Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৮৬৫

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরীক্ষা সেবার মান উন্নয়নে হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন

 

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

আজ সকালে কাকরাইলস্থ অডিট ভবনে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) এর কার্যালয় কর্তৃক দেশের সকল পেনশনারগণের পেনশন সংক্রান্ত সেবা প্রদানসহ সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের জন্য নিরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম ও সেবার মান আরো উন্নতকরণের লক্ষ্যে হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মোঃ নূরুল ইসলাম হেল্প ডেস্ক এর উদ্বোধন করেন । এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশের হিসাব মহানিয়ন্ত্রক ফাহমিদা ইসলাম, ডেপুটি কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (এএন্ডআর) এস এম রেজভীসহ নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ফিডব্যাক ও মনিটরিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ হেল্প ডেস্কের তদারকি হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ), কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ), বাংলাদেশ রেলওয়ে এর দেশব্যাপী বিভিন্ন হিসাবরক্ষণ অফিস হতে লাম্প গ্রান্ট, জিপিএফ চূড়ান্ত পরিশোধ ও আনুতোষিকসহ অন্যান্য সেবা প্রদান এবং নিরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা প্রদান কার্যক্রমকে আরো সহজ ও জনবান্ধব করবে।

একই সাথে সারা দেশে মাঠ পর্যায়ের সকল হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পেনশন সেবাপ্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা প্রদান এবং সেবাগ্রহীতাগণের নিকট থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে সরাসরি ফিডব্যাক গ্রহণের লক্ষ্যে সিএজি কার্যালয়ে নতুন আঙ্গিকে এ হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। সিএজি কার্যালয়ের মনিটরিং ফিডব্যাকের মাধ্যমে সেবা প্রদান যথাযথ হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বলেন “সিএজি কার্যালয় কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে স্থাপিত হেল্প ডেক্স সেবাগ্রহীতাগণকে সেবা প্রদান কার্যকর ও দ্রুততার সাথে প্রদানকে ত্বরান্বিত করবে বিশেষত পেনশনারগণের জন্য এটি খুবই ফলপ্রসূ হবে।

উল্লেখ্য সেবাগ্রহীতাগণের যোগাযোগের জন্য ০১৩০২-৫৮৯৮৫২ ও ০১৮৫৮-৭৫০৬০৬ দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

#

পাশা/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৭৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৮৬৪

বাংলাদেশের কৃষি কাজে সৌরশক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে

                                                             -বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি কাজে সৌরশক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজেল চালিত সেচ পাম্পগুলো সৌর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজারটি সৌর সেচ পাম্প ইনস্টল করতে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী, আজ দুবাইতে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘Scaling Up Solar Irrigation in Bangladesh’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি পোর্টফলিওকে সৌর মিনি-গ্রিড, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ, সৌর পানীয় জলের ব্যবস্থা, সোলার রুফটপ ইনস্টলেশন, সোলার এগ্রো পিভি, সৌর সেচ, বায়ু বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ প্রভৃতির মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় করেছে। ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।  

নসরুল হামিদ বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ একটি ১০০ বছরের কৌশল_যা জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি কেন্দ্রীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে বদ্বীপ ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়নের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহ হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানির বিষয়টিও সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা-২০২৩ তে বলা হয়েছে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে উন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দ্রুত ছাড় করা প্রয়োজন। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড হতে ৮০০ প্রকল্পে ৪৪৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়েরের সঞ্চালনায় ও যুগ্মসচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং (Edimon Ginting) ও ইডকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোর্শেদ বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/পাশা/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৮৬৩

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের উদ্যোগসমূহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাহসী পদক্ষেপ

                                                                                                  --- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের উদ্যোগসমূহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাহসী পদক্ষেপ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন একত্রিত করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল মোকাবিলা করার জন্য ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (Mujib Climate Prosperity Plan)’ কৌশলগত উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস হতে শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

          প্রতিমন্ত্রী, আজ দুবাইতে IRENA আয়োজিত ‘জীবন ও জীবিকার ক্ষমতায়ন-জলবায়ুর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ Renewables for Climate Action : Launch of Empowering Lives and Livelihoods Initiative উদ্যোগটির উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ IRENAÔi দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাজ করছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বৃহৎ আকারের প্রকল্পের বাইরেও ছাদে সোলার, ভাসমান সোলার ও সৌর সেচের মতো ছোট উদ্যোগের দিকেও বাংলাদশ মনোনিবেশ করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজারটি সোলার ইরিগেশন পাম্প প্রতিস্থাপন করার বিষয়টি রোডম্যাপে বলা হয়েছে। ফলে ডিজেলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এবং পরিবেশগত ব্যাপক উন্নতি ঘটবে।

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মেদ আলমেহইরি (Mariam Bint Mohammed Almheiri), আইসল্যান্ডের পরিবেশ, জ্বালানি ও জলবায়ু মন্ত্রী গাডলাওগার থর থরডারসন (Gudlaugur Thor Tohrdarson), বেলজিয়ামের উপপ্রধান কেবিনেট ডমিনিকিউ পারিন (Dominique Perrin), নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেট (Shakti Hahadur Basnet) এবং ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ (Arifin Tasrif) বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৮১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৮৬২

ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের নীরব দর্শকরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে

                                                                                                           --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

          তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, যারা তাকিয়ে তাকিয়ে ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ দেখে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।

          আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইওসেফ রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে একথা বলেন। হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে যেভাবে গাজাতে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে এবং যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং ইসরাইলি আক্রমণকারীদের পক্ষ অবলম্বন করেছে, আমি মনে করি তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবার কানে ফিলিস্তিনিদের এই আর্তনাদ পৌঁছাবে, অবিলম্বে সেখানে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হবে এবং ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।’

          ‘আমাদের সরকার, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন, থাকবেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনির পক্ষে বলেছেন, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছেন।

          বৈঠক প্রসঙ্গে সম্প্রচার মন্ত্রী জানান, ফিলিস্তিনের পাশে থাকার জন্য আমাদের সরকারের অঙ্গীকার এবং ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান রাষ্ট্রদূতকে পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা মনে করি, স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব অন্য কোনো কিছু নয়।

          হাছান মাহ্‌মুদ আরো জানান, ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশে চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করে ফিলিস্তিনি ডাক্তারেরা গাজায় কিভাবে সেবা দিচ্ছে সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি সেগুলো তিনি সবিস্তারে বলেছেন।

          বৈঠক শেষে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইওসেফ রামাদান সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলোর পরিবেশিত সংবাদ এবং শব্দ এদেশের গণমাধ্যমে হুবহু কপি না করে যাচাই করে পরিবেশনের অনুরোধ জানান।

#

আকরাম/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৭৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৮৬১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এ সময় ৪৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৪ জন।

#

সুলতানা/পাশা/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৬১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ১৮৬০         

টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :    

সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :      

মূলবার্তা :

          অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণসহ ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে – পুলিশ হেডকোয়ার্টাস।  

#

 

জাহান/জামান/ফাতেমা/আসমা/২০২৩/১৫০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ১৮৫৯

ডেঙ্গুরোগসহ ভেক্টর-বর্ণ ডিজিজসমূহ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী

                                                                          -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুরোগসহ অন্যান্য ভেক্টর-বর্ণ ডিজিজসমূহ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ি। এই জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরো প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহোযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

গতকাল দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০২৩ (কপ ২৮) এক দিনের বিশেষ হেলথ ডে উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত ‘Launch of Asian Development Bank led climate and health initiatives’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে সভায় বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জলবায়ুবান্ধব ভ্যাক্সিন প্ল্যান্ট স্থাপনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উদ্যোগ ও সহায়তার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সাথে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপসহ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘Walking the Talk with the Climate and Health Action’ শীর্ষক আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যসেবায় কী ধরনের ক্ষতি হয় এবং কীভাবে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায় তা তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (৫ম সেক্টর প্ল্যান) নামে আরেকটি বৈঠকে অংশ নিয়ে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে স্মার্ট এবং জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ বিকেলে বিশেষ স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে ‘Climate Health Ministerial’ শীর্ষক আরেকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এসভায় প্রথমবারের মতো ‘Health Ministerial Declaration’ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এই Declaration কে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিশেষ স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত দিনের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরো সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের আশ্বাস দেন।

#

 মাইদুল/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৫২৫   

আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                        নম্বর : ১৮৫৮

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:   

“উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বরেণ্য এই রাজনীতিবিদ ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে মৃত্যুবরণ করেন। হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী এ উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ
সোহ্‌রাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন। একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তাঁর দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরো বিকশিত হয়। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা ৷

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সোহ্‌রাওয়ার্দী ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃত। সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ। হোসেন শহীদ
সোহ্‌রাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশ এবং এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সবসময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। জাতি এই মহান নেতার অবদান সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। 

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু  

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।” 

#

 শাহানা/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৪৫০ ঘন্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

 আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর : ১৮৫৬ 

বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Soil and Water: A Source of Life’ অর্থাৎ ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’ যা বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।  

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার  অভিপ্রায়ে কৃষি ও পরিবেশের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আমলে কৃষি উন্নয়নের যে ভিত্তি রচিত হয়েছিল, সেটিকে অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় এনে ‘রূপকল্প-২০৪১’-এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রাণের সূচনা হয়েছে মাটি ও পানি থেকে। আবার সকল প্রাণিরই বেঁচে থাকার অবলম্বনও এই মাটি ও পানি। পৃথিবী নামক এ গ্রহকে ভবিষ্যৎ প্রজম্মের জন্য বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার শাশ্বত অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীতে হাজার হাজার বছর চাষাবাদ হয়েছে মাটির নিজস্ব উর্বরা শক্তিতে। তখন প্রয়োজন ছিল না বাড়তি কোন সার ও কীটনাশকের। মাটিতে বিদ্যমান অনুজীব, মাটি ও পানির সমন্বিত মিথস্ক্রিয়ায় মাটি থাকত উর্বর। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। তাছাড়া, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও শিল্পায়নের কারণে প্রতিনিয়ত মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মাটি ও পানির সঠিক ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।  

আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে খাদ্য, মাছ ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। কৃষির উন্নয়নে এ সাফল্য সারাবিশ্বে বহুলভাবে প্রশংসিত ও নন্দিত হচ্ছে। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ। রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্যসম্পদ আহরণ এবং সারাদেশে দ্রুত বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষি ও কৃষকের জীবনমান আরো উন্নত হবে। পৃথিবীতে জীবনের জন্য মাটি ও পানি অপরিহার্য। মাটি ও পানির গুণগতমান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রেখে সকলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

আমি ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২৩’ উদ্‌যাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

নুরএলাহি/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/কলি/আসমা/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৮৫৫

বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

  রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

 “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

মাটি এবং পানি দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ যা ছাড়া জীবন, জীবিকা ও সভ্যতা টিকে থাকা অসম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি মূলত কৃষিকেন্দ্রিক। অপরিকল্পিত কৃষিচর্চা মাটির ক্ষয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে। একইভাবে কৃষি ও অন্যান্য কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। টেকসই কৃষির পাশাপাশি প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (Eco-system) সুরক্ষার জন্য মাটি ও পানি সম্পদের সামগ্রিক এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। মাটি ও পানির অবক্ষয় রোধ করার জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন, ভূ-উপরিস্থ পানিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া মাটি সংরক্ষণ, ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও মাটির অবক্ষয় রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সকলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গবেষণামূলক কার্যক্রম, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মাটি ও পানির গুণাগুণ সংরক্ষণে আমাদের কৃষিবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের উদ্ভাবনী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Soil and Water: A Source of life’ অর্থাৎ ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’ যথাযথ  হয়েছে বলে আমি মনে করি। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব সরকার বহুমুখী কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর সুফল হিসেবে বাংলাদেশ কৃষিখাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী- সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে মাটি ও পানিসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে কৃষিখাতে সাফল্যের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সকলে সচেষ্ট হবেন- এ প্রত্যাশা করছি ।

আমি ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

রাহাত/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/কলি/ইমা/২০২৩/১০০০ ঘন্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫৪

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

 রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

 “হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহ্‌রাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেল কর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিক্সাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণী-পেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন।

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি ও ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন

2023-12-04-14-07-aca4aab7530cef78b38442cba3a832ed.docx