তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৭১
গণমানুষের জন্য নিরাপদ সড়ক ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করা হবে
--- সড়ক সচিব
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
সকলের সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা গণমানুষের জন্য নিরাপদ সড়ক ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পারব বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক।
আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ের ডিটিসিএ ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কর্তৃক আয়োজিত ‘গণপরিবহনে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে করণীয়’ বিষয়ে গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সড়ক সচিব বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে অনেকেই তাঁদের আত্মীয়-স্বজন হারাচ্ছেন এবং অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত এই ক্ষতিগুলো অপূরণীয় বিধায় সড়কে দুর্ঘটনা যাতে কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাস মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী ও এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারগণকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসীন বলেন, গণপরিবহন এবং গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে, তাহলেই পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, সড়ক আইন ও বিধিমালা সংক্রান্ত জনসচেতনতা তৈরিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার বলেন, বর্তমান সময়ই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এবং ঢাকা মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, সমন্বিত ও আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিআরটিএ, বিআরটিসি, ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধি, ডিটিসিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, বাস মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিগণ-সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
নোবেল/পবন/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৭০
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪ এর জুলাই বিপ্লবকে হারিয়ে যেতে দিব না
--- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ‘কথা বলো নারী’ এই স্লোগানকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিটি শব্দই যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ যেমন আমাদের অন্তরে গাঁথা তেমনি তোমাদের ২৪ এর জুলাই বিপ্লবকে হারিয়ে যেতে দেবো না। ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তোমাদের যে ভূমিকা রয়েছে ,তা ইতিহাস রচনা করেছো। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তা ধরে রাখতে চাই। তিনি বলেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমাদের ছেলেদের সামনে থেকে মেয়েরা, তোমাদের যে শক্তি দেখিয়েছো তা এক ধাক্কায় এদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিপ্লব ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কথা বলো নারী’ সংগঠনের আয়োজনে রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে লড়াকু নারীদের ভূমিকা ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীর অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সুলতানার গল্প ২০২৪ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় কথা বলো নারী সংগঠনের আহ্বায়ক নুসরাত হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শ্যামলী শীল বক্তৃতা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, বেগম রোকেয়ার সময় থেকে বর্তমান সময়ের নারী রোকেয়ারা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে লড়াইয়ে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। গ্লোবাল পরিস্থিতির যুগে নারী পুরুষের সমতা সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনে নারীদের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা দেখিয়েছো, তোমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না, এদেশের মানুষের কল্যাণে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে ভূমিকা রেখেই সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে এগিয়ে যাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক উমামা ফাতেমা, জাফর মোহাম্মদ, শিক্ষার্থী স্নেহা, মনীষা মাহরুফা, খাতুনে জান্নাত, অ্যাডভোকেট মারিয়া ফারজানা, মৌমিতা নূর, লাবনী মন্ডল, তাহমিনা সেলী, সোনিয়া ইসলাম, তানিশা রহমান এবং উম্মে ইরফাত জাহান বক্তৃতা করেন।
#
রফিকুল/পবন/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬৯
লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
লিসবন (পর্তুগাল), ১৭ ডিসেম্বর:
লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসে গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস
উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতালয় ভবন বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়।
সকালে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লায়লা মুনতাজেরী দীনা দূতাবাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পর্তুগালে বসবাসরত সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি-সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ব্যক্তিবর্গ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আধার পেরিয়ে’ প্রদর্শিত হয়।
আলোচনা পর্বে উপস্থিত প্রবাসীদের মধ্য থেকে মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, ছাত্র ও সাংবাদিকগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লায়লা মুনতাজেরী দীনা তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা এবং লাল-সবুজের পতাকা আমাদের ত্যাগের গৌরবগাঁথা। তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষা, প্রশাসন, নিরাপত্তা, নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রবাসীদের সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টের অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা এনে দিয়েছেন, সেই আধুনিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
#
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন/পবন/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬৮
বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ রাজধানীর তথ্য ভবনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে সাক্ষাৎ করতে এসে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন হেড অভ্ ডেলিগেশন অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার এ আগ্রহের কথা জানান। এ সময় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি, পরিধি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত হন।
অপতথ্য, অপপ্রচার, সংবাদিকদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের বিজ্ঞাপনের অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচার মাধ্যম ও বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের আর্থিক ব্যবস্থা এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার স্বচ্ছতার বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন। স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর অভিজ্ঞতার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুচর্চা থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য কমিশন প্রস্তুত।
এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অভ্ ডেলিগেশন ডা. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান ও মোস্তফা সবুজ উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/পবন/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬৭
বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন
--- ধর্ম উপদেষ্টা
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে দুয়েকটা ছাড়া অন্যগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে নির্বাচনের নামে যেটা হয়েছে সেগুলোকে নির্বাচন বলা যায় না। এ সকল নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ ছিলো না। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা যে লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, এদেশে আয়নাঘর তৈরি হয়েছে, মানুষকে গুম ও খুন করা হয়েছে। এদের অনেকের হদিস পর্যন্ত মেলেনি। বিরোধীমতকে বীভৎসরূপে দমন করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে এটা কেবল দুঃখজনকই নয়, লজ্জাজনকও বটে। তিনি আরো বলেন, একটি দেশের ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করার মতো কাজ যারা করে তারা দেশপ্রেমিক হওয়ার যোগ্য নন।
বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে মহান বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্ববহ। অসংখ্য প্রাণ ও বহু মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। এর পিছনে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। একটি কল্যাণমুখী, বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্যই এই বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো, দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমাদের কাক্সিক্ষত সেই স্বপ্ন অনেকাংশেই পূরণ হয়নি। তিনি সকলকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
খালিদ হোসেন আরো বলেন, এতো মানুষ যে কারণে সংগ্রাম চালালো, যুদ্ধ করলো এবং প্রাণ দিলো তাদের এই আত্মত্যাগ সার্থক হবে যদি আমরা স্বাধীনতার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি। একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠন ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের প্রয়াস সফল হলেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক মোঃ শফিউল আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, ইফার দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের পরিচালক মোঃ তৌহিদুল আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, উপপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
#
আবুবকর/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬৬
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, সুইডেন বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃসেবা-সহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। মিডওয়াইফারি এবং প্রজনন স্বাস্থ্যে সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (সিডা) ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যকর করতে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ পরিবেশ, স্বাস্থ্য-সহ বহুমাত্রিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেমন শিশু স্বাস্থ্য ও মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তেমনি অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের প্রবণতাও বাড়ছে।
সাক্ষাতে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস জানান, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চলমান রয়েছে, উন্নয়ন সহযোগিতা বহু ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। এখন বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। সুইডেন অংশীদারিত্বে বড় সম্ভাবনা দেখে এবং সম্পর্ক আরো জোরদার করার প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশ একটি সন্ধিক্ষণে রয়েছে। গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনে নিরীহ মানুষের জীবনহানির জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। সুইডেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাক্ষাতে প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মিডওয়াইফারি, ওষুধ ব্যবস্থাপনা, নার্স ডাক্তার-সহ নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ডিজি অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, সুইডেন দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফেলিক্স হেলগেসন উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহাদাত/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬৫
হাতি সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা ও নদী পরিষ্কার
অভিযানে নর্ডিক দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের বিপদাপন্ন হাতি সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠার জন্য নর্ডিক দেশগুলোর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের নদীগুলো পরিষ্কার রাখা মন্ত্রণালয়ের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে নর্ডিক দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
আজ উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন এবং ডেনমার্কের উপমিশন প্রধান অ্যান্ডারস কার্লসেন-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান টেকসই সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় নর্ডিক দেশগুলোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহ্বান জানান। তিনি প্লাস্টিক ও শব্দদূষণ ব্যবস্থাপনার প্রচারণায় যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার সম্পর্কে উল্লেখ করেন এবং এই প্রচারণা কার্যক্রম জোরদারে নর্ডিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
নর্ডিক রাষ্ট্রদূতগণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নদী দূষণ প্রতিরোধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ডেনমার্কের উপমিশন প্রধান অ্যান্ডারস কার্লসেন কক্সবাজারে একটি অফশোর উইন্ড ফার্ম প্রতিষ্ঠায়
১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। অন্যদিকে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন বাংলাদেশে ‘মেরিন লিটার প্রিভেনশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে নরওয়ের সহায়তা প্রদান এবং টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও সামুদ্রিক বর্জ্য প্রতিরোধে একীভূত উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তুতির কথা জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নর্ডিক ডে উদ্যাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নর্ডিক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ সচিব এবং মন্ত্রণালয় ও নর্ডিক দেশগুলোর দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬৪
মরিশাস বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
পোর্ট লুইস, (১৭ ডিসেম্বর):
বাংলাদেশ হাইকমিশন, মরিশাসের আয়োজনে ১৬ ডিসেম্বর যথাযোগ্য উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২৪’ উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিগণ স্বপরিবারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এ দিন সকালে মরিশাসের হাইকমিশনার জকি আহাদ হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বিকেলে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে হাইকমিশনার, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে হাইকমিশনে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে বীর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর, বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ওপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আঁধার পেরিয়ে‘ প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ’২৪ এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ও আদর্শের পরিপূর্ণ রূপ দিতেই ‘২৪ এর জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থান। তিনি ’৭১ ও ’২৪ এর শহিদ ও যোদ্ধাদের আকাক্সক্ষার সফল বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান।
পরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
#
জাহাঙ্গীর/পবন/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা
Handout Number: 2063
Environment Advisor Seeks Nordic Support for
Elephant Sanctuary and River Cleanup Initiatives
Dhaka, 17 December:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and Water Resources, has called for Nordic support both financial and technical in establishing a wildlife sanctuary for elephants, which are already extinct in the region. She also emphasized that cleaning up rivers across Bangladesh remains a top priority for the Ministry, urging Nordic countries to contribute their expertise and cooperation in these critical areas.
The Advisor made these remarks during a meeting with the Ambassador of Sweden to Bangladesh, Nicolas Weeks; the Ambassador of Norway, Hakon Arald Gulbrandsen; and the Deputy Head of Mission of Denmark, Anders Karlsen, held today at the Advisor's office in the Bangladesh Secretariat.
Highlighting the urgent need for sustainable solutions, Syeda Rizwana Hasan invited Nordic countries to share their experiences in tackling plastic pollution. She stressed MoEFCC's focus on youth engagement in managing plastic and noise pollution and sought Nordic support in facilitating awareness campaigns to strengthen these initiatives.
The Nordic Ambassadors reaffirmed their commitment to cooperation in biodiversity conservation, river pollution prevention, and renewable energy development.
Deputy Head of Mission Anders Karlsen expressed Denmark's interest in a $1.2 billion investment for establishing an offshore wind farm in Cox’s Bazar, which would generate 500 MW of electricity. Meanwhile, Norwegian Ambassador Hakon Arald Gulbrandsen shared Norway’s readiness to support the implementation of a ÔMarine Litter Prevention ProjectÕ aimed at promoting sustainable plastic use and reducing marine litter across Bangladesh.
The Environment Advisor graciously accepted an invitation to attend the Nordic Day celebration on February 6, 2024, as the Chief Guest, underscoring the growing partnership between Bangladesh and the Nordic countries in addressing environmental challenges.
Environment Secretary, Water Resources Secretary and High officials from the Ministry and Embassies also present on the occasion.
#
Dipankar/Paban/Rana/Mosharaf/Joynul/2024/1920 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬২
শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন হলো শিক্ষার্থীরা নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তিনি দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এতে তারা সেলফ্ সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন সাধন করতে পারবে।
আজ ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিটে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, একসময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে ভালোদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা ছিল। শুধু মেধাবীরাই ভালো স্কুলে পড়ার সুযোগ পেত। কমমেধাবীরা পেছনে পড়ে থাকত। কমমেধাবীদের পশ্চাতে রাখা যাবে না, তাদেরকে উঠিয়ে আনতে হবে। লটারি সিস্টেম চালু হওয়াতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন সমন্বয়ের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা গেছে কম মেধাবীদের উঠিয়ে আনার জন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। তারা কম মেধাবীদের উঠিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। কমমেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে মনোযোগ ও বিদ্যালয়মুখী করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কাজ করে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাঙ্গনে বিশাল পরিবর্তন হচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এসকল প্রতিষ্ঠানে যেসব ছোট ছোট শিশুরা অধ্যয়ন করে তাদের অদম্য সৃজনশীলতা থাকে। তাদের এই সৃজনশীলতা জাগ্রত করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং শিক্ষকদের ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে মানসম্মত, যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের কর্মক্ষম করে তুলতে হবে। তাদের কর্মক্ষম করে তুলতে পারলে দেশে ও বিদেশে তারা চাকরির ব্যাপক সুযোগ পাবে।
#
সিরাজ/পবন/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬১
এশীয় অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই
--- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন আজারবাইজানের বাকুতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত Conference on Interaction and Confidence-Building Measures in Asia (CICA)-এর ৭ম মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অধিকতর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অর্থপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা এবং এশীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংহতির ভিত্তিতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক, পরিবেশ এবং মানবীয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরির বিষয়ে CICA -কে একটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভবিষ্যতে এ ফোরামের মাধ্যমে নতুন নতুন অংশীদারিত্ব তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে কো-চেয়ারের ভূমিকায় বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে CICA তে বিশেষ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, এশিয়া অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে বহুজাতীয় ফোরাম, CICA প্রতিষ্ঠিত হয় যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৮। বাংলাদেশ ২০১৪ সালে CICA -র সদস্যপদ লাভ করে। এবারের মন্ত্রিপর্যায়ের সভায় CICA -র বর্তমান সভাপতি কাজাখস্তান পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করে। বৈঠকে ÔCICA Ministerial Council Statement on the 25th Anniversary of the Declaration on the principles guiding relations among CICA member statesÕ শীর্ষক ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। বৈঠকে CICA সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রিগণ এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক সংস্থা অনুবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/পবন/রানা/মোশার