তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৪
২০১৮ সালে ১০০ ফুট চওড়া খাল খননের কাজ শেষ হবে
-- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
কুড়িল হতে বালু নদী পর্যন্ত ৩০০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার দুই পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খননের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এ খাল খননের কাজ শেষ করা হবে। খনন কাজ শেষ হলে নিকুঞ্জ, জোয়রসাহারা, ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কুড়িল ও কুড়াবাড়ির জলাবদ্ধতা দূর হবে।
আজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন খাল খননেন অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। তিনি কর্মরত প্রকৌশলীদের কাজের গুণগতমান বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) মো. আনোয়ার হোসেন এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল নিজাম উদ্দীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নামার পথ না থাকায় ঢাকা মহানগরীর বিপুল অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ খালখনন করা হচ্ছে। এটি নিছক কোন খাল নয়। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের জলাবদ্ধতা দূর হবে। এ খালকে নান্দনিকভাবে সাজানো হবে এবং নগরবাসীর জন্য স্বস্তিকর একটি কেন্দ্রে পরিণত হবে।
পরিদর্শনকালে জানানো হয় যে, প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার খালের সাথে ১৩ কিলোমিটার সার্ভিস রোড, ৩৯ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পথ, চারটি ইউলুপ, ১৩টি আর্চ ব্রিজ, চারটি এক্সপ্রেসওয়ে ফুটওভারব্রিজ, ১৬টি পথচারী ব্রিজ, ২৬ হাজার লিনিয়ার মিটার এসএস পাইপসহ ফেন্সিং, একটি পাম্প হাউস, ২২৭০টি স্ট্রিটলাইট, ১২টি ওয়াটার বাসস্টপ, স্ট্রম সয়ার লাইন, বোয়ালিয়া খালের উভয় পাশে ওয়াকওয়েসহ খালখনন ও বাঁধনির্মাণ, ১৩ কিলোমিটার ঘাস ও গাছ লাগানো, ১৩ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর, পাঁচটি স্লুইসগেট ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫,২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ খাল খননের জন্য প্রায় ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে রাজউকের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।
পরে মন্ত্রী পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এবং উত্তরা তৃতীয় পর্বের ১৮ নম্বর সেক্টরে অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তিনি কাঞ্চন ব্রিজের কাছে পূর্বাচল প্রকল্পের লেক খনন কাজ পরিদর্শন করেন। লেকের খনন কাজ শেষ হওয়ায় মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ লেকের পাশে কাঞ্চন ব্রিজের মাথায় খোলা চত্বরে তিনি দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা নির্মাণের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী পূর্বাচলের ভেতরে বিভিন্ন রাস্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিদর্শন করেন। এ সময় জনৈক ব্যক্তির নির্মাণাধীন তিনতলা একটি বাড়ি অনুমোদিত নক্শা পরিবর্তন করায় তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পূর্বাচল হবে দেশের প্রথম স্মার্ট সিটি। এখানে ভবন নির্মাণে কোন প্রকার ত্রুটি বা ইচ্চাকৃত বিচ্যুতি ক্ষমা করা যাবে না। উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে নির্মাণাধীন অ্যাপর্টমেন্ট প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মানে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন, যাতে স্বাধীনতার মাসে এটির সকল কাজ শেষ করে উদ্বোধন করা যায়।
#
কিবরিয়া/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৩
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সাথে স্পিকারের সাক্ষাৎ
হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ২১ জুলাই :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটি’র চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কোয়াং (ঞৎধহ উধর ছঁধহম) এর সাথে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা দু’দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য, জলবায়ুর পরিবর্তন, পর্যটন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ভিয়েতনাম কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদানের কথা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ভিয়েতনামের মহান নেতা হো চি মিনের বন্ধুত্বের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কোয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে। তিনি বলেন’ দুটি দেশই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উভয় দেশই কৃষি প্রধান দেশ। তিনি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কৃষি উন্নয়নে দ্বি-পাক্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে। তিনি বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্যাদি, ঔষধ, কৃষিজাত দ্রব্যাদি ও কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, পংকজ নাথ, এ এম নাঈমুর রহমান ও বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
#
কামাল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮২
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ
বান্দরবান, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবান পৌরসভার ৮৯ পরিবার ও সুয়ালক ইউনিয়নের ১১ পরিবারকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৪ হাজার টাকা ও ঘর মেরামতের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলার বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রধান অতিথি হিসেবে গতকাল নগদ অর্থ ও ঘর মেরামতের সামগ্রী বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বিচারে বন উজার, অতিবৃষ্টি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাবলম্বী তথা পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সহযোগী সংস্থাও দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে যা আর্তমানতা ও সম্প্রদায়িক সম্প্রতির উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তানভির আজম ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, রেড ক্রিসেন্টের সহকারী পরিচালক এম এ করিম, যুব রেড ক্রিসেন্টের সভাপতি নাজমুল হোসেন বাবলু ও এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
জুলফিকার/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮১
আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার ওপর
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আমাদের নতুন প্রজন্মকে কিভাবে গড়ে তুলব, তার ওপর। তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য আমাদের মূল্যবোধ, চিন্তা-চেতনা ও মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে এবং নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্য, দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধসহ তাদেরকে বড় করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) অডিটোরিয়ামে ’পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ডিআরইউ-এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান অনেক ভাল এবং তারা বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। শিক্ষার মান কমে নাই। তবে আমরা আরো ভাল মানে পৌঁছতে চাই। তিনি বলেন, জগৎ এখন উন্মুক্ত, তাদেরকে দক্ষ করে তুলতে পারলে বিশ্বের যেকোন জায়গায় তারা কাজ পাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী একবছরে সারাদেশে ১৯ হাজার ৫০০ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ৪ তলা ভবন এবং বিভাগীয় শহরে ৮ তলাবিশিষ্ট এসব স্কুল ভবন নির্মাণ করা হবে।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা টাইমস ২৪ ডটকম-এর সম্পাদক আরিফুর রহমান, ডিআরইউ সভাপতি আবু দারদা জোবায়ের, সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী এবং সাংবাদিক শাহনেওয়াজ দুলাল, হারুন জামিল ও শাবান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৭ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এর আগে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস এওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ।
#
আফরাজুর/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৪০ ঘণ্টা