তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬২১
সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারত। এ লক্ষ্যে উভয় দেশ যৌথভাবে সাইবার ড্রিল এবং সক্ষমতা উন্নয়নের কর্মশালা করতে ঐক্যমত পোষণ করে।
আজ ভারতের নয়াদিল্লিতে সার্ট ইন্ডিয়ার প্রধান কার্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (সার্ট ইন্ডিয়া) মহাপরিচালক ড. সঞ্জয় বাহলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিংসহ নানা ডিজিটাল সেবা প্রধানকারী আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান "বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল" এর নয়াদিল্লির গীতা নগরিতে অবস্থিত কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অভ্ ইন্ডিয়ার (ইউডিএআই) এর প্রধান নির্বাহী কর্নেল নিখিল সিনাহা’র সঙ্গে বৈঠক করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আধার সিস্টেমের কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকরা, নাগরিক সেবা গ্রহণের পাশাপাশি কীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের এনআইডি সিস্টেমকে আরো ভবিষ্যৎ মুখী এবং অধিকতর ভাল্যু অ্যাডেড সল্যুশন অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও মতামত ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।
#
শহিদুল/পাশা/এনায়েত/আব্বাস/২০২৩/২২২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬২০
দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না
----পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়ন আটকানো যাবেনা। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করতে হবে। যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক, তার জন্য কাজ করতে হবে।
আজ বরিশাল জিলা স্কুল সংলগ্ন খোকন সেরনিয়াবাত এর নির্বাচনী কার্যালয়ে মহানগর যুবলীগ আয়োজিত "১৫ই আগস্ট জাতীয় শোকদিবস এবং ২১ আগস্ট" গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই দেশের এতো উন্নতি হয়েছে। তার জন্যই দেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াতে পারছে। সারা দেশে বর্তমান সরকারের যে কর্মযজ্ঞ চলছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বরিশালের উন্নয়নের স্বার্থে সৎ যোগ্য সুশিক্ষিত পরিচ্ছন্ন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে নৌকার প্রার্থী হিসেবে যাকে দল মনোনয়ন দেবে তাকে বিপুল ভোটে আমাদের বিজয়ী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ১৫ই আগস্টে যেভাবে আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছেন। একইভাবে ২১ আগস্টও তাকে রক্ষা করেন। তাই আল্লাহর কাছে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা। আজ তিনি না থাকলে এই আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকতোনা। বাংলাদেশের কি অবস্থা হতো তা আল্লাহ ভালো জানেন।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগ এর আহবায়ক মোঃনিজামুল ইসলাম নিজামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডঃ আফজালুল করীম, সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট কেবিএস আহম্মেদ কবির, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি রেজাউল হক হারুন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আনিছ উদ্দিন আহাম্মেদ সহিদ, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক।
#
গিয়াস/পাশা/এনায়েত/আব্বাস/২০২৩/২১২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১৯
ডাটা সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জরুরি
---টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল ডাটা সোনার চেয়েও দামি। মূল্যবান ডাটা সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জরুরী। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ফলে কাগজের তথ্য এখন ডাটায় রূপান্তরিত হচ্ছে। ডাটা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃকালে এ আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এক সময় ক্লাউড বলতে কোনো ধারণা ছিল না। এখন সবকিছু ডিজিটাল হয়ে গেছে, এখন ক্লাউডের কোনো বিকল্প নেই। সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি। তাদের জন্য এ রকম একটি কর্মশালা অত্যন্ত জরুরি ছিল উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আমাদের প্রত্যেককেই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তরুণ সাংবাদিকগণ ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের আয়োজিত এই কর্মশালা নিজেদের স্মার্ট হওয়ার সুযোগ তৈরিতে কার্যকর অবদান রাখবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক বলেন, জ্ঞান হলো পৃথিবীর বড় সম্পদ। স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে জ্ঞান ভিত্তিক সাম্য সমাজ। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জ্ঞান ভিত্তিক সাম্য সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ নিয়্ন্ত্রণ করা যায়নি। তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ন্ত্রণহীনতার অন্যতম কারণ ছিল। বর্তমানে সে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি ঘটাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হওয়া সত্বেও কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে প্রকাশনা ও মুদ্রণ শিল্পে শীশার হরফের পরিবর্তে কম্পিউটারে বাংলা সংবাদ পত্র প্রকাশ করেছি। তিনি বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে এক বছরের পাঠক্রম শিক্ষার্থীরা অনায়াসে তিন মাসে শেষ করতে পারছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করে গেছেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে জাতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তিনি শুরু করেছেন। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেটা আমাদের ব্যবহার করতেই হবে। এটি আমাদের সম্পদ, সুতরাং এটি যেখানে রাখতে হবে সেই জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)-এর সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান রবিন এবং ওপেনস্ট্যাক বাংলাদেশের কান্ট্রি অর্গানাইজার মোবারক হোসাইন।
#
শেফায়েত/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১৮
বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্তে রঞ্জিত খুনি জিয়া ও তার পরিবারের হাত
---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমানের হাত। এর ৩০ বছর পর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জাতির পিতার পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, নিহত ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সহ আরো কয়েকশ' দলীয় নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত হয় খুনি জিয়ার স্ত্রী ও তার পুত্রের হাত। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তাই বলতে হয়, বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্তে রঞ্জিত খুনি জিয়া ও তার পরিবারের হাত।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চ সংলগ্ন প্রাঙ্গণে ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা উপলক্ষ্যে একাডেমি আয়োজিত '২১ আগস্ট একটি বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ' শীর্ষক তিন দিনব্যাপী (২১-২৩ আগস্ট) আলোকচিত্র ও পাবলিক আর্ট প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন গ্রেনেড হামলা নাকি সাজানো নাটক। প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, তাহলে যে ২৪ জন গ্রেনেড হামলায় মারা গেলো, তারা কারা? কে এম খালিদ বলেন, একজন মানুষ কতটা নির্মম, নিষ্ঠুর, ইতর হলে এমন কথা বলতে পারে। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জা ফখরুলের বাবা ছিল কুখ্যাত রাজাকার ও উত্তরবঙ্গের পিস কমিটির সভাপতি। তার মুখেই এমন জঘন্য মিথ্যাচার মানায়।
কে এম খালিদ বলেন, আগামীতে দেশের ৬৪ জেলায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালককে অনুরোধ জানাই। তিনি বলেন, ৬৪ জেলায় এটিকে চিত্রায়িত করলে তরুণ প্রজন্ম এটিকে গ্রহণ করবে ও ২১ আগস্টের ঘৃণ্য হামলা সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি এসময় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ২১ আগস্টের ভয়াল হামলা সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী মীর ফরিদ এবং শিল্পী ও কিউরেটর অভিজিৎ চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
#
ফয়সল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১৭
আগামী নির্বাচন যদি কেউ ভন্ডুল করতে চায় তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে
--- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দিনাজপুর, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করার শক্তি বিএনপির নাই। কাজেই আগুন নিয়ে খেলবেন না। ঐ হাত পুড়ে যাবে।আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আগামী নির্বাচন পার্টিসিপেটরি নির্বাচন হবে। আমরা ২০৪১ সালে উন্নত ও মানসম্মত বাংলাদেশ দেখতে চাই। আজিজ মার্কা, লতিফুর রহমান, সাঈদ, সাহাবুদ্দিনরা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষতবিক্ষত করেছিল। আমরা সে ধরনের নির্বাচন চাই না। আগামী নির্বাচন যদি কেউ ভন্ডুল করতে চায় তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার শান্তি সমাবেশে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিনাজপুর জেলা শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলতাফুজ্জামান মিতা বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে দেশ খুনিদের হাতে চলে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। আমরা সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, আগামী দিনের বাংলাদেশ, স্বাধীনতার বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১৫
ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের কারণে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে
--- ভূমি সচিব
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান বলেছেন, ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের কারণে সরকারের রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের করবহির্ভূত রাজস্ব আয়ের নতুন খাতসমূহ নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট এক কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এ কথা বলেন। কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন ভেন্ডার কোম্পানির কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
ভূমি সচিব এই সময় জানান, প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে গত কয়েক বছরে ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনে অভূতপূর্ব কিছু মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে। এই অগ্রগতির ফলেই ভূমি রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষ, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব ভূমিসেবা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভূমি খাত থেকে যেন দক্ষভাবে জনস্বার্থে শতভাগ রাজস্ব আদায় হয় তা ভূমি মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে।
এ সময় সচিব জানান, এই পর্যন্ত ‘স্মার্ট ভূমি উন্নয়ন কর’ সিস্টেম থেকে প্রায় ৫২০ কোটি টাকা, ‘স্মার্ট নামজারি’ সিস্টেম থেকে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা এবং ‘স্মার্ট ভূমি রেকর্ডস’ সিস্টেম থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকাসহ মোট প্রায় ৭৭০ কোটি টাকা অটোমেটেড চালান সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে তাৎক্ষণিকভাবে জমা হয়েছে। প্রতিদিন অনলাইনে গড় রাজস্ব আদায় ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ রাজস্ব বৃদ্ধির বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যেমন, আইবাস সিস্টেম থেকে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা সরাসরি ভূমি মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ভূমি ডেটা ব্যাংক-এর মাধ্যমে খাসজমি, অধিগ্রহণকৃত জমি এবং সায়রাত মহল সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে যাচাই করার ব্যবস্থা গ্রহণ, খাসজমি অব্যবহৃত না রেখে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানো, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, ভূমি রেজিস্ট্রেশনের পরে নির্ধারিত ফি প্রদান করে অটোমেটেড সিস্টেমের এর মাধ্যমে দলিল লেখার কাজ সম্পন্নকরণ, জমির শ্রেণিকরণ ও ডেটাবেইজ তৈরি, ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল মনিটরিং নিশ্চিতকরণ; ইউনিয়ন ভূমি অফিসসমূহে কিয়স্ক স্থাপন ইত্যাদি। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এসব উত্থাপিত প্রস্তাবের বেশিরভাগই বাস্তবায়ন করছে।
উল্লেখ্য, ভূমি হতে প্রাপ্ত রাজস্ব আয়ের প্রচলিত প্রধান উৎসসমূহ হচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর, জরিপ ও ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান বাবদ আদায়, হাটবাজার, অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, জলমহাল, পুকুর ও বালুমহাল ইজারা ইত্যাদি।
#
নাহিয়ান/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১৪
বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি হত্যা-খুনের রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে, খুনের রাজনীতি করে। বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তারেক রহমান ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে। আর ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছে জিয়াউর রহমান। এরা যতদিন রাজনীতির মাঠে থাকবে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না, ঘৃণা এবং সাংঘর্ষিক রাজনীতি কখনো যাবে না।’
আজ সচিবালয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে এই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, তখনকার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি এবং জঙ্গিগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেখানে যে গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো সেনাবাহিনী যুদ্ধ ময়দানে ব্যবহার করে। এই গ্রেনেড তো সন্ত্রাসীদের কাছে থাকার কথা না। এগুলো সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একজন সেনা কর্মকর্তা আলামত হিসেবে একটি গ্রেনেড রেখে দিয়েছিল। সে কেন রেখে দিল সে জন্য তাকে সেনাবাহিনী থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ অন্য সব আলামত ধ্বংস করা হয়েছিল, হামলার স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সে দিন আহত হলেও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভাগ্যক্রম বেঁচে গেছেন, আমাদের নেতারা বঙ্গবন্ধুকন্যার চারপাশে মানবঢাল তৈরি করেছিল। আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী সে দিন নিহত হয়েছে, পাঁচশ’রও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। কিন্তু সংসদে একটি শোক প্রস্তাব আনতে বা কোনো আলোচনাও করতে দেওয়া হয়নি, বরং হাস্যরস করা হয়েছে।’
সাংবাদিকরা এ সময় ‘দেশ-বিদেশের কিছু মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠন ২১ আগস্ট বিষয়ে সরব নয়’ এ বিষয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কিছু মানবাধিকার ব্যবসায়ী আছে, দেশেও আছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আছে। কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। আর কিছু দেশ মানবাধিকারকে একটা অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে অন্য দেশকে ঘায়েল করার জন্য। যারা এগুলো করে তাদের দেশে যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, সেটি নিয়ে তো কোনো কথা হয় না। যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বা অগ্নিসন্ত্রাসের নিন্দা জানায় না, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক বিষয় আখ্যা দিয়ে কিছু বলতে চায় না, এরা আসলে মানবাধিকারকর্মী বা মানবাধিকার সংগঠন নয়, এরা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে।’
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১৩
স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশে ও বিদেশে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারাই পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এখনও তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান স্টাইলের একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য তৎপর। এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন দেশে ভুল তথ্য প্রচার করছে, বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারণা দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল ভিত্তি রচনাকারী দল আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার সরকার গঠনের জন্য কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে আলাদা কিছু ভাবার অবকাশ নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে, অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। আবার দুর্নীতিতে শীর্ষে চলে যাবে।
মন্ত্রী যোগ করেন, এখন একটি ক্রান্তিকালে শোকের মাসে আমরা আছি। এ মাস আমাদের অত্যন্ত বেদনার মাস। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে সদলবলে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা হয়েছে, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভ্যুদয়ে, দুঃসময়ে এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য কমিশন গঠনের উদ্যোগেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে বাংলাদেশের জন্ম, উত্থান, স্বাধীনতার প্রাপ্তি এবং আজকের বাংলাদেশ এ সবকিছুতেই প্রবাসীদের ভূমিকা অনন্য, অসাধারণ। আগামীতেও প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী এবং সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল শাখাওয়াৎ হোসেন। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. সিরাজুল হক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক ড. প্রদীপ রায়হান।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন মন্ত্রী।
#
ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৪১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১২ হাজার ৫৩৬ জন।
#
সুলতানা/পাশা/রেজাউল/২০২৩/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১১
২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশেকে ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে
-ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাপান সরকার ও জাইকা'র আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে দুর্যোগ সহনীয় করতে আরো অধিকসংখ্যক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত IWAMA Kiminori এর সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হয়। বাস্তুচ্যুত এসকল মিয়ানমার নাগরিকের সহায়তাদানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে এসকল নাগরিকের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়:নিষ্কাশন, আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ও ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা সমস্যাসহ যেকোনো দুর্যোগে জাপান সরকার বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত ।
এসময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রম এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষদের নিকট খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ নিয়ে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
#
সেলিম/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/কামাল/২০২৩/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬১০
মাদ্রাজের আইআইটি ও চেন্নাইয়ের রেলা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গতকাল রবিবার বিকেলে ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজ-এর রিসার্চ পার্ক পরিদর্শন করেন।
তিনি আইআইটিএম এর সিইও ডাঃ এম জে শঙ্কর ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রবর্তক
ডাঃ গৌরব রায়না এবং প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তাঁরা ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) ভিত্তি