তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩১
শেখ হাসিনার সততা, আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতার নাম পদ্মাসেতু
-- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, পদ্মাসেতু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতার নাম। পদ্মাসেতু বাঙালির দাবিয়ে না রাখার প্রতীক। নেত্রী স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। কোনো অপশক্তিই শেখ হাসিনাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি, কখনো পারবেও না। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
আজ শরীয়তপুরের সখিপুর থানার আরশিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বর্ধিত সভা এবং সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি এখন জনসমর্থনহীন একটি দল। তাদের গণবিরোধী রাজনীতির কারণেই তারা গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে৷ কোনো দিন কোনো আন্দোলনেই তারা সফল হয়নি, রাজপথেও সফল হয়নি। নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েছে।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক নেতা আরেক নেতাকে বিশ্বাস করে না, এক নেতা আরেক নেতাকে সন্দেহ করে। যারা তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য সারা দেশে একটা মিছিল করতে পারে না। তারা বিদেশে প্রভুদের দয়ায় ক্ষমতায় আসার দিবা স্বপ্ন দেখছে। বিএনপির রাজনীতি এখন বিলীনের পথে,তাই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে হবে।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা এবং কাজে মিল নেই। তারা জনমতের কথা বলেন, অথচ তারা জনমত যাচাইয়ের সাহস রাখেন না- নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পান। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে অন্তরে স্বৈরতন্ত্র ও দেশবিরোধী আদর্শকে ধারণ করে। তারা এদেশে অপরাজনীতির প্রবর্তক। ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট, আর না থাকলে মানুষ খুন করা তাদের স্বভাব।
আরশিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বুলবুল মালতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বশির সরদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ হুমায়ুন কবির মোল্যা।
#
গিয়াস/নাইচ/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২২/২০৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩০
নদী ভাঙনরোধে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
-- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
জামালপুর, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী ভাঙনরোধে সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে প্রস্তুতকৃত জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ষার পরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে ভাঙনের হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষার পরিকল্পনা দ্রুততর সময়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত ভাঙন কবলিত মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। নদী ভাঙনরোধে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর বামতীরে চরকাটারি ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নদী রক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও কার্যকর উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পূর্বের চেয়ে নদী ভাঙনের হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা পেয়েছে। বর্তমান সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সবসময় দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানবতার পাশে দাঁড়ায়। একচল্লিশ সালের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের নদ নদী ও এর তীরবর্তী মানুষকে রক্ষা করতেই হবে। এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে আছে এবং সবসময় পাশে থাকবে। জীব বৈচিত্র্য রক্ষার্থে সবাইকে নদী এবং এর পানির প্রতি যত্মবান হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভাঙন কবলিত বড় নদীগুলো ড্রেজিং করতে হবে। আর সেই বালু দিয়ে নদীর পাড় বেঁধে সেখানে ফসল আবাদ করা হবে এবং বাধে বৃক্ষ রোপন করা হবে। ভাঙন কবলিতদের সাথে কথা বলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাঙনের অন্যতম কারণ হলো পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলন। এতে করে পানির স্রোতের বেগটা তীরে এসে আঘাত করছে। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে এসব অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মোঃ সানোয়ার হোসেন এবং এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/নাইচ/রাহাত/রেজ্জাকুল/জয়নুল/২০২২/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৯
পুরো স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে
-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা দেখিয়ে দিয়েছে অনলাইন প্রযুক্তি কতটা জরুরি ও কার্যকর একটি বিষয়। এ বিষয়টি অনুধাবন করেই এবার পুরো স্বাস্থ্য বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নবনির্মিত আইসিইউ-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার অবদানের ঋণ কখনোই শোধ হবে না। জাতির পিতার জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন জাতি হিসেবে কথা বলতে পারতাম না। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে তিনি বেশ কিছু হাসপাতাল ও ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন জাতির পিতার কন্যা দেশের গোটা স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তার কারণেই করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ১ম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের মাত্র ৬ হাজার চিকিৎসা বেডকে এখন ৬০ হাজার বেডে পরিণত করেছেন। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন । সেখানে সাধারণ মানুষ এখন ৩২ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে।
এ সময় টিবি চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিবিতে আগে দেশে বছরে ৭০ হাজার মানুষ মারা যেত। এখন সেটি কমে ৩০ হাজারে নেমেছে। তবে এই হার শূন্যের কোঠায় আনতে আরো পরিশ্রম করতে হবে। তিনি জানান ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপনসহ দেশে স্বাস্থ্যসেবায় এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসা কেন্দ্র করা হয়েছে। সেই তুলনায় এখন জনবল ঘাটতি রয়েছে যা করোনার কারণে আরো বেড়ে গেছে। এখন জনবলের ঘাটতি পূরণে কাজ করতে হবে। তাহলে চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশ আর পিছনে পড়ে থাকবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মুঃ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. আবদুল আজিজ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম সাদি।
#
মাইদুল/রাহাত/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২২/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৮
অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে
-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে অভয়াশ্রম তৈরি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। একটা সময় ইলিশ একেবারে বিলুপ্ত হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল।
রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন। মৎস্য অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে ইলিশের সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। আমরা ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ পেয়েছি। সারা বিশ্বে ‘বাংলাদেশের ইলিশ’ দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। সেটা ধরে রাখার জন্য সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, বেপরোয়া বালি উত্তোলন, নদীর গতি প্রকৃতি পরিবর্তন অথবা পানিতে তৈলাক্ত ও বিষাক্ত সামগ্রী ছাড়ার কারণে ইলিশের পরিবেশ নষ্ট হয়। ইলিশ স্পর্শকাতর মাছ। উপযোগী পরিবেশ না পেলে গভীর সমুদ্র থেকে নদীতে এসে আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। এ জন্য ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি করা ছাড়া ইলিশ ধরে রাখা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের স্বাদ, রং, গন্ধ, প্রাকৃতিক বিচরণক্ষেত্র এসব নিয়ে আমাদের গবেষকরা প্রচুর গবেষণা করছেন। ইলিশের সুগন্ধ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা কাজ করছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
কর্মশালায় জানানো হয়, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার ইলিশ আহরণকারী জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হবে। এ প্রকল্প ইলিশের স্থায়িত্বশীল উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জাটকা ও ইলিশ জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখবে। প্রকল্প সমাপ্তির পর ইলিশের উৎপাদন ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং পদ্মা নদীসহ অন্যান্য নদীতে ইলিশের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
#
ইফতেখার/রাহাত/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২২/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৭
জ্বালানি মূল্য সাশ্রয়ী রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য
---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের জ্বালানি অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জর মধ্যে ফেলেছে। সারা বিশ্বেই জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বালানিতে ভর্তুকি বা সমন্বয় যাই হোক সাশ্রয়ী রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে কনজুমারস এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘মূল্যবৃদ্ধি না করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের আর্থিক ঘাটতি সমন্বয়ের বিকল্প প্রস্তাব’ এবং ক্যাব কর্তৃক ‘বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি (প্রস্তাবিত)’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত নাগরিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্পে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা থাকায় এলএনজি আমদানি করে তা পূরণ করা হচ্ছে। যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন করায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বা গ্যাস দেয়া কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ে সচেতন হওয়া আবশ্যক। এসময় প্রতিমন্ত্রী ক্যাপটিভ পাওয়ার, ক্যাপাসিটি চার্জ, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, ভর্তুকি বা বিনিয়োগ মূল্য সমন্বয়, সময়োচিত মহাপরিকল্পনা, সঞ্চালন লাইন এবং গ্যাস পাইপ লাইন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় ক্যাবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করলে যেকোনো কাজেই সাফল্য আসে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাস্তবভিত্তিক ও বৈজ্ঞানিক চিন্তা-ভাবনা এবং পরামর্শ টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা গড়তে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে মূল্যবৃদ্ধি না করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের আর্থিক ঘাটতি সমন্বয়ের বিকল্প প্রস্তাব সংক্রান্ত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাব-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম এবং বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি (প্রস্তাবিত) নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বদরুল ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ক্যাবের জ্বালানি রূপান্তর নীতি এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ও বিইআরসি’র ভূমিকার ওপর গঠিত জাতীয় কমিটি’র আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এবং ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/রাহাত/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২২/১৯৫৩ ঘণ্টা
Handout Number : 2226
Bangladesh-Sweden to deepen ties in combating climate change
Dhaka, 2 June 2022:
Foreign Minister Dr A K Abdul Momen and his Swedish counterpart Ann Linde agreed to strengthen and expand cooperation to combat climate change during a bilateral meeting held yesterday at Stockholm in Sweden on the margins of the Stockholm+50 International Meeting.
The Swedish Foreign Minister applauded Bangladesh’s leadership role in global climate change discourses, especially as CVF Chair under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. Bangladesh Foreign Minister said that Ôwe have just passed on the Presidency of Climate Vulnerable Forum (CVF) - an alliance of 55 climate vulnerable nations- to Ghana. However, we will continue to promote the interests of the vulnerable nations as part of the TROIKA of CVF.Õ
During the discussion, Foreign Minister Momen highlighted the plights of displaced people of the coastal area due to sea-level rise. He added that this may be turned to be a security issue if the current trend continues. He sought Swedish assistance to enhance Bangladesh’s capacity to adapt to the adverse effects of the climate crisis. Minister Momen invited Sweden to build partnership with Bangladesh on further cooperation in climate adaptation, renewable energy, innovation, technology transfer and green growth.
Foreign Minister requested Sweden to enhance and diversify its climate cooperation with Bangladesh through GCF, Adaptation Fund (AF), and Least Developed Countries Fund (LDCF). He also stressed on the need for additional financing mechanisms for loss and damage. The two Ministers also underlined the importance of global cooperation for effective implementation of the Paris Agreement and agreed to work together to that end.
While emphasizing on the importance of trade and investment for a strengthened bilateral relation, Minister Momen urged Sweden to further diversify its exports beyond the traditional items and invest in the 100 Economic Zones that the government of Bangladesh has established.
Bangladesh Foreign Minister further sought Sweden’s proactive role in both bilateral and multilateral contexts in promoting the safe, dignified and voluntary return of the forcibly displaced Rohingyas to their homes in Myanmar at the earliest.
Foreign Minister Abdul Momen is on a 3-day visit to Sweden from 1-3 june to participate in the Stockholm+50 international environmental meeting, under the theme “Stockholm+50: a healthy planet for the prosperity of all – our responsibility, our opportunity.”
#
Mohsin/Rahat/Rezzqul/Joynul/2022/ 1845 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৫
বিদেশি পর্যটকদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে
-- বিমান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, দেশে বিদেশি পর্যটকদের আনতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে ১৭তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ট্রিপলাভার ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যটক আনতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতেই হবে। ট্যুরিজমকে মাথায় রেখে এই প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে সরকার কাজ করছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্য, নেপাল ও ভুটানে কোনো সমুদ্র সৈকত নেই। তাদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে পারলে সেক্ষেত্রে অনেক পর্যটক পাবো। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে দ্রুত আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। পর্যটন খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদেরও সেখানে ডাকা হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে ক্রুজশিপ চালুর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শ নেয়া হবে, যাতে দ্রুত আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী ক্রুজশিপ বাংলাদেশে আনতে পারি। শিপের মধ্যেই যাতে পর্যটকদের ইমিগ্রেশন হয় এবং তারা নির্বিঘ্নে দেশের পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে পারে।
দেশের পর্যটন খাত নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে পদ্মাসেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে হচ্ছে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল হচ্ছে, কক্সবাজারের সমুদ্র ছুঁয়ে রানওয়েতে নামবে প্লেন। এই অর্জনগুলো দেশের পর্যটন শিল্পকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এছাড়াও বাংলাদেশে অনেক ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে, হাওড় আছে। পর্যটন আকর্ষণের যেন পরিকল্পিত ও সমন্বিত উন্নয়ন হয়, সেজন্য একটি ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।
২ জুন সকাল থেকে শুরু হওয়া ৩ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে ৪ জুন। মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। মেলার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৪০ টাকা। এবারের মেলায় প্রায় ৫০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে জাতীয় পর্যটন সংস্থা, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থাও রয়েছে।
ঢাকা ট্রাভেল মার্ট ২০২২ এর টাইটেল স্পন্সর অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ট্রিপলাভার, কো-স্পন্সর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। পার্টনার হিসেবে আয়োজনে সহযোগিতা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।
#
তানভীর/রাহাত/রেজ্জাকুল/জয়নুল/২০২২/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়
৫ হাজার ২২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১৩১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩ হাজার ৩৮৫ জন।
#
কবীর/রাহাত/রেজ্জাকুল/আব্বাস/২০২২/১৮৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৩
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে
---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তিনি প্রতিটি সেক্টরকে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। এক সময়ের অচেনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
মন্ত্রী আজ লালমনিরহাট জেলার সরকারী আদিতমারী জিএস মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
কৃষি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান দেশ। বর্তমান সরকারের আমলে কৃষিখাতে বিপ্লব এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষকদের কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে আরো বেগবান ও গতিশীল করতে দেশের কৃষিখাত ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য কৃষি বিভাগকে আরও ব্যাপক কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষক ভাইদের জন্য সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের ফলে কৃষিখাতে উৎপাদন অনেকগুণ বেড়ে গেছে। কৃষির উন্নয়ন ব্যাহত করতে বিএনপি জামাতরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। উন্নয়নে যাতে বাধা না আসে, সে জন্য দেশের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি কৃষি প্রণোদনা যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা পায়, সেই দিকে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখা জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস।
#
জাকির/রাহাত/রেজ্জাকুল/আব্বাস/২০২২/১৯০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২২
বিএনপির ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার’ স্লোগানই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া জড়িত
- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী ও অছাত্রদের সমাবেশ ঘটিয়ে ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার’ স্লোগান দিয়ে প্রমাণ করেছে যে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড জিয়াউর রহমান ঘটিয়েছে এবং বিএনপি সেটি স্বীকার করে নিয়েছে।’
আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী যুব মহিলা লীগ আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে’ বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশের নিজস্ব টাকায় যখন পদ্মা সেতু হয়েছে তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তাদের সমালোচনায় ভরে গেছে, লজ্জায় তাদের মাথা হেট হয়েছে। একারণে তারা সমগ্র বাংলাদেশে ভিন্ন রকমের একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে মানুষের মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে যে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে তা নষ্ট করা যায়।’
এসময় ‘যুব মহিলা লীগের মেয়েরাই বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট’ উল্লেখ করে
ড. হাছান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে সমগ্র বাংলাদেশে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারী এই বিএনপি-জামাতের অপশক্তিকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এদেশের আপামর গণমানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে এবং থাকবে।’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এই বাংলাদেশে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো সেই বিএনপি-জামাত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ওরা লাশ চায়, ওরা লাশের রাজনীতি করে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, ওদের রুখতে হবে।’
এর পরপরই মন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও বার্ষিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মকবুল হোসেনের পরিচালনায় অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, খাদিজা বেগমসহ কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
#
আকরাম/অনসূয়া/মাহমুদা/আসমা/২০২২/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২১
বিএনপিকে মোকাবিলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের রয়েছে
-কৃষিমন্ত্রী
নাটোর, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) :
বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিসহ কয়েকটি ছোট ছোট রাজনৈতিক দল আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে তারা হুমকি দিয়ে আসছে, শুধু হুমকির মধ্যেই তারা আছে। তারা কখনো বলে ঈদের পরে আন্দোলন করবো, এখন বলবে আগামী পূজার পরে, বর্ষাকালের পরে বা সামনে বসন্তকাল আসছে, তখন কঠোর আন্দোলন করবো। এগুলো আমরা মোকাবিলা করে এসেছি। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ একাই যথেষ্ট।
আজ নাটোরের সদর উপজেলার খোলাবাড়িয়ায় ঔষধি গ্রাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে চায়। আর আওয়ামী লীগ বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা করে দেশকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। বর্তমান সরকার বৈধ ও সাংবিধানিক সরকার। এ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারের দায়িত্ব হলো সকল মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। আন্দোলন সংগ্রামের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড করতে বিএনপিকে দেওয়া হবে না।
এর আগে মন্ত্রী ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। খোলাবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৪৫০০ কৃষক ঘৃতকুমারীসহ বিভিন্ন ঔষধি ফসল চাষ করছেন। ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, বাজারজাতসহ অন্যান্য সমস্যার কথা এসময় কৃষকেরা তুলে ধরেন এবং ঔষধি ফসল চাষের সুরক্ষায় ও বিকাশে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক করতে আমরা কা