Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 17.12.2017

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৪৬৬ 
 
মিত্রবাহিনীর সদস্য এবং সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা সংবর্ধিত
 
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :  
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ভারতীয় সদস্য এবং যুদ্ধপরবর্তী মাইন সুইপিংয়ে অংশ নেয়া তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে। 
আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী চট্টগ্রাম বন্দরের ‘মাইন সুইপিংয়ে’ অংশ নেওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের ৩ জন সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী সহ ভারতীয় হাইকমিশন, রাশিয়ান দূতাবাস, মুক্তিযুদ্ধ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরেই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত। 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতীয় জনগণ এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সহায়তা করেছে তা বিশ্বে বিরল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে যখন বাংলাদেশের বিজয় অবশ্যম্ভাবী তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব তুললে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে ভেটো দেয়। চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি বাহিনীর পুতে রাখা মাইন অপসারণ করে। এসময় কয়েকজন সোভিয়েত সেনা নিহত হন। রক্তের বিনিময়ে ভারত, রাশিয়া আর বাংলাদেশের যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও শিথিল হবে না। মিত্রবাহিনীর অবদান স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও তিনি  জানান।
#
মারুফ/সেলিম/শেফায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯৪৫ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪৬২ 
 
আগামী বছর থেকে ঢাকায় আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা
 
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :  
 
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সৌন্দর্য তুলে ধরে  একে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে  বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আগামী বছর থেকে ঢাকায় আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা আয়োজন করবে। তিনি বলেন, পর্যটন এখন আর কেবল দেশ দেখার মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। রিলিজিয়াস ট্যুরিজম, হালাল ট্যুরিজম, কালচারাল ট্যুরিজম, হেলথ ট্যুরিজম পর্যটনকে সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু শিল্পে পরিণত করেছে।  গত বছর ১২ বিলিয়ন পর্যটন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছে। এ সব পর্যটকদের বাংলাদেশমুখী করতে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 
 
মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের (বিপিসি)  নিউজ লেটার  ‘দ্য ট্রাভেললগ’এর  আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বিপিসি চেয়ারম্যান আখতারুজজামান খান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন  হিলের এডি কে এম আবদুস সালাম,  বিপিসির পরিচালক শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক ড. রাশীদুল হাসান,  মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ট্রাভেল ওয়ার্ল্ডের সম্পাদক সাহাবুদ্দিন, পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের  সভাপতি শহীদ হামিদ,  জার্নি প্লাসের সিইও তৌফিক রহমান, বেঙ্গল ট্যুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ হোসেন প্রমুখ। 
 
ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশে কতিপয় দেশের ট্রাভেল এলার্ট জারিতে হতাশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরণের পদক্ষেপ শিকাগো সনদের পরিপন্থি। ট্রাভেল  এডভাইজারি হতে হয় সুষ্পষ্ট  ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তিনি এ ধরণের ট্রাভেল এডভাইজারি প্রত্যাহার করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।  
#
তুহিন/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮২৮ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪৬০ 
 
দুদকের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতবিনিম
 
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :  
 
শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় দুদক কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত ‘শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানিক টিম’ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন  শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে পেশ করেন। এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি, অসততার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুদকের সাথে মিলে লড়াই করবে। আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য ভালো মানুষ তৈরি করা। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস রোধসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
শিক্ষার মান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জাতি গঠন করতে হলে প্রথমত সকল শিশুদের বিদ্যালয়ে আনাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল,  আমরা সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি । এখন দেশের প্রায় ৯৯.৪৭ ভাগ শিশু বিদ্যালয়ে নাম লেখাচ্ছে। তাছাড়া প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে মন্ত্রণালয়। 
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মহিউদ্দিন খান ও চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার ও এ কে এম জাকির হোসন ভূঞা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং শিক্ষা প্রকোশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাসহ শিক্ষা মন্ত্রণায়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন।  
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪৫৮ 
নবীনগর হতে মতিঝিল পর্যন্ত বিআরটিসি’র এসি বাস সার্ভিস চালু
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :  
নবীনগর হতে মতিঝিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন-বিআরটিসি’র এসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর গাবতলীতে বিআরটিসি’র বাস ডিপো এবং মোবাইল অ্যাপস ‘কতদূর’ উদ্বোধনকালে একথা জানান।
এসময় তিনি ঘন কুয়াশার মধ্যে যানবাহনের গতি সীমিত রেখে সাবধানে গাড়ি চালাতে চালকদের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দশটি এসি বাসের মাধ্যমে নবীনগর (সাভার) হতে মতিঝিল পর্যন্ত চল্লিশ কিলোমিটার রুটে যাত্রিসেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া, মোবাইল অ্যাপস ‘কতদূর’-এর মাধ্যমে গাড়ি চলাচলের রুট, গাড়ির অবস্থান, সম্ভাব্য সময়সহ প্রভৃতি তথ্য জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
কাদের আরো বলেন, ঢাকা মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকায় বিআরটিসি’র গাবতলী বাস ডিপোর মাধ্যমে মহানগরী ছাড়াও আন্তঃজেলা রুটের যাত্রীগণ যাতায়াত পরিসেবা পাবে।
এসময় সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়াসহ ডিপো ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
ওয়ালিদ/অনসূয়া/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৫২০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪৫৭
মোটরগাড়ি উৎপাদনে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ শিল্পমন্ত্রীর
ঢাকা,  ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
বাংলাদেশে মোটরগাড়ি উৎপাদনে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, জাপানের হোন্ডা কোম্পানি ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথ বিনিয়োগে মোটর সাইকেল উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় মোটরগাড়ি উৎপাদন শিল্পেও জাপান বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ করতে পারে।  
 বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ঐরৎড়ুধংঁ ওুঁসর আজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ পরামর্শ দেন। 
সাক্ষাৎকালে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় বাংলাদেশের শিল্পখাতের জাপানি বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, জাপানি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনায় হয়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অর্থবহ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সম্পর্কের সূচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় জাপান বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতুর প্রাকসমীক্ষা, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাপান অর্থায়ন করে আসছে। তিনি বাংলাদেশে সোলার গ্লাস উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 
রাষ্ট্রদূত বলেন, ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতি সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের জনগণের জীবন মানোন্নয়নে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি শিল্পায়নের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ মো. 
আমিনুল হকসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 
#
জলিল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৪৪৫ ঘণ্টা          
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪৫৬
 মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত 
ঢাকা,  ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাঁচ বার জাতীয় সংসদের ২৪৩ ব্রাক্ষণবাড়ীয়া-০১  আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের নামাজে জানাজা আজ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্ল¬াজায় অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি............রাজিউন)। 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দসহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও অসংখ্য গুণগ্রাহী জানাজায় শরিক হন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের নেতৃবৃন্দ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে নূর-ই-আলম চৌধুরী ও  হুইপবৃন্দ, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এর পক্ষে বিরোধী দলীয় হুইপ মো. নূরুল ইসলাম ওমর,পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের পক্ষে এ বি তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের  পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে মরহুম মোহাম্মদ ছায়েদুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অভ্ অনার প্রদান করা হয়। এর আগে তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীবৃন্দ ও পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
 এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনগণ দোয়া ও মোনাজাতে অংশনেন।
উল্লেখ্য, মরহুম মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ ব্রাক্ষণবাড়ীয়া  জেলায় নাসিরনগর থানার অন্তর্গত পূর্বভাগ গ্রামে  জš§গ্রহণ করেন।
#
নুরুল/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৩০৫ ঘণ্টা      
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪৫৫
পাকিস্তানে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্্যাপিত
ইসলামাবাদ, ১৭ ডিসেম্বর :  
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ৪৬তম মহান বিজয় দিবস উদ্্যাপন করা হয়। হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার  আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে চান্সারি প্রাঙ্গণ ক্ষুদ্রাকৃতির জাতীয় পতাকা, বিজয় দিবসের পোস্টার ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়। 
সকালে চান্সারি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাইকমিশনার তারিক আহসান। সত্তরের নির্বাচন থেকে শুরু করে ’৭১এর বিজয়ের দিন পর্যন্ত ঘটনাবলীর ওপর ভিত্তি করে তোলা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পায়। অতিথি ও দর্শক,বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই প্রদর্শনী ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে।
বিকেলে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। 
আলোচনা পর্বে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথাসহ সংশ্লিষ্টদের অবদানের কথা বর্ণনা করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাকালে হাইকমিশনার দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি ত্রিশ লাখ শহিদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও দুই লাখ সম্ভ্রম হারানো মাবোনের প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তারিক আহসান বলেন, মুক্ত-স্বাধীন সার্বজনীন বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনা নিয়ে এখন উন্নয়নের পথে দৃঢ় পদক্ষেপে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সন্তানরা মনোমুগদ্ধকর নৃত্য ও যন্ত্রসংগীত পরিবেশন এবং কবিতা আবৃত্তি করে।
#
ইকবাল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৩৩০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪৫৪  
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
নিউইয়র্ক, ১৭ ডিসেম্বর :  
যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ৪৭তম বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপনের সূচনা হয়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সন্ধ্যার অনুষ্ঠান শুরু হয় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে। আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যাবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, বাঙালির বিজয় অর্জনের ইতিহাস, দেশের ব্যাপক উন্নয়ন এবং রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রবাসী বাঙালিদেরর স্ব স্ব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি মিলিটারি যে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছিল তার বিচার হলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি স্বীকৃত হলে তা বিশ্বে গণহত্যা বন্ধে ভূমিকা রাখবে। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন। সফলতার সাথে এমডিজি বাস্তবায়ন এবং এসডিজির বাস্তবায়ন দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা প্রবাসীদের জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ। তিনি সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রবাসীদের দেশে রেমিটেন্স প্রেরণসহ আরো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
উন্মুক্ত আলোচনা শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী 
৩০ লাখ শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
#
অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১২৪৫ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৫৩
শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়তে কাজ করছে সরকার
                                    -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
কেশবপুর (যশোর),  ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
দিনবদলের প্রধান হাতিয়ার গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা। শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করতে শিক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। শিশুদের মন বুঝে পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। কেশবপুর উপজেলার প্রধান নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়তে সরকার কাজ করছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে সবধরণের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন,  শিশুরা যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরো যতœশীল হতে হবে।
সাদেক বলেন, শিশুদের আনন্দময় পরিবেশে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে তারা দ্রুত শিখবে। তাদের বড় হবার স্বপ্ন দেখাতে হবে। তার আগে শিক্ষকদের নিজেদের পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।
পরে, প্রতিমন্ত্রী কেশবপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন ও উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।
#
মাসুম/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২৪২ ঘণ্টা       
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ৩৪৪৮
রোমে বিজয় দিবস উদ্যাপন
রোম (ইতালি), ১৭ ডিসেম্বর :
ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৪৭তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করে। সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। 
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতির অর্জনকে আরো অর্থবহ করার জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়ার লক্ষ্যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান। নতুন প্রজন্মকে অবহিত করার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 
বিজয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। চার থেকে তের বছর বয়সী রোম প্রবাসী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পরে তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৪৯ 
মিলানে বিজয় দিবস উদ্যাপন
মিলান (ইতালি), ১৭ ডিসেম্বর :  
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ইতালিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করে। ৪৭তম মহান বিজয় দিবসের এই আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রবাসী নেতৃবৃন্দ এবং মিলানে অবস্থিত সকল শ্রেণি পেশার নাগরিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। 
দিবসের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পবিত্র কোরান তিলাওয়াত, পবিত্র গীতা ও বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে দিসবের কার্যক্রমের দ্বিতীয় অংশ শুরু করা হয়। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।    
#
অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১১২০ ঘণ্টা     
আজ বকিাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যববিরণী                                                                                                       নম্বর : ৩৪৪৭

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডসিম্বের) : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বে বিভিন্ন  দেশে কর্মরত ও বসবাসরত অভিবাসী ভাইবোন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীগণ অন্যতম সহায়ক শক্তি। অভিবাসীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমৃদ্ধকরণে অভিবাসী কর্মীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।       

আওয়ামী লীগ সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। এ ব্যাংক হতে অভিবাসী কর্মীগণ সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারছেন।  রেমিটেন্স প্রেরণেও সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশনের ফলে বিদেশগামী কর্মীদের সেবাপ্রাপ্তি এবং নিয়োগকারী এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এসকল পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এ পর্যায়ে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অভিবাসন বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা, কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অভিবাসীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ  জাতিসংঘ গৃহীত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে চলমান কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস একটি ভিন্নমাত্রা অর্জন করবে বলে আমার প্রত্যাশা।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবপাচারবিরোধী আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিশ্বের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রকার হিংসা, ঘৃণা ও বৈষম্যমূলক আচরণের অবসানসহ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

 আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

আমি ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী  হোক।”

#

ইমরুল/অনসূয়া/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১২২০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না                                                

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৪৪৬

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে আমি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসরত অভিবাসীগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন ছাড়াও নানা কারণে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে অভিবাসী হয়েছে। মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসন ও অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদী চেতনার উম্মেষ সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে নগরসভ্যতার সম্প্রসারণের প্রয়োজনে বৃহদাকার কর্মযজ্ঞে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়ও এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সাথে এখনও নানা ধরনের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জবরদস্তিমূলক শ্রম, শ্রমিকের মানবাধিকা

Todays handout (4).docx