তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭৭
নারী সমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে সরকার কাজ করছে
-- সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে) :
নারী সমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সরকার এক মিশন নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বায়নের এ যুগে সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক উন্নয়নের পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।
পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে আলোকিত বাংলার মুখ ফাউন্ডেশন আয়োজিত নারী সমাজের উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনার ও গুণিজন সম্মাননা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকা-ে নারীর সম্পৃক্ততাকরণকে শক্তিশালী অনুঘটক ও বহুমাত্রিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে তাদের সুরক্ষাকল্পে স্বাস'্য, শিক্ষা, পুষ্টি, পানি ও স্যানিটেশনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তিনি বলেন, আলোকিত বাংলার মুখ ফাউন্ডেশন সমাজের স্বাস'্য, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চাসহ আর্ত-মানবতার সেবায় গণমুখী ভূমিকা রাখছে। তিনি সংগঠনটির কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিত্তবান মানুষসহ সমাজ সচেতন সকলকে সার্বিক সহায়তার আহ্বান জানান।
পরে প্রতিমন্ত্রী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা গুণিজনের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন।
#
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭৮
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো
স্টার পস্নাস কমিউনিকেশন পারফরমেন্স এওয়ার্ড
ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে) :
দেশে অভিনয়, নৃত্য ও সংগীতসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকাদের অংশগ্রহণে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো স্টার পস্নাস কমিউনিকেশন পারফরমেন্স এওয়ার্ড-২০১৬। অভিনয় ও নৃত্যকলায় আকাশচুম্বী সফলতা অর্জনে আজীবন সম্মাননা পদক পান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম ও বিশেষ সম্মাননা পদক পান রম্নমানা রশীদ ঈশিতা। তাদের পদক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ।
আজ রাজধানীর বেইলি রোড অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের পরিচালক নাজমুল খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুস' ধারার সংস্কৃতি চর্চা সমাজকে সত্য, সুন্দর ও আলোর পথ দেখায়। তিনি দুঃখ করে বলেন, নতুন প্রজন্মকে মননশীল সাংস্কৃতিক কর্মকা- বে্যাপকভাবে সম্পৃক্ত না করায় একটা অংশ বিপথগামী হয়ে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এদের অভিনয়, সংগীত, নৃত্য ও অভিনয় চর্চায় বেশি বেশি করে সুযোগ দিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও দেশপ্রেমিক মানুষদের পরিকল্পিত কার্যক্রম অপরিহার্য।
#
আহসান/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭৬
জনগণ যখন উন্নয়ন চিত্র উপলব্ধি করতে পারেন তখনই আসে উন্নয়নের স্বার্থকতা
-- স্পিকার
রংপুর, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে) :
বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের মৌলিক অধিকার বাসত্মবায়নে ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের জনগণ যখন এই উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করেন এবং উন্নয়ন চিত্র উপলব্ধি করতে পারেন তখনই আসে উন্নয়নের স্বার্থকতা।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ তাঁর নির্বাচনী এলাকা পীরগঞ্জের খালাশপীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ মাঠে বঙ্গমাতা পরিষদ রংপুর এর সহযোগিতায় পীরগঞ্জ উপজেলার এসএসসি পর্যায়ের কৃতী শিড়্গার্থীদের সংবর্ধনা, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সাথে প্রানিত্মক পর্যায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সরকার ৪ হাজার ৫শ’টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স'াপন করেছে- যার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা। এছাড়াও শিড়্গার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে স'াপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব- যা তরম্নণ শিড়্গার্থীদের সংযুক্ত করবে বিশ্ব জ্ঞান ভা-ারের সাথে।
সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে কঠিন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার বিশ্বে মেধার স্বাড়্গর রাখতে শিড়্গার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মেধার কোন বিকল্প নেই- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক সূচকে সফলভাবে এগিয়ে চলছে। মাথাপিছু আয় ১৬০৪ মার্কিন ডলার, শতকরা ৭ দশমিক ২৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক রেমিটেন্স বৃদ্ধি, নারীর ড়্গমতায়ন, নারী শিড়্গার প্রসার, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, তিন হাজার মেগাওয়াট থেকে পনের হাজার মেগাওয়াটে বিদ্যুৎ উন্নীতকরণ সৌর বিদ্যুতের প্রসার, রাসত্মাঘাট পাকাকরণ, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ সব বিষয়ে সফলতা অর্জন করে আজ বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হয়েছে। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানসম্মত যুগোপযোগী শিড়্গাব্যবস'া সুসংহত করার মধ্য দিয়ে অচিরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ পর্যায়ে স্পিকার পীরগঞ্জ উপজেলার এসএসসিতে উত্তীর্ণ কৃতী শিড়্গার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো, ভবিষ্যতে যেন তাদেরকে আরো বড় সংবর্ধনা দেওয়া যায় ও তারা যেন দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে-- এ শুভ কামনা রইল।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পীরগঞ্জের বাহাদুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলেন এবং গর্ভবতী মায়ের স্বাস'্য পরিচর্যা ও পুষ্টিমান নিশ্চিত করার প্রতি গুরম্নত্বারোপ করে বলেন মায়ের স্বাস'্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে সুস' সবল আগামী প্রজন্ম গঠন সম্ভব হবে। এছাড়াও তিনি রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ ও রায়পুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শন করেন। স্পিকার এ সময় স'ানীয় নারীদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন। পরে তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক সুধী সমাবেশে যোগ দেন এবং পীরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স ভবন, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, দু’টি বিদ্যালয়ের একডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রসত্মর উদ্বোধন সহ ২২টি ব্রিজ, কালভার্টের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি সাম্প্রতিক দুর্যোগে ড়্গতিগ্রসত্মদের মাঝে ঢেউটিন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। এছাড়াও ভাষা ও সাহিত্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিড়্গার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
তারিক/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭৫
জঙ্গিবাদ ও মাদক উন্নয়নের বড় শত্রম্ন
-- আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও মাদক উন্নয়নের বড় শত্রম্ন। তাই উন্নত বাংলাদেশ গড়তে মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরম্নদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর এ লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দূরে রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নবনির্মিত থানা ভবন উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রায় ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ থানা ভবন নির্মাণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ব্রত হলো জনগণের উন্নয়ন করা। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের চাকা সচল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক না থাকলে এ চাকা সচল রাখা কঠিন হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রড়্গায় সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছেন। আমাদেরকে বলা হতো দুর্যোগের দেশ, দুর্নীতিতে এক নম্বরের দেশ। এখন বলে দুর্যোগ নির্মূলের জন্য শক্তিশালী হলো বাংলাদেশ। গার্মেন্ট রপ্তানিতে দুই নম্বর হলো বাংলাদেশ। মাছ রপ্তানিতে শীর্ষ চারটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ।
এর আগে মন্ত্রী কসবা উপজেলার ২৪টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন এবং উপজেলার জয়নগর বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজের ভিত্তিপ্রসত্মর স'াপন করেন।
#
রেজাউল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭৪
নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭ উদ্্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দেশ যাবে এগিয়ে যাত্রা হোক নিরাপদ, নৌ আইন মানবো মোরা এটাই হোক অঙ্গীকার, যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে দেশের ৫৩টি নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নৌ-নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ নৌযানকে আরো আধুনিকায়ন করতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মেরিন সেক্টরে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে ৪টি মেরিন একাডেমির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ৩টির অবকাঠামো নির্মাণ চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে। বিদেশগামী জাহাজে দক্ষ নাবিক তৈরির লক্ষ্যে সরকার মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের একটি শাখা চালু করেছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ৬টি বিভাগীয় শহরে ইনস্টিটিউটের শাখা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে নির্মিত নৌযান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। যা নৌশিল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এদেশের প্রশিক্ষিত নৌসম্পদ দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ প্রটোকলে যাত্রীবাহী জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিদেশি জাহাজে বাংলাদেশি নাবিকদের চাকুরির সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ২৬টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতি স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনে নৌপরিবহণের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণে নৌযানের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিকূল আবহাওয়ায় নদীপথে চলাচলরত নৌযানগুলোকে যথাযথ সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য আমি নৌযান মালিক, মাস্টার ও যাত্রী সাধারণসহ নৌযান সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি আশা করি, নৌ আইন মেনে চলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতায় নৌযান ও নৌপথ আরো নিরাপদ হবে।
আমি ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/রেজাউল/২০১৭/১৭১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭৩
নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৬-২২ মে ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ পণ্য ও যাত্রী পরিবহণে নৌপরিবহণের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কালবৈশাখি ঝড়সহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে। তাছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে এ সময়ে বাংলাদেশের নদ-নদী উত্তাল হয়ে অশান্ত আকার ধারণ করে। নদীপথে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় নৌ-সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে সরকার নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।
নৌপরিবহণ নিরাপদ ও আধুনিক করতে নদীপথে চলাচলকারী লঞ্চমালিক, শ্রমিক, যাত্রীসাধারণকে অধিক সচেতন হতে হবে। ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ রোধসহ নৌপরিবহণ সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসরণ খুবই জরুরি। এছাড়া নৌপরিবহণ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে নৌ দুর্ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
আমি ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭’ পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হোক এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/সেলিম/রেজাউল/২০১৭/১৭১৮ ঘণ্টা