তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৭১
সিলেটের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা, অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের অনুরোধ
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
সিলেটের অভাবনীয় উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিলেটের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্নের জন্যে অনুরোধ জানিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সিলেটের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েছে। সিলেটবাসীর জন্য এটি অত্যন্ত খুশির বিষয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেনের কাজও শুরু হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, প্রায় শত বছর পরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন তিনগুণ বৃদ্ধি করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-সিলেট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তর ও সিলেটের রেললাইনের ডুয়েলগেজ নির্মাণের কাজটি তাড়াতাড়ি শুরু করলে অর্থনীতি আরও উপকৃত হবে।
‘সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে বন্যা হয়েছে। পানি আমাদের দেশের সম্পদ। এবারের বন্যা আমাদেরকে অন্যরকম শিক্ষা দিয়ে গেল। এখন থেকে প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করতে পারলে এটি ভবিষ্যতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে- উল্লেখ করে তিনি সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারাসহ সকল নদ-নদীর নাব্যতা সৃষ্টির জন্য ড্রেজিংসহ নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকরণে গৃহীত প্রকল্পের কাজ যথাসময় বাস্তবায়নের আহবান জানান। ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করায় তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কেও ধন্যবাদ জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিছুদিন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষা করে এই কারাগারটাকে বঙ্গবন্ধু পার্ক নির্মাণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আহ্বান জানান। শিক্ষা ক্ষেত্রে সিলেট এখনও পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ড. মোমেন আহ্বান জানান। তিনি সিলেট এয়ারপোর্ট ও চৌকিদিঘীর চারিদিকে ৫ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করার জন্যও অনুরোধ জানান।
সিলেটের কৃতি সন্তান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের বড় ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আমার বড় ভাই মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত-এর আকাঙ্খা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে সেটা বাস্তবায়নেরও অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিগত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে নানাক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত ও টেকসই করে রাখতে হলে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বিক কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর জোর দিচ্ছে যাতে কোনো ধরনের উন্মাদনা বা সন্ত্রাসী তৎপরতা অথবা আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংসের জন্যে বহুবিধ উদ্যোগ নিয়েছে, এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে আহবান জানান মন্ত্রী।
#
মোহসিন/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২২৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৭০
প্রাইভেট সেক্টরকে সাথে নিয়েই সারা দেশে বিডিএস রোল আউট
- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আধুনিক জরিপ কাজে দক্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করেই বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) সারা দেশে রোল-আউট করা হবে। তিনি বলেন, সরকার মনে করে যৌথভাবে ক্যাডাস্ট্রাল বা ভূমি সম্পদ জরিপ করাটাই জনস্বার্থে সবচেয়ে কার্যকর ও দক্ষ এবং অর্থনৈতিকভাবে যথাযথ হবে।
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের সভাকক্ষে সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাভুক্ত দপ্তর-সংস্থার ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পরবর্তী সভায় বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন। ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালীতে বিডিএস শুরু করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দেশে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরিপ শুরু করার পূর্বে যেন ছোটোখাটো ভুলত্রুটির সমাধান বের করে সারা দেশে যতটা সম্ভব ত্রুটিহীন জরিপ কার্যক্রম শুরু করা যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং বিডিএস সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সরকারি কর্মকর্তারা এবং জরিপ কাজে সহায়তায় বেসরকারি খাত থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাই দায়িত্ব পালনে নিজের সেরাটা দিবেন।
প্রসঙ্গত, ড্রোনসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদিত বিডিএস-এ যেমন সময় কম লাগবে, তেমনি দুর্নীতির সম্ভাবনাও কমবে। ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করার পর খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রদানের কাজও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। বিডিএস-এর অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল স্মার্ট ম্যাপ, যেখান থেকে ম্যাপে ক্লিক করেই সংশ্লিষ্ট প্লটের মালিকানার তথ্য পাওয়া যাবে।
এর আগে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি কর্মকর্তাদের নাগরিক সেবার কথার কথা বিবেচনা করে ভূমি সেবায় ক্রমাগত উন্নয়নের ওপর জোর দিতে বলেন। তিনি কর্মকর্তাদের দেশের উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার সাথে একই ধারায় থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যেতে বলেন। এ সময় উপস্থিত দপ্তর-সংস্থা প্রধানদের এপিএ টার্গেট পূরণ করার জন্য প্রয়োজনে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতিতে ‘আউট-অফ-দ্য-বক্স’-এ এসে কাজ করার পরামর্শ দেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি সচিব এসময় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারিক, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আরিফ ও হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তরের হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) মোঃ মশিউর রহমান নিজ নিজ দপ্তর-সংস্থার পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অপরপক্ষে, ভূমি সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
#
নাহিয়ান/পাশা/আরমান/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা
Handout Number: 2269
UN Under-Secretary-General for Peace operations and UN Under-Secretary-General for Management Strategy, Policy and Compliance call on State Minister for Foreign Affairs
Dhaka, 25 June:
UN Under-Secretary-General for Peace Operations Jean-Pierre Lacroix and UN Under-Secretary-General for Management Strategy, Policy and Compliance Catherine Pollard jointly called on State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam at the State Guest House Padma in Dhaka today.
State Minister, at the outset, welcomed the two UN USGs to Bangladesh, and observed that Bangladesh is happy to be the venue of the Preparatory Conference. He highlighted Bangladesh’s long history of peacekeeping, and contributions in shaping the policies of UN peacekeeping as one of the leading TPCC countries. He also enquired about the current situation of peacekeeping mission in Mali. Recalling that Bangladesh has duly observed the UN Peacekeepers Day on 29 May 2023, like years before, he underscored the high significance of the Day. He added that Bangladesh remains proud for its contributions to UN Peacekeeping Operations.
The Under-Secretaries-General apprised State Minister about the current priorities and future initiatives of UN with regard to peacekeeping agenda. They also praised the long-standing and robust contribution of Bangladesh in UN Peacekeeping Operations. They also briefed State Minister on the ongoing situation of the Peacekeeping Mission in Mali (MINUSMA).
#
Mohsin/Pasha/Arman/Sanjib/Abbas/2023/2000 Hours
Handout Number: 2268
UN Under-Secretary-General for Peace operations and UN Under-Secretary-General for Management Strategy, Policy and Compliance call on Foreign Minister
Dhaka, 25 June:
UN Under-Secretary-General for Peace Operations Jean-Pierre Lacroix and UN Under-Secretary-General for Management Strategy, Policy and Compliance Catherine Pollard jointly called on Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen at State Guest House Padma in Dhaka today.
During the discussion, Foreign Minister highlighted Bangladesh’s strong commitment to fulfil the UN’s target to increase women peacekeepers. Bangladesh is already increasing the number of women peacekeepers as per the UN’s Uniformed Gender Parity Strategy, he added. He also stressed that the safety and security of the peacekeepers should be ensured. Bangladesh has established Bangladesh Institute for Peace Support Operation and Training (BIPSOT) for providing regular and customized pre-deployment training to the Bangladeshi peacekeepers.
Foreign Minister also reiterated Bangladesh’s support to the UN’s effort to maintain global peace and security. Dr. Momen underscored the importance of recognizing the personal sacrifices of women peacekeepers. He observed that new digital technologies have created new scopes for effective peacekeeping operations.
The Under-Secretaries-General appreciated Bangladesh’s leading position as the Troop and Police contributing country in the UN Peacekeeping Missions. They also commended the proactive role and efforts of Bangladesh to increase women peacekeepers. They welcomed Bangladesh’s assurance to work together in the pursuit of global peace.
#
Mohsin/Pasha/Arman/Sanjib/Abbas/2023/1947 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬৭
একশো বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে
-বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
২০৩০ সালের মধ্যে দেশে একশো বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ করতে সকল ব্যবসায়ীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড) ২০২১ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ২২টি রপ্তানি পণ্য খাতের মধ্যে ১৯টি পণ্য ও সেবা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২১ সালে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪০ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে পদাধিকার বলে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে একশো বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি দেশের সকল ব্যবসায়ী সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
টিপু মুনশি জানান, করোনা মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যেও আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রেখেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিবেচনায় আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি অব্যাহত রেখেছেন। শুধু তাই না, অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ব্যবসায়ীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
টিপু মুনশি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বাঙালিকে এনে দিয়েছেন লাল সবুজ পতাকা। যে পাকিস্তান আমাদের দেশের মানুষকে শোষণ করেছে, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে সেই পাকিস্তান আজকে অর্থনীতির সকল সূচকে বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
উল্লেখ্য, দেশের রপ্তানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করাই সিআইপি (রপ্তানি) কার্ড প্রদানের উদ্দেশ্য। এছাড়া সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশি ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
#
হায়দার/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬৬
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
আগামী অর্থ বছরের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাথে অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের উপস্থিতিতে সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সংস্থা প্রতিনিধিদের সাথে পৃথক পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি পদ্ধতির আওতাভুক্ত তথ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট -তেরোটি দপ্তর ও সংস্থা প্রধান এবং প্রতিনিধিবৃন্দ ২০২৩-২৪ সালের এ চুক্তি স্বাক্ষরে অংশ নেন।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বাড়াতে, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রবর্তন করে সরকার।
এ ব্যবস্থায় মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সংশ্লিষ্ট সচিব মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোর সাথে বার্ষিক কাজের তালিকা ও পদ্ধতিগত চুক্তি করেন এবং সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বছর শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চুক্তি ও সম্পাদিত কাজের মূল্যায়ন করে।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬৫
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তরসমূহের সাথে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/সিটি কর্পোরেশনসমূহের সাথে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ও সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলাতন্ত্রকে জনবান্ধব করার জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন তার মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার অন্যতম। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কর্মচারীদের জনগণের সেবা দেওয়ার মন-মানসিকতা তৈরি হবে। সবাই তার নিজ নিজ কাজের স্বীকৃতি চায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের অর্জনের মাধ্যমে রাষ্ট্র তার কর্মচারীদের ভালো কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় এখন প্রতিবছর তাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এবং সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সবাই সচেষ্টা থাকে। এছাড়াও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমরা কতটুকু অগ্রসর হলাম তা প্রতিবছর মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম সভাপতিত্বের বক্তব্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পুরস্কারপ্রাপ্তরা অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল কর্মচারী জনসেবায় আরও নিবিড়ভাবে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন দপ্তর প্রধান হিসাবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, গ্রেড ০২-০৯ ক্যাটেগরিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, গ্রেড ১০-১৬ ক্যাটেগরিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন, ১৭-২০ ক্যাটেগরিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস সহায়ক ছালেহ আব্দুর রহমান সরকার।
#
হেমায়েত/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬৪
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দপ্তরসমূহের সাথে এপিএ স্বাক্ষরিত
সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম যুগপোযোগী করা বাঞ্ছনীয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থার সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। জ্বালানির গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের সাফল্যের নেপথ্যে জ্বালানি কাজ করছে। তাই জ্বালানির সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়। বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বসহকারে কাজ করার প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করে। ভাবিষ্যতের চাহিদা পূরণ এবং লক্ষ্য বাস্তবায়ন দ্রুত হওয়া আবশ্যক। এপিএ বাস্তবায়নে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে অবশ্যই প্রথম দিকে থাকতে হবে।
নতুন নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, নতুন/ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, আইন/বিধি/নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এপিএ’তে লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করার কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার- বিএমডি’র মহাপরিচালক (অঃদা) মোঃ আঃ খালেক মল্লিক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ জাকির হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ ফায়জুল হক এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অফিস সহায়ক মোঃ আমিনুল ইসলামকে প্রদান করা হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আমিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিপিআই-এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক খেনচান, হাইড্রোকার্বন ইউনিট-এর মহাপরিচলাক তাহমিনা ইয়াসমিন, ডিপার্টমেন্ট অভ্ এক্সক্লুসিভ-এর চিফ ইন্সপ্যাক্টর মোহা. নায়েব আলী, জিএসবি’র ডিজি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বিপিসি’র পরিচালক খালেদ আহমেদসহ সকল দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিইআরসি, পেট্রোবাংলা, বিপিআই, হাইড্রোকার্বন ইউনিট, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, জিএসবি ও বিপিসি’র প্রধানগণ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
#
আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৪৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬৩
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিআরটিএ’র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৩ উপলক্ষ্যে যানবাহন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক বিআরটিএ-এর সদর কার্যালয়ে (৩য় তলা, বনানী, ঢাকা) এ বিভাগ এবং আওতাধীন বিআরটিএ, বিআরটিসি, ডিটিসিএ ও ডিএমটিসিএল এর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর : ৫৫০৪০৭৩৭ এবং মোবাইল নম্বর : ০১৫৫০-০৫১৬০৬।
১৮ জুন ২০২৩ তারিখে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ স্বাক্ষরিত স্মারকে এ আদেশ জারি করা হয়।
#
ওয়ালিদ/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬২
রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থে লবিস্ট দিয়ে বিবৃতি আনা দেশদ্রোহিতার শামিল
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, লবিস্ট নিয়োগ করে বিবৃতি আনা দেশবিরোধী অপতৎপরতা ও দেশদ্রোহিতার শামিল। বিএনপি সেই কাজটিই করছে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা 'সমষ্টি' আয়োজিত ‘পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ে সেরা রিপোর্ট পুরস্কার প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের দেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে। আমাদের দেশ থেকে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ সদস্যরাও সেখানে যায় এবং শান্তিরক্ষী পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা এখন শীর্ষে রয়েছি। এটি নিয়েও একটি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সে কারণে গত কয়েক দিনে কিছু পেশাদার বিবৃতিদানকারী সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালে দেশে যখন মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব চলছিল, সেটার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয় নাই। ইসরাইলি বাহিনী যখন ফিলিস্তিনের শিশুদের ঢিল ছোঁড়ার প্রত্যুত্তরে ব্রাশফায়ার করে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করে, সেটির বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয় নাই। কিন্তু সেই তারা আমাদের শান্তিরক্ষী মিশন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এটির সাথে একটি গভীর ষড়যন্ত্র যুক্ত।’
‘একদিকে দেশের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র আর অন্য দিকে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করছেন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যখন আমাদের দেশ সফর করছেন তাদের সফরকে উপলক্ষ্য করেই এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইস ওয়াচ এই বিবৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথেরিন পোলার্ড গতকাল আমাদের স্পিকারের সাথে দেখা করেছেন এবং শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সদস্যদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। যারা শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করছেন আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটি হবে দেশে ‘হামিদ কারজাই’ মার্কা কোনো সরকার আসবে না কি কোনো তাঁবেদারি সরকার বসিয়ে বিশ্ববেনিয়ারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য অপচেষ্টা চালাবে, না কি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গণতন্ত্র আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে, সেটির ফয়সালা। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনটি হবে দেশের ভূমি রক্ষার, সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। সে জন্য সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা চাই।’
চলমান পাতা-২
পাতা-২
এর আগে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে সাংবাদিকতা পুরস্কার আয়োজনের জন্য গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা ‘সমষ্টি’কে ধন্যবাদ ও পুরস্কার প্রাপ্তদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিসংখ্যানে ২০১৬ সালের চিত্র বলছে প্রতি বছর বাংলাদেশে ১০ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশের বয়স ১ থেকে ৪ বছর। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য এবং আমাদের নদীমাতৃক দেশে সাঁতার জানাটা আবশ্যক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছি, আশা করি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনতে পারবো।
বক্তৃতা শেষে তথ্যমন্ত্রী ১৩ পুরস্কার বিজয়ী- দ্য বিজনেস পোস্টের আরেফিন আপ্পি, চ্যানেল ২৪ এর জিনিয়া কবির সূচনা, দৈনিক প্রথম আলোর পার্থ শঙ্কর সাহা, জাগো নিউজের মাসুদ রানা, সময় ট্রিবিউনের সোহাগী আকতার, দৈনিক ভোরের কাগজের ঝর্ণা মনি, মাছরাঙা টিভি’র কাউসার সোহেলী, দৈনিক ডেইলি স্টারের নীলিমা জাহান, দৈনিক জনকণ্ঠের স্বপ্না চক্রবর্তী, দৈনিক সমকালের জাহিদুর রহমান, দৈনিক কালের কণ্ঠের সজীব আহমেদ, দ্য বিজনেস পোস্টের আসিফ ইসলাম শাওন এবং চ্যানেল আই অনলাইনের আরেফীন তানজীবের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও 'সমষ্টি' পরিচালক মীর মাসরুর জামানের সঞ্চালনায় ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক প্রতিবেদক মাঈনুল আলম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক-বার্তা জাহিদুল ইসলাম, গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটর কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার সারওয়ার ই আলম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬১
প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকতে গুণগত মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢা