Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ১১ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪৫১৩  

 

মোবাইল ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার

                                         - টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :     

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফিক্সড ইন্টারনেটের ন্যায় মোবাইল ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, ফিক্সড ইন্টারনেটের ‘একদেশ একরেট’ উদ্যোগের বাস্তবায়ন দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। আমাদের এই কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় একটি উদ্যোগ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে এবছর বাংলাদেশ অ্যাসোসিও বৈশ্বিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম আয়োজিত ‘রেজিলিয়েন্ট ইন্টারনেট ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট এন্ড স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

পৃথিবীতে এখন পঞ্চম শিল্পবিপ্লব চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৫ম শিল্পবিপ্লবে সংযুক্তির মহাসড়কের নাম ফাইভ-জি প্রযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথ বেয়ে আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশসহ ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক গড়ে তুলছি। ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক দিয়েই আমরা পঞ্চম শিল্পবিপ্লব করব। মন্ত্রী বলেন, অতীতের সকল পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে ডিজিটাল যুগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেট এখন মানুষের জীবনধারায় অনিবার্য একটি বিষয় হিসেবে জড়িয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে ইন্টারনেটের অবদান অপরিসীম। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের বিষয়ে রাজস্বের দিকে তাকালেই হবে না, সভ্যতার অগ্রগতির দিকে সবার আগে লক্ষ্য রাখতে হবে। ৪র্থ শিল্পবিপ্লব আমরা অতিক্রম করেছি, এখন আমাদের ৫ম শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি নিতে হবে।

গত ১৪ বছরে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার করতো মাত্র সাড়ে সাত লাখ মানুষ। বর্তমানে ৩ হাজার ৮৪০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথ ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ২৭ লাখ অতিক্রম করেছে। তিনি জানান ২০০৮ সালে দেশে মোবাইল সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো চার কোটি আর বর্তমানে ১৮ কোটি সিম ব্যবহৃত হচ্ছে।

বিআইজিএফ চেয়ারপার্সন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন, আইএসপিএব’র সভাপতি এমদাদুল হক, ঢাকা চেম্বার অভ্‌ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজুয়ানুর রহমান এবং বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমান।

 

#

শেফায়েত/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৬৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :৪৫১২   

 

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প থেকে শুধু বাংলাদেশই নয়, উপকৃত হবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া

                                                                            -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :     

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে; ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে। গত এক দশকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এবং আরো অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানাসির ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারে “পিএম গতি শক্তি মাল্টিমোডাল ওয়াটারওয়েজ সামিট-২০২২’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে, বিশেষ করে ভারতের সাথে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকতে চায়। সড়ক, নৌ ও আকাশ পথের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ আরো শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প-১ গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সাব-রিজিওনে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারব। সে লক্ষ্যে আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট, ট্রানজিট এবং সব ধরনের পণ্য ও কার্গোর আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য শুরু করেছি। ১৯৭২ সালে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর অধীনে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। পিআইডব্লিউটিটি’র অধীনে ১০টি রুট চালু রয়েছে; যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমাদের দেশে অধিকাংশ এলাকায় রেলপথ রয়েছে। ভারতেও বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ রয়েছে। বাংলাদেশ সকল উৎস থেকে সুবিধা নিতে টেকসই যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করতে চায়।

খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের কথা উল্লেখ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের শরণার্থীদের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের বস্ত্র, বাণিজ্য, শিল্প, কনঞ্জুমার্স এফেয়ার্স, খাদ‍্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রী পিযুষ গোয়াল, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়াল, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ সচিব ড. সঞ্জীব রঞ্জন, ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুর্বেদ, ইয়োগা ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানী, সিদ্ধাহ, হোমিওপ্যাথি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১-১২ নভেম্বর-২০২২ ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানাসিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

#

জাহাঙ্গীর/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৭১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৫১১

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর) : 

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৪৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪২৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৪ জন।

 

 

কবীর/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৫১০

 

গত ১৩ বছরে সাড়ে ৬৭ হাজার কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও নির্মাণ করেছে এলজিইডি

                                                              ---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন ও এসডিজি ২০৩০ অর্জনে স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। বিগত ১৩ বছরে এলজিইডি পল্লী এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৬৭ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছে। 

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ার সেরালে  জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে গ্রামীণ যোগাযোগ, পানীয় জল সরবরাহ ও চলমান উন্নয়ন বিষয়ক এক সভায় এসব কথা বলেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার আওতায় আনতে‌ ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫টি গ্রামকে পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বিগত ১৩ বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশব্যাপী প্রায় ৮ লাখ ২২ হাজার ৭২৫টি নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, বরিশাল জেলার প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন কাজ সফলভাবে চলছে। তিনি এসব কর্মসূচির সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সমন্বিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

 

#

আহসান/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৬৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৫০৯

 

আমরা দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি

                     -পরিকল্পনা মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সারা বিশ্বে এখন আমাদের প্রায় ১২ মিলিয়ন লোক কর্মক্ষেত্রে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে এবং জাতির জন্য সম্পদ তৈরি করে। তারা আমাদের জন্য বিশ্বের সাথে একটি সংযোগ সেতু খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা পরিবর্তন আনতে দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি এবং জনগণের সুবিধার জন্য প্রচুর বিনিয়োগ তহবিলও প্রদান করছি।

গতকাল ঢাকার বসুন্ধরার আইসিসিবি-তে ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) এর ৪৫তম আসরের ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আইসিপিসি নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ আলাউদ্দিন, আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস কনটেস্ট এর পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু  এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষুধা নিবারণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আইসিটি বিভাগের সাথে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজ করা যা আগামী দিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের হাতিয়ার হবে।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দ্রুত সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি লাভ করেছি। তিনি বলেন, মহামারীর আগে পর্যন্ত এক দশক ধরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬% এ  উন্নীত হয়েছিল এবং গত ১৩ বছরে মাথাপিছু আয় ৫০০ মার্কিন ডলার থেকে ২৮০০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

#

সোহাগ/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মানসুরা/২০২২/১১১৫ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৪৫০৮

নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর) : 

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১২ নভেম্বর ‘নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

‘‘নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি নৌ পুলিশের সকল সদস্যকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যগণ। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল বীর পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে সাইবার ক্রাইম, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মানি লন্ডারিং ইত্যাদি সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম একটি জনবান্ধব আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরণের সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে গত সাড়ে ১৩ বছরে পুলিশ বাহিনীতে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট, সাইবার ইউনিট, নৌ পুলিশ গঠনসহ ৬টি বিশেষায়িত ইউনিট, ৪টি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ৩টি র‌্যাব ব্যাটালিয়ন, ২টি রেঞ্জ, ২টি মেট্রোপলিটন পুলিশ, ৬৩টি থানা, ৯৫টি তদন্ত কেন্দ্র এবং ৩০টি ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার গঠন করা হয়েছে। একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার লক্ষ্যে পুলিশের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে জনবল ও বাজেট বৃদ্ধিসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশের প্রায় সকল ইউনিটের কাঠামো সংস্কারসহ মোট ১ হাজার ৫২৯টি ক্যাডার পদসহ সর্বমোট ৮২ হাজার ৯২৭টি পদ সৃজন করা হয়। বিশ্বায়নের ও ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে অপরাধীরা সহজলভ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও সর্বদা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে অপরাধকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে দ্রুত বিস্তৃত করছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ প্রতিরোধ ও অপরাধ উদ্ঘাটন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য পুলিশ কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়কে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে।

২০১৩ সালে নৌ পুলিশ প্রতিষ্ঠিার পর থেকে সীমাবদ্ধ অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার মধ্য দিয়েই এই ইউনিট পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বর্তমানে নৌ পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌ পথের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করার পাশাপাশি নদীতে বিদ্যমান জাতীয় সম্পদ মা ইলিশ, জাটকাসহ অন্যান্য জলজ সম্পদ সংরক্ষণ, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং নদী দূষণ প্রতিরোধ ও নাব্যতা রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমি আশা করি, আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান লাভের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতাকে উন্নতিসাধন করে সেবা প্রদানের দৃঢ় মনোবল নিয়ে নৌ পুলিশ জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

নৌ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি।

আমি নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

                                                                                                        জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

                                                                                                        বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরুল/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/ইমা/২০২২/১০০০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৫০৭

নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী  

ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :  

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১২ নভেম্বর নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি নৌ পুলিশের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ দেশের সর্ববৃহৎ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২৫শে মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ এ বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আমি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নৌ পথের গুরুত্ব অপরিসীম। গণ পরিবহণ, পণ্য পরিবহন ও মৎস্য আহরণসহ বিভিন্ন কাজে অভ্যন্তরীণ নৌ পথের ব্যবহার বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে নৌ পুলিশ ইউনিট যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে অদ্যবধি নৌ পথে নিরাপত্তা বিধানসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ, নদী দূষণ প্রতিরোধ ও অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় নৌ পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং নৌ সম্পদ সুরক্ষার মাধ্যমে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে নৌ পুলিশ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে – এটাই সকলের প্রত্যাশা।

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে জনসেবা নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের বিকল্প নেই। আমি আশা করি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নৌ পুলিশ আরও জনঘনিষ্ঠ ও জনবান্ধব হয়ে উঠবে।

আমি নৌ পুলিশের অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

#

হাসান/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মানসুরা/২০২২/১০০০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

2022-11-11-13-22-c0a0ed2e3ab9185795b4492942d83ab6.docx