসের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও শিক্ষার্থী বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হলো।
#
এথেন্স/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৮৮
বঙ্গবন্ধু কে এবং কী, সেটা নতুন প্রজন্মকে শেখানোই হবে বড় কাজ
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের এখন বড় কাজ হবে, বঙ্গবন্ধু কে এবং কী, সেটা নতুন প্রজন্মকে শেখানো। এজন্য বঙ্গবন্ধুকে জানার বিষয়টি সহজ করে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার জন্য আলাদা বুক কর্নার তৈরি করে দিতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আজ সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আইনি ভাবনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার যে অপসংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল, তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আনিসুল হক বলেন, আসল ষড়যন্ত্র ছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যা করা। এই ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনও চলছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সব সময় সজাগ থাকতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনই অন্যায়ের সাথে আপস করেননি, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থার বাইরে রাজনীতি করেননি। তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবনে অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত নেননি। বাঙালিদের কোথায় যেতে হবে, কি করতে হবে তার সবকিছুই তিনি ৭ই মার্চের ভাষণে বলে দিয়েছিলেন। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর আক্রমণের পরপরই তিনি ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন ফরহাদ, যুগ্মসচিব কাজী আরিফুজ্জামান, যুগ্মসচিব মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপসচিব গাজী কালিমুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আইনি ভাবনা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ সশরীরে ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৮৭
মোংলা বন্দরে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম চালু
মোংলা (বাগেরহাট), ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ আগমন ও নির্গমনকারী সকল জাহাজের সেইফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ, চ্যানেলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, যেকোনো দুর্ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার লক্ষ্যে ‘ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম’ (ভিটিএমআইএস) প্রবর্তন করা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী আজ মোংলা বন্দরে ‘ভিটিএমআইএস’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ মামনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দেবে। এ লক্ষ্যে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটারের নৌ চ্যানেলে সাড়ে ৯মিটার ড্রাফটের জাহাজ আনয়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দর পর্যন্ত রেললাইন সংযোজন করা হয়েছে। ছয় লেনের রাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এবং রেল লাইন চালু হলে বন্দরের গতি আরো বেড়ে যাবে। রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বেড়ে যাবে। সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, মোংলা বন্দরে ইতিপূর্বে কোনো ভিটিএমআইএস ছিল না। ফলে বিদেশি জাহাজের সাথে ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি (ভিএইচএফ) এর মাধ্যেমে যোগাযোগ করা হতো। বর্তমানে ভিটিএমআইএস-এর মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। বন্দরে ভিটিএমআইএস এর মাধ্যমে বিদেশি জাহাজের আগমন ও নির্গমন নিরাপত্তার সাথে নিশ্চিত করা হচ্ছে। বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কারণে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে; যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
#
জাহাঙ্গীর/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৮৬
এমিউজমেন্ট পার্ক এবং থিম পার্ককে পর্যটন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
----শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২ চৈত্র (১৬ র্মাচ) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এ এমিউজমেন্ট পার্ক এবং থিম পার্ককে পর্যটন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যথাযথভাবে অনুমোদনের পর জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এপ্রিল মাসে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
আজ বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অভ্ এমিউজমেন্ট পার্ক এন্ড এট্রাকশনস্ (বাপা) এর প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাৎকালে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমিন ও যুগ্মসচিব মোঃ আবদুল ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন। বাপা’র সভাপতি শাহরিয়ার কামালের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা, ট্রেজারার তুষার বিন ইউসুফ ও প্রধান কো-অর্ডিনেটর অনুপ কুমার সরকার।
বৈঠকে বাপা’র প্রতিনিধিবৃন্দ জানান, বাংলাদেশে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০০টি এমিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্ক রয়েছে এবং এ সেক্টরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৬ লাখ জনবল কর্মরত। পর্যটন শিল্পের আওতাভুক্ত সম্ভাব্য প্রোডাক্টের তালিকায় বেসরকারি খাতভুক্ত থিম পার্ক ও এমিউজমেন্ট পার্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল। করোনা সংক্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যটন সেক্টর ও এই সেক্টরের আওতাধীন বিভিন্ন সাব-সেক্টর সবচেয়ে বেশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারিভাবে বিভিন্ন সেক্টরকে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটন সেক্টরসমূহ প্রণোদনার সুযোগসুবিধা গ্রহণ করতে পারেনি। বৈঠকে প্রতিনিধিদল পর্যটন সেক্টর ও এই সেক্টরের আওতাধীন বিভিন্ন এমিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্কসমূহ টিকিয়ে রাখা এবং কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী স্ব-অবস্থায় ফিরে যাবার লক্ষ্যে পর্যটন সেক্টর ও বিভিন্ন সাব সেক্টরকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে জাতীয় শিল্পনীতি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করার দাবি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে চিন্তা করেছি এবং এর দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করছি। তিনি পার্কের বিভিন্ন রাইডস্ ও যন্ত্রপাতি যেন নিরাপদ হয় সে বিষয়ে কাজ করার তাগিদ দেন।
#
মাহমুদুল/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৩৫ঘণ্টা
Handout Number : 1085
First ever political consultations held between
Bangladesh and Saudi Arabia
Dhaka, 16 March 2022:
The first ever political consultations between the Bangladesh and the Kingdom of Saudi Arabia was held today in Dhaka. Dr. A K Abdul Momen, Foreign Minister led a 8-member Bangladesh delegation while the 6-member Saudi delegation was led by Prince Faisal bin Farhan Al Saud, Foreign Minister of Saudi Arabia. The meeting was held in a cordial and friendly atmosphere.
At the outset, both the leaders reaffirmed the bond of enduring ties and friendship existing between the two brotherly countries and expressed satisfaction over the state of bilateral cooperation. They noted the understanding and goodwill existing at the political level between the two countries. Both sides further stressed the need to coordinate and work together at functional levels to carry forward the policy decision for mutual benefit of the peoples of the two countries.
During the Consultations, among the issues that came up for review and discussion were increased bilateral trade and investment, recruit of skilled manpower, Hujj management, education, health, environment and climate change, ICT and tourism. Saudi Foreign Minister stressed the need to enhance collaboration in trade and investment and stated that some Saudi companies have already invested in some sectors in Bangladesh and some other companies are considering greater engagement in various areas. He sought policy and institutional support from the Bangladesh side. The Saudi Foreign Minister also suggested that launching a joint business forum and exchange of business delegation between the two countries, could augment bilateral trade and business.
Bangladesh Foreign Minister identified six new areas of engagement for future collaboration, namely, collaboration and partnership with Saudi Green Initiative; Saudi investment in the Bangabandhu Industrial City in Chattogram; investment by leading Saudi companies in development of tourism and hotel industry and in the IT sector, Contract Farming in third countries and developing Skills Training Programme in Bangladesh at Saudi initiative.
Both the leaders expressed satisfaction at the close alignment of positions in all major global issues regarding stability, security, primacy of state sovereignty and upholding the UN Charter and agreed to continue this collaboration in the future.
The Bangladesh Foreign Minister sought cooperation from the Saudi side for sustainable repatriation and ensuring justice for the forcibly displaced Myanmar nationals. The Saudi Foreign Minister assured him of all support in the resolution of the Rohingya refugee crisis.
At the end of the consultations, both the leaders signed two instruments, namely, Agreement on Cooperation and Mutual Assistance in Customs Matters and an MoU on Cooperation between the Foreign Service Academies of the two countries.
Earlier the Saudi Foreign Minister paid a courtesy call on the Prime Minister at Ganobhaban where they exchanged views on bilateral relations and recent developments in the regional and global arena.
#
Mohsin/Rahat/Sanjib/Mahmud/Joynul/2022/2000hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৮৪
কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে সহায়তা করবে মার্কিন কৃষি বিভাগ
ঢাকা, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স¦াক্ষরিত হবে। সমঝোতা স্মারকের জন্য শীঘ্রই একটি খসড়া প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুসসালাম সাদ্দাম মুহাইসেন।
আজ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বৈঠকে আব্দুসসালাম সাদ্দাম মুহাইসেন এ আগ্রহের কথা জানান। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। এসময় কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে ইরাকের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে আরো বাড়ানো যায়- তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ইরাক, ভারত ও তুরস্ক থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করে। ইরাকের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো। তারা কৃষিখাতে সহযোগিতা করার জন্য এমওইউ স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইরাক বাংলাদেশ থেকে সবজি, আম, আলু নিতে চায়। আমরা আলু রপ্তানি করতে পারবো।
পরে কৃষিমন্ত্রীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। এসময় কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে বাংলাদেশকে মার্কিন কৃষি বিভাগ কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলে প্রতিনিধিদল জানায়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কৃষিপণ্য পরিবহণ ও কোল্ড চেইনের জন্য রেফ্রিজারেটেড ভেহিকেল প্রদান করবে বলেও জানানো হয়।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ও ভ্যালু অ্যাড করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সেই লক্ষ্যে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পূর্বাচলে দুই একর জমিতে বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একজন পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনে মার্কিন কৃষি বিভাগ আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারে।
উল্লেখ্য, মার্কিন কৃষি বিভাগ ২৭ মিলিয়ন ডলারের ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে। ২০২১-২৫ মেয়াদে চার বছরব্যাপী এ প্রকল্প মূলত বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
#
কামরুল/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৮৩
প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বিএনপি মনে রাখবে: তথ্যমন্ত্রীর আশা
চট্টগ্রাম, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
বারবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে কারামুক্ত রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা বিএনপি মনে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকরা পুনরায় বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে কারামুক্ত রাখার আবেদন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘যে বেগম জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করা ও হত্যাকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য নিজের জন্মতারিখ বদলে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন, যার স্বামী জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত, যে খালেদা জিয়ার দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়েছিলেন- দুয়ার খোলেননি, সেই খালেদা জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, বিএনপি এবং বেগম জিয়া আশা করি ভবিষ্যতে সেটি মনে রাখবে।’
এ সত্ত্বেও বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোতে লিপ্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবরা তো জনগণের কাছে যান না, তিনি মাঝে মধ্যে ঠাকুরগাঁও যান, টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করেন, আর মাঝে মাঝে লোক দেখানো কিছু প্রোগ্রাম করেন। জনগণ যে আজকে ভালো আছে, সেটা তারা জানেন না, চান না। জনগণ ভালো আছে, এতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। এজন্য নানা বিভ্রান্তিকর কথা বলেন তারা।’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের কষ্ট ও দুর্ভিক্ষ হয়, এসি রুমে বসে তারা মানুষের কষ্ট বোঝেন না’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘এই করোনাকালে সংকটের সময়ে আওয়ামী লীগই সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে, বিএনপি কখনো থাকেনি, দু-একটি লোক দেখানো প্যাকেট বিতরণ আর টিভি ফটোসেশনের বাইরে কিছু করেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে ছিলেন বিধায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ সদস্যের পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন। ত্রাণ বিতরণে অংশ নিয়ে দলের অনেক সংসদ সদস্য করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে আবার জনগণের কাছে গেছেন। আমি নিজেও দু’বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। একজন ব্যস্ততম রাজনীবিদ হয়েও প্রতি সপ্তাহে আমি নির্বাচনি এলাকায় আসি।’
চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- চট্টগ্রামের উন্নয়ন তিনি নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। সে মোতাবেক চট্টগ্রামব্যাপী অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে সুপেয় পানি চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়াবাসী অত্যন্ত খুশি হয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সহযোগিতা করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’
#
আকরাম/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৮২
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশই হতো না
-- গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ঢাকা, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশই হতো না। চরম প্রতিকূলতা ও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন এবং এদেশের মানুষকে লাল সবুজের পতাকা দিয়েছেন।
মোঃ জসীম উদ্দিন আজ তথ্য ভবনে ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন অধিদপ্তরের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, পরিচালক প্রচার ও সমন্বয় মোঃ তৈয়ব আলী, পরিচালক প্রশাসন মোঃ লিয়াকত হোসেন ভূঞাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, তৃতীয় বিশ্বের নেতা হওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর যে প্রান্তেই গিয়েছেন সেখানেই আন্তরিকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধুকে তাদের মুক্তির আশা হিসেবে দেখেছেন, দেশের মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মহাপরিচালক বলেন, সব ধরনের সংঘাত এবং যুদ্ধে শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় শিশু রাসেল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ পরিবারের সকল মহিলা সদস্যকে নির্দয়ভাবে হত্যা করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসতে হবে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন ও কাজের মধ্য দিয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শেষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
#
তৈয়ব/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী