Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী ১৭ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৪১৭৩

 

বরেণ্য অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণের শোক

 

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :

 

বরেণ্য অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

এছাড়া, মাসুম আজিজের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ।

 

                                                 #

দীপংকর/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/আব্বাস/২০২২/২০২৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪১৭২

 

বিএনপির উদ্দেশ্যই হলো দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা

                --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলার চেষ্টা করছে, যদিওবা জমাতে পারছে না।’

আজ সচিবালয়ে টেলিভিশন গণমাধ্যমের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) খাদিজা বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নেতারা এর আগে খালেদা জিয়া অসুস্থ, বিদেশ না নিলে মারাই যাবে–এটি বলে জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। এখন ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার প্রেক্ষিতে পৃথিবীময় সংকট চলছে। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। এই প্রেক্ষাপটে তারা এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার ও দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের এবং এর চেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা আমরা মোকাবিলা করেছি। ২০১৩-১৪-১৫ সালে উনারা যা করেছিল সেগুলো মোকাবিলা করেছি। সুতরাং তাদের এই বিশৃঙ্খলা, হুমকি, আন্দোলন আন্দোলন খেলা এগুলো মোকাবিলা করা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপার নয়।’ 

‘নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসলে রাজপথে ফয়সালা হবে’ বিএনপির এ মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে ১০ বছরের বেশি সময় আগে। ১০ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে। মির্জা ফখরুল সাহেবদের এছাড়া আর কোনো বক্তব্য নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা, কোমরের ব্যথা, তারেক রহমানের শাস্তি, নির্বাচন কমিশন- এর মধ্যেই এদের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে।’

চাকরির মেয়াদ পূর্তির প্রায় এক বছর আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেনকে অবসর প্রদানের আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এটি গতকাল আমি মন্ত্রণালয়ে এসে শুনেছি। অন্তর্নিহিত কি কারণ সেটি আমি জানি না। সেটি বলতে পারবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনো সচিব অবসর গ্রহণ করলে তাকে আবার চুক্তি দিতে পারে, দেয়। আবার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সচিবকে অবসর দেয়। এগুলো আগেও ঘটেছে। প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে, আমি মন্ত্রণালয়ে এসে শুনেছি।’ 

তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছিল, চলছে, কারণ আমি প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ে আসি। সকল কাজ আমি সম্পূর্ণভাবে তদারক করি। আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করি।’

 

 

 

-২-

 

জাতীয় পর্যায়ে টেলিভিশন পুরস্কার প্রবর্তনের কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়

 

এর আগে টেলিভিশন গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। অভিনয়শিল্পী, নাট্য পরিচালক ও প্রযোজকদের মধ্যে শম্পা রেজা, অরুণা বিশ্বাস, শামস সুমন, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, এস এম কামরুজ্জামান সাগর, নাজনীন হাসান চুমকী,  সুমন শামস, প্রসুন বিশ্বাস, আমর শাইখ প্রমুখ বৈঠকে টিভি নাটকের বিকাশে তাদের মতামত তুলে ধরায় মন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।

বিস্তারিত আলোচনার প্রেক্ষিতে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর আমি আমার সর্বোচ্চ নিষ্ঠা দিয়ে, ক্ষমতা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে অভিনয় শিল্পীদের এবং দেশের টেলিভিশন শিল্পের উন্নয়ন ঘটে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো জাতীয় পর্যায়ে টেলিভিশন পুরস্কার প্রবর্তন করা যায় কি না সেটি নিয়েও মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে বলে জানান সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেহেতু এটি একটি জাতীয় বিষয়, এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, এটি আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, আগে ক্যাবল নেটওয়ার্কে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কোনো সিরিয়াল ছিলো না, সেখানে একটা শৃঙ্খলা আনতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতবর্ষে দেখানোর চেষ্টা শুরু হয়, আজ থেকে ৩০ বছর আগে। কিন্তু সেটি তিন দশকেও সফলতার মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর ২০১৯ সালেই সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরো ভারতবর্ষে ডিটিএইচ ডিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রদর্শিত হচ্ছে, যেটি একটি মাইলফলক। 

দেশের অভিনয় শিল্পীদের কথা বিবেচনায় রেখেই আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যেটি আমরা খুব সহসা কার্যকর করতে যাচ্ছি উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, অনেক বিজ্ঞাপনচিত্র বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে বানানো হয় অথচ আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান অভিনয় শিল্পী আছে, বিজ্ঞাপন নির্মাতাও আছে। দেশের বিজ্ঞাপন নির্মাতারা অতীতে অনেক ভালো বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন যেগুলো শুধু পণ্যের বিজ্ঞাপন বলা যাবে না, যেগুলো মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, মানুষকে ভাবায়। ১০ বা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই সে ধরনের বিষয় উপস্থাপন করা অনেক মুন্সিয়ানার কাজ, সেটি আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন নির্মাতারা, আমাদের অভিনয় শিল্পীরা অতীতে করে দেখিয়েছে। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইদানিংকালে আমরা একটি ট্রেন্ড দেখতে পাচ্ছি, যতোটা সম্ভব বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানো এবং বিদেশি বিজ্ঞাপন ডাবিং করে এখানে সেটিকে প্রদর্শন করা। আমরা সেটির লাগাম টেনে ধরতে চাই। সেজন্য ইতিমধ্যেই আমরা এই মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলাম যে, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পী পিছু ট্যাক্স-ভ্যাটের বাইরে প্রতি শিল্পীর জন্য ২ লাখ টাকা করে সরকারকে বাড়তি কর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা প্রদর্শন করবে তাদেরকেও ফিস দিতে হবে, ডাবিংকৃত বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্যও সেটি প্রযোজ্য হবে। দেশের শিল্পী এবং শিল্প দুটিই উপকৃত হয়, সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। 

ডাবিংকৃত বিদেশি সিরিয়ালের বিষয়ে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, কিছু টেলিভিশন চ্যানেল ৩০-৫০ বছর আগের বিদেশি সিরিয়াল কিনে এনে ডাবিং করে চালায়। প্রথমে দু’একটি চ্যানেল শুরু করেছিল পরে প্রায় অনেকগুলো চ্যানেল সেটি শুরু করেছে। আমরা লাগাম টেনে ধরেছি, একটির বেশি সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন চ্যানেল প্রচার করতে পারবে না। একেবারে বন্ধ করছি না, কারণ পৃথিবী এখন মুক্ত বাজার অর্থনীতি, আকাশ মুক্ত। কিন্তু আমাদের শিল্পীদের ও আমাদের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে একটির বেশি সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন একসঙ্গে চালাতে পারবে না। 

এ সময় মন্ত্রী আরো জানান, ‘বিটিভি’র মতো চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রও টেরেস্ট্রিয়াল, সারাদেশে দেখা যায়, স্যাটেলাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে সারা বিশ্বে দেখা যায়। এই কেন্দ্রে মঞ্চ নাটক, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও নির্বাচিত কবিতা আবৃত্তির জন্য প্রতি সপ্তাহে একটি স্লট নির্ধারিত আছে, যা আগে কখনো ছিল না, আমি উদ্যোগ নিয়ে চালু করেছি।’ 

#

 

আকরাম/পাশা/রাহাত/ মোশারফ/আরাফাত/রেজাউল/২০২২/১৮৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪১৭১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) : 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৮৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ সময় ৫ হাজার ৬২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪০২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫২ জন।

 

কবীর/পাশা/মোশারফ/আরাফাত/রেজাউল/২০২২/১৬৪৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪১৭০

 

২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে

                                               -- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর): 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার মাধ্যমে বর্ধিত খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন ফসলের জলবায়ু সহনশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির সম্প্রসারণ ও পরিবেশবান্ধব কৃষি উপকরণের ব্যবহার নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি কৃষিপণ্য   প্রক্রিয়াজাতকরণ, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গবেষণায়ও গুরুত্ব দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানির বাজার অনুসন্ধান করতে হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের সময় গ্যাপ নীতমালা অনুসরণ করতে হবে।

‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ দানা শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমাদের পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাজারদর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, খাদ্যের সুষম বণ্টনসহ সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা যেমন জরুরি তেমনি সকলের পুষ্টি সচেতনতার বিষয়টিও অত্যাবশ্যকীয়। তিনি আরো বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে টেকসই কর্ম-পদ্ধতির বিকাশ সাধন করে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার কাজ এগিয়ে নেয়া যাবে। মন্ত্রী এসময় সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর লরেন্স হাদ্দাদ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি সাসো মার্টিনো, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বেনজির।

#

দীপংকর/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৭৫০ঘন্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪১৬৯

জাতির পিতা নাগরিকদের সামাজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করেছিলেন

                                               -আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

বরিশাল, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) : 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের আলোকে নাগরিকদের সামাজিক সুরক্ষা বিধানের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করেছিলেন। তাঁর হাত ধরে যে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল সেটি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশেষ কর্মযজ্ঞে রূপান্তরিত হয়েছে।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় গুণীজন ও সমাজ সংগঠকদের সাথে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, যে সমাজ জ্ঞানী-গুণীজনের কদর করেনা, সে সমাজে জ্ঞানী-গুণীজনের সৃষ্টি হয়না। সমাজ সচেতন মানুষের সম্মিলিত মেধা, মনন ও কর্ম-প্রয়াস একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল সমাজ বিনির্মাণের সহায়ক শক্তি। তিনি বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে দেশব্যাপী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামোখাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর ২০২১-২২ অর্থ বছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ও পরিমান বাড়িয়েছে। দেশে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৯ লাখ হতে ৫৭ দশমিক ০১ লাখে উন্নীত করা হয়েছে।  

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বরিশালবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ও স্বচ্ছলতা আনয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক সংগঠনগুলোকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে তিনি সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

#

আহসান/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/মেহেদী/শাম্মী/শামীম/২০২২/১২১০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৪১৬৮

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) : 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব -এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এঁর ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমি তাঁকে গভীর ভালোবাসা ও পরম মমতায় স্মরণ করি এবং তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

          শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো পালিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ এর প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

          শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় জন্মগ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অত্যন্ত প্রিয় লেখক ছিলেন খ্যাতনামা দার্শনিক ও নোবেলজয়ী লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল। জাতির পিতা বার্ট্রান্ড রাসেলের বই পড়ে বঙ্গমাতাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন। তাই বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গমাতা দু’জনে মিলে শখ করে তাঁদের আদরের ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘রাসেল’। রাসেল নামটি শুনলেই প্রথমে যে ছবিটি সামনে আসে তা হলো- হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল এক ছোট্ট শিশুর দুরন্ত; যে শিশুর চোখগুলো হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথা ভর্তি অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব- যে মুখাবয়ব ভালোবাসা ও মায়ায় মাখা।

          এই কোমলমতি শিশু রাসেলকে আমরা হারিয়েছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ইতিহাসের এক নির্মম, জঘন্য ও বিভীষিকাময় রাতে। স্বাধীনতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকদের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্য শহিদ হন ঐ কালরাতে। সেদিন ছোট্ট শিশু রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। রাসেল তো বাঁচতে চেয়েছিল। বাঁচার জন্য ঘাতকদের কাছে আকুতি জানিয়েছিল, মায়ের কাছে যাবার কথা বলেছিল। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঘাতকরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

          বিভীষিকাময় সেই রাতের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহুর্ত এখনও গভীর শোকের সঙ্গে স্মরণ করি। এখনও ভাবি, কারো বিরুদ্ধে শত্রুতা থাকতেই পারে, কিন্তু সেই ক্ষোভ একজন কোমলমতি শিশুকে কেন কেড়ে নিবে? এই শিশু কী দোষ করেছিল। সে তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অংশ হবে? এতসব স্মৃতি স্মরণ করতে কষ্ট হয়। চোখ ভিজে ওঠে, বুকে পাথর বেঁধে সেইসব স্মৃতির সাগরে ডুব দেই। কারণ সেদিন ঘাতকের বুলেট যে কোমলমতি শিশুটির প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, সে ছিল নির্দোষ-নিষ্পাপ। মহানুভবতা ও ব্যবহারে সে ছিল অমায়িক। রাসেল যদি বেঁচে থাকতো, তাহলে হয়তো মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাঁকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারতো।

          শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তাঁর পবিত্র স্মৃতি। বাংলাদেশে সকল শিশুর মধ্যে আজও আমি রাসেলকে খুঁজে ফিরি। এই শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তারা এগিয়ে আসুক- আজ এ প্রত্যাশাই করি।

          আমি ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

     জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

     বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

সরওয়ার/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/আসমা/২০২২/১০২৫ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪১৬৭

 শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী  

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) : 

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৮ অক্টোবর  ‘শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

          বঙ্গবন্ধু পরিবারে আনন্দের বার্তা নিয়ে ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে রাসেল ছিলেন সবার ছোটো, অনেক আদরের। রাসেল নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুকে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে কারাগারে। এজন্য শিশু রাসেল পিতার সান্নিধ্য ও আদর-যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো রাসেলও ছিলেন সহজ-সরল ও অত্যন্ত বিনয়ী। অন্য শিশুদের সাথে নিজের জামা-কাপড় ও খেলনা ভাগাভাগি করা ও মানুষের উপকার করার চেষ্টা ছোটবেলা থেকেই পরিলক্ষিত হয়েছে শেখ রাসেলের মাঝে। তিনি ছিলেন আদর্শ পিতার যোগ্য সন্তান। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো আজ জাতির নেতৃত্ব দিতেন। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতেন। কিন্তু বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহিদ হন। ঘাতকরা দশ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি। ছোট্ট রাসেল সেদিন ঘাতকদের মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’ কিন্তু সেই কুলাঙ্গার ঘাতকদল তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মৃত্যুকালে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্তা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।

          বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কোনো শিশুই যাতে রাসেলের মতো নৃশংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর সকল শিশু নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে ভালোবাসার মাঝে বেড়ে উঠুক – শেখ রাসেল দিবসে এ আমার প্রত্যাশা।  

          আমি শহিদ শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

হাসান/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/আসমা/২০২২/১০২৭ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ                                                                                                        

2022-10-17-14-51-0285194802c3995a6910fc9d585c4eb3.docx