তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৩৮
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বীজ বপন হয়েছিল
-- ধর্মমন্ত্রী
ইসলামপুর (জামালপুর), ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ভাষা আন্দোলন আমাদের বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ এবং স্বাধীকার আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বীজ বপন হয়েছিল।
আজ জামালপুরের ইসলামপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফরিদুল হক খান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে মানচিত্র প্রাচীন বাংলায় আমাদের এই ভূ-খণ্ডের এরূপ একক কোনো সীমানা বা মানচিত্র ছিলো না। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানে রাষ্ট্রের যে বৈশিষ্ট্য বা উপাদান সেটি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব পর্যন্ত কখনোই বাঙালিদের ছিল না। তিনি বলেন, পালবাংশ, সেন রাজবংশ, মুঘল আমল, ইউরোপীয় বণিক পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, দিনেমার, ইংরেজ, ফেঞ্চ, ব্রিটিশ এবং সর্বশেষ পাকিস্তানিদের দ্বারা এই ভূ- খণ্ডের মানুষ শাসিত-শোষিত ও নির্যাতিত হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্ব থেকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা কী হবে-এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দেশ বিভাগের পর ভাষা নিয়ে বিতর্ক আবারো জেগে উঠেছিলো এবং কয়েক মাসের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রথম মুদ্রা, ডাকটিকিট, ট্রেনের টিকিট, পোস্টকার্ড ইত্যাদি থেকে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দু ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পূর্ববাংলায় যে স্বাধিকার আন্দোলনের ভিত্তি রচিত হয় তার পথ ধরেই চলতে থাকে পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রাম, যা ১৯৭১ সালে মুক্তির সংগ্রামে পূর্ণতা লাভ করে। মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে তৎকালীন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরেন।
পরে মন্ত্রী শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেক আকন্দ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহানুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুস ছালাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
#
আবুবকর/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৩৭
কলকাতায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
কলকাতা, ৮ ফাল্গুন, (২১ ফেব্রুয়ারি):
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ ‘মহান শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪’ উদ্যাপিত হয়েছে।
উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এরপর ভাষা শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরাবতা পালন, মিশন প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত প্রভাতফেরি শুরু হয়। প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীগণ এবং বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। প্রভাতফেরি শেষে উপ-হাইকমিশন চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
মহান ‘ভাষা শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষ্যে যথাক্রমে কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম মহামান্য রাষ্ট্রপতি, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোঃ শামসুল আরিফ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান ‘মহান ভাষা শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরতে বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতায় চীন, জাপান, রাশিয়া, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড এবং নেপাল কনস্যুলেট প্রতিনিধিগণ তাদের নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কলকাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চমৎকার সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
এ উপলক্ষ্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস তাঁর বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি ভাষাকে রক্ষা করার, বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তিনি বলেন, ভাষা না বাঁচলে সভ্যতা বাঁচবে না। সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি সকল ভাষাকে রক্ষার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
#
…./ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২১৫০ঘণ্টা
Handout Number: 3136
Bangladesh High Commission in New Delhi observed
the Language Martyrs’ Day and the International Mother Language Day
New Delhi, 21 February :
The Bangladesh High Commission in New Delhi observed the Language Martyrs’ Day and the International Mother Language Day today with due veneration and utmost solemnity. Md. Mustafizur Rahman, High Commissioner of Bangladesh to India launched the day-long programme in the morning by hoisting the national flag at half-mast and placing floral wreaths at the portrait of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.
As part of the programme, Mission officials and expatriate Bangladeshis joined the “Ekushey Prabhat Pheri”. They also offered wreaths at the Shaheed Minar set up at the High Commission premises. A minute’s silence was observed in memory of the language martyrs.
A special discussion was organized on the occasion of the day. Before the discussion, the messages given by the President, Prime Minister and Foreign Minister were read out. A documentary film titled ‘Bangabandhu Sheikh Mujib and the Language Movement’ was also screened.
In his speech, High Commissioner Rahman highlighted the instrumental role of the Bengali Language Movement in the emergence of Bangladesh as an independent and sovereign state. He stressed on ensuring the use of Bengali language at all levels and preserving it duly. At the same time, he put emphasis on learning other languages and saving endangered languages from extinct. High Commissioner called on everyone to contribute to the development of Bangladesh under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina, holding the spirit of Ekushey and Bangabandhu’s ideals in their hearts.
In the evening, a multilingual cultural programme was organized at the High Commission’s Bangabandhu Hall. In addition to Bangladesh and the host country India, cultural troupes from Chile, Ghana, Japan and Nepal performed in the programme and showcased their respective history and culture through their performances. The representative of the UNESCO Regional Office in New Delhi also read out the message given by the Director General of UNESCO on the occasion of the ‘International Mother Language Day 2024’.
Finally, a special prayer was offered for the salvation of the souls of all the martyrs, including the language heroes and those who played a historical role in all stages of freedom and independence movement of Bangladesh and for the continued peace, development and prosperity of the country.
Eminent persons of the host country, high-ranking officials, and diplomats from different Missions based in New Delhi and expatriate Bangladeshis attended the programmes.
#
Masum/Faysal/Shafi/Rafiqul/Shamim/2024/2200 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৩৫
উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিডনিতে মহান শহিদ দিবস ও
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া, ২১ ফেব্রুয়ারি:
বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, সিডনিতে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সিডনি মিশন বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে।
দিবসের শুরুতে কনসাল জেনারেল পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রমের সূচনা করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং মহান ভাষা আন্দোলনে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অপরাহ্নে নিউ সাউথ ওয়েলসে বসবাসরত প্রবাসীগণের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করার পর ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বীজ বপন হয়েছিল মূলত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি আরো বলেন, ভাষা শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ আমাদের ভুলে গেলে চলবে না বরং তাদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া সিডনিতে বসবাসরত বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে তাদের দেশপ্রেমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
পরে ‘একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার’ পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
#
ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৩৪
ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন
-- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমি বিষয়ক বিবিধ আইন ও বিধিমালা সংস্কার হচ্ছে। এই সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইংরেজিতে থাকা ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন ও বিধিবিধান বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আজ রাজধানীর এক হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অভ্ বাংলাদেশ (ট্রাব) ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ যখন উর্দুকে তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করে গণপরিষদে প্রস্তাব পাস করা হলো তখন থেকেই মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই শুরু। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। বাংলা ভাষার দাবি পরিণত হয় সংগঠিত আন্দোলনে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারী করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ আরো অনেকে শহিদ হন। তিনি বলেন, মহান একুশে ফেব্রয়ারির সেই গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ সারা বিশ্বের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আজ সারাবিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, জাতীয় চার নেতা-সহ জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের ও ভাষা শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে হঠাৎ শুরু হয়নি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে ২০ বছরেরও অধিক সময় জুড়ে বিভিন্ন নায্য অধিকার আদায়ের জন্য করা লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরিণতি। আমাদের বাংলা ভাষা আন্দোলন এমনই এক লড়াইয়ের নাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সংসদ সদস্য সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, রাজউকের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ দীদার বখত প্রমুখ।
ভূমিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের পর প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
#
নাহিয়ান/ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৩৩
ইতালির রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান শহিদ দিবস
ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
রোম (ইতালি), ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):
ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত আইজাক রবিন পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহিদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোমের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪’ উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে দূতাবাস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ইতালিস্থ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দলবদ্ধভাবে ভাষা শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত মোঃ মনিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহিদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভাষা সংগ্রামের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এ দিবস পৃথিবীর সকল দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
#
ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৩২
জর্ডানে বাংলাদেশে দূতাবাস মহান শহিদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
জর্ডান, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):
বাংলাদেশ দূতাবাস, জর্ডানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে।
দিবসের কার্যক্রমের শুরুতে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শাহেদ বিন আজিজ জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। তিনি দূতাবাসের কর্মচারী, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও জর্ডানিয়ান অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা মহান শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন। আলোচনা সভায় জর্ডানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
শাহেদ বিন আজিজ তাঁর বক্তৃতায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, আজ পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রান্তে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষার সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি সকল প্রবাসীদের বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
#
ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৩১
সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করেই এগোতে হবে
---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ফাল্গুন, (২১ ফেব্রুয়ারি):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করে এগোতে হবে। বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে আমাদের ঋদ্ধ ঐতিহ্য। ঢাকার নান্দনিকতা ও ঐতিহ্যের জন্যই ঢাকা বারবার হয়েছে এ অঞ্চলের রাজধানী। ঢাকার মতোই এদেশের প্রতি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা আলাদা কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সৌন্দর্য যা বাংলাদেশকে করেছে ঐশ্বর্যমণ্ডিত।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার অদূরে কেরাণীগঞ্জে অধ্যাপক হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আলিয়স ফ্রঁসেজের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পুরান ঢাকা থেকে শেখা: জীবন্ত ঐতিহ্যসমূহের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী, জীবন-জীবিকা ও শহরের রয়েছে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক। ঢাকার সাথে বুড়িগঙ্গার রয়েছে এমনই একটি আত্মীয়তা। বুড়িগঙ্গাকে ঘিরেই ঢাকা বেড়েছে, বিকশিত হয়েছে ঢাকা। ঢাকার স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহ্য সমন্বিত এবং সম্মিলিতভাবে রক্ষা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই একে ঝুঁকিতে পড়তে দেওয়া ঠিক হবে না।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয় (Marie Masdupuy) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন ফরাসগঞ্জ ছিল ফরাসিদের আবাসস্থল।
মোগল আমলের রূপান্তর এবং আশপাশের এলাকাসমূহের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির বিবর্তন, আরমানিটোলা পাড়ার আশপাশের প্রকাশ্য উন্মুক্ত স্থানগুলোর শ্রেণিবিন্যাস, শাখারী কারিগরদের নির্মাণশৈলী ও হারানো কারুকাজ ধরে রাখা, তাঁতিবাজারের সোনার গহনা নির্মাণশৈলী, বাংলা বাজারে বই ও বাংলা ভাষা এখনো যেভাবে ধরে রাখা হয়েছে, গোল তালাবের আকারে পুরান ঢাকার ঘন বুননে বিরল মরূদ্যান, মঙ্গলাবাসরে জমিদারের প্রসারের রূপান্তর এবং পলাশগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এলাকার কাঠের সাথে কাগজের সংযোগের গল্প এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলিয়াস ফ্রঁসেজ ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক ফ্রান্সিস গ্রজিন (Francois Grosjean)।
#
আসলাম/ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩১৩০
একুশ আমাদের মনে শক্তি দেয়, ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়
--- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, একুশ হলো মাতৃভাষাকে জানা, ভাষার প্রতি মনকে আলোকিত করা এবং চেতনাকে জাগ্রত করা। তিনি বলেন, একুশ আমাদের মনে শক্তি দেয়, জ্ঞান দেয় এবং ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়।
প্রতিমন্ত্রী আজ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন শুধু আমাদের ভাষার অধিকার দিয়েছে তা নয়, এই আন্দোলনের ফলে আমরা পেয়েছি চিন্তার স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এবং লেখনীর স্বাধীনতা। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তির স্বাধীনতার যাত্রা সূচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫২’র ভাষা শহিদদের জাতি কখনো ভুলবে না। মায়ের মুখের ভাষা বাংলা ভাষার সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে তিনি বাংলা ভাষার ব্যবহার বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সিমিন হোসেন (রিমি) বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে শিশুদের সঠিক পথ প্রদর্শন করতে হবে। শৈশব থেকে শিশুদের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রতি মমত¦বোধ তৈরি করতে হবে। এ সময়ে তিনি নিজ মাতৃভাষার পাশাপাশি বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন উপস্থিত ছিলেন।
#
নুরআলম/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩১২৯
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ নাজমুল
আহসানের মৃত্যুতে পরিবেশ মন্ত্রী ও সচিবের শোক
ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক সৈয়দ নাজমুল আহসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
আজ পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় পরিবেশমন্ত্রী জানান, নাজমুল আহসান পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের বায়ুমান শাখার পরিচালক পদে কর্মরত থাকাকালীন দেশের বায়ুমানের উন্নয়নে সাধ্যমতো চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর মতো একজন সদালাপী কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
উল্লেখ্য, সৈয়দ নাজমুল আহসান (৫৬) আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি -----রাজিউন)।
#
দীপংকর/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১২৮
ভিয়েতনামে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
হ্যানয়, ৮ ফাল্গুন, (২১ ফেব্রুয়ারি):
আজ ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪’ উদ্যাপন করা হয়।
সকালে দূতাবাসে দিবসটির প্রথম পর্বে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মহান একুশের ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
সন্ধ্যায় দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে হ্যানয়স্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকবৃন্দ, ইউনেস্কো অফিস প্রধান এবং ভিয়েতনামে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের থিম সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় এবং পরে এ দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহিদগণ এবং ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য একদিকে কষ্টের, অন্যদিকে সম্মান ও গৌরবের। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে আমাদের এক ঝাঁক তরুণ রাজপথে তাদের জীবন উৎসর্গ করে। আমরা রক্তের বিনিময়ে মায়ের ভাষার অধিকার ফিরে পেয়েছি যা বিশ্বে বিরল। অন্যদিকে দিবসটি গৌরবের। আমাদের রক্তে অর্জিত ভাষার অধিকারের সম্মানে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০০০ সাল থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রকর্তৃক একযোগে পালিত হয়ে আসছে।
হ্যানয়স্থ ইউনেস্কো প্রতিনিধি জনাথন বেকার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বহুভাষার মাধ্যমে শিক্ষা: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞান চর্চার স্তম্ভ’ উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে অনেক শিশু মাতৃভাষায় শিক্ষার গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত। অথচ মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষাব্যবস্থা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাক্ষেত্রে পরিপূর্ণ বিকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ। এটি নিজ ভাষায় দক্ষতার সাথে পড়াশুনা করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাষায় দক্ষতা লাভের দ্বার উন্মোচন করে। জাতিসংঘ উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য-৪ (অন্তর্ভুক্তিমূলক, গুণগত এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ) বাস্তবায়নের পথ সুপ্রসারিত হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।
#
ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১২৭
বিসিসি’র বাংলা ভাষাভিত্তিক সফটওয়্যার উন্মুক্ত
টেলিটকের ই-সিম উদ্বোধন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষা শহিদ স্মরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বাংলা ভাষাভিত্তিক তিনটি সফটওয়্যার-বাংলা টেক্সট টু স্পিচ ‘উচ্চারণ’, বাংলা স্পিচ টু টেক্সট ‘কথা’ এবং বাংলা ওসিআর ‘বর্ণ’ সহ নতুন একটি বাংলা ফন্ট ‘পূর্ণ’ উন্মুক্ত করেছেন। এছাড়া, তিনি অমর একুশের ভাষা শহিদদের স্মরণে বিটিসিএল এর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ জিপন এর বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ ঘোষণা করেন এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ই-সিম উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহিদ স্মরণে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব অ্যাপসসমূহ ও বাংলা ফন্ট অবমুক্ত এবং টেলিটকের ই-সিম উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অমর ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব এবং আইসিটি বিভাগের সচিব সহ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার প্রচলনকে বাংলা ও বাঙালি বিশেষ ক