তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০২১
‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ এর উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্ক, (২৫ সেপ্টেম্বর):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের একটি সাইড ইভেন্টে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্বোধন করেছেন। ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ এর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়। গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাও টোমে আ্যন্ড প্রিন্সিপের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ই-কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরেন। উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সুদৃঢ় অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়। উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। তাঁরা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বণ্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পসমূহকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরো একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্য কর্মকর্তাগণ সেশনটিতে অংশগ্রহণ করেন। দেশ ও বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাইড ইভেন্ট এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হয়।
#
মোহসিন/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০২০
বঙ্গবন্ধুর কৈশোরভিত্তিক দুঃসাহসী খোকার প্রিমিয়ারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর):
বঙ্গবন্ধুর কৈশোরভিত্তিক ‘দুঃসাহসী খোকা’র প্রিমিয়ারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিনেমাটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে আদর্শ জীবন গড়তে অনুপ্রাণিত করবে এবং সবাইকে বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলা সম্পর্কে আরো জানতে সাহায্য করবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফিল্ম আর্কাইভ প্রজেকশন হলে এ প্রদর্শনীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে কিশোর বয়সের কাহিনী নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। কীভাবে একজন দুরন্ত কিশোর রাজনীতি সচেতন হলেন, একইসাথে প্রতিবাদী ও মানবিক কিশোর হলেন, তিনি কেমন জনদরদী ছিলেন, এ বিষয়গুলো এখানে চিত্রায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক সিনেমা হচ্ছে, কিন্তু আমার জানামতে তার শৈশব থেকে কৈশোর নিয়ে এটিই প্রথম সিনেমা।
সিনেমাটির পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, অভিনয়শিল্পী রিয়াজ, মনোজ সেনগুপ্ত, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নসরুল্লা ইরফান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত ‘দুঃসাহসী খোকা’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার। প্রিমিয়ার শো শেষে দর্শকরা কিশোর বঙ্গবন্ধুর চরিত্রাভিনেতা সৌম্য জ্যোতি, অন্যান্য নাম ভূমিকায় লুৎফর রহমান জর্জ, ফজলুর রহমান বাবু, মাহমুদা মাহা, গোলাম ফরিদা ছন্দা ও সহশিল্পীদের অভিনয় ও ছবি নির্মাণের প্রশংসা করেন । সিনেমাটি ২৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা রয়েছে।
অন্য কোনো দেশ আমাদের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা সমীচীন নয়
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
সাংবাদিকরা এ সময় গণমাধ্যমের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমি কাগজে এটি দেখলাম। আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে, অবাধে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণমাধ্যম যে পরিমাণ ‘ভাইব্রেন্ট’, পৃথিবীর বহু উন্নয়নশীল দেশে তা নয়।
সুতরাং গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগের কথা শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমি মনে করি, কারো অন্য দেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সমীচীন নয়। অন্য কোনো দেশ আমাদের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা সমীচীন নয়।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১৯
বিএনপি এখন পুরনো গাড়ি, ব্যাটারি বসে গেছে
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর):
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি এখন পুরনো গাড়ি, তাদের ব্যাটারি বসে গেছে। তিনি বলেন, তাদের দল যেমন পুরনো গাড়ির মতো বসে গেছে, ব্যাটারি যাতে ডাউন না হয় সে কারণে নানা কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু পুরনো গাড়ি যতোই স্টার্ট দেন, তার ব্যাটারি যতোই চার্জ দেন, চলতে গিয়ে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, বিএনপিও ক’দিন পরে পুরনো গাড়ির মতো হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাবে। আন্দোলনকে তারা সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না।’
আজ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য দেন।
হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যে বিএনপি দেশে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছে। সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব রয়েছে দেশে যাতে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা, জনজীবনে নিরাপত্তা বিনষ্ট করতে না পারে। সে কারণেই শান্তি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে, কোনো কর্মসূচি হিসেবে নয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির তারা ডিসেম্বর মাসে বলেছিলো নয়া পল্টনের সামনেই সমাবেশ হবে এবং সেখান থেকে কোনো অবস্থাতেই যাবে না শেষ পর্যন্ত কোথায় গেলো- গরুর হাটে গেলো। গরুর হাটে গিয়ে আন্দোলন মাঠে মারা গেলো। এরপর বিভিন্ন সময় বলেছে- সরকারকে ২৪ ঘণ্টা দিলাম, ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিলাম। আল্টিমেটাম দিয়ে দেখা গেলো বিএনপির নিজেদেরই দম ফুরিয়ে গেছে। তাদের সমাবেশে আগের মতো আর মানুষ হয় না। আর ভিসা নীতি নিয়েও তাদের এতো পুলকিত হওয়ার কিছু নাই।'
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১৮
সৌরশক্তি বিকাশে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্সকে
উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর):
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সৌরশক্তি বিকাশে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্সকে (International Solar Alliance (ISA)) উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে। দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ও সদস্যদের চাহিদা বিবেচনা করে কর্মসূচি গ্রহণ করলে আইএসএ সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে কার্যকরী অবদান রাখতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্স-এর নবম স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একত্রে সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা করতে পারলে সোলার প্রকল্পের কার্যকর বিকাশ সম্ভব হবে। সৌরশক্তিকে সারাবিশ্বই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশও সৌর শক্তির বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট। যার মধ্যে সোলার পার্ক হতে ৪৬১ মেগাওয়াট এবং সোলার রুফটপ হতে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। উপরন্তু ১২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক নির্মাণাধীন এবং নবায়নযোগ্য উৎস হতে প্রায় ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পগুলোর কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। সঠিক নীতি ও প্রবিধান দ্বারা সৌরশক্তিতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা গেলে সৌর প্রকল্পসমূহের সম্প্রসারণ দ্রুত সম্ভব হবে।
কান্ট্রি পার্টনারশিপ চুক্তি ও কৌশল চূড়ান্ত হবার পর বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতায় আইএসএ, সৌর শক্তিচালিত কৃষি অ্যাপ্লিকেশন, কোল্ড স্টোরেজ, স্লুইসগেট অটোমেশন, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সোলার রুফটপ, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে সোলার রুফটপ এবং ভাসমান সৌর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও অগ্রগতিতে সহযোগিতা করবে।
ভারতের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আর কে সিং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারতের নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, আই এস এর মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর ও সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও উপযুক্ত প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১৭
খালেদা জিয়ার ইস্যুতে আইনমন্ত্রী
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর) :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে এখন সরকারের আর কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বিধান অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এখন এর পরিবর্তন করতে হলে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে এবং তার স্বঅবস্থানে যাওয়ার পর অন্য কিছু বিবেচনা করা যাবে। আইনের যে অবস্থান এখন, সে অবস্থানে যেটা করা হয়েছে তা থেকে সরকারের আর কিছুই করার নেই।
জাতিসংঘ সম্মেলনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করি। উনাকে (খালেদা জিয়াকে) আদালত শাস্তি দিয়েছে। এরপর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ৪০১ ধারার বিধান অনুযায়ী তাকে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তিনি শর্তগুলো মেনে নিয়েছেন। এখানে জাতিসংঘের যে কথা বলা হয়েছে সেখানে আমি বলবো আমাদের দেশের আইন অগ্রাধিকার পাবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে ভুল ভ্রান্তিগুলো ছিলো, তখন আমি স্বীকার করেছিলাম যে এটার যে অবস্থা তা সাইবার নিরাপত্তা আইন হওয়ার পর সব দূর হবে এবং আমরা আশা করছি যে এটার বাস্তবায়নে কোনো ভুলত্রুটি থাকবে না।’
আগের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যে বিষয়গুলো ছিলো, সেগুলো সাইবার সিকিউরিটি আইনেও রাখা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, যারা এসকল কথা বলছেন তারা দুইটি আইন পাশাপাশি রেখে পড়েননি। হয়তো শুধু সাইবার সিকিউরিটি আইনটি দেখেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি পড়েননি।
#
রেজাউল/পাশা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/২০২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১৬
ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সড়ক ও জনপথ
অধিদপ্তর এবং চায়নার যৌথ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর):
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী’র উপস্থিতিতে আজ তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পূর্তকাজের প্যাকেজ নং WP-০১ এর জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং চায়নার যৌথ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান CSCEC (China State Construction Engineering Corporation Limited) ও বাংলাদেশের Spectra Engineers Limited এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রায় দুই হাজার একশত সাঁইত্রিশ কোটি টাকার চুক্তিপত্রে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষে ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নূর-ই-আলম ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান CSCEC-SPECTRA Joint Venture এর পক্ষে অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ SU YAN চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির আওতায় ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ৩২০ মিটার দীর্ঘ স্টিল-আর্চসহ ১১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু, ৬৭০ দশমিক ৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩টি সড়ক ওভারপাস, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি রেল ওভারপাস, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের SMVT (Slow Moving Vehicular Traffic) লেনসহ ৪-লেন মহাসড়ক, মূল সেতু সংলগ্ন একটি টোল প্লাজা ও একটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র সংবলিত বিশ্রামাগার নির্মাণ এবং প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্টিল আর্চ সেতুর Bridge Health Monitoring System ও সড়কের উভয় পার্শ্বে Utility Duct সংযোজন করা হবে।
উল্লেখ্য, ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পটির মোট ব্যয় তিন হাজার দুইশত তেষট্টি কোটি তেষট্টি লাখ চৌদ্দ হাজার টাকা যার মধ্যে (জিওবি এক হাজার তিনশত তিপ্পান্ন কোটি তিরাশি লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ এক হাজার নয়শত নয় কোটি ঊনআশি লাখ টাকা)। সেতুটি ময়মনসিংহের কেওয়াটখালিতে বিদ্যমান রেলসেতুর সন্নিকটে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত হবে। সেতুটি হবে স্টিল আর্চ ব্রিজ ধরণের। স্টিল আর্চ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৩২০ মিটার ও প্রস্থ ৪২ দশমিক ১৫ মিটার। মূল সেতুর মোট স্প্যান সংখ্যা ২২টি। স্টিল আর্চ অংশের স্প্যান সংখ্যা ৩টি। মূল সেতুর পিয়ার সংখ্যা ২১টি। প্রকল্পটি আগামী ৩০ জুন ২০২৫ সালে সমাপ্ত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ জেলা সদরসহ নেত্রকোণা জেলার বিজয়পুর, শেরপুর জেলার নাকুগাঁও, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট এবং জামালপুর জেলার ধানুয়া-কামালপুর এর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের সাথে মূল মহাসড়ক নেটওয়ার্ক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, বিদ্যমান শম্ভুগঞ্জ সেতুর যানজট নিরসনের পাশাপাশি এ অঞ্চলের ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মোঃ আফতাবউদ্দিন, পরিচালক আরিফ খানসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
ওয়ালিদ/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১৫
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান
---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে সহযোগিতা প্রদান ও বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান।
আজ মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ জাপান সফর, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের বিনিয়োগ, উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান যে ভূমিকা পালন করছে তা নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত।
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে জাপান সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। যার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছ।
মন্ত্রী আরো বলেন, জাপান বাংলাদেশের গুণগত উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং ঢাকা মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এ সময় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে জাপানী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলেও জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, যুগ্মসচিব অন্দ্রিয় দ্রং, নীলুফা আক্তার ও ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের তৃতীয় সচিব শিমমুরা কাৎসুমি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/পাশা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৩/১৮২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১৪
সুশিক্ষিত জাতি গড়তে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম
---জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
মেহেরপুর, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রয়োজন সুশিক্ষিত জাতি। সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম।
গতকাল মেহেরপুরে সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে একটি সুপেয় পানির প্ল্যান্ট উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে যারা শিক্ষার্থী তারাই হবে দেশ গড়ার কারিগর। ভবিষ্যতে তারাই এ দেশকে নেতৃত্ব দেবে। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করে তুলতে হলে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য মেহেরপুরকে একটি মডেল জেলায় পরিণত করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই অঞ্চলের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
#
শিবলী/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৭১৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১৩
ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে সরকার
---পরিবেশ সচিব
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটে রূপান্তরের সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ব্লক ইটে রূপান্তরের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ-সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। ব্লক ইটে রূপান্তর সহজ করার জন্য, সকল প্রকারে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, পরিবেশের মানোন্নয়ন-সহ সকল প্রকার উন্নয়ন টেকসই করতে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে সরকারি নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নিয়ে আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বায়ুমানের উন্নতির সাথে সাথে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা হবে। নাগরিকদের সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার-সহ অন্যান্য বিষয়ে অংশীজনদের সকল সুচিন্তিত পরামর্শ স্বাগত জানানো হবে। বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষি জমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন নির্মাণে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এডিমন গিন্টিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এডিবি, বাংলাদেশ অফিস এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী। দু’টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মোঃ নাফিজুর রহমান এবং ব্লক ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (অব.)। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা, সমিতি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
#
দীপংকর/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৭২১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০১২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর তথ্যানুযায়ী গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ সময়ে ৭১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ২৮৫ জন।
#
সুলতানা/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &