Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

তথ্যবিবরণী 23.01.2018

 তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর :  ২৭৬

জনগণকে সাথে নিয়ে কক্সবাজারের হোটেল শৈবালের উন্নয়ন করা হবে 
-- বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
কক্সবাজার, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) : 
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেছেন,  পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল শৈবাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত।  তাঁর হাতে লাগানো সমুদ্রতীরবর্তী ঝাউগাছ ও হোটেলের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণœ রেখে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনগণকে সাথে নিয়ে এর উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হবে। 
মন্ত্রী আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন ‘উবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঞড়ঁৎরংস জবংড়ৎঃ ধহফ ঊহঃবৎঃধরহসবহঃ ঠরষষধমব ধঃ চধৎলধঃধহ ঐড়ষরফধু ঈড়সঢ়ষবী, ঈড়ী'ং ইধুধৎ' বিষয়ক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারসহ বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিকমানের ট্যুরিস্ট জোন করা হবে। বিদেশি পর্যটকদের আগমনের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬ হাজার থেকে ৯ হাজার ফুটে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আরো এক হাজার ফুট বাড়ানো হবে এর রানওয়ে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ, বিমান ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. নাইম হাসান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ফোরকান। 
#
মাহবুব/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর :  ২৭৫
টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণে মানের উন্নয়নে প্রাধান্য, সুপারিশে নয় 
   -- তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) : 
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘টিভি অনুষ্ঠানের মান উন্নয়নকেই সবার আগে বিবেচনা করতে হবে, সুপারিশকে নয়। বিটিভিসহ সকল টেলিভিশনই তা বজায় রাখলে দেশের গণমাধ্যমের উন্নয়ন হবে, উপকৃত হবে জাতি।’     
আজ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ঢাবি’র টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি টিভি অনুষ্ঠানের সাথে সাথে চলচ্চিত্র উন্নয়নের দিকেও আলাকপাত করেন। চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীরাও যাতে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের সুযোগ পায়, তারানা হালিম সেজন্য প্রস্তাব উত্থাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলে বিভাগের সকলে তাকে অভিনন্দন জানায়।     
শীঘ্রই নবম ওয়েজবোর্ড ও সম্প্রচার আইন আসছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী সংবাদপত্রের বিষয়ে বলেন, ‘অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রয়েছে। সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে। তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে সংবাদপত্র মালিকদের আহ্বান জানান তিনি।
এসময় সাংবাদিকতায় শুদ্ধাচার প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, ‘সাংবাদিকতায় সুবচন ফিরিয়ে আনতে হবে। কলম দিয়ে শুধু সত্য লিখতে হবে, অর্ধসত্য নয়। সত্যই শক্তি, আর অর্ধসত্য ভয়াবহ এবং পরিত্যাজ্য।’ 
দেশের জন্য স্বপ্ন ও সংগ্রামকে উৎসাহিত করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমরা জীবনে চলার পথে ছোট ছোট অনেকগুলো যুদ্ধে হারি, কিন্তু আমাদের প্রত্যয়, আমরা বড় যুদ্ধে জিতব। স্বপ্ন বাস্তবায়নে হার মানবো না। কারণ, হার মানার অর্থ স্বপ্নের ইতি।’ 
বিভাগের চেয়ারপার্সন রিফ্ফাত ফেরদৌসের সভাপতিত্বে আলোচনায় সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, একুশে টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সালাউদ্দিন জাকি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানশেষে বিভাগের স্টুডিও পরিদর্শন করেন তারানা হালিম। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কেককাটা ও ফিল্ম, স্কিনিং ও পুরস্কার বিতরণ আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। 
#
আকরাম/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২৭৪ 
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে। 
আজ কুতুপালং -১ ক্যা¤েপ ২ শত ২৯ জন পুরুষ, ২ শত ৩ জন নারী মিলে ৪ শত ৩২ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৫ শত ২৭ জন পুরুষ, ৫ শত ৮০ জন নারী মিলে ১ হাজার ১ শত ৭ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৯৫ জন পুরুষ, ১ শত ২৭ জন নারী মিলে ২ শত ২২ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৩ শত ৯৭ জন পুরুষ, ৩ শত ৬০ জন নারী মিলে ৭ শত ৫৭ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ২ শত ৭৫ জন পুরুষ, ২ শত ৯২ জন নারী মিলে ৫ শত ৬৭ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৬ শত ৩৯ জন পুরুষ, ৬ শত ৬২ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩ শত ১ জন এবং পুরোদিনে ৬টি কেন্দ্রে মোট ৪ হাজার ৩ শত ৮৬ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। 
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২ শত ২২ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। 
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত  ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন। 
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক ১৩ ই জানুয়ারি  পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭ শত জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৭৩
স্পিকারের সাথে আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস 
ফর হিউম্যান রাইটস এর প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে সফররত আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস এর চার সদস্যের প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ান এমপি চার্লস সান্টিয়াগো (ঈযধৎষবং ঝধহঃরধমড়) এর নেতৃত্বে আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যু এবং এ ইস্যুতে আসিয়ানভুক্ত দেশের পার্লামেন্টসমূহের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। 
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সময়ে সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নবদুয়ার উন্মোচন করেছেন, স্থাপন করেছেন মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাঁচদফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এই ৫ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই  এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
এসময় স্পিকার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ব জনমত বৃদ্ধিতে আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহের জোরালো ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপু মনি এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এপিএইচআর এর রিসার্চ এন্ড এডভোকেসি ডিরেক্টর ওরেন সামেট, সিঙ্গাপুরের সংসদ সদস্য লুইস এনজি (খড়ঁরং ঘম), থাইল্যান্ডের সংসদ সদস্য রাচাডা ধানাডিরেক (জধপযধফধ উযহধফরৎবশ) এবং ইন্দোনেশিয়ার সংসদ সদস্য লিনা মারইয়ানা মুক্তি (খবহধ গধৎুধহধ গঁশঃর) এসময় উপস্থিত ছিলেন। 
#
তারিক/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৮৪৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৭২
শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি 
                                 -- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
গংগাচড়া (রংপুর), ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) : 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। এ উপলব্ধি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করে নিরক্ষরমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার সকল স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পৃক্ত করে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ২৪ হাজার প্রতিষ্ঠানে আইসিটিসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। তিনি বর্তমান সরকারের সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সবার জন্য শিক্ষার লক্ষ্যসমূহ অর্জনে প্রণীত জাতীয় পরিকল্পনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তার আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার কাক্সিক্ষতমান অর্জন এবং যুগোপযোগী ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে স্থায়ী উন্নয়নের ভিত্তি শক্তিশালীকরণে শিক্ষকসমাজকে কাজ করতে হবে।  
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গংগাচড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৮ উদ্্যাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনাসভা এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে গংগাচড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টিআর প্রকল্পের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
#
আহসান/ফারহানা/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৮৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৭১
                          বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জিত হয়েছে লিঙ্গসমতা
                                 --- স্পিকার
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জিত হয়েছে লিঙ্গসমতা। বর্তমান নারীসমাজের অহংকার নারী ক্ষমতায়ন। নারী জনসমষ্টিকে পিছিয়ে রেখে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি আজ ঢাকায় লালমাটিয়া মহিলা কলেজে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, বৃত্তি ও পদক প্রদান এবং নবীনবরণ-২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নারী শিক্ষার প্রসারে বর্তমান সরকারের নারী উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। সে কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়নের রোলমডেল।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত হতে হবে। তিনি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বীয়ক্ষেত্রে কৃতিত্ব ও মেধার স্বাক্ষর অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতির রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের মতো গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তিনি নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। 
এসময় স্পিকার কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ, বৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ করেন এবং কলেজের ছাত্রীদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
 অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ নোমান উর রশীদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান এবং কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
#
তারিক/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৮৪০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৭০  
দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যায় ভারসাম্য আনতে হবে
                                                                  -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) : 
সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যায় ভারসাম্য আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, দেশের অনেক হাসপাতালে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিকিৎসক বা নার্স আছে। আবার কোন কোন হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী নেই। 
আজ সচিবালয়ে জেলাভিত্তিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় গাজীপুর, বরিশাল, পাবনা, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও রাজবাড়ীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
যেসব এলাকায় হাসপাতালের সংস্কার প্রয়োজন সেখানে দ্রুত কাজ শুরুর নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস ভবন না থাকায় শীঘ্রই তা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে তিনি নির্দেশ দেন। জেলা বা উপজেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আইএইচটি ও ম্যাটসের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর শুন্যতা পূরণে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ারও তাগিদ দেন তিনি। 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার সাফল্য ধরে রাখতে হলে কোনো রকমের সমন্বয়হীনতা মেনে নেওয়া হবে না। হাসপাতালের সংস্কার কাজে শিথিলতা অথবা প্রয়োজনীয় জনবল না থাকার কারণে তৃণমূলের মানুষের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, সংসদ সদস্য ডা. দীপু মণি, সংসদ সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ সিরাজুল হক খান, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন, হাসপাতালের পরিচালক ও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
পরীক্ষিৎ/ফারহানা/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ২৬৯ 
গণ-অভ্যুত্থান দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৪ জানুয়ারি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
“বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। স্বায়ত্তশাসনসহ ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬ দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং তা সারা পূর্ববাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বাম রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণ-আন্দোলনকে বেগবান করে। তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে। বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক, ছাত্র, শিক্ষক, জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নবমশ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।
শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি। গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর, যা ছিল জনগণের মহাবিজয়। এই গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমি সবাইকে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
জয়নাল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৩৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ২৬৮  
গণ-অভ্যুত্থান দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ জানুয়ারি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্য ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। ফলে আরো তীব্রতর হয় স্বাধিকার আন্দোলন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীনউদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে বন্দি করে। এ মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, জনতা দুর্বার ও স্বতঃস্ফূর্ত 
গণ-আন্দোলন গড়ে তোলেন।
বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এদিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমনপীড়ন ও সান্ধ্যআইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহিদ হন নবমশ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে উনসত্তরের 
গণ-অভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছি। আসুন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি শহিদ মতিউরসহ মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২৪৬ ঘণ্টা 
Todays handout (4).docx