তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮৪
মাছ উৎপাদনে ড়্গতিকর বিষ ও রাসায়নিক দ্রব্য
প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে
-- মৎস্য প্রতিমন্ত্রী
ডুমুরিয়া (খুলনা), ৬ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মাছ উৎপাদনে ড়্গতিকর বিষ ও রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। বর্তমান সরকারের সঠিক পদড়্গেপের ফলে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স'ান অর্জন করেছে। মৎস্যচাষ আরো বৃদ্ধি করতে তিনি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় নবনির্মিত মৎস্যভবন কাম ট্রেনিং সেন্টার এবং তিন দিনব্যাপী গলদা চিংড়ি চাষে নার্সারি ব্যবস'াপনা বিষয়ক প্রশিড়্গণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদনে সঠিক মান বজায় রাখতে হবে। দেশের জনসাধারণের নিরাপদ ও সহজলভ্য প্রাণিজ আমিষের যোগানে মৎস্যখাতের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস'ান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যবিমোচনে মৎস্যখাত অসামান্য অবদান রাখছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য মৎস্যখাতের সকল সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার প্রয়োজন। চিংড়িশিল্পের উন্নয়নে আইন ও বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে তিনি তাগিদ দেন।
খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. মনিরম্নজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আলী মুনসুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা, মৎস্য স'াপনা প্রকল্প পরিচালক মো. জাকির হোসেন এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হরেন্দ্রনাথ সরকার বক্তৃতা করেন
পরে প্রতিমন্ত্রী ডুমুরিয়ায় নবনির্মিত আরজি বড়বাড়ী জামে মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এছাড়া, প্রতিমন্ত্রী ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ানত্ম খেলায় বিজয়ী দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
সুলতান/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮৩
কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প শুরু
কলকাতা (ভারত), ২০ নভেম্বর :
কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প আজ বাংলাদেশ উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার জকি আহাদ এর সভাপতিত্বে আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধনীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু, বাংলাদেশের চিত্রশিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী এবং ভারতের চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। ভারত ও বাংলাদেশের ২২ জন চিত্রশিল্পী এ আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে এ আর্ট ক্যাম্পের মাধ্যমে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় আরো সুদৃঢ় হবে। তিনি আরো বলেন, মানবিক ও আত্মিক বন্ধন যত গভীর হবে পৃথিবী থেকে সন্ত্রাস তত তাড়াতাড়ি নির্মূল হবে এবং মানুষের মধ্যে মানবতাবোধ বৃদ্ধি পাবে।
আর্ট ক্যাম্পে বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম, আবুল বারক আলভী, শেখ আফজাল, কালিদাস কর্মকার, মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ ইউনুস, রণজিৎ দাস, বিশ্বজিৎ গোস¦ামী ও ওয়াকিলুর রহমান।
ভারতীয় চিত্রশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন গণেশ হালুই, সনৎ কর, ধীরাজ চৌধুরী, মাহজেবিন মজুমদার, অশোক ভৌমিক, শিবপ্রসাদ কর চৌধুরী, জয়া গাঙ্গুলী, জয়শ্রী চক্রবর্তী, অমিতাভ সেনগুপ্ত, রিনি ধুমাল ও
পি ভি ধুমাল।
#
মোফাফখারুল/মিজান/মোশারফ/আব্বাস/২০১৫/২০৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮২
বাংলাদেশে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনে সহযোগিতা দেবে চীন -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
বাংলাদেশে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনে সহযোগিতা দেবে চীন।
আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে পার্টনার্স ইন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) এর কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াং পেইঅ্যান (ডধহম চবরধহ)।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদার। নতুন দু’টি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিকমানের বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয়ক্ষেত্রেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী চীনে মেডিক্যাল শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অনেক চিকিৎসক প্রশিক্ষণের জন্য চীনে যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীন সরকারের পক্ষ থেকে স্কলারশিপ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ চীনে ওষুধ রপ্তানি করতেও আগ্রহী বলেও জানানো হয়েছে। চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব বিষয় বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া, বাংলাদেশে স্থাপিত পিপিডি হেডকোয়ার্টার নির্মাণে চীন আর্থিক সহায়তা দেবে।
মোহাম্মদ নাসিম চীনকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগখাতসহ বিভিন্ন খাতে চীন যে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে তা আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। এদেশের স্বাস্থ্যখাতে চীনের সহায়তা কীভাবে আরো বাড়ানো যায় তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বৈঠকে।
এর আগে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত প্রকাশ নাড্ডা (ঔধমধঃ চৎধশধংয ঘধফফধ) এর সাথে অপর একটি বৈঠকে মিলিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের সময় এদেশের স্বাস্থ্যখাতে ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশে চারটি মেডিকেল কলেজ করার জন্য সেই ঋণ থেকে একটি অংশ চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সিং পেশায় উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে। এছাড়া, আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যৌথ কার্যকমিটির প্রথম সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮১
ঢাকার উত্তরায় এনবিআর চেয়ারম্যানের কর মেলা পরিদর্শন
ঢাকা, ৬ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
শীতকালীন জাতীয় আয়কর মেলার দ্বিতীয়দিনে আজ অভ্যনত্মরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান ঢাকার উত্তরায় কর অঞ্চল-৯ আয়োজিত কর মেলা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আদায়ের জন্য কর প্রশাসনকে সর্বদা করদাতাদের সাথে বন্ধুসুলভ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। কর প্রশাসন সর্বদা জনবান্ধব। কর প্রদান যে ভয়-ভীতির ব্যাপার নয় সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। এড়্গেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানারকম কর্মসূচি পালন করে আসছে। সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে করদাতাদের সেবাদান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস'াপনা) মো. আব্দুর রাজ্জাক, সিআইসির মহাপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন, কর কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন এবং আতিয়ান নাহার এসময় উপসি'ত ছিলেন।
কর মেলায় প্রায় ১০ হাজার করদাতাসহ কর প্রদানে উৎসাহী ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন বিষয়ে কর পরামর্শ নেন। একই সাথে তাৎড়্গণিকভাবে অনেকেই ই-টিআইএন গ্রহণ করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান শীতকালীন এই মেলায় নানা শ্রেণিপেশার মানুষের উপসি'তিতে সনেত্মাষ প্রকাশ করেন।
#
তামিম/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮০
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টানত্ম হয়ে থাকবে
-- স্পিকার
ঢাকা, ৬ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টানত্ম হয়ে থাকবে।
স্পিকার আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের ৭০তম বার্ষিকী উপলড়্গে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘‘যুদ্ধাপরাধের বিচার : নুরেমবার্গ থেকে ঢাকা’’ শীর্ষক আনত্মর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার দেশে আইনের শাসনকে আরো সুদৃঢ় করবে এবং দেশের মানুষকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। এ বিচার বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙড়্গা। এই বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে এবং মানুষের আকাঙড়্গা পূরণ হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
স্পিকার নুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথা উলেস্নখ করে বলেন, মানবজাতির ইতিহাসে নৃশংস গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। সেই অপরাধের বিচার ন্যায়বিচারের ড়্গেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি সৈয়দ আমিরম্নল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলায়েভ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির এবং আমেরিকান এসোসিয়েশন অভ্ জুরিস্টস, কানাডা চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি এটর্নি উইলিয়াম পি সেস্নান বক্তব্য রাখেন ।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, আইসিটি’র প্রসিকিউটর এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এবং শহীদ ডা. আলিম চৌধুরীর কন্যা
ডা. নুজহাত চৌধুরী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
#
শিবলী/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৯
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
কলম্বো (শ্রীলংকা), ২০ নভেম্বর :
শ্রীলংকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী রাণিল বিক্রেমেসিংহে (জধহরষ ডরপশৎবসবংরহমযব) এর সাথে গতকাল শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘টেম্পল ট্রী’-তে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি শ্রীলংকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বিক্রেমেসিংহের রূপকল্প ও অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াসে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নৌপরিবহণ, মৎস্য, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রসমূহের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। হাইকমিশনার বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে উলেস্নখ করেন এবং সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলের প্রবেশপথ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে শ্রীলংকার নিবিড়তর অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ার গুরম্নত্ব তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বিক্রেমেসিংহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর শুভেচ্ছা ব্যক্ত করেন। ইউনেস্কো’র কার্যনির্বাহি বোর্ডের সদস্য নির্বাচনে শ্রীলংকার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীরতর করায় হাইকমিশনারের প্রচেষ্টায় তাঁর সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সনেত্মাষ প্রকাশ করে তিনি অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও জাতিগত উৎসের ওপর প্রতিষ্ঠিত দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান নৈকট্যবোধকে অধিকতর অর্থপূর্ণ সহযোগিতার পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। দ্বিপাক্ষিক ছাড়াও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটেও বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুসংহত করার প্রতি তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় এবং পরামর্শ সংক্রানত্ম বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস'ার নিয়মিত অধিবেশন আয়োজনের ওপর গুরম্নত্বারোপ করা হয়। প্রক্রিয়াধীন বিভিন্ন চুক্তির খসড়াসমূহ চূড়ানত্মকরণের বিষয়টিও আলোচনায় গুরম্নত্ব পায়।
#
মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৮
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৬ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৫ উপলড়্গে আমি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আনত্মরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ঐতিহাসিক এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সশস্ত্র সকল শহিদের প্রতি যারা দেশমাতৃকার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাঁর দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য।
আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ২১শে নভেম্বর বিশেষ গৌরবময় স'ান দখল করে আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরম্নদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন। ঐক্যবদ্ধ এই আক্রমণের মুখে দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। ১৬ই ডিসেম্বর হানাদার পাকিসত্মানী বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা চূড়ানত্ম বিজয় অর্জন করি। আমরা পাই স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ; নিজস্ব পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১শে নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়।
স্বাধীনতার পর যুদ্ধ-বিধ্বসত্ম দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি জাতির পিতা একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরম্ন করেন। সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আমর্ড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরও অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈসা খাঁ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোশস্নাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য দু’টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়। যেগুলো প্রায় ৪০ বছর পর আজও চালু আছে। একইভাবে বিমান বাহিনীর জন্য বঙ্গবন্ধু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গিবিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহণ বিমান ও র্যাডার সংগ্রহ করেন। তাঁর হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনী আজ পেশাদারিত্ব ও দড়্গতার স্বাড়্গর রাখছে দেশ ও বিদেশের সকল কর্মকাে-।
জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শানিত্মরড়্গা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আনত্মর্জাতিক পরিম-লে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।
আমি আশা করি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাবেন।
আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৫ উপলড়্গে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
মিনা/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৭
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৬ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
‘‘একুশে নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’। এ উপলক্ষে আমি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আনত্মরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
আমি এ দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সমগ্র জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। এ দিনে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোসত্মফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ মো. রম্নহুল আমিন, ইআরএ-১, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে, যাঁরা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য শাহাদত বরণকারী মুক্তিযোদ্ধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং যুদ্ধাহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর উপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। ফলশ্রম্নতিতে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী একটি উঁচু পেশাদার, দক্ষ ও সুশৃঙ্খল বাহিনী। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও জাতিগঠনমূলক কর্মকা-ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শানিত্মরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এ দায়িত্ব পালনকালে অনেক সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন। আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকার ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এর ফলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে জনবল, স'াপনা, আধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাসত্মবায়িত হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এসব কর্মসূচি সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। যেকোন বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস'া, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাঁদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সকল সদস্য ও তাঁদের পরিবারবর্গের সুখ, শানিত্ম ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০১ ঘণ্টা