Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৯ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                       নম্বর : ২৫২৬

 

ময়মনসিংহ বিভাগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

 

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :    

 

            ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

            ময়মনসিংহ বিভাগের আওতাধীন ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা হতে পাঠানো পৃথক বিবরণীতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে।

            ময়মনসিংহ জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৭০ হাজার ৮৭৮টি পরিবারের ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯০ জন মানুষ। ময়মনসিংহ মহানগর এলাকার জন্য ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা ১ হাজার ২৫০টি পরিবারের ৬ হাজার ২৫০ জন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৮টি পরিবারের ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪০ জন মানুষ।

            ময়মনসিংহ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৩ লাখ টাকা নগদ অর্থের মধ্যে ২ লাখ টাকা ৪০০ টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ মহানগরী এলাকায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থের পুরোটাই ৩ হাজার ৭৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় গোখাদ্যের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। উল্লেখ্য, ৩৩৩ এর মাধ্যমে মোট উপকারভোগী পরিবার ৬১৫টি।

            জামালপুর জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে, উপকারভোগীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ৩০০টি পরিবারের ১ লাখ ৭৩ হাজার ২০০ জন মানুষ। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১৩ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৭৩টি পরিবারের ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯২ জন মানুষের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া জামালপুর জেলায় শিশু খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৩৩৩ এর মাধ্যমে মোট উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৪৯২টি।

            নেত্রকোনা জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৩লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ১০১ টি পরিবারের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭০৯ জন মানুষ। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে । ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৪টি পরিবারের ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭০ জন মানুষের মাঝে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া, শিশু খাদ্য হিসেবে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়, যার মধ্যে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১ হাজার ৩৪০।  

            গোখাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। ১৯০ জন গৃহস্থের মাঝে গোখাদ্যের এ অর্থ বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৩৩৩ এর মাধ্যমে জেলায় মোট সেবা গ্রহীতার পরিবার সংখ্যা ৮০টি।

            শেরপুর জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৫১৭টি পরিবারের ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৪০ জন। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার মধ্যে পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী ৮৪ হাজার ৯৫৯টি পরিবারের ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৫ জন।

            এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৮০২। গোখাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা ৯৮টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ।

#

মাহমুদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২২৪০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ২৫২৫

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

 

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :  

            চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

            চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৮৭৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার পুরোটাই এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩১টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭ হাজার ৬২৫টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৬১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২৩৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার ৬০৫টি পরিবার।

            কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি
২ কোটি ১৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ৪৪ হাজার ২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৭ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ পেয়েছে আরো ১ হাজার ৩৬৮টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ হাজার ৫২২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩১৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩১ হাজার ৬০০ পরিবার ও ১ লাখ ২৩ হাজার ২৪০জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৩১ হাজার ৫০২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৩ লাখ টাকা ৬০০টি প্রান্তিক পরিবার ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৩ লাখ টাকা ৬০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

            খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৯০০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ৩৮০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই ৩৩ হাজার ২৬৭টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০৪টি পরিবার।

            বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১৭ হাজার ৪১৪টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার পুরোটাই এ যাবৎ ৫৯ হাজার ৮২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১ হাজার ৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

            লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার গৃহীত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩৪ হাজার ৪৯৭টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৭৫ হাজার ৫৯টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৫ জন প্রান্তিক মানুষ। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ লাখ টাকা ৪০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে। লক্ষ্মীপুর জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১ হাজার ২০০ প্যাকেট ১ হাজার ২০০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

            নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৬০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার পুরোটাই অদ্যাবধি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬১৫টি পরিবার। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১ হাজার ৮০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ১ হাজার ৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

            ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ২৩ হাজার ৮০১টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই ৩৬ হাজার ৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।

            কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা ১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৯টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার পুরোটাই ১ লাখ ৯১ হাজার ১৪০টি প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৪২ লাখ টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ৬ হাজার ৭১৮টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫০৮টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১ হাজার প্যাকেটের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্যাকেট ১৫৪ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার ৯৫৮টি পরিবার।

            চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ৫ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ১ লাখ ২০৯টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ  ১ হাজার ২২৫টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫টি পরিবার।

            ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ৫৮ হাজার ৭৪৬টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৩৫টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৩১১টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।

   #

ফয়সল/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/২২৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২৫২৪

 

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল

নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করলেন এফএও মহাপরিচালক

 

রোম (ইতালি), ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :  

        বিশ্বের শীর্ষ দশটি জনবহুল দেশের একটি হওয়ার পরও বাংলাদেশের ১৬৫ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর মহাপরিচালক (Qu Dongyu)। ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক গতকাল এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন আমরা বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি, কারণ তাদের সমাধানগুলো সাশ্রয়ী এবং বাস্তবায়ন সহজ।

          রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান এফএও -এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তাঁর উচ্চ ধারণার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরো দক্ষ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন।

          ৪০ বছরের অধিক সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষিখাতের রূপান্তরিত পরিকল্পনায় এফএও-এর সক্রিয় সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

          রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেসিসট্যান্স বিষয়ক একক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কো-চেয়ার হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করায় মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান এবং এক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধকল্পে আঞ্চলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

          বাংলাদেশ গত প্রায় চার বছর ধরে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারনে আশ্রয় প্রদান করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আয় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফএও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্যে ধন্যবাদ জানান।

          বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এফএও আঞ্চলিক সম্মেলনে (৮-১১ মার্চ ২০২২) অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে মহাপরিচালককে আমন্ত্রণ জানান যা তিনি সাদরে গ্রহণ করেন।

          পরিশেষে, বাংলাদেশ এবং এফএও আগামী দিনগুলোতে পৃথিবীব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবিলার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানটি জুম প্লাটফর্মে অনু্ষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর ও রোমভিত্তিক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মানস মিত্র এবং কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এবং এফএও থেকে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

   #

সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/২২১৬ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                     নম্বর : ২৫২৩

 

মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কার্যক্রম বাড়াতে হবে

                                                   ----বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
 

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :    

 

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কার্যক্রম বাড়াতে হবে।  ২০৪১ সালের বাংলাদেশে এমন দক্ষ কর্মীবাহিনী প্রয়োজন, যাদের দলগত  কার্যক্রম হবে  সুসংগঠিত ও সুপরিকল্পিত।

          প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত ‘লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ফর পাওয়ার সেক্টর অর্গানাইজেসন্স’ শীর্ষক ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে আধুনিক প্রযুক্তিবান্ধব বিদ্যুৎ খাত গঠিত হচ্ছে। এখাতে নেতৃত্ব দিতে হলে নিজেদেরকেও আধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। সেজন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ভিতর থাকা বাঞ্ছনীয়। এসময় তিনি সকল কর্মকর্তাকে গ্রাহকবান্ধব হয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে  গ্রাহকের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সেবা প্রদানে আন্তরিক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

          কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য নেতৃত্বের উন্নয়ন ও বিকাশে বিদ্যুৎ বিভাগের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিপিএমআই নিয়মিত যে  প্রশিক্ষণ কর্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তার আওতায় প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, ডিজিএম পর্যায়ের  মোট  ৫০ জন কর্মকর্তা নিয়ে ১২ দিনব্যাপী (সপ্তাহে ৩ দিন) ১০ম ব্যাচের প্রশিক্ষণ কোর্সটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

          ভার্চুয়াল এই সমাপনী অনুষ্ঠানে বিপিএমআই-এর রেক্টর মোঃ মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবসরপ্রাপ্ত) সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

 

#

আসলাম/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২২১২ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৫২২

নিজের দলে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করুন -বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :  

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বিএনপি ও তার মিত্রদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন 'আপনারা সবসময় সবদলকে ঐক্যবদ্ধ হবার কথা বলেন, কিন্তু নিজের দলের মধ্যেই ঐক্য নেই। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো সবদলের ঐক্য নয়, আগে নিজের দলে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করুন।'

          আজ চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। 

          মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির নেতারা নাকি বলেছেন অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সবদলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে বিএনপির জন্মটাই অগণতান্ত্রিক ও অবৈধভাবে, যেটা হাইকোর্টের রায়েও বলা হয়েছে, তারা আবার অপরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এটি সত্যিই হাস্যকর।' 

          নিজ উপজেলার উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, 'আমাদের রাঙ্গুনিয়াতেও দেখুন, বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত। কেন্দ্রীয়ভাবেও বিএনপির এক নেতা এক কথা বলে, কিছুক্ষণ পর আরেক নেতা আরেক কথা বলেন, এইভাবে তাদের নিজেদের মধ্যেও ঐক্য নাই। আবার তারা সবদলের ঐক্যের কথা বলে।'

          তিনি বলেন, 'তাদের জোটভুক্ত একটি দল আছে যার নাম তারা দিয়েছে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’। অর্থাৎ ঐক্য নাই বলে ঐক্য প্রক্রিয়া চালাতে চান তারা। সুতরাং বিএনপি ও তার মিত্রদের এসমস্ত বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো আগে নিজের দলের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করুন, আমরাও চাই আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন এবং আমাদের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনাও করুন।'   

          'জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'দেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে, খাদ্যঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যউদ্বৃত্তের দেশ হয়েছে; একইসাথে এই করোনাকালেও দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, পাকিস্তানকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে এখন আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে, ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য বিএনপিসহ তার মিত্ররা সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে লজ্জা লাগলেও দেশ ও দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাতে পারতেন, তারা সেটিও করেননি।'

          রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উত্তর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

  #

আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/২১০৬ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                নম্বর : ২৫২১

টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গবেষকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল), ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :    

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে দেশে কৃষি উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর যেখানে ১ কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন হতো, সেটি প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৩ কোটি ৮৭ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। সরকারের এখন লক্ষ্য হলো এই অর্জনকে টেকসই করার পাশাপাশি সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেয়া।

 আজ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) ‘গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালার’ উদ্বোধন শেষে বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমকে কার্যকর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষি উন্নয়নে যে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে, সেটিকে সরকার সামনে এগিয়ে নিতে চায়, টেকসই করতে চায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, চাষযোগ্য জমি হ্রাসসহ নানা কারণে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে প্রয়োজন আরো উন্নত, আরো উৎপাদনশীল জাতের ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষকদেরকে অংশীদার হতে হবে। কার্যকর গবেষণা করে ধান, বিভিন্ন শাকসবজি, ফলমূল, পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার গবেষণার ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। আমরা আশা করব, আপনারা গবেষণা করে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগলের আরো উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবেন। ধান, শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য অর্থকরী ফসল যা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে বিপ্লব এনেছেন, সব রকম সহযোগিতা দিয়ে কৃষকের পাশে থেকেছেন। তাঁর লক্ষ্য শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, বরং কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকের জীবনমানকে উন্নত করা; গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা। কৃষি নিয়ে এখন তাঁর স্বপ্ন হলো, সারা পৃথিবীতে আমরা শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস, হাঁস-মুরগী রপ্তানি করা।

 বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় অনলাইনে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও অংশগ্রহণকারী সংযুক্ত ছিলেন।

দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় ২০২০ সালে সম্পন্ন হওয়া বাকৃবির বিভিন্ন অনুষদের সর্বমোট ৪৭৭টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। কর্মশালায় মোট ১৯টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

পরে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে নিজ গ্রামে মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজে কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকার তরুণ সমাজের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে। তরুণ যুবসমাজকে শিক্ষিত, দক্ষ ও আত্মনির

2021-05-29-16-46-b41d6ac9e64f2fd6f804bdefa5983d84.docx