তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৬
ইংরেজি, গণিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শিখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে
---আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে চিন্তাশীল মানসিকতা সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে ।
প্রোগ্রামিং বিশ্ব পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন ইংরেজি, গণিত-সহ সাধরণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছোট বেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শিখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জুম অনলাইনে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্যোগে আয়োজিত "হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা -২০২০ "এর সমাপনী ও বিজয়ীদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনলাইন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১১ বছরে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও ঘরে বন্দি সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে এবং অনলাইনে হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন চিন্তাশীল সমস্যা সমাধানে ছোটবেলা থেকেই শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং শিখাতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল যুগের দিকে এগোতে হলে প্রয়োজন আমাদের প্রোগ্রামারদের যোগ্য করে গড়ে তোলা। আগামী দিনের চাহিদা মেটানোর জন্য, আগামী প্রজন্মের সদস্যদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য এবং মেধা ও জ্ঞান ভিত্তিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রোগ্রামিং শিক্ষায় ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহা থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রোগ্রামিং শিক্ষায় দক্ষ হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে যত সমস্যা আছে তার প্রযুক্তি নির্ভর সমাধানের মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
উল্লেখ্য, অনলাইনে এনএইচএসপিসি২০২০ এর রেজিস্ট্রেশনের ঘোষণার মাত্র তিন দিনেই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আবেদন করে ৫ হাজার ৪৭৭ শিক্ষার্থী।
দেশের সব জেলা থেকেই শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনের কুইজ ও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ আয়োজনে শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরি (ষষ্ঠ-নবম শ্রেণি) এবং সিনিয়র ক্যাটাগরি (দশম-এসএসসি-দ্বাদশ শ্রেণি ও পলিটেকনিক প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী), এই দুইটি ক্যাটাগরিতে কুইজ অথবা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এছাড়া একই সময়ে আইসিটিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় আইসিটি কুইজ প্রতিযোগিতা।
#
শহিদুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০২৬ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৫
মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের
এক ধাপ অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
মানবপাচার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ একধাপ উন্নতি লাভ করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে 'নজরদারি' তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এই সংবাদে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, মানবপাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব আর সময়োচিত নির্দেশনার কারণেই বাংলাদেশের এই অর্জন সাধিত হয়েছে। অবৈধ কার্যকলাপের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সরকারের দেশব্যাপী প্রচারণা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এই অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
মন্ত্রী বলেন, মানবপাচারের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী, অভিবাসনের সাথে যুক্ত সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যমসহ সকল অংশীজনের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ফলে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সফল হচ্ছে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং এই অর্জনকে আরো সুসংহত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মানবপাচারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা আরো জোরদার হয়েছে।
মানবপাচার নির্মূলে এখনো যেসব বিচ্যুতি রয়েছে সেগুলো দূর করার বিষয়ে তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়ের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, নিরাপদ, নিয়মিত, সুষ্ঠু ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের বেআইনি কার্জকলাপের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করে যাবে। সুষ্ঠু অভিবাসন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনের বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ কাজে লাগাবে।
#
রাশেদুজ্জামান/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯২৬ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৪
লটারীর মাধ্যমে তালিকা তৈরি করে প্রকৃত কৃষকের নিকট থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করা হবে
---প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
রৌমারী (কুড়িগ্রাম), ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, লটারির মাধ্যমে তালিকা তৈরি করে প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করা হবে। বর্তমান সরকার গরিব কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নের কথা চিন্তা করে ভর্তুকির মাধ্যমে সার ও কৃষি প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে তাঁর নির্বাচনী এলাকা রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহের উন্মুক্ত লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে বাংলার গরিব মেহনতি কৃষকেরা ভালো থাকেন। তাই প্রকৃত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান ক্রয় করা হবে। তিনি আরো বলেন, রৌমারী উপজেলা থেকে এ বছর এক হাজার ৮০০ মেট্রিক টন এবং রাজীবপুর উপজেলা থেকে ৩৪০ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
#
রবীন্দ্র/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮৪২ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৩
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৫০৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জন-সহ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩১৮ জন।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ লাখ ২৮ হাজার ২৪৫টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪টি এবং মজুত আছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১১৮টি।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
#
তাসমীন/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮৩৬ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০২
‘করোনাযোদ্ধা’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
কখনো ঢাকা কখনো গাজীপুর। কখনো মন্ত্রণালয় কখনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। করোনা ভাইরাসে সবকিছু থেমে গেলেও থামেননি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল । কর্মহীন হয়ে পড়া গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দিনরাত ছোটাছুটি তার-কখনো সরকারি ত্রাণ, কখনো ব্যক্তিগত সাহায্য দিতে। এমন কি মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী।
নিজ জেলা, নিজ নির্বাচনী এলাকা আর দেশের ক্রীড়াঙ্গন প্রতিটি স্থানে তার বিচরণ অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ক্রীড়াবিদের জন্য ১ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় ক্রীড়াবিদদের সাহায্যের জন্য আরো ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। এর বাইরে কোনো অসহায় ক্রীড়াবিদের মা-বাবা কঠিন রোগে ভুগলে নিজ মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করছেন, কখনো প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহযোগিতা এনে দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহের উদীয়মান ফুটবলার বাধনের মায়ের অসুস্থতার খবর গণমাধ্যমে জানতে পেরেই তার মায়ের চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা প্রদান করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হননি তৃতীয় লিঙ্গ আর শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও। হিজড়া, সেলুনের কর্মচারী, ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষ, রেলওয়ে স্টেশনের ছিন্নমূল মানুষ এবং মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। আত্মসম্মানের ভয়ে যারা হাত পাততে পারেন না এমন মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে রাতের আঁধারে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছেন মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
করোনায় কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি সুনাম অর্জন করেছেন তার মধ্যে অন্যতম মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। তবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর এ সুনাম দেশের গন্ডি পেড়িয়ে এখন ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ‘করোনাযোদ্ধা’ হিসেবে মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের প্রশংসা করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। ‘করোনাযোদ্ধা’ স্বীকৃতি দিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে একটি সনদও দিয়েছেন মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করা এ সংগঠনটি। এ ছাড়াও আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অভ্ পিস কর্তৃক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০২০-২১ এর জন্য ফেলো মনোনীত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
গাজীপুরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মাধ্যমে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার আগাম বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠকদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহ প্রদান, অসহায় গরিব কৃষকদের ধান কাঁটাতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশনা দিয়েছেন আহসানউল্লাহ মাস্টারের যোগ্য উত্তরসূরি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল । নিজে ঝুঁকির মধ্যে থেকেও করোনার এ আপদকালীন পরিস্থিতিতে দিন-রাত অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তার গানম্যান করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তারপরও দমে যাননি জাহিদ আহসান রাসেল।
#
আরিফ/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮৫২ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০১
নানিয়ারচরের আম রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনার এই সংকটের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে এ উপজেলার বগাছড়ি থেকে ২ হাজার ৬০০ কেজি ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি জাতের আম ইতালিতে এবং ৪০০ কেজি আম যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। আরও, ৮ হাজার ৫০০ কেজি আম রপ্তানির আদেশ পাওয়া গেছে। এদিকে চিনেও আম রপ্তানির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ মৌসুমে প্রায় ৭০-৮০ টন রপ্তানিযোগ্য আম এ উপজেলা থেকে সরবরাহ করা যাবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ সহযোগিতায় এ উপজেলায় ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকাসহ অন্যান্য জাতের আমের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগেও এলাকার চাষিরা আমে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব, কম ফলন এবং পরিচর্যার অভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় আম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ পরিচালক মোঃ মেহেদী মাসুদ জানান, এ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট আম চাষিদের বাগানের নিবিড় পরিচর্যা, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এতে এ এলাকার আম বাগানের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রকল্প এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রকল্পের নিজস্ব ট্রাক এর মাধ্যমে আম পরিবহন করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আলোকে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
#
কামরুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮০১ ঘন্টা
তথ্যববিরণী নম্বর: ২৩০০
স্বাস্থ্য সচতেনতার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসরে প্রার্দুভাব কমানো সম্ভব
---নৌপরবিহন প্রতমিন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাদুর্ভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাসের মহামারিতে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। অথচ আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সরকার সাহসিকতার সাথে এই করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপসহ আমেরিকা ও রাশিয়ায় লাখ লাখ মানুষ শনাক্ত হচ্ছে, আবার হাজার হাজার মানুষ সেখানে প্রাণ হারাচ্ছে। ইতালিতে দেড় লক্ষ শনাক্ত হয়েছে সেখানে ২৯ হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। বাংলাদেশে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ধরা পড়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজার। মৃত্যুর হার সেখানে ১.২৩ শতাংশ। এটার মধ্য দিয়ে বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসকে আমরা কিভাবে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল ভূমিকায় ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপিকে মানুষ আগামী দিনে আস্তাকুড়েঁ নিক্ষেপ করবে।বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসকে নিয়ে রাজনীতি নয়। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে দুই লাখ মানুষ অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। কোনো ধরনের সাপোর্ট সরকারিভাবে দেয়া হয়নি, পশুপ্রাণী ও মানুষ এক সঙ্গে দাফন করা হয়েছে। একইভাবে গণকবর দেওয়া হয়েছে, অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সেই রকম অবস্থার ধারে কাছেও নেই।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মুখরোচক সমালোচনা করে আজকে বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত না করে সঠিক রাস্তায় আমাদের হাঁটতে হবে এবং সরকার যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছে সেই ব্যবস্থার কোন জায়গায় ত্রুটি আছে, সেই জায়গাগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতার কিছুটা অভাব আছে। স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য সরকার গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছে।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা ছাড়া এমন গণমাধ্যম বান্ধব নেতা আর আছে বলে আমার মনে হয় না। শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কথা যেভাবে চিন্তা করেন, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করেন। করোনা ভাইরাসের এই মহামারিতে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য প্রণোদনার আওতায় নিয়ে এসেছেন। গত দুই মাস যাবৎ সরকার এই কর্মহীন মানুষদের পাশে থেকেছেন। অনেকেই অনেক ধরনের আশঙ্কা করেছিলেন যে, এখানে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছেন এই দুই মাসে এমন একটি সংবাদও প্রকাশ হয়নি যে, সংবাদে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি গণমাধ্যম তুলে ধরেছে বলেই সমগ্র পৃথিবীতে প্রশংসা হচ্ছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজের) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক বাদল মাদবর এসময় বক্তব্য রাখেন।
#
জাহাঙ্গীর/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৭২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৯৯
অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের বাজার অস্থিতিশীল করা হলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে
---খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন):
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনাকালে যদি অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় তাহলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ সকাল ১১টায় নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলা কৃষি ও বন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত গাছের চারা এবং সবজির বীজ-সহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মিন্টো রোডস্থ মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। সেই আলোকেই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাছের চারা ও সবজির বীজ-সহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাছের চারা, সবজির বীজ ও অন্যান্য উপকরণ কৃষকেরা গ্রহণ করে। মন্ত্রী বলেন, একটি গাছ নিধন করা আর একজন মানুষ হত্যা করা প্রায় সমান, যেহেতু গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি। কোনো গাছ যেন কাটা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ উপস্থিত সকলকে নির্দেশ দেন।
চালকল মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চাল সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেবেন। এখন ভরা মৌসুম; এই সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কোনা কারণ নেই। সাবধান করে দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না। ইতোমধ্যেই সরকার চাল আমদানি করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
চালকল মালিকদের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং সরকারি গুদামে চাল দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজার অস্থিতিশীল হলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।
অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পোরশা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
সুমন/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৭৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৯৮
হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে জন্ম নেয়া বিএনপিই ক্রসফায়ার-গুম-খুন শুরু করেছিল
-তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন):
‘বিএনপি’র জন্ম হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে এবং তারাই ক্রসফায়ার-গুম-খুন শুরু করেছিল’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সাম্প্রতিক মন্তব্য-'ক্রসফায়ার-গুম-খুনে রাষ্ট্র অমানবিক হয়ে উঠছে' এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতি বছর ৩১৭ জনের বেশি ক্রসফায়ারে, গুম হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ সংখ্যা ১৮৭। এটা ঠিক যে,অপরাধীরা অনেক সময় বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। আমাদের দল কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন করেনা।
আর প্রকৃত সত্য হলো, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপি'র উত্থান’,উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতা নিষ্কন্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যুক্ত। আর বিএনপি যখন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন, তখনই ক্রসফায়ার চালু করে। অর্থাৎ খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই যাদের উন্মেষ ও প্রতিষ্ঠা, যারা দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল, তারা যখন এধরণের কথা বলে, তখন তা হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এবং করোনা মহামারিতে দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সারাবিশ্বের সামনে মানবিকতার পরম উদাহরণ। তিনি বলেন, বিএনপি এধরণের কোনো উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি বরং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া চরম দায়িত্বহীনভাবে বলেছিলেন, 'যত মানুষ মারা যাবার কথা ছিল, তত মারা যায়নি।
এসময় আক্ষেপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ আশা করেছিল করোনার এসময়ে বিএনপি বাদানুবাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার আর বিষোদগারের রাজনীতি ত্যাগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা মানুষের পাশেও দাঁড়ায়নি। করোনা মহামারির মধ্যে লোকদেখানো ত্রাণ বিতরণের ফটোসেশনের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত রেখেছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার নিয়ে তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. হাছান করোনায় আক্রান্ত সকলের দ্রুত সুস্থতা ও মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে সাংবাদিকদের বলেন, 'বিশ্লেষকরা যা বলছেন, দেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১.২৮ শতাংশ আর মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, তাদের ২৮৪ জন আক্রান্ত ও ৭৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, অর্থাৎ বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মৃত্যুহার ২১ শতাংশ-এনিয়ে আপনাদের মতো আরো অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
#
আকরাম/গিয়াস/শামীম/২০২০/১৫৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৯৭
সুনীল অর্থনীতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সমুদ্র-তলদেশ বিষয়ক
আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাইলো বাংলাদেশ
নিউইয়র্ক, ২৭ জুন:
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনীল অর্থনীতি বা ব্ল ইকোনমির সম্ভাবনাসমূহ পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব সমুদ্র সীমার বাইরে বৈশ্বিক সমুদ্র-সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরলো বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণের জন্য আয়োজিত ‘সমুদ্রতলের সম্পদে টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রাপ্ত সুবিধার ন্যায়সঙ্গত বন্টন: স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের সুযোগ’ শীর্ষক এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। সমুদ্র-তলদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ(আইএসএ) এবং স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের জোটের সভাপতিগণ এই ব্রিফিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
উচ্চ পর্যায়ের এই ইভেন্টটিতে গভীর সমুদ্রে খনন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আইনগত কাঠামোর উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য চুক্তিবদ্ধকরণ এবং বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারে এমন সক্ষমতা বিনির্মাণে আইএসএ যে পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করেছে তা সদস্য দেশসমূহের সামনে তুলে ধরেন আইএসএ এর সেক্রেটারি-জেনারেল জনাব মাইকেল ডব্লিউ লজসহ ব্রিফটির অন্যান্য প্যানেলিস্টগণ।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর সুনীল অর্থনীতি এক্ষেত