তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৫২
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ১২ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ৩৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৭৬ ট্রাকের মাধ্যমে ১৮১ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৮ হাজার ১ শত ৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৫ হাজার ৬ শত ৩৪ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ৬ হাজার ২ শত ৫০ প্যাকেট রান্না করা খাবার, ২ হাজার ৪ শত ৪০ পিস পোশাক, ৮ হাজার পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৩ শত ৫০ পিস স্যানিটেশন সামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
#
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৫১
মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য স্যানিটেশন
ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ১২ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরকারি উদ্যোগে নেয়া স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নলকূপ বসানো ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নলকূপ ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২ হাজার ১ শত ৯০ টি নলকূপ এবং ৪ হাজার ৯ শত ২৫টি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রে ৩ হাজার নলকূপ ও ৫ হাজার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করা হবে।
চৌদ্দটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তিন হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৭টি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানি বিতরণ ব্যবস্থা সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে রাস্তার পাশে ১ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ১১টি ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে রিজার্ভারসমূহে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব রিজার্ভার থেকে মিয়ানমার নাগরিকরা টেপের মাধ্যমে খাবার পানি সংগ্রহ করছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে ১০ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ভা-ারে আরো ১২ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোধে ইতোমধ্যে ৫১ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লিচিং পাউডার ছিটানো অব্যাহত আছে।
এগারটি আশ্রয়কেন্দ্রে মহিলাদের জন্য ৪ ইউনিটবিশিষ্ট প্রতি কেন্দ্রে ১০টি করে ১১০টি বা ৪৪০ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ২৭৯ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ করা হয়েছে।
#
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৫০
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ১২ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ জন পুরুষ ও ৫ শত ৯৪ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫ শত ৯৭ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৭ শত ৮৭ জন পুরুষ ও ৬ শত ৫ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩ শত ৯২ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৪ শত ৯৬ জন পুরুষ ও ৫ শত ১৮ জন নারী মিলে ১ হাজার ১৪ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৯ শত ৭২ জন পুরুষ ও ৯ শত ৪০ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ১২ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৭ শত ৮৫ জন পুরুষ ও ৪ শত ৯৬ জন নারী মিলে ১ হাজার ২ শত ৮১ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ৯০ জন পুরুষ ও ৮ শত ৩৮ জন নারী মিলে ২ হাজার ২৮ জন, লেদা ক্যাম্পে ৩ শত ২৩ জন পুরুষ ও ২ শত ৮৮ জন নারী মিলে ৬ শত ১১ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ৮ শত ৩৫ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ১ শত ৫১ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৫ হাজার। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।
#
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৯
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৭
তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে
-- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, তারুণ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। অন্যদিকে তরুণরা হতে পারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরা সম্ভব। এটা করতে পারলে বাংলাদেশ একটি পর্যটন ডেস্টিনেশনে পরিণত হবে। মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে ‘ঢাকা চ্যালেঞ্জ ২০১৭’ ট্রায়াথলন ও ডুয়াথলন প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ট্রায়াথলন হলো একজন প্রতিযোগী যখন পর্যায়ক্রমে সাতার, সাইক্লিং ও দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আর যখন একজন প্রতিযোগী প্রথমে সাইক্লিং ও পরে দৌড় প্রতিযোগিতা অংশ নেয় তখন সেটি ডুয়াথলন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান কবির, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন, হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাসুদ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ফজলুর রহমান বক্তৃতা করেন।
#
মাহবুবুর/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৪৬