Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ জুন ২০২২

তথ্যবিবরণী ৪ জুন ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২২৬৩

 

বিএনপি ও ছাত্রদল ৭৫ এর ঘটনা ঘটানোর হুমকি দিয়ে দেশকে অশান্ত করতে চায়

                                                                  -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :     

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি’র ছাত্রদল ও যুবদল কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিএনপি ও ছাত্রদল ৭৫ এর ঘটনা ঘটানোর হুমকি দিয়ে দেশকে অশান্ত করতে চায়।

 

আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিংড়া উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষোভ মিছিলে শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পলক ১৯৭৫ সালের খুনিদের রাজপথে মোকাবিলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আবারো ৭১ সালের হাতিয়ার গর্জে উঠবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। হুমকিদাতাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এইবার যদি ৭১ এর হাতিয়ার  গর্জে ওঠে তাহলে আর কোনো মানবিক ছাড়ের সুযোগ তারা পাবে না।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, সাহসিকতা, ও দূরদর্শিতা দিয়ে  একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিচ্ছেন।  দেশ যখন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই একটি মহল সুবিধা অর্জনের জন্য দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

 

সমাবেশে উপস্থিত বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে পলক আরো বলেন, আপনারা সিংড়ার মাটিতে, প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে কমিটি গঠন করবেন। যেখানেই সন্ত্রাসীরা অপচেষ্টা কিংবা এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির  চেষ্টা করবে সেইখানেই  তাদেরকে জবাব দেয়া হবে সাংগঠনিকভাবে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে ৭৫ এর খুনিদেরকে রাজপথে মোকাবিলা করে ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের আধুনিক রূপ একটি উচ্চ আয়ের, প্রযুক্তিনির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। 

 

ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে সিংড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপাতিত্বে এই প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন স্থানীয় পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকসহ উপজেলা ও থানা আওয়ামী লীগের নেতাসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা। 

 

#

 

শহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২২৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২২৬২

 

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, নেই মুখ্য কোনো

মতদ্বৈততা, প্রয়োজন একসাথে কাজ করার

                                  -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :     

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, যে ভারত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অসামান্য অবদান রেখেছে, তাদের সাথে আমাদের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক থাকাই স্বাভাবিক এবং তাই আছে, মতদ্বৈততার মুখ্য কোনো বিষয় নেই, সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে প্রয়োজন একসাথে কাজ করার।

 

আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফিরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অভ্‌ মাসকমিউনিকেশন এলামনাই এসোসিয়েশন অভ্‌ বাংলাদেশ'র সম্মেলন কানেকশন্স ২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কভিত্তিক রিপোর্টিং পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের সম্পর্ক আজ নতুন উচ্চতায় বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের এক কোটি মানুষকে আপন করে আশ্রয় দিয়েছে, তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের কারাগারে ফাঁসির মুখে দাঁড়ানো বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন,  পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা করেছে, সে চিত্র বিশ্বে তুলে ধরেছেন। সেইসব কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ভারতের নাম চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

 

মন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কভিত্তিক রিপোর্টিং পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,  আইআইএমসি গ্র্যাজুয়েটরাসহ সকল গণমাধ্যম দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদারে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

 

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে শিক্ষা ও জনগণের উন্নতি সাধনে ভারত বাংলাদেশকে সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

আইআইএমসিএএবি'র সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অপু মাহফুজ ও সাংবাদিক প্রসাদ স্যানাল। শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

 

#

 

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২২২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২২৬১

 

দেশ ও সমাজকে সাজাতে শিক্ষার বিকল্প নেই

                  -- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব

 

আশুলিয়া (ঢাকা), ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :

 

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, শিক্ষা অজ্ঞতা-অন্ধতার অবসান ঘটিয়ে আলোকিত আগামীর পথ দেখায়। শিক্ষা সমাজে কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক পরিবর্তনই শুধু আনে না, এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সমৃদ্ধ জীবনের দুয়ার খুলে দেয়। তাই দেশ ও সমাজকে সাজাতে শিক্ষার বিকল্প নেই। আর মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করতে মানসম্মত শিক্ষক অপরিহার্য।  মানসম্মত শিক্ষক সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ আত্মজিজ্ঞাসার দুয়ার খুলে দেয়। সৃষ্টি করে আত্মপ্রত্যয়।

 

          আজ ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘তাজকেরা- গোলাম মোস্তফা সেন্টার ফর টিচিং এন্ড লার্নিং’ - এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

          সিনিয়র সচিব বলেন, উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা ও শিক্ষণ মান উন্নয়ন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রদের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি, তাদের মননে জানার জন্য অনন্ত পিপাসা জাগ্রত করতে পারাই সফল শিক্ষকের পরিচায়ক। তিনি বদলে যাওয়া পৃথিবীর পরিবর্তিত রূপের সাথে উপযোগী করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

          বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আমেরিকার পুরডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ আহমেদ মোস্তফা, অধ্যাপক আহমেদ ইসমাইল মোস্তফা, বিচারপতি জামিল মোস্তফা, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্‌ বিজনেস এন্ড টেকনোলজির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সারওয়ার কামাল প্রমুখ। 

 

          অনুষ্ঠানে ‘তাজকেরা- গোলাম মোস্তফা সেন্টার ফর টিচিং এন্ড লার্নিং’ এর পক্ষ থেকে করোনাকালীন সময়ে পরিচালিত অনলাইন কোর্সের মেন্টরদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

 

 #

 

মাহবুবুর/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২২৬০

 

গাজীপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন

প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ সচিব

 

টঙ্গী (গাজীপুর), ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :

 

          আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর জেলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। 

 

          পরিদর্শনকালে সচিব গাজীপুরের টঙ্গীতে মৈত্রী শিল্প মিলনায়তনে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

 

          শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গাজীপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন। 

 

          এর আগে সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মৈত্রী শিল্পের মুক্তা পানি উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। এছাড়া সচিব গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, কোনাবাড়ী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) ও টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) পরিদর্শন করেন।

 

#

 

জাকির/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২২৫৯

 

নবনির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে

                                                                     -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :

 

          পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবনির্মিত ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। এতে সারা দেশের সাথে এ অঞ্চলের সুষ্ঠু ও সমম্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

 

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

 

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন শেষে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে সরকারের সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ভোগে নয়, ত্যাগের মনোভাব নিয়ে বরিশালবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

#

 

আহসান/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২২৫৮

 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলে আমাদের ব্যর্থতা ঘুচবে অবশ্যই

                                              ---জাহিদ ফারুক

 

বরিশাল, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :

 

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, একসময় বাংলাদেশেও ফুটবল ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ঢাকার ফুটবল লীগের বড় দলগুলোর খেলা নিয়ে আগ্রহ ও কৌতূহল ছিল সারা দেশের মানুষের। বর্তমানে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সত্যিই হতাশাজনক। এ অবস্থায় কিশোর কিশোরীদের ফুটবল নিয়ে আমাদের নতুন করে আশান্বিত করে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী ফুটবলের সাফল্য। সারা দেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাছাই করে সঠিক পরিচর্যা ও নিয়মিত ফুটবলের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার। ক্রিকেটের মতো ফুটবলের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ খেলায় আমাদের ব্যর্থতা ঘুচবে অবশ্যই।

 

আজ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব -১৭) ২০২২’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব - ১৭) ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত আউটার স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। এবারের টুর্নামেন্টের আয়োজক বরিশাল কমিশনার কার্যালয় ও জেলা ক্রীড়া অফিস।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য সবরকমের সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েও স্টেডিয়াম ছুটে যান খেলা দেখতে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে। তিনি আরো বলেন, ছেলে-মেয়ের শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা করার সুযোগও করে দিতে হবে এদেশের মাটিতে।

 

বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আামিন উল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, বরিশালের পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) প্রলয় চিচিম, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার ও বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান আলো।

 

                                                   #

গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৯৪১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২২৫৭

 

দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

                                     ---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

পিরোজপুর, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :

 

দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সরকার সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ সভা আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন অনেক দেশি মাছ পাওয়া যায়, যেটা কয়েক বছর পূর্বেও পাওয়া যেত না। মাছ-মাংস দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ আছে। এজন্য দেশে এগুলোর পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে হবে। এ কাজে মৎস্যজীবীসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার দেশীয় মাছ সংরক্ষণ করতে চায়। দেশীয় মাছ যাতে টিকে থাকে এবং সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষ খেতে পারে সে জন্য সরকার কাজ করছে। মৎস্যজীবীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। যে মৌসুমে মাছ ডিম দেয় সে মৌসুমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছের পোনা কোনভাবেই আহরণ করা যাবে না। পোনা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে মৎস্যজীবীরা যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশীয় মাছও টিকে থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের আরো যত্নশীল হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীরা যাতে বেকার থাকতে না হয় সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কোথাও ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যান বিতরণ করা হচ্ছে, কোথাও গবাদিপশু বিতরণ করা হচ্ছে যাতে এসময় বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যায়। তিনি আরো বলেন, দেশের সব খাতে উন্নয়ন করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কারো ভুল পরামর্শে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এস এম আশিকুর রহমানসহ স্থানীয় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ সহায়তা হিসেবে গবাদিপশু ও মাছের পোনা বিতরণ করেন মন্ত্রী।

                                                  #

ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮৫৯ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২২৫৬

জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে

ঢাকা, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :

            বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা বিদেশে রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চা এর মান উন্নত হবার কারণে বিশ্ববাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশে চা এর উৎপাদন বাড়ছে, একই সাথে অভ্যন্তরীন চাহিদা বাড়ছে। সেজন্য প্রত্যাশা মতো চা রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০০৯ সালে দেশে চা উৎপাদন হতো ৬০ মিলিয়ন কেজি, ২০২১ সালে বেড়ে উৎপাদিত হয়েছে ৯৬  দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি। তারপরও তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন শুরু হয়। ২০২১ সালে সেখানে ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলায় এখন চা উৎপাদন হচ্ছে, এ অঞ্চলের মানুষ চা উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন। সেখানে অনেক পতিত জমিতে  চা উৎপাদন করা হচ্ছে। আজ দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন না হলে বিদেশ থেকে চা আমদানি করতে হতো। চা এর উৎপাদন আমাদের আরও বাড়াতে হবে। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টি বোর্ডের উদ্যোগে “২য় জাতীয় চা দিবস-২০২২” উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এবারের জাতীয় চা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প”।

মন্ত্রী বলেন, চা এর নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন বৃদ্ধি, নিলাম, বাজারজাতকরণসহ প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছেন, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, ফলে দিন দিন চা এর চাহিদা বাড়ছে। চা শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের জীবনযাত্রায়ও পরিবর্তন এসেছে। চা এর উৎপাদন বাড়াতে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চা শিল্পের সাথে জড়িত সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, চা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। একসময় রপ্তানি ক্ষেত্রে আমাদের চা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরাজিত শক্তি চা শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শিল্পকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। তারই ফলে আমাদের চা শিল্প আজ এ অবস্থানে এসেছে। চা শিল্পের রিটার্ন খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না। একটি চা বাগান থেকে চা পাতা আহরণে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ বছর। চা শিল্প থেকে উৎপাদন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এজন্য চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদের আর্থিক সহায়তা দরকার।

উল্লেখ্য, এবছর দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে অসামান্য অবদান এবং চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অভ্‌ বাংলাদেশের সভাপতি ওমর হান্নান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম।

#

বকসী/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৯০৫ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                                          Number : 2255

Burden of rehabilitation of climate migrants should be shared by the global community

                                                                                                                   -- Foreign Minister

Dhaka, 4 June:

Climate-induced displacement could lead to a global security risk in today’s interconnected world, warned by Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen. He stressed that international community should share the burden of climate migrants’ rehabilitation. Foreign Minister Dr. Momen was speaking at a roundtable on “Environment of Peace: Securing a just and peaceful transition in a new era of risk”, organized by the Stockholm International Peace Research Institute (SIPRI) on the sidelines of the Stokholm+50 international meeting yesterday.

Speaking at the roundtable, Foreign Minister said that the international community is not doing enough for millions of ‘climate migrants’ who often get subjected to various forms of security risks and exploitations. He emphasized on the significance of creating global awareness on the climate-security nexus and an enforcement mechanism to address the challenges.

Foreign Minister Dr. Momen also held bilateral meeting with the Swedish Minister for International Development Cooperation Matilda Ernkrans and discussed on how to enhance cooperation on climate change, education and other areas.  He urged the Swedish Minister to put pressure on Myanmar for bringing back the forcibly displaced Rohingyas with safety and dignity. He also underlined that business-as-usual approach with Myanmar will not make any progress. 

He also met the Under-Secretary-General of the United Nations and Executive Director of the United Nations Environment Programme (UNEP) Inger Andersen and discussed on how to strengthen collaboration with UNEP on environmental and climate issues. The Executive Director applauded Bangladesh’s successful responses to climate change related challenges under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. She proposed to assist Bangladesh from Climate Technology Fund, hosted by UNEP to address climate challenges. 

            Speaking at a Leadership Dialogue on “Achieving a sustainable and inclusive recovery from the covid-19 pandemic”, Foreign Minister suggested to overcome the division between technology and economic interests and strengthen international cooperation for a sustainable and inclusive future for all irrespective of ethnicity, religion, colour, gender and political divide. He also recommended to increase investment in climate adaptation, mitigation and resilience, change food production and consumption pattern and stop natural habitat and biodiversity loss.

Foreign Minister was on a 3-day visit to Stockholm, Sweden to participate in the Stockholm+50 international meeting, convened to commemorate the 50 years since the 1972 United Nations Conference on the Human Environment. 


#

Mohsin/Pasha/Sanjib/Shamim/2022/1820Hours

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২২৫৪

 

শেখ হাসিনার সরকার ইসলামের জন্য যা করেছে অতীতের কোনো সরকার তা করেনি

                                                                   ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের জন্য যা করেছে, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি।

মন্ত্রী বলেন, আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ শাসন ভেঙে পাকিস্তান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠা হয়নি। জামায়াত ইসলামীকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলো, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে ধর্মমন্ত্রী বানালেন কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।

আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী দরবার-এ-আস্তানা শরীফের পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মেহেরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী। 

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবি বহু বছরের পুরনো। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনো এই দাবি ছিল। উনি আলেম-ওলামাদের নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান মাওলানা আহমদ শফী সাহেব আলেম-ওলামাদের নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন যেনো কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেন।

মন্ত্রী বলেন, অনেকে ভেবেছেন আমাদের নেত্রী আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। স্বীকৃতি দেওয়ার পর অনেকে বলেছেন স্বীকৃতি দিয়েছেন কিন্তু চাকুরী হবে না, চাকুরী পেলে বেতন পাবেন না। কিন্তু আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকুরীও দিয়েছেন, তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনার বাইরে ছিলো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, 'আজকে সারা দেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়াতেও দুই শতাধিক মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতিটি মক্তবের আলেম ৫২শ’ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এটি আলেম সমাজ কখনো ভাবেনি। দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিটিতে দু’জন করে শিক্ষক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব গিয়ে আগের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হচ্ছে না।'

আলেমদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি। ব্রিটিশ আমলে দেশ বিভক্ত হয়েছিল মুসলমানদের জন্য একটি দেশ, হিন্দুদের জন্য আরেকটি দেশ। সেই পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে কোন মসজিদ হয়নি।

'জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামের জন্য এবং আলেম ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, আলেমরা অন্যদের কাছে তা দয়া করে বলবেন- এই ফরিয়াদ রইলো' নিবেদন করে তথ্যমন্ত্রী নিজ নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় ইসলামের খেদমতে কাজের বিবরণ দেন। 

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইসলাম এবং আলেম-ওলামাদের খেদমত করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন ও আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশটিরও বেশি নতুন মসজিদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানায় সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তাও পৌঁছানো হয়েছে।  

মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেল

2022-06-04-16-45-0f110625e8a20cc80c333a7d50e7b73c.doc