Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১২ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৬৩৯

সকলকে পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষার উপর জোর দিতে হবে

                                                          --  ভূমিমন্ত্রী

                                                           

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে): 

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষার উপর জোর দিতে হবে।

মন্ত্রী আজ বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে উত্তরা লেডিস ক্লাব হলে উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃক আয়োজিত রত্নগর্ভা মা সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

এখন প্রতিষ্ঠিত সন্তানদের পিতা-মাতাকেও বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের চিরাচরিত ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। এখন পশ্চিমা দেশেও যৌথ পরিবারের গুরুত্বের কথা বলা হচ্ছে।

আজকের যুবসমাজ, যারা নিজেরাও শিশু বা কিশোর-কিশোরীদের বাবা-মা, তারা আগামীতে প্রৌঢ় হবেন মন্তব্য করে মন্ত্রী তাদের আহ্বান করে বলেন, যেভাবে আপনার বার্ধক্যে আপনি আপনার সন্তানদের থেকে শ্রদ্ধা ও ব্যবহার চান, সেইভাবে আজ আপনার মা-বাবাকে সম্মান করুন এবং নিজের সন্তানদের কাছে উদাহরণ স্থাপন করুন।

রত্নগর্ভা পুরস্কারপ্রাপ্ত মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এসময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আত্মত্যাগের কারণে বাংলাদেশ সুনাগরিক পেয়েছে যারা দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ খসরু চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শাহিদা তারেখ দিপ্তী, স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাসির উদ্দিন, ডিএনসিসি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জুলকার নায়ন, ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা মুনিরা ইসলাম, উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোহাম্মদ তারেকউজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা লেডিস ক্লাবের সভাপতি ইসমে আরা হানিফ।

অনুষ্ঠানে তিনজন রত্নগর্ভা মা তাদের নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ৩২ জন মাকে রত্নগর্ভা মা সম্মাননা প্রদান করা হয়।

#

নাহিয়ান/পাশা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ৪৬৩৮

বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন

                                                        - পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কক্সবাজার, ২৯ বৈশাখ (১২ মে): 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি গত নির্বাচন বর্জনের পর তাদের হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন। 

আজ কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের 'অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে' মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পর পর চারবার জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছে। এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। বিএনপি এখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। 

গত নির্বাচন বর্জনের পর তাদের হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা অদৃশ্য শক্তির ওপর বিশ্বাস করা শুরু করেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'আপনারা জানেন, তারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের দুয়ারে যায়, এখন তারা যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই আমার প্রশ্ন।' 

'মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরির অজুহাত হতে পারে না' রাখাইনে সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে কি না, এখানে আরাকান আর্মি ভূমিকা রাখবে কি না -এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন 'উই এনগেইজ উইথ দ্য গভর্নমেন্ট', আমরা মিয়ানমারের সরকারের সাথেই আলাপ-আলোচনা করছি। সেখানে অভ্যন্তরীণ  সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে সেটিও সঠিক।  কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে মিয়ানমারে সবসময়েই গোলযোগ ছিল। 

'গত ৭০-৮০ বছরের ইতিহাস দেখুন, মিয়ানমার কখনোই গণ্ডগোলমুক্ত ছিল না, কিন্তু সেই কারণে মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক, শত শত বছর ধরে সেখানে আছে, তাদেরকে ফেরত নিয়ে না যাওয়ার কোনো অজুহাত হতে পারে না' যুক্তি তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।

এ দিন সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সদস্যদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের এখানে আশ্রয় দেওয়ার প্রেক্ষিতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমন রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশগত সমস্যা, আইন-শৃঙ্খলাগত সমস্যা, একইসাথে অনেক রোহিঙ্গা ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে।

'সন্ত্রাসী ও ফ্যানাটিক গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের সদস্য রিক্রুট করছে' বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, এ সবের কারণে শুধু আমাদের দেশে সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নয়, আশপাশের দেশেও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বিস্তারজনিত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। 

হাছান মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের সাথেও নিয়মিতভাবে আমরা আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি, যাতে নিজেদের নাগরিকদের পূর্ণ অধিকারসহ ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর কার্যত চাপ প্রয়োগ করা হয়। 

পরিতাপের সুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, মিয়ানমার সবসময় বলে তারা ফেরত নেবে, কিন্তু আজ পর্যন্ত গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত নেয়নি। উপরন্তু আমাদের ওপর নতুন সমস্যা  তৈরি হয়েছে যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে  ইতিমধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি'র প্রায় পাঁচশত সদস্য ও তাদের সেনাবাহিনীর সদস্য পালিয়ে আমাদের দেশে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছি কিন্তু নতুনভাবে আরো ১৩৮ জন এখন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তার মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও দু'জন মেজরও আছে। 

এদের নিয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, অতীতে পালিয়ে আসাদের ফেরতদানের একই প্রক্রিয়ায় এদেরও আমরা ফেরত পাঠাতে পারবো বলে আশা করছি এবং মিয়ানমারেরও তাদেরকে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে। 

দু'দেশের সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতেই আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন -এ নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে চমৎকার। গত নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা পত্রে সে কথাই বলেছেন। এই সম্পর্ককে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার।  

#

আকরাম/পাশা/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৪৬৩৭

দেশে ১২টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র হবে

               ---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে):

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিশুদের নিয়ে আমাদের প্রায় ২১৩টি প্রতিষ্ঠান আছে। এক সময় যেগুলোকে শিশু অপরাধী সংশোধনাগার বলা হতো, সেগুলোকে আমরা এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বলছি। তাদের সাপোর্ট দিয়ে অপরাধীর জায়গা থেকে ইতিবাচক একটা জায়গায় নিয়ে আসতে পারি। সেজন্য এর নামেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, কারণ নামের প্রভাব তো থাকেই। সেটার সংখ্যা তিনটি, যা সত্যিই অপ্রতুল। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে ১২টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র হবে।

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কিশোর অপরাধের ধরন ও কারণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

দীপু মনি বলেন, কিশোর গ্যাং বিভিন্ন জায়গায় বিস্তৃত হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে কিশোরদের ব্যবহার করা হয়। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, তার মধ্যে অনেক সময় প্রেমঘটিত ব্যাপার থাকে। মাদক সেবন, রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টিও থাকে।

 

দীপু মনি আরো বলেন, প্রথমে যেটি দেখতে হবে পরিবারে শিশুর দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে কি না এবং সে কার সঙ্গে মিশছে। কোথায় কী করছে? পড়াশোনা ঠিকমতো করছে কি না। তাকে জানা বা বোঝার জায়গাগুলোতে একটি বড় ঘাটতি আছে। এ জায়গাটায় আমাদের অনেক বেশি কাজ করার আছে। আমাদের সবকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, কিন্তু আমরা কীভাবে ভালো বাবা-মা হবো সেটির কিন্তু প্রশিক্ষণ হয় না।

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বাচ্চাকে মর্যাদা দিতে হবে, তার বয়স যাই হোক। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে যদি সম্মান করি, তবে সেটি অবশ্যই যৌক্তিক হতে হবে। যেটা অযৌক্তিক সেটি তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। তাই সেখানে খুব বড় একটা গ্যাপ আছে। সেই গ্যাপটাই ভিত্তি তৈরি করে দেয় এসব নীতিবাচকতা, এসব অপরাধের। বাচ্চাকে কথায় কথায় বকা দিলে সে কিন্তু মিথ্যা বলতে শুরু করে যে এটি করিনি বা সেটি করিনি। এটাই কিন্তু পরবর্তীকালে ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে যায়। কাজেই প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিশুকে শিখাতে হবে।

 

নারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি লুৎফুন নেসা খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

 

#

জাকির/পাশা/সায়েম/রানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৫১ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৬৩৬

গরবিনী মা সম্মাননা পেলেন ১০ মা

                                                              

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে): 

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে ১০ জন গর্ভধারিণী মাকে ‘গরবিনী মা-২০২৪’ সম্মাননা প্রদান করেছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১০ মায়ের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস-এর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আয়োজিত বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে ১০ জন মায়ের হাতে এ বিশেষ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মায়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না, সম্ভবও নয়, অন্ততপক্ষে আমাদের মাঝে এ বোধ যেন থাকে মায়ের কারণে আজ আমি এ পর্যন্ত এসেছি। তিনি বলেন, আমরা যারা মায়ের স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছি এবং পাচ্ছি আমারা যেন মায়ের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখাই এবং তার প্রতি যেন যথাযথ দায়িত্ব পালন করি। পরবর্তী প্রজন্মকেও সেটা যাতে শেখাতে পারি সেজন্য আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে মায়ের প্রতি ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। মোবাইল আসক্তির কারণে শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে। আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। মা ও দেশকে যেন সন্তানরা ভালোবাসে। তিনি বলেন, একসঙ্গে বাসায় সবাই মিলে খাওয়ার রেওয়াজ যেন এখন উঠে গেছে। মোবাইল দেখা, টিভি দেখা, পড়াশোনা করা সবকিছুই এখনকার সন্তানরা নিজের রুমেই থাকতে বেশি পছন্দ করে। আমাদের উচিত, একসঙ্গে কিছুটা হলেও সময় কাটানো।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, আরমা দত্ত, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বক্তৃতা করেন।

এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার সমাজের প্রতিষ্ঠিত ১০ জন সুনাগরিকের গরবিনী মাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন—ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ হাফিজুর রহমানের মা সাহারা রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স লিমিটেডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব), হায়াত -উদ - দৌলা খানের মা সাজেদা খাতুন, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের মা সুরুচি জোয়ারদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সামসাদ মজুমদারের মা সৈয়দা নাসরিন মতুর্জা, বিএসএমএম ইউ এর মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডাঃ আবু নাসার রিজভীর মা নাফিজা বেগম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলামের মা হোসনে আরা, প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান পিয়াসের মা জেবুন্নেছা, জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মডেল ও অভিনেতা তাহসান রহমান খানের মা প্রফেসর ড. জেড এন তহমিদা বেগম, নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদের মা আফরোজা নাছরিন, নন্দিত অভিনেত্রী ও মডেল মেহজাবিনের মা গাজালা চৌধুরী এবং অদম্য মেধাবী লাবনী আক্তারের মা বেবি বেগম।

পরে মন্ত্রী গরবিনী মা-২০২৪ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সকল মাকে ক্রেস্ট, মেডেল, ফ্রি মাস্টার হেলথ চেক-আপ প্যাকেজ, উডেন পিকচার ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

#

এনায়েত/পাশা/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৪৬৩৫

বিদ্যুতের চাহিদা অনুসারে বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনায় জাইকার সহযোগিতা প্রয়োজন

                                                                              ---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে):

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা অনুসারে এলাকাভিত্তিক বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা করতে জাইকার সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ণ হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক চাহিদার ধরন ভিন্ন, জোগান প্রক্রিয়াও ভিন্নতর। এসব বিবেচনায় পরিকল্পনা আবশ্যক।

প্রতিমন্ত্রী, আজ সচিবালয়ে জাইকার আভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি প্রফেসর Dr. Tatsufumi Yamagata-এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটির সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের অপরচুনিটি কষ্ট দেখতে হবে। ফেজ-২ না হওয়ার এ জায়গায় বিকল্প কোন্ জ্বালানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র করলে অধিক লাভজনক এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও সম্ভাব্য গ্রাহক কারা হবে তা বিবেচনার সময় এসেছে। সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার কিছু প্রস্তাব এসেছে। এলএনজি টার্মিনাল কারার বিষয়ে আলোচনা অনেক এগিয়েছে। অব্যাহত উন্নয়নের জন্য জ্বালানি চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দ্রুত ল্যান্ড বেজড এলএনজি টার্মিনাল করা প্রয়োজন। মিডি (MIDI: Moheshkhali-Matarbari Integrated Infrastructure Development Initiative) কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।

জাইকার অভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে, যা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ভালো। চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড-এ মিডি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও JETRO (Japan External Trade Organization)’র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট Mayumi Murayama বলেন, ঢাকার উজ্জ্বল্য দেখে আমি মোহিত। এ সময় শিল্পায়নের বৈচিত্রময়তা ও বিনিয়োগের পরিবেশ, জ্বালানি হাব, মিডি এলাকার কার্বন নিঃসারণ কমানোর কৌশল ও মিডি এলাকায় শিল্পায়নের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, জাইকা সদর দপ্তরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক Jun Saotome, জাইকা বাংলাদেশ অফিস এর প্রধান প্রতিনিধি Tomohide Ichiguchi, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক Dr. Fumihiko Seta ও মিডি নীতি উপদেষ্টা Koji Takamatsu উপস্থিত ছিলেন।

#

আসলাম/পাশা/রানা/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০২৪ ঘণ্টা
 

Handout                                                                                                                            Number : 4634


Bangladesh and UNICEF to collaborate to enhance children's education and healthcare
                                                                                                --- Environment Minister

Dhaka, May, 12:

            Minister for Environment, Forest and Climate Change Saber Hossain Chowdhury said the collaborative spirit between Bangladesh and global organizations like UNICEF, is highly crucial for addressing the pressing challenges posed by climate change, particularly in the areas of child health and education. He said government is working with UNICEF to include climate issues in children’s curriculum. He emphasized the government’s dedication to implementing robust policies that safeguard the environment while ensuring the well-being and future of the country’s younger generations.

            Environment Minister said this in a meeting at the Bangladesh Secretariat today, with esteemed UNICEF delegates, led by Sheldon Yett.


            Minister Chowdhury said together, we are laying the groundwork for impactful initiatives that resonate with our shared vision of a sustainable world for all children. Minister reiterated Bangladesh's commitment to working closely with UNICEF and other partners to build a more resilient future for all including children.

            The UNICEF delegation commended Bangladesh’s proactive measures and expressed their eagerness to support the nation’s endeavors through expertise, resources and advocacy.

            The meeting concluded with a consensus on the need for sustained dialogue, cooperation and joint action to address environmental challenges effectively, driving forward policies and programs. Both parties exchanged insights, experiences and best practices, with a focus on identifying practical strategies and interventions to address pressing environmental issues in Bangladesh.

#

Dipankar/Pasha/Sayeam/Rand/Sanjib/Joynul/2024/1945 hour

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৬৩৩

 

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাশের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ

 

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে ):

          ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গতবছর (২০২৩ সাল) পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসেবে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে। আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

          শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। মোট পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

          এর আগে আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এরপর ডিজিটাল মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

          এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

#

খায়ের/পাশা/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪৬৩২

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে):

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমকি ২২ শতাংশ। এ সময় ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৭ জন।

#

দাউদ/পাশা/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯১৫ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৪৬৩১

 

শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে

                                                     --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে):

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। সেগুলোর মধ্যে আজ প্রায় আড়াই ঘণ্টায় ১৭টি পয়েন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। আরও ২৪টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনার বাকি আছে। সেগুলো নিয়ে আগামীকাল আলোচনা করা হবে।

          আজ আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত আলোচনা চলে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।

          মন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শ্রম আইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কিছু পরামর্শ আছে। সেগুলো কতটা আমাদের দেশের স্বার্থে যৌক্তিক, সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা কোনটা গ্রহণ করতে পারব, কোনটা গ্রহণ করতে পারব না, সেক্ষেত্রে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে।’ আগামীকাল সাড়ে ১১টা থেকে আবার এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।

          আলোচনা কতটা সন্তোষজনক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় নিশ্চয়ই সন্তোষজনক। খুবই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

          ঢাকায় নিযুক্ত আইএলও'র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন-এর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল, আইন ও বিচার বিভাগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

#

 

রেজাউল/পাশা/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৬৩০

ন্যায্যমূল্য না পেলে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে

                                                 -কৃষিমন্ত্রী

হবিগঞ্জ, ২৯ বৈশাখ (১২ মে): 

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বলেছেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হলে কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে টেকসই কৃষি উৎপাদন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি; জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কৃষিকে লাভজনক করাই সরকারের উদ্দেশ্য। সেলক্ষ্যে বর্তমান সরকার কৃষিক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

আজ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘খামারি’ অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাইয়ে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আবাদি জমি কমছে, বিপরীতে বাড়ছে জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি। এমন পরিস্থিতিতে বর্ধিত জনসংখ্যার বর্ধিত খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। ‘খামারি’ অ্যাপ এরকম একটি স্মার্ট প্রযুক্তি। ‘খামারি’ অ্যাপ ব্যবহার করলে ফসল উৎপাদন খরচ কমবে ও ফলন বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিবছর সারে বিশাল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। ২০২৩ সালে সারে মোট ভরতুকি দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। ‘খামারি’ অ্যাপ ব্যবহার করলে সারের সুষম প্রয়োগ হবে এবং সারের অপচয় রোধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অ্যাপসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এছাড়া কৃষি উপকরণ বিতরণ, সার, বীজসহ নানাভাবে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক কৃষকরা যদি অধিক মূল্য না পায় তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশে অধিক ফসল ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ময়েজ উদ্দিন শরীফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পরে মন্ত্রী হবিগঞ্জের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পার্টনার প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালায় যোগ দেন।

এসময় মন্ত্রী সিলেট অঞ্চলের অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে নিবিড় ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, অনাবাদি জমির ডেটাবেজ তৈরি করে কোন্‌ জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, তার সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ব ব্যাংক এবং ইফাদের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প।

#

কামরুল/পাশা/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮১০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৬২৯

গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেয়া শুরু

                                                              

ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে): 

গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০২১ এর খসড়ার ওপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্

2024-05-12-16-19-b4ccdb980d04c6eeb76175e148d4bf91.docx