তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩৩
নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক, মো. আব্দুল হাই, এম আব্দুল লতিফ, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং মমতাজ বেগম এডভোকেট অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং গভীর সমুদ্রবন্দর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ ঘোষিত স্থল বন্দরের সংখ্যা ২২টি যার মধ্যে ১১টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্থল বন্দরের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আহ্বান করে বিদ্যমান সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিআইডব্লিউটিসি’র অচল জাহাজের পাশাপাশি সচল পুরাতন জাহাজ যেগুলোতে খরচ বেশি আয় কম সেগুলো বিক্রির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজানুর/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩৪
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির সাথে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত অখঊঢঅঘউঊজ অ.ঘওকঙখঅঊঠ আজ জাতীয় সংসদ ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বন্ধুপ্রতীম দুই রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশের রেলপথ উন্নয়নে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন একই সাথে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রেলপথের সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে সšুÍষ্টি প্রকাশ করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়া সরকার ও জনগণের আন্তরিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতার কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে সভাপতি বলেন, উভয় দেশের সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের গাঁথুনী অত্যন্ত প্রাচীন ও মজবুত। তিনি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডে রাশিয়ার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে সভাপতি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যবধান কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতি রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
#
এমাদুল/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩২
যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৪ ডিসেম্বর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৩৭ হিজরি (চাঁদদেখা সাপেক্ষে ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রি.) পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন উপলক্ষে আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইটপোষ্টে প্রদর্শন এবং পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) দিবাগত রাত্রে সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জা করা হবে।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং পক্ষকালব্যাপী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর ওপর আলোচনাসভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও সারাদেশে বিভাগ/জেলা/উপজেলা/সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকারি সংস্থাসমূহে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের কর্মসূচিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার কর্তৃক দিবসটির যথাযোগ্য গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। শিশু একাডেমি কর্তৃক শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এদিন দেশের সকল হাসপাতাল/কারাগার/সরকারি শিশু সদন/বৃদ্ধ নিবাস/মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আনোয়ার/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩১
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
জাতীয় সংসদের ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ১৪তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ডা. দীপু মনি এবং হোসনে আরা বেগম অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটিতে প্রেরিত ‘অৎসু (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৫’ পরীক্ষাকরণ, ‘ঈধফবঃ ঈড়ষষবমব (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৫’ পরীক্ষাকরণ এবং ‘অরৎ ঋড়ৎপব (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৫’ এর ওপর আলোচনা করা হয়।
কমিটি ‘অৎসু (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৫’, ‘ঈধফবঃ ঈড়ষষবমব (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৫’ এবং ‘অরৎ ঋড়ৎপব (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৫’ সংসদে পেশের জন্য রিপোর্ট চূড়ান্ত করে।
কমিটি ডিওএইচএস এ বসবাসকারীদের জমি বা ফ্ল্যাট হস্তান্তরে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করে। এছাড়াও জমির স্বল্পতার প্রতি দৃষ্টি রেখে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ধনী-গরীব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
হালিম/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৫১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৮
সম্প্রীতি ও উন্নয়নে পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে
- বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত মানুষের মাঝে পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। পর্যটকদের উষ্ণ আতিথেয়তা, স্বাচ্ছন্দ্যময় দিনযাপনে হোটেল ও মোটেলসমূহের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছে। এর সাফল্য নিশ্চিত করতে হোটেলসমূহের ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, উন্নত সেবার মানসিকতার মাধ্যমে পর্যটকদের মন জয় করতে হবে।
তিনি গতরাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে রূপসী বাংলা হোটেল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বক্তৃতা করেন।
রূপসী বাংলা হোটেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৭১’র ২৫ মার্চ পাক বাহিনীর নির্মম গণহত্যার কালরাতে ও মহান মুক্তিযুুদ্ধের সময়ে এ হোটেলে (সে সময়ের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল) অনেক বিদেশি সাংবাদিক অবস্থান করে পাকবাহিনীর নির্মমতার কথা তুলে ধরেছিলেন, যার দরুণ বিশ্ববাসী বাংলাদেশে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়াবহতার কথা জানতে পেরেছিলো।
ইউনিয়নের সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আলহাজ শুক্কুর মাহমুদ ও ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
#
মাহবুবুর/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৪৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৬
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যুতে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচা সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম গতরাতে তাঁর নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না.............রাজিউন)। বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বৎসর। ১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
মন্ত্রী তাঁর চাচা সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামের ইন্তেকালে গভীর শোকপ্রকাশ এবং মরহুমের বিদেহীআত্মার মাগফিরাত প্রার্থনা করেন।
#
মমিনুল/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৪৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৭
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যুতে এলজিআরডি মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমপি।
আজ এক শোকবাণীতে মন্ত্রী বলেন, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতি একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক ও দক্ষ সংগঠককে হারালো। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মরহুমের অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে অনুরূপ শোকপ্রকাশ করেছেন এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী
মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা।
#
শহীদুল/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৪৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৫
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৭তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য
মো. মোসলেম উদ্দীন, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মোহাম্মদ নোমান, ইয়াসিন আলী এবং ফাতেমা জোহরা রানী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটির সদস্যগণ ২৯ ও ৩০ নভেম্বর তারিখে খুলনা, মংলা ও দর্শনাস্থ রেলওয়ের কার্যক্রম এবং স্থাপনা পরিদর্শন শেষে সার্বিক বিষয়ে এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী বিল, ২০১৫ পরীক্ষান্তে রিপোর্ট চূড়ান্তকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পরিদর্শন প্রতিবেদনের বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা করা হবে মর্মে সুপারিশ গৃহীত হয়।
কমিটিকে জানানো হয় যে রেলওয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সংগঠিত অনিয়ম ও বিশৃংখলা রোধে সিআরবি এলাকার নিরাপত্তা জোরদারকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে, এছাড়া ভবিষ্যতে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
কমিটি ‘রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী বিল, ২০১৫’ পরীক্ষান্তে রিপোর্ট চূড়ান্তকরণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে আরও বিস্তারিত আলোচনা শেষে রিপোর্ট প্রদান করার বিষয়ে সুপারিশ গ্রহণ করে।
বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
এমাদুল/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১৪৩০ ঘণ্টা
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৪
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আজকের এই দিনে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও পরিবার এবং তাদের নিয়ে কর্মরত সংস্থা-সংগঠনসমূহকে শুভেচ্ছা জানাই।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাদের উন্নয়নের মূল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত এবং একীভূত করা খুবই জরুরি। এ লক্ষ্যে ২৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘একীভূতকরণ: সক্ষমতার ভিত্তিতে সকল প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন’ (ওহপষঁংরড়হ সধঃঃবৎং: ধপপবংং ধহফ বসঢ়ড়বিৎসবহঃ ড়ভ ঢ়বড়ঢ়ষব ড়ভ ধষষ ধনরষরঃরবং) সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতে পারবেন। ফলে তারা দেশের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাদেরকে পিছনে ফেলে রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমেই আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। আমি সমাজের সচেতন মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।
আমি ২৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/আলম/মিজান/আসমা/২০১৫/১২৩০ ঘণ্টা
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৩
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাঁদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘একীভূতকরণ: সক্ষমতার ভিত্তিতে সকল প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন’ (ওহপষঁংরড়হ সধঃঃবৎং: ধপপবংং ধহফ বসঢ়ড়বিৎসবহঃ ড়ভ ঢ়বড়ঢ়ষব ড়ভ ধষষ ধনরষরঃরবং) যা অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার আদায়ের সোপানস্বরূপ।
সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা মানববৈচিত্র্যেরই অংশ। আমার বিশ্বাস প্রতিবন্ধীদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে যথাযথ পরিচর্যা করলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।
আমাদের সরকার দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা ‘নিউরোডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩’, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩’ ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত শিক্ষা নীতিমালা ২০০৯’ ও ‘প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র পরিচালনা নীতিমালা ২০১১’ প্রণয়ন করেছি। আমরা প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন, ঢাকার মিরপুরে জাতীয় বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, সরকারি চাকুরিতে কোটা সংরক্ষণ, ৬৪ জেলায় ৬৮টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করেছি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ সকলক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সরকারের পাশাপাশি আমি দেশি-বিদেশি সংস্থা, সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ ও বিত্তবানদের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি ‘২৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস’ এবং ‘১৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/অনসূয়া/আলম/মিজান/আসমা/২০১৫/১২৩০ ঘণ্টা
বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না