তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৮
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশীয় চেতনাকে এগিয়ে নেবে ডিজিটাল চলচ্চিত্র
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও দেশীয় চেতনাকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে। শেখ হাসিনার সরকার সবসময় চলচ্চিত্র বিকাশে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আবহ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর, যাতে চলচ্চিত্রে হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনার প্রতিফলন বাধাগ্রস্ত না হয়।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে যৌথভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন। এবছরের চলচ্চিত্র দিবসের সেøাগান ‘গাহি মানুষের জয়গান’।
১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল প্রাদেশিক পরিষদে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের জন্মলাভকে স্মরণ করে এ দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অমর হয়ে থাকবেন, তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য অমর হয়ে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই ১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছিলেন এবং আমরাও মনোযোগ দিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সকল সুবিধার অঙ্গীকার করে তিনি চলচ্চিত্রের বিষয় নির্ধারণ, কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনায় পারদর্শিতা এবং অভিনয় ও কলাকৌশলে প্রতিভাবানদের নিয়ে আসার জন্য নির্মাতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তেজগাঁও বিএফডিসি প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য র্যালি, চলচ্চিত্রমেলা এবং কর্পোরেশনের ডিজিটাল কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে দিবসের সূচনার পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীসংবলিত বিএফডিসি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এরপরই শুরু হয় চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনার ‘ডিজিটাল চলচ্চিত্র: সমস্যা ও সম্ভাবনা’। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এস এম হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিবর্গ, তথ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধিদপ্তরগুলোর পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন।
#
আকরাম/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৭
সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ
-- ভূমিমন্ত্রী
লক্ষ্মীকুন্ডা (ঈশ্বরদী), ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আজ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা ফকির মার্কেট সংলগ্ন ১৬ শতাংশ জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনোদনস্থানের নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী একথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, দিনমজুর, ধনী, দরিদ্র সকলের সমন্বয়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। যারা ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেছিলেন, খেতে দিয়েছিলেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধার সহায়ক হিসেবে তিনি আখ্যা দেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ঈশ্বরদী, পাকশি, মুলাডুলি, সাঁড়া, শাহাপুর ও পাবনা জেলার লোকজন লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাবনা জেলার মধ্যে এ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী এলাকার সকল ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে অংশ নেয়ার তাগিদ দেন।
লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার আকতার হোসেন মোল্ল¬ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম সেলিম, ঈশ্বরদী থানা অফিসার ইনচার্জ বিমান কুমার দাস, ঈশ্বরদী থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক এবং মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল বক্তৃতা করেন।
উদ্বোধনশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে ভূমিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার ঘরবাড়ি নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যাদের জমি নেই, তাদের জন্য সরকার খাসজমিতে ঘর তুলে দিচ্ছে। সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে সরকারের গৃহীত এ উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
#
রেজুয়ান/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৬
বিমানবহরের জন্য নবসংযুক্ত দু’টি টারবোপ্রপ বিমান ঢাকায় পৌঁছেছে
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান যোগাযোগসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিমানবহরে দু’টি ডাস-৮ কিউ ৪০০ টারবোপ্রপ বিমান সংযুক্ত হচ্ছে।
আজ ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানবহরের জন্য নবসংযুক্ত এ দু’টি বিমান এসে পৌঁছেছে।
৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভ্যন্তরীণ বিমান যোগাযোগসেবা সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
শেফায়েত/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৫
ইয়েমেনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ গ্রহণ
ঢাকা, ২০ চৈত্র (০৩ এপ্রিল) :
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইয়েমেনে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জরুরিভিত্তিতে নিরাপদস্থানে স্থানান্তর এবং বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মাহবুব আলম জিবুতির উদ্দেশ্যে কুয়েত ত্যাগ করেছেন। জিবুতিতে মাহবুব আলমের সাথে তাঁর রোমিং নম্বর-+৯৬৫ ৯৯৫৭৪ ২০৩ ও ই-মেইল - mahbub50@yahoo.com এ যোগাযোগ করা যাবে।
এছাড়া, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সমন্বয়ের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দু’টি হটলাইন চালু করা হয়েছে। ইয়েমেনে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের আত্মীয়স¦জনকে নি¤েœাক্ত নম্বরসমূহে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্যপ্রদান করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
লুতফর রহমান, মহাপরিচালক, কনস্যুলার ও কল্যাণ
+৮৮ ০১৭২ ৬২ ৬০ ৯৬৭ ও ই-মেইল- dgcnw@mofa.gov.bd
বি এম জামাল হোসেন, পরিচালক, এম আর পি, কল্যাণ ও কনস্যুলার
+৮৮ ০১৭১১ ৩৮০ ৩৭৪ ও ই-মেইল - dircnmrp@mofa.gov.bd
#
জামাল/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৪
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সাথে খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের মতবিনিময়
খুলনা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
খুলনা বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে উন্নয়ন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা আজ খুলনা সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুধাবন করে উন্নয়নকাজ পরিচালনা করতে হবে। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হলে তারা অন্যান্য অধিকার সম্পর্কেও সচেতন হবে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জনগণের চাহিদাগুলো মাথায় রেখে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মকর্তাদেরও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। উন্নয়নকাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, স্বাস্থ্য, গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, শিক্ষা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ এর সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
সভায় খুলনা বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ের সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৩
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান উপলক্ষে আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলী, পরিবেশক এবং সর্বোপরি অগণিত চলচ্চিত্র দর্শকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ও কলাকুশলীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম এবং বিনোদনেরও অন্যতম প্রধান মাধ্যম। চলচ্চিত্রে মানুষের জীবনসংগ্রাম ও সমাজবাস্তবতার চিত্র প্রতিফলিত হয়। দেশের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে এগুলোকে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও এ মাধ্যম সমভাবে কার্যকর। আধুনিক বিশ্বে চলচ্চিত্র তাই শিক্ষাবিস্তার, জাতিগঠন ও সুন্দর সমাজবিনির্মাণের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমাদের গৌরবোজ্জ¦ল মহান মুক্তিযুদ্ধে চলচ্চিত্র শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে।
চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত ও অপরিমেয় শক্তির কথা অনুধাবন করেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তদানীন্তন প্রাদেশিক আইন পরিষদে ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল’ উত্থাপন করেন এবং ঐদিনই বিলটি আইনে পরিণত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাণকেন্দ্র এফডিসি। শুরু হয় বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নের নবযাত্রা।
আমাদের সরকার গত ছয়বছরে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রেক্ষাগৃহের কর অব্যাহতি, চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কর্মকা-কে শিল্প হিসেবে ঘোষণা, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রশিল্পে সুস্থধারা প্রতিষ্ঠার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে।
আমি আশা করি, আমাদের চলচ্চিত্রের রূপালি পর্দায় জাতির আশা-আকাক্সক্ষা ও স¦প্নের প্রতিফলন ঘটবে। চলচ্চিত্র হবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হাতিয়ার। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে আমাদের চলচ্চিত্র দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে - এটাই আমার প্রত্যাশা।
আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭২
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৩ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের স¦ীকৃতি হিসেবে দেশে ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রসমূহের ওপর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৩ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৩ বিজয়ী সকলকে অভিনন্দন জানাই এবং একইসঙ্গে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
চলচ্চিত্র জীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি। মানুষের জীবনসংগ্রাম ও সমাজবাস্তবতার চিত্র এখানে প্রতিবিম্বিত হয়। একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবেও এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্মল বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষাবিস্তার, সুন্দর সমাজবিনির্মাণ এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে চলচ্চিত্র উজ্জ্বল ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের গৌরবোজ্জ¦ল মহান মুক্তিযুদ্ধে চলচ্চিত্রের শক্তিশালী ভূমিকার কথা স্মরণীয়। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ, লালন ও বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে এগুলোকে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও চলচ্চিত্র অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় একটি চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা স্থাপনকল্পে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তদানীন্তন প্রাদেশিক আইন পরিষদে ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল’ উত্থাপন করেন, যার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কর্মকা-কে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং চলচ্চিত্র আর্কাইভের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করেছে। পাশাপাশি চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন-কানুন ও বিধিবিধান সময়োপযোগী সংশোধন ও পরিমার্জন অব্যাহত রেখেছে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেশে সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণসহ এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে বলে আমি মনে করি। আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৩ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা