Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১২ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৬০

 

শিক্ষা হতে হবে আদর্শভিত্তিক

                       -ভূমিমন্ত্রী

 

খুলনা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল): 

        ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালো করে পড়াশুনা করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। শিক্ষা হতে হবে আদর্শভিত্তিক। লেখাপড়ার সাথে সাথে উত্তম মনমানসিকতা, দেশাত্ববোধ, দায়িত্ববোধ, মানবতাবোধ ও মানুষকে ভালোবাসার মতো গুণাবলি অর্জন করতে হবে। শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে ভালো শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’

মন্ত্রী খুলনার ডুমুরিয়া শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ সমিতি আয়োজিত নবীনবরণ এবং শিক্ষা মেলা-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে। এর সুফল নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভোগ করবে। তিনি আরো বলেন, সরকার দেশে নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অনেক চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যেতে মন্ত্রী সকলের প্রতি আহ্বান জানান।’

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিনের সভাপতিত্বে কৃতি শিক্ষার্থীদের বই ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী ডুমুরিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বানিয়াখালী মাওলানা ভাসানী মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এর আগে তিনি খুলনার বাগমারায় ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা নাজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


 #

 

সুলতান/পরীক্ষিৎ/কুন্তল/সঞ্জীব/কানাই/২০২৪/১৮২৫ ঘণ্টা


 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৫৯

 

রাজশাহীতে নববর্ষ উদ্‌যাপনের কর্মসূচি

রাজশাহী, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):

 

আগামী রবিবার ১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। দিনটি বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে বাঙালির সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালি জনগোষ্ঠী আবহমানকাল ধরে অসাম্প্রদায়িক এই দিনটি নানাভাবে উদ্‌যাপন করে আসছে। তবে ১৪১৭ বঙ্গাব্দ হতে দিবসটি জাতীয় পরিসরে উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

 

প্রতিবারের মতো এবারও ১ বৈশাখ জাঁকজমকপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে সাতটায় নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রাজশাহী কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রা শেষে সকাল আটটায় শিশু একাডেমিতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।

 

সকাল এগারোটায় শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন শিশু পরিবারে শিশুদের নিয়ে এবং কারাগারে কারাবন্দিদের অংশগ্রহণে বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত ঐতিহ্য নিয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করবে।

 

এছাড়া রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, শিশুপরিবার, শিশুসদন, এতিমখানা ও নগরীর হাসপাতালগুলোতে উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এদিন বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান সর্বসাধারণের জন্য বিনা টিকেটে সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা হবে।

 

 #

 

সিকান্দার/পরীক্ষিৎ/কুন্তল/সঞ্জীব/কানাই/২০২৪/১৭৪৭ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪১৫৮

 

ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন আয়োজনে উদ্‌যাপিত হবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১

 

রংপুর, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):

 

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন আবহমান বাংলার ঐতিহ্য। ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩১’ বরণ উপলক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৪ই এপ্রিল (১লা বৈশাখ) সকাল সাড়ে ৯ টায় ঠাকুরগাঁও কালেক্টরেট চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে এবং শোভাযাত্রাটি স্টেশন ক্লাবে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০ টায় ঠাকুরগাঁও স্টেশন ক্লাবে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।  

 

 বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ১৩ই এপ্রিল বিকাল ৩ টায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সামনের রাস্তায় আল্পনা অঙ্কন করা হবে।

 

                        এ ছাড়া বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ই এপ্রিল হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার ও জেলা কারাগারে উন্নতমানের বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে এবং কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

 

                        উল্লিখিত কর্মসূচির পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণ পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করবে।

 

 #

 

মামুন/পরীক্ষিৎ/কুন্তল/সঞ্জীব/কানাই/২০২৪/১৭৪২ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪১৫৭

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):

 

           স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ সময় ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

           গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ১৪৯ জন।

 

                                                     #

 

দাউদ/পরীক্ষিৎ/কুন্তল/সঞ্জীব/কানাই/২০২৪/ ১৬৩৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৪১৫৬

 

রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈসাবি পালিত

 

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):

আজ রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের উৎসব বৈসাবি-২০২৪ ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে এ উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজনকারী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বৈসাবি র‌্যালিতে অংশ নেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবি র‌্যালিটি সকাল ৯ টায় ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র হতে শুরু হয়ে বেইলি রোড ও রমনা পার্কের ভিতর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পার্কের লেকের প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়। পরে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রমনা লেকের পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হয়। রাজধানীতে বসবাসরত তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এ আনন্দঘন র‌্যালিতে অংশ নেন।

মোঃ মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার জন্য সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব। সেখানে কোনো হানাহানি বিদ্বেষ থাকবে না। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মূল ধারার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকবে।’ 

            সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানগুলো রাজধানীবাসীসহ সারা দেশে পরিচয় করিয়ে দিতেই ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই কেন্দ্রের প্রধান কাজ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলোর গবেষণা ও সংরক্ষণ করা। বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্যবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান শান্তি অব্যাহত থাকবে এবং দেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।’

এসময় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমাজের বর্ষবরণ উৎসব হলো বৈসাবি। এই উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবি নামকরণও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে।

 #

 

রেজুয়ান/পরীক্ষিৎ/কুন্তল/সঞ্জীব/কানাই/২০২৪/১৭৫৫ ঘণ্টা

 

2024-04-12-13-13-bfbab390bbc6391b2e8e279c3b7a0e19.docx