তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৩০
ভোট গ্রহণের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় নির্বাচনি আচরণবিধি পালনে করণীয়
ঢাকা, ১০ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) :
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুযায়ী ঢাকা জেলার ৫টি নির্বাচনি এলাকার (১৭৪ ঢাকা-১, ১৭৫ ঢাকা-২, ১৭৬ ঢাকা-৩, ১৯২ ঢাকা-১৯ এবং ১৯৩ ঢাকা-২০) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণ করার পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি এলাকায় কোনো ব্যক্তি জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে এবং কোনো ব্যক্তি কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংগঠিত করতে বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না।
ঢাকা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান স¦াক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোনো হিংসাত্মকমূলক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ, ভোটারগণ বা নির্বাচনি কাজকর্ম বা দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা কোনো অস্ত্র বা শক্তি প্রদর্শন বা ব্যবহার করা যাবে না।
কোনো ব্যক্তি উক্ত বিধানাবলী লঙ্ঘন করলে তিনি অন্যূন দুই বছর এবং অনধিক সাত বছর সশ্রম কারাদ-ে এবং অর্থদ-েও দ-নীয় হবেন।
#
ছালেহ/মাহমুদ/নাছির/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২৬
ক্রয়সীমার মধ্যে সেবা দিতে হবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের প্রয়োজনীয়তা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। মানুষ শুধু বিদ্যুৎ পেয়েই সন্তুষ্ট নয়। তারা মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চায়। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে, মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে সেবা পৌঁছে দিতে হবে। সরকার এসব নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ডিপিডিসি ও আরইবি’র বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দ্রুততার সাথে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ৯৪ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ৫৫ লাখ সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে। রূপকল্প ২০২১ পেরিয়ে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
বিদ্যুতের একক ক্রেতা হিসেবে পিডিবির সাথে অন্যান্য বিতরণ সংস্থার বিদ্যুৎ বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুরেটরি কমিশনের নির্দেশনা রয়েছে। এরই আলোকে আজ পিডিবি’র সাথে আরইবি এবং ডিপিডিসি চুক্তি সম্পাদন হলো। এ চুক্তির ফলে চুক্তিবদ্ধ সংস্থাসমূহ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও ক্রয়ের আইনগত কাঠামোর আওতায় আসলো। চুক্তির মাধ্যমে পরস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নির্দিষ্ট করা হবে ফলে এখানে কোন বিরোধ হলে তা আইনের আওতায় নিরসন করা যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সমন্বিত ও সুশৃঙ্খলা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল আন্তঃসংস্থার আয় ব্যয়, লাভ লোকসান, দায় দেনা ইত্যাদির হিসাব সুনির্দিষ্টকরণ ও অর্থ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চুক্তিতে পিডিবির ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ ইমরুল হোসেনের সাথে আরইবি’র সচিব আসাফুদ্দৌলাহ ও ডিপিডিসি’র সচিব জয়ন্ত কুমার শিকদার স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবি’র চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, আরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) ও ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২৩
উন্নয়নকে টেকসই করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কাজ করছে
--- সংস্কৃতি সচিব
ঢাকা, ১০ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বকে চমক দেখিয়েছে। মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ প্রভৃতিসহ অর্থনীতির এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
সচিব আজ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বিজয় দিবসের তাৎপর্যঃ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে না, উন্নয়নকে টেকসই করার লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে; টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে বাংলাদেশ পূর্ণমাত্রায় সম্পৃক্ত রয়েছে। উন্নয়নের সাথে সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রগতি, উন্নয়ন ও অসাম্প্রদায়িকতার সাথে আছি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে আরো প্রয়োজন খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা। তবেই আমাদের যুব সমাজ মাদকসহ সামাজিক অবক্ষয় ও জঙ্গিবাদ হতে মুক্ত থাকতে পারবে।’
সারাদেশে সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সচিব আরো বলেন, প্রতি উপজেলায় কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রকে পরিকল্পনা মাফিক শাহবাগে নির্মিতব্য সুপরিসর আধুনিক পাবলিক লাইব্রেরি কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ মজিবর রহমান আল মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ এবং অন্যপ্রকাশ এর সম্পাদক, প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম।
সেমিনারে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক এ কে এম রেজাউল করিম রচিত প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক সুহিতা সুলতানা।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২২
শিক্ষামন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ফল প্রকাশ
ঢাকা, ১০ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ২০১৮এর ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে ২০১৮ সালের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৫ নভেম্বর শেষ হয়।
শিক্ষামন্ত্রী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার জেএসসিতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন, যা গত বছর ছিল ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৪২ জন। বেড়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৭ জন। পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন, যা গত বছর ছিল ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। বেড়েছে ২ লাখ ১২ হাজর ৫৫৮ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩। গতবছর ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫। বেড়েছে ২ দশমিক ১৮%। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কিছু ইতিবাচক দিক লক্ষ্য করা গেছে। যেমন, এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। ছাত্রের তুলনায় ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৫ জন ছাত্রী বেশি অংশগ্রহণ করেছে, ২ লাখ ৫৫ জন ছাত্রী বেশি উত্তীর্ণ হয়েছে, ১ দশমিক ৩১% বেশি পাস করেছে এবং ১১ হাজার ৭১৫ জন জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণের অক্লান্ত প্রচেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সহযোগিতায় এ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
নাহিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বরাবরের মত এবারও সম্পূর্ণ পেপারলেস ফল প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ে ফল পৌঁছে যাবে। প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রয়োজনে ফল ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী তাদের ফল এসএমএস এর মাধ্যমে জানতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বোর্ডসমূহ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্রমশঃ উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। পরীক্ষায় কৃতকার্য সকল পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দকে শিক্ষামন্ত্রী অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আশা করবো তারা নব উদ্যমে পূর্ণ প্রস্তুুতিতে আগামীতে আবার পরীক্ষা দিয়ে সফলকাম হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজুর/অনসূয়া/জসীম/সেলিনা/রেজ্জাকুল/কুতুব/২০১৮/১৫৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪১৯
শুভ বড়দিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১০ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব 'বড়দিন' উপলক্ষে আমি এ সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট এ দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যীশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যীশু নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। Zuvর জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এদেশে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা রয়েছে। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে এদেশে সকল ধর্মীয় উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়। আমি আশা করি, বড়দিন দেশের খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে।
এ পুণ্যদিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে আমি মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
উৎসবমুখর বড়দিনে আমি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সেলিনা/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪১৮
শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১০ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"শুভ বড়দিন উপলক্ষে আমি দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এ পৃথিবীতে মহামতি যীশু খ্রিষ্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মানবজাতির মুক্তির দূত, আলোর দিশারি। পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিষ্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান। তিনি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশু খ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশু খ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ সম্প্রীতি আমাদের আবহমান কালের। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্মবর্ণনির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। জাতির পিতা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমি একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।
শুভ বড়দিন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকলের জন্য বয়ে আনুক অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ, সবার জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধিতে - এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
হাসান/অনসূয়া/জসীম/সেলিনা/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা