তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৯
বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যে গর্তেই পালিয়ে থাকুক, তাদের সাজা দেয়া হবে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা যে গর্তেই পালিয়ে থাকুক না কেন তাদেরকে খুঁজে বের করে সাজা কার্যকর করা হবে।
তিনি আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পথচলা ও প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘ একুশ বছরেও কোন সরকারই এই নৃশংস হত্যাকা-ের বিচারের জন্য কোন মামলা করেনি বরং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে রেখেছিল। শুধু তাই নয় হত্যাকা-ে জড়িতদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। খুনিদের বিদেশি মিশনে চাকুরি দিয়েছে। খুনের আলামত নষ্ট করেছে। এর ফলে খুনিরা বিদেশে শক্তভাবে শিকড় বেঁধেছে এবং তাদের ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার বন্ধ করতে যারা আইন প্রণয়ন করেছিল বাংলাদেশের জনগণ তাদের শাস্তি দেবেন বলে আমার বিশ্বাস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেবল আদালতে সবকিছুর বিচার হয় না। কিছু কিছু বিচার সমাজেও করতে হয়। কারণ সমাজেরও কিছু দায়িত্ব আছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার রহস্য উন্মোচনে আরো গবেষণা ও আলোচনা হওয়া উচিত।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত খুনি যাদের সাজা কার্যকর করা হয়েছে, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের জন্য আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, যারা পলাতক রয়েছেন, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের জন্য নতুন করে আইন প্রণয়ন করার প্রয়োজন নেই। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের জন্য আদালতের আদেশ রয়েছে এবং সে আদেশ অনুযায়ী কয়েকজনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । মন্ত্রী বলেন, জিয়া পরিবার জিয়াউর রহমান হত্যা মামলার বিচার চায় না, তার কারণ তারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তে এসেছে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে জড়িত ছিলেন কিন্তু তিনি মামলা দায়েরের আগেই মারা যাওয়ায় তাকে আসামী করা হয়নি।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি রাদুওয়ান মুজিব সিদ্দিক আলোচনায় অংশ নেন।
#
রেজাউল/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৮
সিজিএস সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করা হবে
ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ^ বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দিয়ে বাংলাদেশ আমদানি ও রপ্তানি নীতি গ্রহণ করে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডব্লিউটিও-এর দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণের জন্য পেপার লেস বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনের প্রস্তুতি চলছে। শ্রীলংকার সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিও-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন উন্নত দেশের দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ভলিউম বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশ চট্টগ্রাম, মংলা বন্দরের পাশাপাশি পানগাঁও ও পায়রা সমুদ্র বন্দর চালু করেছে, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ, ভূটান, ইন্ডিয়া, নেপাল (বিবিআইএন) এবং বাংলাদেশ, চীন, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার (বিসিআইএম) কানেকটিভিটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ইন রিজিওনাল ট্রেড এন্ড কানেকটিভিটি : এ পলিটিকো-ইকোনমিক অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মোট বিশ^ বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশের কম বাণিজ্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। বাংলাদেশের সাথে ভারত ও চীনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনেই মেশিনারিজ ও পণ্যের কাঁচামাল সেখান থেকে বেশি আমদানি করা হচ্ছে। আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চিলি, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নত বিশে^র অনেক দেশে বাংলাদেশ বেশি পণ্য রপ্তানি করে থাকে। যে সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বেশি তাও বলা উচিত। বাংলাদেশ সার্ভিস সেক্টর বাদে গত বছর প্রায় ৩৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করেছে। এ বছর ৩৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্ভিস সেক্টর মিলে মোট রপ্তানি ধরা হয়েছে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অন্য দেশকে কোন ধরনের বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে না। দেশের শিল্প সুরক্ষা দিয়ে বাণিজ্য করছে, এ নীতির ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সিমেন্ট, রড, পেপার, টিনসহ অনেক পণ্যের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। কাঁচাপাট রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের ওপর কাউন্টার ভেলিং ডিউটি আরোপ করেছে, কিন্তু কাঁচাপাট আমদানির ওপর কোন ডিউটি আরোপ করেনি। বাংলাদেশ সবসময় নিজেদের শিল্পের সুরক্ষা দিচ্ছে। আগামী ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বাণিজ্য সহজীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এম আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবীদ এম শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গেস্ট অভ্ অনার সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রেসিডেন্ট আ স ম আব্দুর রব, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন, এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ ইব্রাহীম, অ্যাম্বাসেডর আশফাকুর রহমান, বিআইআইএসএস-এর প্রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর মুন্সী ফয়েজ আহমেদ।
#
বকসী/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৭
টেকসই উন্নয়নের সাথে সমন্বয় করেই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়
---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের সাথে সমন্বয় করেই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বিদ্যুৎ ও গ্যাস প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সকল খাতের সাথেই জড়িত। তাই এর মূল্য বৃদ্ধি বা পরিবর্তনে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা, আয়-ব্যয় ও অবস্থান বিবেচনায় রাখা উচিত। এখন মানুষের আয় ১ হাজার ৬০০ ডলার হলেও উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই তা হয়তো ৬ হাজার ডলারে উপনীত হবে। তখন আরো বেশি মূল্য দিয়ে গ্যাস বা বিদ্যুৎ কিনতে জনগণের অসুবিধা হবে না। জনগণের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করেই সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, বাংলাদেশ (ঋঊজই) আয়োজিত “ঊঘঊজএণ ঞঅজওঋঋ অঘউ ঘঅঞওঙঘঅখ ঊঈঙঘঙগণ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পল্লী অঞ্চলে ৫০-এর অধিক মানুষ লাইফ লাইনে বসবাস করে। এদের কথা বিবেচনা করে এবং জনগণের আয়ের দিক লক্ষ্য রেখে সরকার ভরতুকি দিচ্ছে। প্রতিবছর বিদ্যুতের চাহিদা ১৬-২০ বাড়ছে। এ চাহিদা পূরণে পরিকল্পনাও পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার যে ভিশন সরকার দিয়েছে তা নির্ধারিত সময়েই বাস্তবায়িত হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম। কীভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয় বা করা উচিত, এখাতে ভরতুকি ও প্রয়োজনীয়তা, প্রাইস গ্যাপ, তেল ও গ্যাসের মূল্যের পূর্বাভাস, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেল ও গ্যাসের মূল্য, সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি ও নীতিসমূহ ইত্যাদি বিষয় তাঁর প্রবন্ধে উপস্থাপন করেন। তিনি এ সময় বলেন, আগামী ১০ বছরে গ্যসের মূল্য ৩ গুণ বাড়বে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সচেতন করা প্রয়োজন। সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তির চেয়ে আল্টসুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তিতে প্রতি ইউনিটে ৬০-৭০ পয়সা বেশি খরচ হয় এবং সাবক্রিটিকাল থেকে আল্টসুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তিতে
২০-৩০ বেশি বিনিয়োগ করতে হয়। তিনি এ সময় মানুষের, যন্ত্রের ও প্রযুক্তির দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মাঝে পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, ক্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ডঃ গোলাম মোয়াজ্জেম, ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম ও ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক সদরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৬
মিল্কভিটায় ব্যবস্থাপনা কমিটির দুর্নীতি ও সুপারিশসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেশের নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট):
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ মিল্কভিটায় বিগত ব্যবস্থাপনা কমিটির দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ওপর সুপারিশসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন এ প্রতিবেদন পেশ না করায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি আজ ঢাকায় সমবায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের বিরাজমান সমস্যাবলি ও করণীয় বিষয়ক এক মুক্তালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মাফরূহা সুলতানা, অতিরিক্ত সচিব ও এন সিদ্দিকা খানম, সমবায় নিবন্ধক মোঃ আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ
কোঅপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম প্রমূখ।
সভায় সমবায় সমিতিসমূহের গঠন, নিরীক্ষা, পরিদর্শন, তদন্ত, প্রশিক্ষণ, অপরাধ, দ-, সদস্য, নেতৃত্ব, অর্থ, হিসাব, জনসম্পৃক্ততা ও প্রতিবন্ধকতাসহ সমধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমবায়ভিত্তিক স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সমবায় সমিতি আইন ও নীতিমালা যুগোপযোগী করতে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। তৃণমূল হতে জাতীয় পর্যায়ের সমবায় সমিতির প্রতিনিধিসহ সমবায় খাতের সকল স্টেক হোল্ডারের মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে প্রাথমিক সমিতিসমূহের কর্মপরিধি ওয়ার্ড হতে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত থাকবে। সমবায় অধিদপ্তরে পৃথক পেশাদারিত্বের নিরীক্ষা বিভাগ থাকতে হবে, যা স্বাধীনভাবে সমিতির যেকোন অনিয়ম নিরীক্ষা করবে।
#
আহসান/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৫৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৫
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দিবে সরকার
---ত্রাণ মন্ত্রী
মেলান্দহ (জামালপুর), ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দিবে সরকার। এজন্য পর্যাপ্ত ঢেউটিন ও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।
তিনি আজ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার পাইলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্যাপ্লাবিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে একথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোস্তফা এসময় বক্তৃতা রাখেন।
ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, বন্যায় প্রচুর রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রাস্তাঘাট মেরামত করা হবে। এর ফলে গ্রামীণ পর্যায়ে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এসব কর্মসংস্থানের জন্য সরকার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করবে। ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ নিয়ে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। মানুষের কষ্ট দূর না হওয়া পর্যন্ত সরকার তাদের পাশে থাকবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, জামালপুরে এ পর্যন্ত ২ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চাহিদা থাকলে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাউকে না খেয়ে কষ্ট করতে দিবে না। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণসমাগ্রী পৌঁছানো নিশ্চিত করতে তিনি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
#
ফারুক/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৯ ঘণ্টা