Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ ডিসেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ১১ ডিসেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৪৮৯১

গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার অবদান যুগান্তকারী

                                   --- ঢাকায় জাতিসংঘের গোলটেবিলে তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর ) :

          দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে অনন্য ও যুগান্তকারী বলে বর্ণনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। 

          আজ ঢাকায় বনানীতে শেরাটন ঢাকা হোটেলে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতার বেসরকারি খাতে উন্মোচিত হয়েছে। শুধু বিটিভি ছিল, এখন ৪৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। শুধু বাংলাদেশ বেতার থেকে এখন ২৭টি এফএম ও ৩২টি কমিউনিটি রেডিও লাইসেন্স পেয়েছে। গত ১৪ বছরে পত্রপত্রিকার সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। আর কত হাজার অনলাইন পত্রিকা হয়েছে, তা গবেষণার বিষয়। 

          তথ্যমন্ত্রী বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সকল মানুষের সমান অধিকারের কথা আমাদের সংবিধানে প্রোথিত এবং দেশের গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনভাবে শুধু কাজই করছে না, দ্রুত বিকাশও লাভ করছে।

          ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বৈঠকে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে সকলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যই এ আইন। বিশেষ কোনো মানুষ, গোষ্ঠী বা পেশার জন্য নয়। আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, সিংগাপুর থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কন্টিনেন্টাল ইউরোপের দেশগুলো, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশে এ আইন আছে। কারণ এর বাস্তব প্রয়োজন রয়েছে।

          মন্ত্রী এ সময় এ আইনের বলে একজন গৃহিণী কীভাবে তার চরিত্রহননের প্রতিকার পেয়েছেন, সে উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক এ আইনের সুরক্ষা নিয়েছেন এবং আইনটির অপপ্রয়োগ রোধে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।

          বৈঠকের সঞ্চালক জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস (Gwyn Lewis) তার স্বাগত ভাষণে ৫ম বারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে রেকর্ড ভোটে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া এবং এ দেশে গণমাধ্যমের ক্রমবর্ধমান বিকাশের কথা উল্লেখ করেন। আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি শোয়ার্দ (Nathalie Chuard)। 

          বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, এডিটরস গিল্ড সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ প্রধান ফারুখ ফয়সল, অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, জাপান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব কোবায়াশি ইয়োশিয়াকি (Kobayashi Yoshiaki), ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা বৈঠকে দেশে গণমাধ্যমের আরো উন্নয়নে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

#

আকরাম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/২২৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৮৯০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছে

                                                                       --- আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্

ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর ) :

          পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস  বিকৃত করা হয়। সেসময় দেশের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পরিচয় দিতে ভয় পেত। তিনি বলেন, খুনি চক্র শুধু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকেই কলুষিত করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করে খুনিদের চাকুরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছে। তিনি বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান, ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা, গৃহহীনদের গৃহ প্রদান, সরকারি চাকুরিতে কোটা প্রদান, জমির খাজনা মওকুফ, ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান সহ নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছে।

          আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের মাঝে ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।

          উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিয়া তানজিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা মীরা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ আনিসুর রহমান, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ, উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু প্রমুখ।

          আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, দেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

          অনুষ্ঠানে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪৩৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৪শত ২৫জন শহিদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বজন ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যের হাতে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করেন।

#

আহসান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/২১০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৮৮৯

 

বিএনপির ১০ দফা নতুন কিছু নয়

                                ---কৃষিমন্ত্রী

 

টাঙ্গাইল, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) : 

 

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপির ১০ দফা নতুন কিছু নয়। পুরানো ভাঙা রেকর্ড তারা বাজিয়েই চলেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, নিরপেক্ষ সরকার চাই, সরকারের পতন চাইসহ নানা দফা-দাবি জানিয়ে আসছে। বিএনপি কী চাইল আর কী চাইল না-সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে না, দেশ চলবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। 

 

আজ টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সংসদের কিছু হবে না। সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি রয়েছে। সংসদ যথানিয়মে চলবে। 

 

বিএনপি-জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনকে হাস্যকর বলে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, এরা একই বৃন্তের ফুল। যত কথাই শোনা যাক, বিএনপি-জামায়াত পরস্পরকে কখনো ছেড়ে যাবে না।

 

ড. রাজ্জাক বলেন, বিদেশিদের ও স্বাধীনতাবিরোধীদের উস্কানিতে বিএনপি মনে করে, সন্ত্রাস করে, অরাজকতা করে সরকারের পতন ঘটাবে। এটি কোনো দিনই হবে না। ২০১৩ সালে তারা পারেনি, ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল দিয়েছিলো বিএনপি, তখনও তারা সফল হয়নি। ২০২২-২৩ সালেও তারা সফল হবে না। কাজেই, বিএনপি আন্দোলন করে কখনো সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। বর্তমান সরকার একটি ন্যায়সঙ্গত, জনগণের নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার, মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। 

 

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

 

#

কামরুল/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৮৮৮

আগামী জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে

                                                                      ---রেলপথ মন্ত্রী

আখাউড়া, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) : 

 

রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন আগামী জুনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে।

মন্ত্রী আজ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শনের সময় আগরতলা সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন।

রেলপথ মন্ত্রী এ সময় বলেন, উভয় দেশের জন্য আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন সংযোগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লাইনটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, পাশাপাশি মানুষ সহজে
দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবে। ইতিপূর্বে তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে, নতুন করে সময় বাড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবের মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে এখন যতটুকু কাজ আছে আশা করা যায়, জুনের মধ্যে তারা সম্পন্ন করতে পারবে। আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্প সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি তিনি আজ পরিদর্শন করেছেন। সে প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আগামী ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে ১৭ কিলোমিটার রেললাইন যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে কিছু জায়গার কাজ স্থগিত আছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরিদর্শনের সময় কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে বাধা দেওয়া আছে সে অংশটি রেখে বাকি অংশের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি ভারতীয় অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, লাকসাম-আখাউড়া প্রকল্পের পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও
আখাউড়া-আগরতলা প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।           

#

শরিফুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৮৮৭

বিএনপি ও তার সহযোগীরা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যেতে চাইছে

                                                         --- শ ম রেজাউল করিম

ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর ) :

          বিএনপি ও তার সহযোগীরা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যেতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

          আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, গুণিজন সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও দৈনিক ভোরের আকাশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

          এ সময় মন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত সরকার যারা নতুন করে নির্বাচিত হয়ে আসবে, তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে এটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা বলছে এসব মানি না। তার মানে সংবিধানিক বিধি-বিধান তারা মানে না, এটা সংবিধানের বিধি-বিধান পরিপন্থী। দেশের সংবিধান অনুযায়ী অসাংবিধানিক কিছু করলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।

          মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা আগুন দিয়ে, পেট্রোল দিয়ে, রাস্তাঘাট ধ্বংস করে যে ইমেজ সংকটে পড়েছিল সে ইমেজ সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে আবার তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।

          শ ম রেজাউল করিম বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের নামে বাংলাদেশকে পেট্রোলের বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোট। দেশের মানুষ তা ভুলে যায়নি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন প্রতিহত করার নামে পাঁচ হাজারের ঊর্ধ্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ধ্বংস করা। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি, দেশে অসাংবিধানিক সরকার আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এখনও তাদের লক্ষ্য সেটা। তিনি আরো বলেন, বিজয়ের মাসে বিজয়ে পরাজিতরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়। ত্রিশ লাখ শহিদের রক্ত মাড়িয়ে তাদের আবার এ বাংলাদেশে চাঁদ-তারা পতাকা উড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।

          এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা বলা যায় না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান থাকতো। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হতো এ ভূখন্ড। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের যে অভিযাত্রা, সেই অভিযাত্রায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার প্রতিষ্ঠার শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা।

          বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ও দৈনিক ভোরের আকাশ-এর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষালের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।

          অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আইনজীবী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান ও নাট্যব্যক্তিত্ব লাকী ইনাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী।

#

ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৮৮৬

 

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

                                                              --বীর বাহাদুর উশৈসিং

 

ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) : 

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড় ও সমতলে সমান উন্নয়ন হচ্ছে। পাহাড় এখন আর পিছিয়ে পড়া কোনো জনপদ নয়। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে দেশের অর্থনীতির ভীত আরো সুদৃঢ় হয়েছে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের নারীরা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ধারক ও বাহক। পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ সুরক্ষা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। নারীরা হলো পর্বত সম্পদের সুরক্ষাকারী ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবক।  

আজ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) আলেয়া আক্তার।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, পাহাড়ের জুম চাষে নারীদের ভূমিকা অনেক। পাহাড়ি ঝরণা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরিবারের অন্য সদস্যদের পানির চাহিদা মেটায় পাহাড়ি নারীরা। পর্বতের নারীরা কৃষক, পর্বতের নারীরা ব্যবসায়ী, পর্বতের নারীরা কারিগর, উদ্যোক্তা এবং সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত হচ্ছে। পার্বত্য নারীরা ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিগত সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সংঘটিত প্রতিটি দুর্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পার্বত্য অঞ্চলের জানমালের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করেছে।

#

রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৭৩১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৮৮৫

 

যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এদেশের মানুষ নিরাপদে থাকবে

                                                            --মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

মুন্সিগঞ্জ, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) : 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এদেশের মানুষ নিরাপদে থাকবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে। 

আজ মুন্সিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন রুদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি রাজনৈতিক দেউলিয়া হয়ে চলন্ত বাসে জলন্ত আগুনে জীবন্ত ও ঘুমন্ত নারী ও শিশুসহ বহু মানুষকে হত্যা করেছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তারা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। এই বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল জনগণের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার বৃহৎ উন্নয়ন কাজের জোয়ার বইছে। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল, মাথাপিছু আয়, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসহ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। 

জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন। সভায় আরো বক্তৃতা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জবাসীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের দিন। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিন মুন্সিগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করেছিল। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, সম্মানী ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা, রেশন সুবিধা দিচ্ছে। সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে।

আজ মুন্সিগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে জেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে।

#

আলমগীর/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৭৫৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৮৮৪

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) : 

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৫৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ জন।

 

#  

 

কবীর/পাশা/রেজাউল/২০২২/১৬০৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৪৮৮৩

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :   

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর 'সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১২ ডিসেম্বর 'সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস-২০২২' পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'কাঙ্ক্ষিত পৃথিবী গড়ি : সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করি' যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। তিনি স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্বদান, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের চাকুরি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান এবং বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্টিং স্টাফের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছি। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে। গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদান, স্বাস্থ্যখাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, মাঠপর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং সকল স্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত এবং এর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সকলে মেডিকেল শিক্ষা, চিকিৎসা, সেবা দান ও গবেষণা কার্যক্রমে আরো গতিশীল ও উন্নতকরণের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি।

আমি ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস-২০২২' উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।”

#

ইমরুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/ডালিয়া/শাম্মী/রবি/শামীম/২০২২/১৪১৫ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর: ৪৮৮২

মৃতপ্রায় বিএসসি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে

- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২:

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বিএসসি পরিচালনার পর্ষদের চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক পদক্ষেপের কারণে মৃতপ্রায় বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিএসসি ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট লাভ করেছে ২২৫ দশমিক ৮১ কোটি টাকা। শেয়ার মার্কেটে বিএসসি একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ২০২১-২২ অর্থবছরের  ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায়  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বিএসসি&r

2022-12-11-16-32-d4e74b3e361cc4be49f9f441b9bf5bed.docx