তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৪৩
শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের হত্যার রায় বাস্তবায়নের
মধ্য দিয়ে অচিরেই জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে
---যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
গাজীপুর, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের হত্যার রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অচিরেই জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
প্রতিমন্ত্রী আজ গাজীপুরের হায়দরাবাদে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল মেহনতী শ্রমজীবী মানুষের প্রাণের দাবি শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপি'র হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলখানার পরিবর্তে বাসায় আছেন আবার তারা বড় বড় কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, তিনি কথায় কথায় গণতন্ত্রের ছবক দেন। আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অজস্র হত্যাকাণ্ডের দায় আপনাদের ঘাড়ে আছে। আহসানউল্লাহ মাস্টারের রক্তে আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া ও আপনার নেতা তারেক রহমানের হাত রঞ্জিত আছে। এখান থেকে কোনো দিন মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার এ বাংলার মাটিতে হয়েছে এবং আরও হবে। ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
স্মরণ সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিবাজ ও খুনি তারেক জিয়ার নির্দেশে সুপরিকল্পিতভাবে আহসান উল্লাহ মাস্টার, এমপিকে হত্যা করা হয়েছিল। গাজীপুরবাসী ও বাংলার মানুষ এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারেনি। গাজীপুরবাসী সেদিন গাজীপুরকে অচল করে দিয়েছিল। আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্বপ্ন শ্রমিক সমাজের অধিকার আজ বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সংসদ সদস্য প্রফেসর রুমানা আলী টুসি, সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঞা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান।
#
আরিফ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৪২
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদতবার্ষিকীতে
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন
গাজীপুর, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
আজ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি-এর শাহাদতবার্ষিকীতে তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
এ সময় মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম খান। এ সময় অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইনস্টিটিটিউটের মহাপরিচালক এ কে এম শামীমুল হক সিদ্দিকী। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফাউন্ডেশনের সচিব কৃষ্ণেন্দু সাহা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বিকেএসপি ও ক্রীড়া পরিদপ্তরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষ হতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
#
আরিফ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৪১
আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে নিউইয়র্কে গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত “দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” এর স্মৃতিচারণ ও এই মহান কর্মের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক মেডিসন স্কয়ারে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত হলো গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট। নিউইয়র্কে জমকালো আয়োজন আর গৌরবের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমৃদ্ধ বর্তমানকে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, অপরাজিতা হক ও নুরুল আমিন শিল্পী কাদেরি কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন অর্জন ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার কারণে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় ১ কোটি শরণার্থীদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত সেতার শিল্পী পন্ডিত রবিশঙ্কর এবং তার বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে ১ আগস্ট ১৯৭১ নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে প্রায় ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেই মহাআয়োজন ইতিহাসের পাতায় 'দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' নামেই উজ্জ্বল হয়ে আছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্করের অনুরোধে তখন সেই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছিলেন দ্য বিটলস ব্যান্ডখ্যাত ব্রিটিশ সংগীত তারকা জর্জ হ্যারিসন। সেই ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই এবার আয়োজন করা হলো এ আয়োজন।
এরপর স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয় হবে। আর ইউএনডিপির সঙ্গে মিলে কাজটি করা হবে বলে জানান তিনি।
ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজিত গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্টে বিশ্ব দেখলো স্বাধীনতার অর্ধ শতক পর বাংলাদেশ এখন কোথায় দাঁড়িয়ে। উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয় দেশ-বিদেশের দর্শকদের সামনে। আয়োজিত এই কনসার্টে অংশ নেয় জার্মানির বিশ্ববিখ্যাত রক ব্যান্ডদল স্করপিয়ন্স আর বাংলাদেশের চিরকুট।
কনসার্ট উপলক্ষ্যে ২০ হাজার আসনবিশিষ্ট মিলনায়তনের অধিকাংশই পরিপূর্ণ ছিল। উচ্ছ্বাসে মেতে উঠা দর্শক সারিতে বেশিরভাগ ছিলেন আমেরিকান।
#
শহিদুল/নাইচ/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৪০
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন
---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পিরোজপুর, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, দরিদ্রের কষ্ট বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের শুকনা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নাজিরপুর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি দেশের একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না, একজন মানুষও দরিদ্র থাকবে না, একজন মানুষও অসহায় থাকবে না। শেখ হাসিনার মতো জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী অতীতে কখনো আসেনি। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার মতো জনবান্ধব সরকারপ্রধান আমরা বাংলাদেশে পেয়েছি বিধায় আজ দেশের কোথাও হাহাকার নেই, অভাব নেই, হতাশা নেই। চারদিকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্র মানুষকে স্বচ্ছল করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, স্থানীয় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৬৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১২৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ জন।
#
জাকির/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩২
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক বিস্ময়কর প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যকে তিনি তুলে ধরেছেন বিশ্বপরিমন্ডলে। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার, প্রবন্ধকার। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তিনি মানবতার জয়গান করেছেন। মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানবমুক্তি ছিল তাঁর জীবনবোধের প্রধানতম দিক। শুধু সাহিত্যসাধনা নয়, পূর্ববঙ্গের জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি দরিদ্র প্রজাসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও মানবিক বিকাশের জন্য তিনি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এসব প্রয়াসের মধ্যে তাঁর মানবহিতৈষী মন ও জনকল্যাণ চেতনার গভীর পরিচয় মেলে।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ বহুমুখী অবদান রেখে গেছেন। পূর্ববঙ্গের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের স্থাপিত হয়েছিল গভীর সম্পর্ক। এখনকার দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে তাঁর মাঝে মানবসমাজ সম্পর্কে নতুন উপলব্ধি জন্মেছিল। এ উপলব্ধি তাঁর সাহিত্যে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এজন্য পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। লালন ফকিরের গান তাঁকে পরিণত করেছে রবীন্দ্রবাউলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ এবং ধর্ম-বর্ণ-বিত্ত-লিঙ্গ নির্বিশেষে সর্বমানবের মুক্তির চেতনা রবীন্দ্রনাথকে অনন্য উচ্চতা দান করেছে।
রবীন্দ্রনাথ বাঙালির অমৃতসন্তান। তাঁর গান বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আমাদের প্রেরণাশক্তি। তাঁর গান, সাহিত্য ও কর্মচেতনা বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। পাকিস্তানবাদী সংস্কৃতির বিপরীতে রবীন্দ্রসাহিত্য ছিল আমাদের প্রধান অবলম্বন। রবীন্দ্রনাথ শেষ জীবনে ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে প্রাচ্যদেশ থেকে এক মহামানবের আগমন প্রত্যাশা করেছিলেন, যিনি সমস্ত সংকট-সমস্যায় হবেন কাণ্ডারি। তিনি আর কেউ নন-স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে মহান ভাবাদর্শে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ছিল অন্যতম। বঙ্গবন্ধু এ জন্যই রবীন্দ্রনাথের গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশে এবং জাতি হিসেবে সার্বিক মুক্তিচেতনায় তিনি আমাদের প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে গত দুই বছর রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা সম্ভব হয়নি। এবার সাড়ন্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে। ‘চির নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ’ বাঙালির অন্তরকে ছুঁয়ে যাক- এ আমার উদাত্ত আহ্বান।
আমি ‘১৬১তম রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/বিবেকানন্দ/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২২/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩৩
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন।
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীতস্রষ্টা। চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবেও রয়েছে তাঁর বিশ্বখ্যাতি। বাঙালি জাতীয়তাবোধের অন্যতম রুপকারও তিনি।
বাঙালির অস্তিত্ব ও চেতনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ মিশে আছেন ওতপ্রোতভাবে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠেছিল প্রেরণার উৎস। শাশ্বত বাংলার মানুষের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা অর্থাৎ সকল অনুভব বিশ্বস্ততার সঙ্গে উঠে এসেছে রবীন্দ্রসাহিত্যে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছাতেই রবীন্দ্রনাথের অনবদ্য সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ আমাদের জাতীয় সংগীত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংকট উত্তরণে প্রেরণা নিতেন রবীন্দ্র সাহিত্য থেকে। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন ১৯১৩ সালে, গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে। তিনিই প্রথম এশীয় হিসেবে বিশ্বসাহিত্যের এই সর্বোচ্চ স্বীকৃতিটি অর্জন করেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির বহুত্ববাদ, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস মতাদর্শ ও ইসলাম ধর্মের সুফিবাদ এবং বাংলার বাউলদের ভাববাদী চেতনার সমন্বয় সাধন করে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন।
বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন অহেতুক যুদ্ধ-সংঘাত, মৌলবাদের উত্থান, জাতীয়তাবোধের সংকীর্ণতা, শ্রেণিবৈষম্য, হানাহানি- এসবের কারণে রবীন্দ্রনাথ আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। রবীন্দ্রসাহিত্য আমাদের পাঠ করতে হবে প্রাত্যহিক জীবনবোধের আলোকে। তিনি তৎকালীন পূর্ববঙ্গে অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে আবির্ভূত হয়েছিলেন একজন সমাজসংস্কারক হিসেবে। তাঁর জমিদারির দরিদ্র প্রজাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, সমবায়নীতি ও কল্যাণবৃত্তি চালু করে তাদের ভিতর প্রণোদনা জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। তাঁর প্রবর্তিত সমবায় ব্যাংক, ক্ষুদ্রঋণের প্রচলন পরবর্তীকালে গ্রামীণ উন্নয়নে একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের তিনি একান্ত আপনজন। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে অবস্থানকালে এসব অঞ্চলের মাটি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শিলাইদহ ও পতিসর অঞ্চলেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’র সিংহভাগ এবং অসামান্য কিছু গান। বিশ্বকবির স্মৃতিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথের শিল্পীসত্তার সঙ্গে একাত্ম হয়েছে মানবিক সত্তাও। ফলে সাধারণ বাঙালির দুঃখ-বেদনার কথক হিসেবে যে রবীন্দ্রনাথকে আমরা পেয়েছি তা পূর্ববঙ্গেরই সৃষ্টি। এসবের পাশাপাশি মানুষের প্রত্যক্ষ কল্যাণ কামনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে ভেবেছেন। শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তিনিকেতন। সেইসঙ্গে তিনি পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। মানবতাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথ শিক্ষার ক্ষেত্রে চিরকাল বিশ্বের জানালাকে খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশায় সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে।
আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চণামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে।
জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রজয়ন্তীর এবারের আয়োজন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক, এটাই আমার প্রত্যাশা।”
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/বিবেকানন্দ/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২২/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৩৪
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৮ মে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ, যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে তা জিনগত কারণে সন্তানদের মধ্যে বিস্তার ঘটাতে পারে। এ জন্য পুরুষ বা মহিলা যে কেউ এ রোগের বাহক কি-না তা বিবাহপূর্ব পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা জরুরি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিন বাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও ভয়াবহ বংশগত রক্ত স্বল্পতার এ রোগটি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলা খুবই জরুরি।
থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়ার বিস্তাররোধে বাহকদের মধ্যে এবং আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তানধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমি সমাজের সচেতন নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আসুন, সবাই মিলে থ্যালাসেমিয়ামুক্ত বাংলাদেশ গড়ি- এটাই হোক এবারের বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের অঙ্গীকার।
আমি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
হাসান/বিবেকানন্দ/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২২/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩৫
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতা জনিত দুরারোগ্য ব্যাধি। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জিনবাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েরা তাদের বিবাহের পূর্বে এই রোগের জিনবাহক কিনা তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সারাদেশে হাসপাতালগু্লোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স সাপোর্টিং স্টাফ এর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত ১৩ বছরে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের মৃত্যু ও অনুর্ধ্ব-৫ বছর বয়সি শিশুমৃত্যু হার, অপুষ্টি, খর্বতা, কম-ওজন ইত্যাদি হ্রাসে ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (৪র্থ এইচপিএনএসপি) এর মোট ২৯টি অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় ২০১৭-২০২২ মেয়াদে সেক্টর ওয়াইড কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উক্ত কর্মসূচির আওতার মাধ্যমে মা ও শিশুর জন্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নতুন রোগ নিয়ন্ত্রণ, উন্নত ও দক্ষ ঔষধখাত এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হচ্ছে।
দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া এবং বাহকে-বাহকে বিয়ে প্রতিরোধের জন্য দেশের বাড়িতে বাড়িতে, মহল্লায় মহল্লায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি আমি সকল পেশাজীবী ব্যক্তি ও সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবো-ইনশাল্লাহ্।
আমি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/বিবেকানন্দ/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২২/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৩৬
বাংলাদেশে ডিজিটাল রুপান্তরকে শক্তিশালী করতে কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে জাতিসংঘ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
বাংলাদেশে উদ্ভাবনের সংস্কৃতি এবং ডিজিটাল রূপান্তরকে শক্তিশালী করতে ডিজিটাল কৌশলপত্র ২০২২-২৫ প্রণয়ন করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন