Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১১ অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১২৪৭   

 

কক্সবাজারে খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিঃস্ব পরিবারের শিশুদের মানসম্মত শিক্ষায় ভূমিকা রাখবে

                                           -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব

 

কক্সবাজার, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের নির্মম শিকারের দরুন নিঃস্ব পরিবারের শিশুদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে সম্ভব সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব শিশুদের  মূলধারায় নিয়ে আসতে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ ও শিশুদের স্কুলে আসতে উৎসাহী করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন ভাবে স্থাপন করা হবে। 

আজ কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প এলাকায় ‘খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ স্থাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস  আয়োজিত মা-অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, ২০৪১ সালের আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশুরা। তাই শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশে সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। এ বিদ্যালয় স্থাপন হওয়ার মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে বলে সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে  সভায় বক্তৃতা করেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. নুরুল আমিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনছুর আলী চৌধুরী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাত্র ৭দিনের মধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সূচনা করা হয় ৷

বাংলাদেশে এই প্রথম জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসিতদের জন্য ৬ তলাবিশিষ্ট ১৪৩ টি ভবন নির্মাণের মাধ্যমে এই বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যেখানে এক তৃতীয়াংশের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬শ’ ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসিত হয়েছে।

#

মাহবুবুর/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২২৫৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১২৪৬

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বিশ্বে নবীজী (সা.)-এর অনুপম আদর্শ অনুকরণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর):

          ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বিশ্বে নবীজী (সা.)-এর অনুপম আদর্শ অনুকরণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব। মহানবী (সা.) এর কর্ম ও জীবনের আদর্শকে আমাদের ধারণ ও চর্চা করতে হবে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে সারা দেশে যেসব অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে তা নবী করিম (সা.) আদর্শ অনুসরণে অধিকতরভাবে উৎসাহ যোগাবে।

          আজ বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৫ হিজরি উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বিশ্বজয়ী হাফেজদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুতকরণের মধ্য দিয়ে যে চর্চা ও অধ্যাবসায় তৈরি হয় তা প্রতিযোগীদের মননে ইসলামি মূল্যবোধ তৈরি করে। এ ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিযোগীদের নৈতিকতাসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। অনুষ্ঠানে ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুবাই, কুয়েত, মিশর, সৌদি আরব ও ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেকাফুল মাদারিসিল আরাবিয়্যাহর মহাপরিচালক হযরত মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ড. কে এম আব্দুল মোমিন সিরাজী। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ ও সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৫ হিজরি উপলক্ষ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

#

শায়লা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২১০০ঘণ্টা

Handout                                                                                                                       Number : 1245

 

Foreign Minister Dr. Momen attends 23rd

Council of Ministers’ Meeting of IORA in Colombo

 

Dhaka, 11 October : 

            Foreign Minister of Bangladesh Dr. A. K. Abdul Momen today attended the 23rd Council of Ministers’ Meeting (COM) of Indian Ocean Rim Association (IORA) in Colombo. The Meeting started today with the handing over of Chairship of IORA to Sri Lanka by Bangladesh. 

            Bangladesh Foreign Minister in his opening statement congratulated Sri Lanka as the incoming Chair and India as the Vice-Chair of the Association for the period 2023- 2025. Referring to the Indian Ocean as a 'beacon of hope', he emphasized that activities in the Indian Ocean must be conducted in a safe and secure manner. 

            In the country statement that followed, as the outgoing Chair  Bangladesh Foreign Minister presented to the Council an account of the contributions made by Bangladesh to IORA during its Chairship from 2021 to 2023 such as introducing a comprehensive and systematic compensation package for the Secretariat and streamlining its financial management. He also shared the progressive role played by Bangladesh to advance the activities of the Association. Referring to the ‘IORA-Development Initiative’ as devised by Bangladesh, he called upon the Dialogue Partners and IORA Member States to support this initiative and patronize other development programs in the region. 

            Reiterating Bangladesh’s commitments to the Vision of IORA, Dr. Momen stressed on IORA to play an unifying role to strengthen economic relations among IORA member states through an intra-IORA trade and investment agreement and to develop a collective framework for environmental conservation and disaster risk reduction. He expressed hope that IORA would act as a key driving force for peace, development and stability in the region.

            After the Council meeting, Foreign Minister called on the President of Sri Lanka Ranil Wickremesinghe at the latter's office in the afternoon. They discussed issues of bilateral interest and underscored the need for expeditious implementation of existing sectoral cooperation with special focus on ongoing preferential trade agreement (PTA) negotiation, cooperation in business and investment, pharmaceuticals, tourism, shipping and air connectivity. 

            On the sidelines, he met the British Minister for Indo-Pacific Anne-Marie Trevelyan where they discussed issues of bilateral cooperation. Foreign Minister also met other high dignitaries of IORA Member States and Dialog Partners including the Indian External Affairs Minister, Foreign Ministers of South Africa and Malaysia and Deputy Assistant Secretary of State for South and Central Asian Affairs of US State Department. 

            In the previous night, Foreign Minister attended a banquet hosted by President of Sri Lanka. 

            Foreign Ministers and other high dignitaries of IORA Member States and Dialogue Partners attended the IORA COM. It was preceded by the IORA Committee of Senior Officials (CSO) from 9-10 October. Rear Admiral (Rtd) Khurshed Alam, Secretary, Maritime Affairs Unit (MAU) of Bangladesh Foreign Ministry led the Bangladesh delegation to the CSO. 

            IORA COM adopted the Colombo Communique as the outcome document. 

            Foreign Minister was joined by Secretary (MAU) Rear Admiral (Rtd) Md. Khurshed Alam and Bangladesh High Commissioner to Sri Lanka Tareq Md Ariful Islam in the IORA COM meeting and other engagements on the sidelines.

#

Mohsin/Sanjib/Joynul/2023/2010hour

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১২৪৪   

পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা প্রদান করবে সরকার

                                                              - পরিবেশ মন্ত্রী

সিলেট, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা প্রদান করবে সরকার। তিনি বলেন, ইটভাটার ধোঁয়া পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর তাই পুরানো ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটের ব্যবহার বৃদ্ধি করতেই হবে। প্রথমদিকে এটার প্রচলন কষ্টকর হলেও পরিবেশের স্বার্থে সবাইকে এটা গ্রহণ করতে হবে।

আজ সিলেটের তেমুখী, কুমারগাওয়ে অবস্থিত পরিবেশবান্ধব চায়না-বাংলা হলো ব্লক ফ্যাক্টরির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের মানুষের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। শব্দদূষণ রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগরে ১০ টা হতে ১০ টা ১ মিনিট পর্যন্ত শব্দহীন কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, দেশের সকলে অপ্রয়োজনে শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকলে সবার জন্য মঙ্গল হবে।

মন্ত্রী এর পূর্বে রাতারগুলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত পার্কিং প্লেস, ভিজিটর শেড, ট্যুরিস্ট শপ এবং পাবলিক টয়লেটের উদ্বোধন করেন।

#

দীপংকর/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২০১০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১২৪৩

 

দেশের প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক গড়ের দ্বিগুণ হবে, আইএমএফের এ রিপোর্টে বিএনপি কি বলবে

 --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিশ্বময় যখন অর্থনৈতিক মন্দা এবং প্রবৃদ্ধি নিচের দিকে যাচ্ছে, সেখানে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে, এটি আইএমএফের রিপোর্ট। এই রিপোর্টের পর মির্জা ফখরুল সাহেব কিংবা বিএনপি নেতারা কী বলেন, এখন আমি অপেক্ষায় আছি।’ 

আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লিখিত ‘চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি আগের ৩.৫% থেকে কমে ৩% এবং ২০২৪ সালে আরো কমে ২.৯% হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নামবে না এবং ২০২৮ সালে ৭% হবে’ এ নিয়ে মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চায়। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে অনেক কথা হয়, কিন্তু আসলে পৃথিবীর সব দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অবশ্যই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সরকার চেষ্টা করছে নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে, ৫০ লাখ মানুষকে কম টাকায় চাল বিতরণ করে, আরো ১ কোটি মানুষকে নানা ধরনের খাদ্যশস্য বিতরণের মাধ্যমে কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে। যে কারণে বাংলাদেশে হাহাকার নেই।’ 

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের ঘাটতি ঘটে নাই। ইউরোপ-আমেরিকায় নিত্যপণ্যের ঘাটতি ঘটেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সুপারমলে অনেকদিন যাবৎ ১ লিটারের বেশি তেল এবং ৬টার বেশি ডিম কিনতে দেওয়া হয়নি। করোনার সময় সেখানকার সুপার-মলগুলোতে টিস্যু পেপার বক্স শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষকে লাইন ধরতে হয়েছিল। সেখানে অনেক পণ্য রেশনিং করে বিক্রি করা হয়েছে আমাদের দেশে সেই পরিস্থিতি হয়নি। করোনার মধ্যে পৃথিবীর মাত্র ২০টি দেশে পজেটিভ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল তার মধ্যে আমাদের অবস্থান ছিল তৃতীয়। আমাদের ওপরে ছিল গায়ানা এবং সাউথ সুদান, যাদের তুলনায় আমাদের অর্থনীতি অনেক বড়। সুতরাং জনবহুল দেশ হিসেবে আমরা এক নম্বরই ছিলাম বলা যেতে পারে।’

বিএনপি নেতা শহিদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানিকে গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কি বলতে চাচ্ছেন কারো বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। ওয়ারেন্ট থাকলে তো গ্রেপ্তার হবেই। ওয়ারেন্ট থাকলে তো আওয়ামী লীগ নেতাও গ্রেপ্তার হয়। যার বিরুদ্ধে ভাঙচুরের, অগ্নিসংযোগের কিংবা অন্য কারণে ওয়ারেন্ট আছে তাহলে পুলিশ তো তাকে গ্রেপ্তার করবে এটিই স্বাভাবিক। এটিই আইনি প্রক্রিয়া, এটিই আইনি ভাষা। তারা যে আইন আদালত মানে না, বিচার মানে না, সেটিরই প্রমাণ হচ্ছে এই প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য।’ 

সম্পাদক ফোরামের সাথে বৈঠক

এর আগে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং সম্পাদকদের মধ্যে রিমন মাহফুজ, মফিজুর রহমান খান বাবু, শামীম সিদ্দিকী, মাহবুবুর রহমান, দীপক আচার্য, নাজমুল আলম তৌফিক প্রমুখ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘গণমাধ্যমের মর্যাদা রক্ষা এবং জনগণের ঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য ভূঁইফোড় পত্রিকা এবং অবৈধ আইপিটিভি বন্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত। আগাম নোটিশ ও অন্তত ৩ মাসের বেতন ছাড়া হঠাৎ করে সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুত করা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি দেশের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’ 

-২-

সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন সভায় ফোরামের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন। অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত পত্রিকা এবং বিজ্ঞাপনে কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করা, পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা, ক্রোড়পত্র বণ্টন  এবং ডিক্লারেশন প্রদানে শৃঙ্খলা আনা, অসাংবাদিকদের সম্পাদকের দায়িত্বে না থাকা এবং সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধের দাবি তুলে ধরেন তিনি।  

তথ্যমন্ত্রী সম্পাদক ফোরামের দাবিগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। কারণ সরকার, গণমাধ্যম সবাই মিলে এক সাথে কাজ করলেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি এবং স্বাধীন, মুক্ত, দায়িত্বশীল গণমাধ্যম দেশের গণতন্ত্রকে সংহত করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের নির্বাচন নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আছে, দেশে আবার বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার ষড়যন্ত্র আছে। সেই প্রেক্ষাপটে যাতে কেউ দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে না পারে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র না করতে পারে, সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

#

 

আকরাম/সঞ্জীব/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/২০১৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১২৪২

 

লজ্জা-শরম ভেঙে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনে চড়ুন, টিকিট কেটে দেবো : বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) :

আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর ও দিনাজপুর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের পরিচয় স্মরণ করিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। তৃণমূলের নেতারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, আমরা প্রচণ্ড শক্তিশালী সংগঠন ছিলাম। কারণ আমাদের ভিত্তি জনগণ ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সমস্ত ষড়যন্ত্র, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা পর পর তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে।’ 

আজকেও নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে, একটি মহল দেশে তাঁবেদার সরকার বসাতে চায়। হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসাতে চায়। আরেকটি মহল সেটির মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের এই বৈঠক তৃণমূলকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কার্যক্রমের অংশ। কারণ আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি দেশের কোনো শক্তি নাই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। সে জন্য ঐক্য এবং সংহতির ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’ 

এ সময় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘পশ্চিম বাংলা বামফ্রন্ট তিন দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিলো সংগঠনের কারণে। মালয়েশিয়া যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই দল পাঁচ দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিলো সংগঠনের কারণে। সিঙ্গাপুরে যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে, সেই দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায়। সেখানেও বহুমুখী গণতন্ত্র কিন্তু সে দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায়।’ 

‘পর পর চারবার এবং পঞ্চম বারের মতো যদি জনগণ আমাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, আগামী পাঁচ বছরে ইনশাআল্লাহ দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে। আজকে যেমন আমরা লি কুয়ানের সিঙ্গাপুর বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, বিশ্ব নেতারা আজকে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ারও গল্প বলে।’

তথ্যমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মার্কিন জরিপে উঠে এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৭০ ভাগ। পরশু দিন আইএমএফ রিপোর্ট দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। আর পুরো পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ। আমি জানি না, এ সমস্ত জরিপ মির্জা ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে কি না। তাদের চোখেও সমস্যা আছে, কানেও সমস্যা আছে। সেই সাথে মনের সমস্যা আছে, বোধশক্তির সমস্যা আছে, সে কারণে তারা এগুলো দেখেও দেখে না, শুনেও শুনে না। তারা চুপি চুপি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গেছে, লজ্জা লাগে। এখনো বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাবো লজ্জা-শরম ভেঙে আসুন আপনারা পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনে চড়ুন, টিকিটটা আমরাই কেটে দেবো। আবার বিনা টিকিটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।’

 

#

 

আকরাম/সঞ্জীব/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/২০১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১২৪১

 

 

তথ্য অধিকার আইনে জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

 

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর):

          তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে তথ্য সরবরাহ না করায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা এবং তাদের এই জরিমানার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন। অপর একটি অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সমাজসেবা অফিসারকে ১ হাজার ৮ শত টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন। 

          আজ তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক এবং তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী শুনানি গ্রহণপূর্বক এই আদেশ প্রদান করেন।

          তথ্য কমিশনে শুনানিতে প্রমাণিত হয় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব তথ্য অধিকার আইনে আবেদনকারীর প্রার্থিত তথ্য না দিয়ে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাাঁধাগ্রস্ত করেছেন। অপরদিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সমাজসেবা অফিসার আবেদনকারীর চাহিত তথ্য সরবরাহযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও গরিমসি করে তথ্য দেননি। শুনানীঅন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তথ্য অধিকার আইনে দুইজনকে জরিমানা এবং একজনকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

          তথ্য কমিশনে আজ ১১টি অভিযোগের শুনানি করে ৯টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়।

#

 

লিটন/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১২৪০

 

কৃষিকে টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক করাই লক্ষ্য

                                               --- কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর):

          বর্তমান কৃষিকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কৃষিখাতে নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রাপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) নামের এ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। এটি কৃষির উন্নয়নে এ যাবৎ পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

          আজ রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি এসময় বিশ্বব্যাংক ও ইফাদকে ধন্যবাদ জানান এবং স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

          ৬৪ জেলার ৪৯৫ উপজেলায় পার্টনার বাস্তবায়িত হবে জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের জুন সময়সীমায়। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ১৫১ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে পাঁচ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ও ইফাদ দিচ্ছে  ৫০০ কোটি টাকা।

          এই মেগা প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে উত্তম কৃষিচর্চা সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে তিন লাখ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি; জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চ ফলনশীল নতুন ধানের ও ধান ছাড়া অন্যান্য দানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ মোট চার লাখ আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি; উন্নত ও দক্ষ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনয়ন; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্টকার্ড’ প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষি সেবার সম্প্রসারণ।

          এছাড়া, ই-ভাউচারে প্রদান করা হবে ভর্তুকি, কৃষকদের জন্য তৈরি হবে কৃষক ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেম। মোবাইল প্ল্যান্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ড্রিপ, স্প্রিংকলার, এডব্লিউডি ও ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালাসহ সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচের পানি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাস করা করা হবে।

#

কামরুল/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১২৩৯  

জনকল্যাণে ৫৪ কর্মসূচি পরিচালনা করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

                                                      - সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, জনকল্যাণে ৫৪ কর্মসূচি পরিচালনা করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ সকল কর্মসূচির বিপরীতে গত ১৫ বাজেটের আকার ১২ গুণ বাড়ানো হয়েছে।

মন্ত্রী আজ সচিবালয়স্থ গণমাধ্যম কেন্দ্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি, অর্জন ও কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট ছিল ১ হাজার ১৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট ১২ হাজার ২১৬ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকায় উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২০ লক্ষ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। জনপ্রতি ৬০০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৮ লক্ষ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বার্ষিক বাজেট উন্নীত হয়েছে ৪ হাজার ২০৫ কোটি টাকায়।

মন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের দরিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলাকে শতভাগ বয়স্কভাতা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আরো ১৫০টি উপজেলাকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৬২টি উপজেলায় ভাতা পাওয়ার উপযোগী শতভাগ লোক ভাতার আওতায় এসেছে। তিনি আরো বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি টাকা, তা মাথাপিছু মাসিক ৫৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জনের জন্য বাজেট বরাদ্দ ১৭১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। বর্তমানে মাথাপিছু ভাতা মাসিক ৮৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ লক্ষ জনের জন্য বাজেট ২৯৭৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা-উপবৃত্তিখাতে ১৩ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লক্ষ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ১১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভাতা ভোগীদের পাশ বইয়ের মাধ্যমে দেয়া হতো বলে অনেক ভাতাগ্রহিতা প্রাপ্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হত। এ প্রেক্ষিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সকল ভাতা ভাতাভোগীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে বলে ভাতাভোগীদের প্রাপ্য হিস্যা নিশ্চিত হয়েছে।

২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতা দেয়ার পাইলট প্রোগ্রাম শুরু করা হয়। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের হাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ উদ্বোধন করেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য এটি ছিল একটি মাইলফলক অর্জন। যার ফলে বর্তমানে শতভাগ ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে ঘরে বসে নিয়মিতভাবে ভাতা পাচ্ছেন। জিটুপি পদ্ধতিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রায় ১কোটি ৫ লক্ষ ভাতাভোগী ভাতা পেয়েছেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ এবং সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল।

#

জাকির/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৭৪০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১২৩৮

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও মানুষের মৃত্যু বেদনাদায়ক

                                                                - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরের প্রথম থেকেই মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুতি ও উদ্যোগের কোন ঘাটতি ছিল না। আমাদের সমস্ত চেষ্টার পরও এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনা ও পীড়াদায়ক। ডেঙ্গু রোগে একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয় কিন্তু আমাদের আর কোন কিছু করার বাকি রয়েছে কি না সেই বিষয়গুলো আলোচনা করার জন্যই বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় আমাদের আজকের এ কর্মশালা। এখানে উপস্থিত আমরা সবাই কেউ কারো প্রতিপক্ষ নই বরং আমরা একে অপরের অংশীদার। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আমাদের অজানা কোন বিষয় যদি থেকে থাকে তা আলোচনা করার জন্যই আজকের এই কর্মশালা।

মন্ত্রী আজ ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় স্থ

2023-10-11-17-13-0e681d0c1f4bf4e32a1019ebaa8131ec.docx