তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৬০
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
উপমহাদেশের মুসলমান সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্বার্থরড়্গার সংগ্রামে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। তাঁর দড়্গ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ আরো বিকশিত হয়। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা।
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে আজীবন কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে এ মহান নেতার জীবন ও আদর্শ আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে।
আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
মিনা/মিজান/নবী/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৫৯
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলড়্গে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ৪) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
‘‘হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এক অনন্য নাম। তিনি ছিলেন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস'াপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিসত্মানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালনকালে শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সমপ্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় তৎপর ছিলেন। কলকাতায় মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে তিনি স্বল্পসময়ের মধ্যে নাবিক, রেলকর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিক্সাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মেহনতি মানুষের প্রায় ৩৬টি ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন।
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি, ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয়ের পেছনেও তাঁর গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
সোহ্রাওয়ার্দী সাংবিধানিক শাসনে দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও এতদঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তাঁর জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিনত্মা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা