Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী ২২ এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩৩২৬

 

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে

                                  -- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

যশোর, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল): 

 

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দেশের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। সামনের দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

 

আজ যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাগণের সাথে সশস্ত্র বাহিনী এবং যশোর জেলার বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী ব্যতীত কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে বিভিন্ন থানা থেকে ছিনতাই হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মাদক দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। তাই মাদকদ্রব্যের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে হবে। উপদেষ্টা সবাইকে দুর্নীতিমুক্তভাবে দায়িত্ব পালন করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ উপহার দিতে অনুরোধ করেন।

 

সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণায়রের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

রোকন/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২২:৩০ ঘন্টাতথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর: ৩৩২৫

সব জঘন্য  মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করা হবে
                                                   --- আইন উপদেষ্টা

ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল):
    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল  বলেছেন, আমরা আমাদের কাজে অটল ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রয়েছি। বাংলাদেশে যতরকম জঘন্য  মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে তার বিচার করা হবে।
    আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রস্তাবিত ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
    আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান  সরকারের অন্যতম  অগ্রাধিকার হচ্ছে গুম, খুন, মানবতাবিরোধী অপরাধ-সহ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে যে নৃশংসতম ঘটনাগুলো ঘটেছে তার বিচার নিশ্চিত করা। এজন্য বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও সংস্কার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক যে আইন রয়েছে সরকার তার পক্ষ নিচ্ছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। একইসাথে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
    উপদেষ্টা  বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়ার গতি নিয়ে  অনেকের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিফ প্রসিকিউটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয়না যে, তাদের চেষ্টার মধ্যে কোনো গাফিলতি আছে। কারণ এই বিচার আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।
    আইন উপদেষ্টা আরো বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের আমলে অনেক ভালো ভালো আইন করা হয়েছিল।  আওয়ামী লীগ সরকার তা রাখেনি। এখন অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আপনারা যেসব আইন করে যাচ্ছেন তা পরবর্তী সরকার রাখবে কি না? জবাবে বলেছি, আমরা সমস্ত সংস্কার প্রক্রিয়াতে (যেটা ওয়ান ইলেভেন সরকার করেনি) সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের অন্তর্ভুক্ত করে যাচ্ছি। যাতে কেউ বলতে না পারে যে, তাদের এখানে কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। এই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্যই সরকার বার বার তাদের সঙ্গে পরামর্শ করছে।
    আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম; গুম সম্পর্কিত তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল এসিস্ট্যান্ট এহসানুল হক সমাজী, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন শিশির মনির, মায়ের ডাক সংগঠনের সমন্বক সানজিদা ইসলাম  প্রমুখ নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন।
#

রেজাউল/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২২৩৫ঘণ্টা   

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর: ৩৩২৪

বাংলাদেশের মৎস্যখাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কারিগরি সহায়তার আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল):
    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সামুদ্রিক মৎস্য এবং এ সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, মেরিকালচার ও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের মৎস্যখাতে দক্ষিণ কোরিয়া কারিগরি সহায়তার আহ্বান জানান।
    উপদেষ্টা আজ পোর্ট সিটি বুসানে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের মৎস্য বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার এবং জাতীয় মৎস্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট চোল ইয়ং সি এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা গভীর সমুদ্রে অবৈধ মাছ ধরার বিরুদ্ধে নজরদারি জোরদার, গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ ধরায় সক্ষমতা অর্জন, সামুদ্রিক সম্পদের মজুত নির্ণয় সহায়তা, সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষকদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান, মূল্য সংযোজন পণ্য উন্নয়ন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট উন্নয়নের  মাধ্যমে মৎস্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
    দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উপদেষ্টা কোরিয়ান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলদেশ সরকার সাধারণ মানুষের আমিষ চাহিদা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোরিয়ান সরকার তার জনগণকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে মাছের যোগান দেওয়ার জন্য নানা পদক্ষেপে গ্রহণ করেছে। তবে, উভয় দেশেরই কমন ও বৈশ্বিক অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তিনি এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র একত্রে কাজ করতে পারে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ জন্য উভয় দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা যেতে পারে মর্মে  উপদেষ্টা প্রস্তাব করেন।
      কেকারিয়ার ভাইস মিনিস্টার প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করে বলেন,  মৎস্যখাতে বাংলাদেশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার মৎস্যখাতে বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজে বের করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, আলোচনার ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আরও সহযোগিতার বিকাশ উভয় পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
    ভাইস মিনিস্টার আরো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ইতোমধ্যেই অবৈধ মাছ ধরার পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ ধরার ট্র্যাকিং-এর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছে। নির্দিষ্ট প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশকে কোরিয়া সহযোগিতা করতে পারে। তিনি প্রযুক্তিগত গবেষণা সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
    উপদেষ্টা দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে ইতোমধ্যে কোরিয়া মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (কেএমআই)-এর সভাপতি, কোরিয়ান ফিশারিজ রিসোর্সেস এজেন্সি (এফআইআরএ)-এর সভাপতি, পুকিয়ং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, কোরিয়া ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-সহ অন্যান্যদের সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এছাড়া, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বুসান ফিস প্রসেসিং এবং এক্সপোর্ট সেন্টার গংসু ফিস ভিলেজ পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
#

মামুন/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২২২৫ঘণ্টা   

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর: ৩৩২৩

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে
                                                                                             --- নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল):
     নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি কেবল একটি অবকাঠামো প্রকল্প নয় বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত বিনিয়োগ।
    আজ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে জাইকা ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
    উপদেষ্টা বলেন, মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে বড় জাহাজের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যমান বন্দরগুলোতে জট হ্রাস পাবে। সরবরাহ শৃঙ্খলা আরো গতিশীল হবে এবং কক্সবাজার-মহেশখালীর নতুন শিল্পাঞ্চলে সরাসরি প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জ¦ালানি ও ট্রান্সশিপমেন্ট হাবে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
    নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, প্যাকেজ ১ কার্যক্রমের আওতায় ৩শ’ মিটার দীর্ঘ সঁষঃর-ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব বার্থ/জেটি নির্মাণ (২শ’ মিটার দীর্ঘ জাহাজ), ৪৬০ মিটার দীর্ঘ ঈড়হঃধরহবৎ বার্থ/জেটি নির্মাণ (৩৫০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ), টার্মিনাল, ভবন, পেভমেন্ট, রিটেইনিং ওয়াল, সি ওয়াল, সীমানা প্রাচীর, ভূমি উন্নয়ন, ড্রেজিং, ল্যান্ড রিক্লেমেশন, জরুরি জেনারেটর, সৌর বিদ্যুৎ, টার্মিনাল ইউটিলিটি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক পূর্ত/বৈদ্যুতিক কাজ নির্মাণ/সংগ্রহ/স্থাপন, টার্মিনাল এরিয়াতে কনটেইনার রাখার জন্য মোট ৫ হাজার ১শ’টি গ্রাউন্ড স্লট থাকবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, মাতারবাড়ি বন্দরে ১৪ দশমিক ৫০ মিটার ড্রাফট এবং ৩শ’ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রায় ৮ হাজার ২শ’ টিইইউস ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বড় কনটেইনারবাহী জাহাজ বার্থিং করা সম্ভব হবে। ২০২৯ সালের মধ্যে আনুমানিক শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২ দশমিক ২ হতে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে বলে উপদেষ্টা মতামত ব্যক্ত করেন।
    সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, জাপান সরকারের এবং জাইকার সহযোগিতা মাতারবাড়ি প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়ক হবে। জাইকার প্রযুক্তিগত দক্ষতা, অর্থায়ন ও সক্ষমতা উন্নয়নের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাইকার এই সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান (ওএসপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি) এবং পেন্টা ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ঞড়সড়শধুঁ ঐধংবমধধি-এর মধ্যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
    এ সময় নৌবাহিনীর প্রধান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং জাইকা’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#

মালেক/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২২০০ঘণ্টা   

 

Handout                                                                                                          Number: 3322

Awareness Van Launched for the Conservation

of Fishing Cats and Other Endangered Wildlife


Dhaka, April 22:

            To raise awareness about the conservation of endangered species, including the fishing cat, a special awareness van has been launched for the southwestern region of Bangladesh. The van will travel through 21 districts of the region, spreading the message of wildlife protection and engaging people from all walks of life.

            The van was officially inaugurated today in Jashore by Syeda Rizwana Hasan, Adviser to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change. The divisional commissioner of Khulna, the conservator of forests from the Jashore Social Forestry Division, officials of the Forest Department, representatives of environmental organizations, and members of the local administration were present at the event.

            Speaking at the launch, the Adviser emphasized the need for compassion towards animals. We must be more sensitive to wildlife. It is essential to raise awareness about the protection of all species, including the fishing cat, she said. Due to misconceptions, many people kill fishing cats, though they are not harmful. In fact, they help maintain ecological balance.

            The southwestern region, particularly the Ganges floodplain, is rich in biodiversity. However, efforts to conserve its wildlife have been limited. The region is home to various rare species such as fishing cats, grey langurs, jackals, greater adjutants, eagles, and the Asian openbill stork. The Padma River and its tributaries are habitats for endangered gharials and even some critically endangered crocodiles.

            According to a recent scientific study, this region hosts 260 species of birds—more than 40 percent of Bangladesh’s total bird population. Yet, due to lack of awareness, proper conservation efforts, and the destruction of natural habitats, many species are now at risk. As wildlife increasingly encroach into human settlements, conflict has grown, often resulting in the death of these animals.

            The fishing cat is one such victim. In areas like Jashore and Faridpur, cases of the animal being killed have been frequent. Upon noticing this situation, Adviser Syeda Rizwana Hasan initiated several actions for wildlife protection in the southwest.

            For the first time this year, Bangladesh observed World Fishing Cat Day. It is expected that this awareness van campaign will play a vital role in the conservation of fishing cats and other endangered wildlife in the region.

#

Dipankar/Mahmudul/Rana/Mosharaf/Joynul/2025/2035 Hrs.

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর: ৩৩২১

শিশুরা সাক্ষর হয়ে উঠুক তাদের ভাষায় ও গণিতে
                    --- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা  উপদেষ্টা


ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল):
    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের মাথায় যেন সবসময় এটা থাকে—শিক্ষার মূল প্রসঙ্গ হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক। আমাদের কাজ হচ্ছে এটাকে সহযোগিতা করা। যদি আমরা ঠিক এভাবে চিন্তা করতে পারি এবং সব কাজে যদি ঠিক এটুকু মাথায় রাখতে পারি তাহলেই সম্ভব। আমরা চাই আমাদের শিশুরা সাক্ষর হয়ে উঠুক তাদের ভাষায় এবং গণিতে।
    উপদেষ্টা আজ ঢাকায়  মিরপুরস্থ প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই)-এ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ এর পরবর্তী সেক্টর প্রোগ্রাম ডিজাইনিং’ সংক্রান্ত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
    প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছাঃ নূরজাহান খাতুন,  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ প্রমুখ।
    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ দিনব্যাপী এই ওয়ার্কশপে অংশ নেন।
#

জাহাঙ্গীর/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২১৪০ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৩৩২০

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ

                            -- সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল): 

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, কিশোর, যুব এবং প্রাপ্তবয়স্করা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সহায়তা, উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, এবং সম্মানজনক পরিবেশ। আমাদের দায়িত্ব এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না, কেউই অবহেলিত হবে না।

আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন নিউরো ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট (এনডিডি) আয়োজিত ১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

অটিজম ব্যক্তিদের সম্পর্কে সমাজকল্যাণ  উপদেষ্টা আরো বলেন,  প্রতিভা সৃজনশীলতা ও সক্ষমতাকে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত সুযোগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমন্বিত প্রয়াসেই গড়ে উঠতে পারে এমন এক পরিবেশ , যেখানে প্রতিটি মানুষ সমান মর্যাদা ও ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে পারবে এবং তার নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী সমাজে অবদান রাখতে পারবে। সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় হবে স্পষ্টত সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান । আমাদের সেবা প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে যাবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, অটিজম ব্যক্তি কোনো সমাজের বোঝা নয়, তারা মানুষের জীবনের ভিন্ন বাস্তবতা। তাদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সহায়তা, উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ । তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের অন্যতম মূলনীতি হলো ‘কাউকে পিছনে ফেলে রাখা যাবে না’। এ মূলনীতিকে ধারণ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সংবলিত উদ্যোগ অপরিহার্য।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে স্বচ্ছতা গড়ে তোলা। আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার কারিগর হিসেবে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে আমরা আমাদের সেবা পৌঁছে দিবো। তিনি বলেন, এ সরকার এমন একটি সমাজ তৈরি করতে চায় যেখানে বৈচিত্র্যকে দুর্বলতা হিসেবে নয় বরং শক্তি ও সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান, অটিজম প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ধ্রুপদ এবং অভিভাবক নকিব খান প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি, তাদের পরিবারবর্গ এবং সমাজের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

#

রফিকুল/মাহমুদুল/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৫/১৯২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর: ৩৩১৯

বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক ভ্যানের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল):
     মেছো বিড়াল-সহ বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চালু হয়েছে বিশেষ ভ্যান। এই ভ্যান ঘুরবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা। জানাবে বন্যপ্রাণী রক্ষার কথা। সচেতন করবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
    আজ যশোরে এই সচেতনতামূলক ভ্যানের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
    উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, যশোর সামাজিক বন বিভাগের সংরক্ষক, বন বিভাগের কর্মকর্তা, পরিবেশ সংগঠনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
    উপদেষ্টা বলেন, প্রাণীর প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হতে হবে। মেছো বিড়ালসহ সব বন্যপ্রাণী রক্ষায় সচেতনতা জরুরি। প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তাদের বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, অনেকে ভ্রান্ত ধারণা থেকে মেছো বিড়ালকে মেরে ফেলেন। অথচ এরা ক্ষতি করে না। বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
    দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে গঙ্গা-প্লাবিত এলাকা জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। কিন্তু এই এলাকায় প্রাণী সংরক্ষণের উদ্যোগ ছিল কম। এখানে আছে মেছো বিড়াল, ধূসর হনুমান, খেকশিয়াল, মদনটাক, ঈগল, মানিকজোড়সহ নানা বিরল প্রাণী। পদ্মা ও তার শাখা নদীতে দেখা যায় বিপন্ন ঘড়িয়াল ও বিলুপ্তপ্রায় কুমিরও।
    এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই এলাকায় আছে ২৬০ প্রজাতির পাখি। যা দেশের মোট পাখির ৪০ শতাংশের বেশি। কিন্তু যথাযথ সংরক্ষণ না থাকায় ও বাসস্থান ধ্বংসের ফলে বন্যপ্রাণী আজ হুমকিতে। মানুষের বসতির কাছে চলে আসায় প্রাণীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বও বাড়ছে। এতে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক বন্যপ্রাণী। মেছো বিড়াল তার একটি দৃষ্টান্ত। যশোর-ফরিদপুর এলাকায় এর মৃত্যু হতো নিয়মিত।
    এই বিষয়টি বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নজরে আসার পর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে শুরু হয়েছে নানা উদ্যোগ। এ বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে পালন করা হয়েছে বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস। মেছো বিড়ালসহ সকল প্রাণী রক্ষায় এই সচেতনতামূলক ভ্যান কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
#

দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/২০২০ঘণ্টা   

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৩১৮

গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় জেলা তথ্য অফিসসমূহকে কাজ করতে হবে
                                                                              --- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল):
    তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, স্থানীয়ভাবে গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় জেলা তথ্য অফিসসমূহকে কাজ করতে হবে। এর পাশাপাশি স্থানীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি প্রচারেও তথ্য অফিসের
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
    আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
    জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জেলা তথ্য অফিসের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সাংবাদিক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলা তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, তথ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তথ্য কমপ্লেক্স কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টিতে তথ্য কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি তথ্য কর্মকর্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
    সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
    ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক বলেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের অধীন জেলা তথ্য অফিসসমূহ জনগুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রচারে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তিনি প্রচার কার্যক্রমের মানোন্নয়নে ডিজিটাল ডিসপ্লেসংবলিত সিনেমাভ্যান সরবরাহের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভাগীয় তথ্য অফিস ও উপজেলা তথ্য অফিস স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
    এ সময় প্রচার কার্যক্রমের মানোন্নয়ন ও রূপরেখা প্রণয়ন, জেলা পর্যায়ে গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধ, প্রচারকৌশলের আধুনিকায়ন এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
     ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মোহা. আবেদ নোমানী, সাবেক সচিব সৈয়দ সুজা উদ্দিন আহমেদ, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবু আব্দুল্লাহ-সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ মতামত প্রদান করেন।
#

মামুন/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২০১০ঘণ্টা   

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ৩৩১৭

কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল):
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
    উপদেষ্টা আজ মন্ত্রণালয় থেকে কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ফোনালাপকালে এ আহ্বান জানান।
    উপদেষ্টা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলন ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার সময় জানান যে, শিক্ষার্থীরা উষ্ণ আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়বে। তিনি তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান।
    সি আর আবরার শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের দাবি সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অতি দ্রুত খুলনায় কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চলতি সমস্যা আশু সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
#

সিরাজ/মাহমুদুল/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা   

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩৩১৬

 

যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা পরিদর্শনে পানি সম্পদ উপদেষ্টা

জলাবদ্ধতার স্থায়ী এবং টেকসই সমাধানে কাজ করছে সরকার

ভবদহ (যশোর), ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল): 

 

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, যশোরের ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতার স্থায়ী এবং টেকসই সমাধানে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, এ এলাকায় ২০ হাজার হেক্টর জমির আবাদ হয়, তার মধ্যে এ বছর আমরা প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমি ধান চাষের আওতায় আনতে পেরেছি।

 

আজ যশোরের ভবদহ ২১ ভেন্ট স্লুইস গেট এলাকার পানি নিষ্কাশন চিত্র পরিদর্শন শেষে ভবদহ মহাবিদ্যালয় মাঠে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আমরা ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু করে দিয়েছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কিভাবে করা যায় তা নিয়ে এখানকার স্থানীয় সকল পক্ষ, জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের আলোকে কাজ করবে।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, এ বছরের বর্ষায় যেন গেল বছরের বর্ষার মতো দুর্ভোগ না হয় সে জন্য আমরা কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। যেমন, আমডাংগা খাল খনন। তিনি বলেন, হরি, ভদ্রা ও আপারভদ্রা এই ৩ টা নদী খননের কাজ আমরা দ্রুতই শুরু করে দেব, এটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী করবে।

 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের যাতে বাণিজ্যিক হারে সেচের জন্য বিল দিতে না হয় সে ব্যবস্থাটা করে দেওয়া হয়েছিল, ফলে ৫ মাস পানির নিচে থাকা মানুষের সুবিধা হয়েছিল। তিনি বলেন, এখানকার জলাবদ্ধতার সমস্যাটা মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

প্রেস ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, পানি স

2025-04-22-17-14-018c00cfd8fe6d829b9831fdcdc83c3a.docx