তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৬৩
মুখোশধারী ধর্মবাজদের প্রতিহত করতে হবে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল):
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও শান্তির বাণী প্রচার করে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন। মহামতি বুদ্ধ এবং সকল ধর্মের অনুসারীদের সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় মুখোশধারী ধর্মবাজদের প্রতিহত করতে হবে।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সবুজবাগে ঐতিহাসিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনায় সকল ধর্মের মানুষকে এক হয়ে ধর্মের মুখোশ পরা ধর্মনাশী ধর্মবাজদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান। সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো’র সভাপতিত্বে সভায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধার্মিকরা ধর্মচর্চা করেন আর ধর্মের মুখোশধারী বা ধর্মবাজরা ধর্মনাশ করে। তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও সমাজে বিশৃঙ্খলাকারী।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ধর্ম ও শান্তির আদর্শ নিয়মতান্ত্রিক জীবনের শিক্ষা দেয় আর দ-িত অপরাধীকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার নির্লজ্জ অপচেষ্টাকারীরা যেমন আইন মানে না, তেমনি ধর্মও মানে না। সে কারণেই রাজাকার-জঙ্গি-জামাত ও তাদের দোসররা সকল ধার্মিক ও শান্তিপ্রিয় মানুষের শত্রু। শান্তির পথে আগুয়ান হতে এদের সমবেতভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে এদিন পূজা অর্চনার পাশাপাশি দেশবিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর পরিচালনায় পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ ও সমবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সারাবিশ্বের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। এদিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা ও বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
#
আকরাম/সেলিম/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৮৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৬২
মুক্তিযুদ্ধ ও গণমাধ্যম অবিচ্ছেদ্য
-- পর্যটনমন্ত্রী
লক্ষ্মীপুর, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেছেন, আমাদের জাতিসত্তার জাগরণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জনমত সংগঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। গণমাধ্যমের কল্যাণেই ৭১’র ২৫ মার্চের নৃশংস গণহত্যার কথা বিশ্ব জানতে পেরেছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনেও গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই আমরা বলতে পারি মুক্তিযুদ্ধ ও গণমাধ্যম অবিচ্ছেদ্য।
মন্ত্রী আজ লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। এই দর্পণ যাতে নিখুঁত থাকে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আবদুল্লাহ আল মামুন এমপি, মোঃ নোমান এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১০ জন সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
তুহিন/সেলিম/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৬১
উন্নত বাংলাদেশ গড়তে স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরেরর উন্নয়ন করা হবে
-- নৌপরিবহন মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালে ১২টি স্থলবন্দরের গেজেট প্রকাশ করে। ২০০৯ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২টি থেকে ২৩টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে ৯টি চালু করা হয়েছে। স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরগুলোর উন্নয়ন এবং গতিশীল করার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে ‘এড্রসিং ল্যান্ড পোর্ট ইস্যুজ ফর বেটার ইন্দো-বাংলা ট্রেড’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে।
চেম্বারের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সাইকা (অফধৎংয ঝধিরশধ), ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার তারিক করিম এবং চেম্বারের সহসভাপতি শোয়েব চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে সকল স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৭১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৬০
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে জাপানের টিপিএম কৌশল গ্রহণের পরামর্শ
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে শিল্পোন্নত জাপানের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ (টিপিএম) কৌশল অনুসরণের তাগিদ দিয়েছেন উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এ কৌশল বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হতে পারে। এর যথাযথ প্রয়োগ শিল্প কারখানায় ‘স্মার্ট প্রোডাক্টিভিটি’ বাড়াতে সক্ষম বলে তারা মন্তব্য করেন।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাতে সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ কৌশলের যথাযথ প্রয়োগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তাগিদ দেন। জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ দাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ এনামুল হক। এতে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামানসহ জাপান ও মালয়েশিয়ার উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ (টিপিএম) কৌশল প্রয়োগ শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসার গুণগত উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখে। এ পদ্ধতি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্যে জ্ঞানের দিগন্ত প্রসারে সহায়তা করে। জ্ঞানভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের ধারা জোরদারের মাধ্যমে এ পদ্ধতি বাংলাদেশসহ এপিও’র সদস্যরাষ্ট্রগুলোর জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনের পথ সুগম করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশ থেকে আগত ১৯ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং ২ জন আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। কর্মশালায় ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প, সেবা ও কৃষিখাতের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনা, পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ইত্যাদি নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে। এর ফলে এশিয়া অঞ্চলের গুণগত শিল্পায়নের অভিযাত্রা বেগবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
#
জলিল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৭০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৫৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের
২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতা তদানীন্তন আইপিজিএমআর-কে চিকিৎসা গবেষণার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসাসেবার সর্বোত্তম কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি এবং এ নীতির বাস্তবায়ন করছি। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ১৯৯৮ সালে দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করি। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশে মেডিকেল উচ্চশিক্ষার বিকাশ, স্বাস্থ্যখাতে গবেষণার প্রসার এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আজ দেশের চিকিৎসা জগতে সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্সে পরিণত হয়েছে। আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট ‘ঊীঃধনষরংযসবহঃ ড়ভ গঁষঃর-ফরংপরঢ়ষরহধৎু ঝঁঢ়বৎ-ংঢ়বপরধষরুবফ ঐড়ংঢ়রঃধষ’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। রাজশাহী ও চট্টগ্রামে দু’টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার লক্ষ্যে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সিলেটে আরো একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যুগোপযোগী চিকিৎসা এবং শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৬৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৫৮
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক স্টাফসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার পর থেকে এ দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা এবং চিকিৎসা সেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে বিপুল অবদান রাখায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দেশের গ-ি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কেড়েছে। গবেষণা, নতুন রোগের কারণ উদঘাটনসহ চিকিৎসায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। আমাদের চিকিৎসকদেরও চিকিৎসাক্ষেত্রে সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চতর প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সে প্রত্যাশা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ন্যূনতম খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে অবকাঠামো সুযোগসুবিধা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহযোগী স্টাফ নিয়োগ দিয়েছে। বৃদ্ধি করেছে চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও। বিদ্যমান সুবিধাদির পরিপূর্ণ প্রয়োগ ঘটিয়ে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকলকে দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে মানবতার কল্যাণে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের সাথে পরিচিত হতে এবং তা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় প্রয়োগ ঘটাতে দেশে চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে আরো উদ্যোগী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। উচ্চতর গবেষণাসহ জনগণকে চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি মডেল প্রতিষ্ঠান ও সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্স হিসেবে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হোক-জাতি তা প্রত্যাশা করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণে চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিসহ ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা