Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২৮ অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৪৬৩

অবশেষে গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব গৃহীত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে

ঢাকা, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর) :

বিগত তিন সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জন্য বার বার আলোচনা করেও সফল হতে পারেনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার অভিভাবক এই পরিষদের উপর্যুপরি ব্যর্থতার পর গতকাল ২৭ অক্টোবর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্যালেস্টাইনের গাজায় মানবিক য্দ্ধুবিরতির জন্য আনিত একটি প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়।

বিগত ৭ অক্টোবর থেকে প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় এ পর্যন্ত ৩৫০০ শিশুসহ প্রায় ৭০০০ বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুবরণ করে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ। বিগত ২০ দিন ধরে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও কোন প্রস্তাবই সফলতার মুখ দেখেনি। অবশেষে গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরি সেশনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভোটাভুটি আহ্বান করা হলে তা দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ১২১টি দেশ পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।

বাংলাদেশের পক্ষে এ প্রস্তাবে ভোট প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর তিনি বলেন, প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার। তিনি এই বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্য প্রদানকালে প্যালেস্টাইনের জনগণের ন্যায্য অধিকার অর্জনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার দৃঢ় আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ সবসময় প্যালেস্টাইনের পাশে থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান করে।

রাষ্ট্রদূত মুহিত আরো বলেন, আমরা শুধু এই প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট প্রদান করিনি। নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বের কোথাও শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কোন প্রস্তাব গ্রহণে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জরুরি সেশন আহ্বান করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। সেই জরুরি সেশন যাতে অবিলম্বে আহ্বান করা হয়, সেজন্য আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছি। অন্যান্য দেশ যাতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, সেইজন্য সম্ভাব্য দেশগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছি। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে প্যালেস্টাইন বিষয়ে উন্মুক্ত বিতর্ক চলাকালে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটল ও অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।

এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি হবে। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা হবে। সেখানে মানবাধিকার সংগঠন ও কর্মীরা অবাধে প্রবেশের সুযোগ পাবে। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ঔষধের সরবরাহ নিশ্চিত হবে। একটি স্বাধীন, টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ আকাঙ্খার ন্যায়সঙ্গত ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান অর্জনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে।

#

মাসুম/পাশা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২৩০৩ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৪৬২

নৈরাজ্য থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিকরাও, বিচার নিশ্চিত করা হবে

                                                – তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিকরাও। আজ ২০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছে, দেড়শ’র বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে, একজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা হয়েছে। এই ভয়ংকর অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’

আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সাথে এ দিন ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের নামে বিভিন্ন স্থানে হামলায় আহতদের খোঁজখবর নেওয়া ও চিকিৎসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘সমাবেশের নামে বিএনপি-জামাতের নৃশংস হামলায় আহত সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য, দলীয় নেতাকর্মীসহ চিকিৎসাধীন সকলকে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে আমরা এখানে এসেছি। আমরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও যাবো।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের কি অপরাধ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘সাংবাদিকরা নিউজ কাভার করতে গেছে, পুলিশ তার ডিউটিতে ছিল, সাধারণ মানুষ তার কাজে যাচ্ছিল। এদের ওপর নৃশংস হামলা ক্ষেত্রবিশেষে বিএনপির ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ সময় আহতদের সেবায় তাদের পাশে থাকার কথা জানান। পরে প্রতিনিধি দলটি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।

#

আকরাম/পাশা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২২২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ১৪৬১

সমাবেশের নামে গন্ডগোলের অপচেষ্টা করলে জনগণকে নিয়ে কঠোর হস্তে মোকাবিলা

 --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুন, প্রশাসন আপনাদের সহযোগিতা করবে। কিন্তু গন্ডগোলের অপচেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে সেটি কঠোর হস্তে মোকাবিলা করা হবে, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করা হবে।

আজ চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অংশগ্রহণ শেষে টানেলের অপর প্রান্ত আনোয়ারায় কেইপিজেড ময়দানে জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর পূর্বে দেওয়া বক্তৃতায় মন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করা হবে।’

এ দিন ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে ড. হাছান আরো বলেন, ‘বিএনপি আজ ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা অনুমতি দিয়েছি। নাও দিতে পারতাম কিন্তু দিয়েছি। এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে। অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বিএনপি আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি’ স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের লাঠিপেটা করেছে, মতিয়া চৌধুরীর মতো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে টানা-হেঁচড়া করেছে। আর এখন তারা ক'দিন পরপর কর্মসূচি দেয়। হাঁটা, বসা, দৌড়ানো কর্মসূচির পর সামনে হয়তো হামাগুড়ি কর্মসূচি দেবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘কিন্তু মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের নাম, আর আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যার শিরায়-ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত আপোষ জানে না, পরাভব মানে না। তাই নয়াপল্টনে ৩০-৪০ বা ৫০ হাজার লোক সমাবেশ করে লাভ নেই, যেখানে গুলিস্তানের মোড়ে পাগল নাচলেও ১০-২০ হাজার লোক জড়ো হয়।’

সদ্য উদ্বোধিত টানেল সম্পর্কে চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি ড. হাছান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল এটিই প্রথম। পাহাড়ের তলদেশে টানেল, নদীর তলদেশে রেল টানেল থাকলেও নদীর নিচ দিয়ে সড়ক টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোথাও নেই। পাশাপাশি তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী এক লাখ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার ফলে ঢাকার মতো চট্টগ্রামকেও আর আকাশ থেকে চেনা যায় না, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মনে হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ বছর ৮ মাসে চীনের সহযোগিতায় কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট গভীরে নির্মিত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ সড়কটি চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পতেঙ্গার সাথে শিল্পসমৃদ্ধ আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসা চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিঙ’কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেল নির্মাণ শুরু হয়।

 

#

আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭৪৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৪৬০

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর):

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময় ৬১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

     

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬০৫ জন।

 

#

 

সুলতানা/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৪৫৯

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে

      -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুর, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর) :

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, একটি সুস্থ জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। তাই জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

আজ মেহেরপুরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদক, বিক্রেতা, ভোক্তাসহ সকলকে সচেতন হতে হবে। খাদ্য ভেজাল রোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য মেহেরপুরকে একটি উন্নত জনপদে পরিণত করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ অঞ্চলের সকলকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবন-যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপত্তা খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মনজুর মোরশেদ আহমেদ ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

#

শিবলী/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭১৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৪৫৮

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

                                                                       -খাদ্যমন্ত্রী

সাপাহার (নওগাঁ), ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর) :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। শিক্ষকগণ স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আজ নওগাঁর সাপাহারে চৌধুরী চাঁন মোহাম্মদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও শিক্ষকের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একসাথে ৩৭ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা পরবর্তীতে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেন। নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরার উদাত্ত আহ্বান জানান।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান হোসেন মন্ডল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক মাহবুবুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার নওগাঁ মো: লুৎফর রহমান, সাপাহার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ, চৌধুরী চাঁন মোহাম্মদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আবু এরফান আলী প্রমুখ।

#

কামাল/রবি/রাসেল/কলি/শামীম/২০২৩/১৬০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৪৫৭

ওয়াশিংটনে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সাথে সালমান এফ রহমানের বৈঠক

ওয়াশিংটন ডিসি, ২৭ অক্টোবর :

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সাথে গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এক বৈঠক করেন।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরো জোরদারসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তাঁরা বৈঠকে আলোচনা করেন।

উপদেষ্টা রহমান এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংঘাত, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন। উজরা জেয়া ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন এবং তাদের জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

নির্বাচন ইস্যুতে উভয়ই মনে করেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন সালমান এফ রহমান। আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না, বরং তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

সাজ্জাদ/রবি/রাসেল/কলি/শামীম/২০২৩/১৩৩৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৪৫৬

অবশেষে গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত

নিউইয়র্ক, ২৮ অক্টোবর:

        বিগত তিন সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জন্য বারবার আলোচনা করেও সফল হতে পারেনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার অভিভাবক এই পরিষদের উপর্যুপরি ব্যর্থতার পর গতকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্যালেস্টাইনের গাজায় মানবিক যু্দ্ধ বিরতির জন্য আনীত একটি প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়েছে।

বিগত ৭ অক্টোবর থেকে প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় এ পর্যন্ত  ৩ হাজার ৫’শ শিশুসহ প্রায় ৭ হাজার বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায়
১ মিলিয়নের বেশি মানুষ। বিগত ২০ দিন ধরে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো প্রস্তাবই সফলতার মুখ দেখেনি। অবশেষে গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরি সেশনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভোটাভুটি আহ্বান করা হলে তা দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ১২১টি দেশ পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।

বাংলাদেশের পক্ষে এ প্রস্তাবে ভোট প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর তিনি বলেন, প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। তিনি এই বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্য প্রদানকালে প্যালেস্টাইনের জনগণের ন্যায্য অধিকার অর্জনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার দৃঢ় আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ সবসময় প্যালেস্টাইনের পাশে থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান করে।

            এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি হবে।  বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা হবে। সেখানে মানবাধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা অবাধে প্রবেশের সুযোগ পাবে। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ঔষধের সরবরাহ নিশ্চিত হবে। হাসপাতালগুলো যাতে আহত ও অসুস্থ নাগরিকদের সেবা দিতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করার পথ উন্মুক্ত হবে। একটি স্বাধীন, টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষার ন্যায়সঙ্গত ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান অর্জনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার আগামি দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে।

#

রবি/রাসেল/কলি/শামীম/২০২৩/১৩৩৫ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১৪৫৫

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর) :

      প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২১ প্রদান অনুষ্ঠান ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর জাতীয় রপ্তানি ট্রফিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের সফল রপ্তানিকারকগণকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নে রপ্তানি বাণিজ্যের অবদান অনস্বীকার্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও সরকার অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার ইতিবাচক প্রভাব সাধারণ জনগণ পেতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা এদেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি।  

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তরণকে সামনে রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রপ্তানিখাতের বিকাশে বিভিন্ন প্রকার সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। করোনাজনিত সংকট থেকে পুনরুত্থান শুরু হতে না হতেই অনাকাঙ্ক্ষিত রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদেরকে নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে আমরা কৃচ্ছতাসাধন ও রপ্তানি প্রসারে পদক্ষেপসহ অন্যান্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

রপ্তানি আয় অর্জনে পণ্য ও সেবাখাতের সমন্বয়ে আমরা ইতোমধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থির করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার এবং রপ্তানিকারকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সমন্বিতভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি সেবাখাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পণ্যখাতের মতো সেবা রপ্তানিতেও আমরা সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারবো।

রপ্তানি বাণিজ্য সামস্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনয়ন করে। রপ্তানি বাণিজ্য একটি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ এবং এ কর্মযজ্ঞে যেমন চ্যালেঞ্জ রয়েছে তেমন রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার সাফল্য। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে সকল প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সফলতার সাথে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে তাদের স্বীকৃতি প্রদান সরকারের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।  

নিয়মিতভাবে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান কার্যক্রম দেশের রপ্তানিকারকগণকে উৎসাহিত করবে এবং রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

আমি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২১ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 

           জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

           বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরুল/রবি/রাসেল/কলি/শামীম/২০২৩/১২৫৫ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৪৫৪

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর):

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি ট্রফি অর্জনকারী কৃতি রপ্তানিকারকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ভবিষ্যতে আর থাকবে না। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের এখন থেকেই নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করতে সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনদের একযোগে কাজ করতে হবে।

রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য পণ্যের মানোন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, বর্তমান বাজারকে সংহত করা এবং নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি তালিকায় যুক্ত করতে হবে। এছাড়া রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। রপ্তানিকারকের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে রপ্তানি ট্রফি প্রদান বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলে কার্যকর অবদান রাখবেন- এটাই সকলের প্রত্যাশা।

আমি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

রাহাত/রবি/রাসেল/কলি/শামীম/২০২৩/১১৫৩ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

 

2023-10-29-13-21-64a3ad1e7e19c905892b938f067ec583.docx