তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯৮
সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে জিয়া-এরশাদ
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
জিয়াউর রহমান ও এরশাদ বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘জেল হত্যা, আইনের শাসন, সংবিধান ও সাংবিধানিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হত্যার বিচার করা যাবে না, জিয়াউর রহমান এটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জিয়াউর রহমান প্রথম ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার সুযোগ করে দিয়েছে। সে সময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে জিয়া। সমতাভিত্তিক-সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সরিয়ে নিজের একটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করে দিয়েছে। পরে এরশাদ ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র ধর্ম প্রবর্তন করেছে। অথচ শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ আইন সংবিধানকে ৭২ এর চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন।
রেজাউল করিম বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে সংবিধানের অংশে পরিণত করেছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে এসে ষোলকলা পূর্ণ করেছে খালেদা জিয়া। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জেল হত্যার বিচারসহ বড় বড় হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ড. ওহিদুর রহমান টিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।
#
ইফতেখার/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯৭
বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতায় ঘটানো হয় জেল হত্যাকাণ্ড
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ঘটানো হয় জেল হত্যাকাণ্ড। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে ’৭৫ এর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জাতির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায়।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে জাদুঘর আয়োজিত ‘৩রা নভেম্বরের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি এমনভাবে নেয়া হয়েছিল পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটার সাথে সাথে যাতে আপনা আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়। এই ঘাতক দলের প্রতি নির্দেশ ছিল পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটার সাথে সাথে কোনো নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করবে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এর ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটানোর পরেই কেন্দ্রীয় কারাগারে এই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মতো জাতীয় চার নেতা হত্যার পেছনেও জিয়াউর রহমান জড়িত। তার সুচারু পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলো।
কে এম খালিদ বলেন, জাতীয় চার নেতার মধ্যে কেবল সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল। তিনি ছিলেন অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের অনেকেই অর্থবিত্তের পিছনে ছোটাছুটি করেন। কিন্তু ব্যক্তিক্রম ছিলেন জাতীয় চার নেতা। তাঁরা সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ পুনর্গঠনে তাঁদের অবদানের কথা জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবে।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলাম তনয়া ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য সম্পাদিত হয়। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করার জন্য অবিলম্বে একটি কমিশন গঠন করা দরকার।
#
ফয়সল/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯৬
বৈশ্বিক সংকটেও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে
--- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
চলমান বৈশ্বিক সংকটেও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের আওতায় প্রডিউসার গ্রুপ সক্রিয়করণ ও প্রাণিসম্পদ কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, করোনায় ভয়াবহ সংকট এবং তার পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা যেন বাংলাদেশের অদম্য সাহসী অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে না পারে। বৈশ্বিক সংকটে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন কোনোভাবেই ব্যাহত করা যাবে না। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদের সব ধরনের যোগান থাকা সত্ত্বেও যাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয় সেটা মনে রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ধরে রেখে এ খাতকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি গুণগত মানেও এ খাতকে উন্নত করতে হবে।
মন্ত্রী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় খাত প্রাণিসম্পদ। এ খাত থেকে দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনের সাথে এলডিডিপি প্রকল্প সম্পৃক্ত। দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে সমৃদ্ধ হতে না পারলে খাবারের বড় একটি অংশের সংকট হতে পারতো। প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে প্রান্তিক মানুষদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ছে। তারা উদ্যোক্তা হয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ফলে আর্থিকভাবে গ্রামীণ জীবনের আমূল পরিবর্তন আসছে।
মন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশ মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি। গত কোরবানির সময় ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না এনেই কোরবানির চাহিদা পূরণ করেছি। আজ আমরা প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন বিশ্বকে দেখাতে পারি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকনোমিস্ট ও এলডিডিপি প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার আমাদো বা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম। এলডিডিপি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মোঃ গোলাম রব্বানী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দেশের ৬১ জেলার ৪৬৬ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
#
ইফতেখার/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/জয়নুল/২০২২/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৮০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪২৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৩৫৭ জন।
#
জসিম/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯৪
সহসাই যুদ্ধ শেষের আশা : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
ইউক্রেন যুদ্ধ সহসাই সমাপ্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত Alexander Vikentyevich Mantytskiy।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহ্মুদ তাঁর সাথে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, রাশিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার যে ভূমিকা, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পরেও রাশিয়া আমাদের দেশ গঠনে যে ভূমিকা রেখেছে, সেটি আমি স্মরণ করেছি, তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। একইসাথে যুদ্ধ সম্পর্কে আমাদের দেশের যে অবস্থান সেটিও তার সাথে আলোচনা করেছি।’
ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, আমরা পৃথিবীতে যুদ্ধ চাই না, যুদ্ধ কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। এবং একইসাথে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা), পাল্টা স্যাংশন এগুলোও কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। প্রধানমন্ত্রীর যে বক্তব্য, আমাদের সরকারের যে অবস্থান, সেটি তাকে জানিয়েছি। আমি তাকে বলেছি যে, যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হলে সবার জন্যই মঙ্গলকর; জিজ্ঞেস করেছি যে, যুদ্ধ কখন শেষ হবে। তিনি বলেছেন, আশা করি খুব সহসা যুদ্ধ সমাপ্ত হবে। তিনি আশার কথা বলেছেন।’
মন্ত্রী আরো জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও রাশিয়ার ইতারতাসের মধ্যে সংবাদ আদান-প্রদানের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেটিকে চুক্তিতে রূপান্তরের জন্য তিনি প্রস্তাব রেখেছেন। রাশিয়ার অপর সংবাদ সংস্থা স্পুৎনিকের সাথেও আমাদের বাসসের সংবাদ আদান-প্রদানের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে অনেক দেশের সিরিয়াল চলে, সেখানে রাশিয়ার সিরিয়ালও বিবেচনায় নেওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি বলেছি আপনারা প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলে প্রস্তাব রাখতে পারেন, তারা যদি আগ্রহী হয়, তাহলে সেটা হতে পারে। একটি টিভি চ্যানেলে একসাথে একটি সিরিয়ালই প্রচার করা যায়। এছাড়া কথা হয়েছে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বিনিময় বৃদ্ধি নিয়েও।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/জয়নুল/২০২২/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯৩
বিএনপি’র সমাবেশে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার অর্থায়নের কথা শুনেছি
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে অর্থায়নের উৎস নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আমি তো আগেও বলেছি, বিএনপি এই বিভাগীয় সমাবেশের নামে চাঁদাবাজির একটা বড় প্রকল্প নিয়েছে। তারা সমস্ত কালো টাকার মালিকদের কাছ থেকে টাকা কালেকশন করছে, ব্যবসায়ীদেরকে বাধ্য করছে টাকা দেওয়ার জন্য এবং আমি শুনতে পেরেছি যে, বিদেশি একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও তাদেরকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। যে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে খালেদা জিয়া টাকা নিয়েছিলেন, সেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সে দেশের আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে সেই কথা বলেছিলেন। সেই সংস্থার কাছ থেকে তারা এবারও অর্থ পেয়েছে বলে আমি শুনতে পেয়েছি।’
ভারত থেকে এ দিন সকালে ফিরে অফিসে যোগ দেয়া সম্প্রচারমন্ত্রী তাঁর সফর সম্পর্কে বলেন, ‘কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে অবাক হয়েছি, প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইন পড়েছে ‘‘হাওয়া’’ সিনেমা দেখার জন্য। হাওয়া’র শো ছিল দুপুর দেড়টায়, সকাল ছয়টা থেকে লাইন দিয়েছে। পরের দিন শো’তে দুই হল মিলে আসন সংখ্যা ছিলো নয়শ’ আর মানুষ গেছে প্রায় তিন হাজার। সেখানকার দাবির প্রেক্ষিতে শো বাড়াতে হয়েছে। বাংলাদেশের ছবি দেখার জন্য কলকাতায় মানুষের যে উন্মাদনা, সেই উন্মাদনা দিল্লিতেও হয়েছে। দিল্লিতে প্রেসক্লাব অভ্ ইন্ডিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে অনেক বাঙালি সাংবাদিক দিল্লিতে কয়েকটি বাংলাদেশি সিনেমা দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। সেটির ব্যবস্থা আমি করতে পেরেছি।’
বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দু’দেশের মানুষের সৌহার্দ্যরে ক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কোনো ধরনের গুজব, ভুল বা অসত্য তথ্য যদি সংবাদ আকারে পরিবেশিত হয়ে দু’দেশের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি বা আন্তরিকতা নষ্ট করার চেষ্টা করে, এ ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকতে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখতে পারে।’
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ এবং মন্ত্রীর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/জয়নুল/২০২২/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৯২
দেশে করোনায় যত মানুষ মারা গেছে, তার তিনগুণ বেশি ক্যান্সারের কারণে মারা গেছে
--- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি (ইপিসিবিসিএসপি) প্রকল্পের আওতায় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত ‘জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং প্রতিরোধ কর্মসূচি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে তথ্য ও ফলাফল প্রকাশ এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনায় যত মানুষ গত তিন বছরে মারা গেছে, তার তিনগুণ বেশি মানুষ ক্যান্সারের কারণে মারা গেছেন। ক্যান্সার, কিডনি রোগী দিন দিন আরো বাড়ছে। গত এক বছরে স্তন ক্যান্সারে ১৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে ৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। অন্যদিকে, ৮ হাজার মানুষ জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল, যার মধ্যে ৫ হাজার মানুষ মারা গেছে। এভাবে দেশে বছরে প্রায় দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষই মারা যায়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ক্যান্সার চিকিৎসায় আমাদের কতটা জোর দিতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে। এই গুরুত্ব বিবেচনা করেই দেশের ৮ বিভাগে ৮ টি অতি উন্নতমানের ক্যান্সার, কিডনি হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এই হাসপাতালগুলো নির্মিত হলে ক্যান্সার চিকিৎসায় দেশেই বড় ধরনের সাফল্য আসবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রাশেদা আকতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) খান মো. রেজাউল করিম এবং ইউএনএফপিএ’র হেলথ চিফ বিহাবেন্দ্র এস রঘুবংশীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
মাইদুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/জয়নুল/২০২২/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৩৯১
বিজিবি’র অভিযানে অক্টোবর মাসে ৯৮ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত অক্টোবর মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৯৮ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৯৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি ১২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৫২৭ গ্রাম হেরোইন, ১৩ হাজার ৬৭০ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ২২৭ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৮১৫ ক্যান বিয়ার, ১২০ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ২১৪ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৪ হাজার ২৩৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৭ হাজার ২২৯টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৬০৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৫০ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৬ হাজার ৪৩০টি এনেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৫২ হাজার ৮৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট। জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৭ কেজি ৮২৯ গ্রাম স্বর্ণ, ২৪ কেজি ৪৮৯ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৫ হাজার ৭০২টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ৩৬৪টি শাড়ি, ৫ হাজার ৩২৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২ হাজার ৮৭০টি তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৮২৭ মিটার থান কাপড়, ৩ হাজার ৫৬৪ ঘনফুট কাঠ, ৪ হাজার ৭০৯ কেজি চা পাতা, ৩৫ হাজার ২৫০ কেজি কয়লা, ১টি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৭টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ১টি জিপ, ১০টি পিকআপ, ১৯টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮১টি মোটর সাইকেল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ৩টি গান, ৪টি ম্যাগাজিন, ১টি ককটেল এবং ২৯ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২৯ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১১৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
#
শরিফুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/লিখন/২০২২/১৬১৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৮৯
জেলহত্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ৩রা নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন। আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম আর রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আর এ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার পথ ধরে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের এ পথ চলা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকায় তাঁর অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাঁদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ চির অম্লান থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন – এটাই হোক জেলহত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।
আমি জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/অনসূয়া/শাম্মী/রবি/কলি/মানসুরা/২০২২/১০২০ ঘণ্টা