তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫২৩
রোহিঙ্গাদের জন্য মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করলেন সেতুমন্ত্রী
টেকনাফ (কক্সবাজার), ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
টেকনাফের লেদায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ছয় হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ ও দু’টি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
উদ্বোধনকালে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের যথাযথ মর্যাদাসহ নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে সোলার লাইট স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের পাশাপাশি বন্ধুদেশ হিসেবে চীন এবং রাশিয়াও ইতোপূর্বের অবস্থান থেকে ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন। উদ্বোধনকৃত মেডিকেল ক্যাম্প দু’টিতে ২২ জন ডাক্তার এবং প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের চিকিৎসা সামগ্রী ও ঔষধপত্র রয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেলে কুতুপালং ২য় রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ ও টিউবওয়েল বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। সিভিল প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বলে এসময় তিনি জানান।
রোহিঙ্গাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে কেন সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক আচরণ এবং উদার আতিথেয়েতার জন্য রোহিঙ্গাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক এনমুল হক শামীম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়েজ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫২২
আগামীকাল বিশ^ বসতি দিবস
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
আগামীকাল সোমবার বিশ^ বসতি দিবস। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ^ বসতি দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৮৫ সালে এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ১৯৮৬ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বেও সাথে বিশ^ বসতি দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছরে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে গৃহায়ন নীতিমালা : সাধ্যের বসতি (ঐড়ঁংরহম চড়ষরপরবং : অভভড়ৎফধনষব ঐড়সবং.)।
বিশ^ বসতি দিবস উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, উদ্বোধন অনুষ্ঠান, সেমিনার, ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ ইত্যাদি। সকাল ৭টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হবে। এরপর সকাল ৯টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এছাড়াও বিকেল ৩টায় গণপূর্ত ভবন সম্মেলন কক্ষে ‘মানব বসত, ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেনিমারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নগর গবেষণা কেন্দ্রের সচিব ড. নূরুল ইসলাম নাজেম।
#
কিবরিয়া/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :২৫২০
বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিনিয়োগকারীদের শিক্ষা ও সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো ২-৮ অক্টোবর ‘‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’’ (ডড়ৎষফ ওহাবংঃড়ৎ ডববশ ২০১৭) পালন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ঝবপঁৎরঃরংব ঈড়সসরংংরড়হং (ওঙঝঈঙ) সারাবিশ্বে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই প্রথম ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ কর্মসূচি’ ঘোষণা করেছে। বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭ এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিনিয়োগ শিক্ষা ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা। পুঁজিবাজারের সম্প্রাসারণে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিশেষত প্রথম বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকায় প্রায়শ বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। অনেকে বিনিয়োগ করে সর্বস¦ান্ত হয়ে পড়েন। পুঁজি বাজারে বিনিয়োগকারীদের স¦ার্থরক্ষায় দিবসটি পালন যথার্থ বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিনিয়োগকারীদের স¦ার্থরক্ষা ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে তারা পুঁজিবাজারে অধিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নতুন আইন প্রণয়ন ও বিদ্যমান আইন যুগোপযোগীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সুচিন্তিত বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে তোলার জন্য দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।
ওঙঝঈঙ ঘোষিত বিনিয়োগকারী সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং একইসাথে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নয়নের কার্যক্রম গতিশীল হবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের স্বয়ংক্রিয় অংশগ্রহণে বাংলাদেশে ‘‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭’’ সফলভাবে পালিত হবে বলে আমি আশাবাদী।
আমি ‘‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭’’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :২৫১৮
বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘প্রতি বছরের মতো এ বছরও বাংলাদেশে জাতিসংঘ ঘোষিত “বিশ্ব বসতি দিবস’’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত ।
আবাসন মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর অন্যতম। বর্তমান সরকার সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য বসতি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের আর্থ-সামাজিক কাঠামো, জমির অপ্রতুলতা, বর্ধিঞ্চু জনসংখ্যা, নগরায়ন ও শিল্পায়ন বিবেচনায় নগর, শহর, গ্রাম নির্বিশেষে প্রতিটি জনবসতিতে পরিকল্পিতভাবে আবাসন এখন সময়ের দাবি। আবাসন নির্মাণে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার যাতে নিশ্চিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়াও বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিকম্প ইত্যাদি ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান মাথায় রেখেই টেকসই গৃহনির্মাণ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। ফলে উন্নত আবাসনের চাহিদাও বাড়ছে। আবাসনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক খুবই নিরিড়। তাই আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নকালে পরিবেশের বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার পাশাপাশি নাগরিকের সামর্থ্যের বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছর বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য “গৃহায়ন নীতিমালা : সাধ্যের আবাস” (ঐড়ঁংরহম চড়ষরপরবং : অভভড়ৎফধনষব ঐড়সবং) যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। সকলের সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ বসতি নিশ্চিত হোক-এ প্রত্যাশা করি।
বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯১৪ ঘণ্টা
Handout Number :2517
PM Message on the National Productivity Day
Dhaka, 1 October :
Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of the National Productivity Day-2017.
"I am happy to learn that National Productivity Organisation (NPQ) is going to observe 'National Productivity Day' in the country on 2nd October, 2017.
The importance of productivity is immense in national economy. Productivity plays a significant role for socio-economic development of the country. It is the key to improving the sustainable development of the country as well as people's livelihood.
Our government has been working relentlessly to turn Bangladesh into a middle income countiy by 2021 and developed and prosperous one by 2041. To achieve this goal, it is inevitable to improve productivity in all sectors. For this reason, awareness on productivity among the mass people is required.
I hope through observing the day, productivity concept would gain popularity among the people.
I wish the programs on the day a great success.
Joi Bangla, Joi Bangabandhu
May Bangladesh Live Forever."
#
Emrul/Selim/Mosharaf/Abbas/1822 Hours
Handout Number : 2516
President Message on the National Productivity Day
Dhaka, 1 October :
President Md. Abdul Hamid has given the following message on the occasion of the National Productivity Day-2017.
"I am delighted to know that National Productivity Organisation (NPO) is going to observe the National Productivity Day throughout the country on 2nd October.
There is no alternative to increase productivity for economic stability, sustainable development and growth. Productivity plays a vital role in developing standard of living of people along with the socio-economic development of a country. Therefore, I believe, it is inevitable to increase productivity at all sectors of the economy. The process of globalization has created a tough competition in commercial venture of products and services. In this competitive world, it is important to ensure optimum quality of goods and services for sustainable development. In this regard, NPO has been implementing various training programmes & awareness campaigns for improvement of productivity in different organizations of agricultural, industrial and service sectors.
Bangladesh has embarked upon a remarkable journey towards development and prosperity along with attaining just and equitable society due to manifold pragmatic and welfare activities taken by the Government. For this, on the one hand the per capita income, standard of living, life expectancy etc. has been increasing and on the other the rate of poverty has gradually been decreasing. The Government has set `Vision 2021' and `Vision 2041' in order to transform Bangladesh into a prosperous and developed country. Apart from implementing Visions, the Government is pledge-bound to materialize the targets of Sustainable Development Goals by 2030. To achieve these goals, it is essential to accelerate the development paces along with increasing productivity. I believe that the observance of the National Productivity Day will play a supportive role in this regard. It is also important to come forward with a view to increasing productivity both from owners and workers, officials and staff and NPO.
I wish the observance of the National Productivity Day-2017 a grand success.
Khoda Hafez, May Bangladesh Live Forever."
#
Azad/Selim/Mosharaf/Abbas/1802 Hoursতথ্যবিবরণী নম্বর :২৫১৫
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর উদ্যোগে দেশে ২রা অক্টোবর ২০১৭ ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
জাতীয় অর্থনীতিতে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম। উৎপাদনশীলতা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নের গতিকে ত¦রান্বিত করে। এটি দেশের টেকসই উন্নয়ন তথা জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি।
আমাদের সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সকল খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এজন্য সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
আমি আশা করি, দিবসটি পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে উৎসাহিত হবেন।
আমি এ দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।‘
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :২৫১৪
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) দেশব্যাপী জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই অর্থনীতির সকল খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য বলে আমি মনে করি। বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া দ্রব্য ও সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ব্যাপক প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করেছে। তাই অবাধ প্রতিযোগিতামূলক বর্তমান বিশ্বে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দ্রব্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করা। এনপিও এ গুরুত্ব উপলব্ধি করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, যা খুবই সময়োপযোগী।
সরকারের জনকল্যাণমুখী নানা কর্মসূচির কারণে দেশ ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনসহ সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের মাথাপিছু আয়, জীবনযাত্রার মান, আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পাচ্ছে; হ্রাস পাচ্ছে দারিদ্র্য। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকার ‘ভিশন-২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ ঘোষণা করেছে। তা ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার চ্যালেঞ্জ অর্জনেও সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে সকল সেক্টরে উন্নয়ন বেগবান করা আবশ্যক। উৎপাদনশীলতা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। জাতীয় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হলে এনপিও’র পাশাপাশি মালিক-শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস সফল হোক-এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫১২
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৭’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুর প্রতি রইলো আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই ন্যস্ত হবে আগামী দিনের নেতৃত্ব। তারাই ভবিষ্যতে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এ জন্য তাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুরা ¯েœহ-মমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনের বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ব হয়ে উঠবে সুন্দর ও শান্তিময়। বিশ্ব শিশু দিবস ২০১৭ এর প্রতিপাদ্য “শিশু পেলে অধিকার, খুলবে নতুন বিশ্বদ্বার” অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। এগুলো শিশুর অধিকার। বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ এ সনদে অনুস্বাক্ষরকারী একটি দেশ। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর জীবন ও জীবিকা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর পাশাপাশি প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ ও ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’। এসব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ।
আমাদের স্বপ্ন শিশুর বাসযোগ্য বিশ্ব বিনির্মাণ। শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। আমি আশা করি শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস ২০১৭ উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু ¯েœহ-মমতা ও নিরাপদে বেড়ে উঠুক-বিশ্ব শিশু দিবসে এ আমার একান্ত প্রত্যাশা।
আমি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৭’-এর সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৭ ঘণ্টা