তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৯২
জনগণকে সম্মান ও মর্যাদার সাথে সেবা দিতে হবে
--- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি কর্মচারীরা জনগণ ও সরকারের সাথে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে। তাই সরকারি কর্মচারীদের আচরণের ওপর সরকারের ভাবমূর্তি অনেকাংশেই নির্ভর করে। জনগণ যেন সরকারি দপ্তরে এসে যথাযথ সেবা পায় সেজন্য সরকারি কর্মচারীদের আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করতে হবে।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে ফিট-লিস্ট ভুক্ত ইউএনওদের জন্য Orientation Course on Upazila Administration and Development এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ফিট-লিস্ট ভুক্ত ইউএনওদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের চাকরি ও সরকারের মর্যাদা রক্ষার জন্য সব ধরনের সেবা প্রার্থীদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, সাধারণ জনগণ, সংবাদকর্মীসহ সকলকে সম্মান ও মর্যাদার সাথে গ্রহণ করতে হবে। যেকোনো ধরনের অনিয়ম নিজেদের ও সরকারের ভাবমূর্তি মুহূর্তেই নষ্ট করে দিতে পারে। তাই এসব বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিনের সভাপতিত্বে কোর্স পরিচালক ড. আতাউল গণি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। দুই সপ্তাহ মেয়াদি এই কোর্সে ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন।
#
শিবলী/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৯১
৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা না ফিরলে দেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশে না ফিরতেন তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না।’
তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। আজ ৭ মে তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন এবং প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক ৭ খন্ড বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খ্রিষ্টান যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইলারিশ আর গোমেজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বিশপ থিওটোনিয়াস গোমেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আজ ৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিল, এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন যে, আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়বো। আমি তখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করতাম। বিমানবন্দরে আমি নিজেও গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোনো মানুষ দেখিনি, বিমানবন্দর থেকে তিনি আসছিলেন তখন রাস্তার দু’ধার ছাপিয়ে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ চলে আসলো শেখ হাসিনাকে বরণ করার জন্য।’
হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যাও অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচন্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য্য হারান না, যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি। বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিল তা নয়, তাকে গ্রেপ্তারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য্য হারাননি। বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন- তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও প্রচন্ড সংকটে ধৈর্য্য হারাননি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিবিসির অনলাইন জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এর কারণ বিশ্লেষণে বলতে হয়, বাঙালি জাতিসত্ত্বার উন্মেষের ৫ হাজার বছর ইতিহাসে বাঙালি কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। বাংলা ভাষাভাষীর কিছু অঞ্চল নিয়ে কোনো কোনো সময় স্বাধীন রাজা ছিল কিন্তু কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিতুমীর, সূর্যসেন, নেতাজী সুভাষ বসু অনেকেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন, বিদ্রোহ করেছেন, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধুই সেই নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে, পলে পলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং তার সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি জাতি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে, জয় বাংলা স্লোগানে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এমন উদাহরণ বিরল। এ জন্যই ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা মুজিব তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
চলমান পাতা-২
পাতা-২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এ সময় ‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রন্থ রচনার জন্য দীলিপ বাগচী এবং তার পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আগামীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে অনুরোধ জানাই।’ সেই সাথে ড. হাছান বলেন, এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন জন প্রচুর বই লেখে, অনেক ক্ষেত্রে লেখার প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে এবং সেটি করতে গিয়ে অনেক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এবং বইয়ের মান রক্ষিত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশ-বিদেশে যে সমস্ত বই রচিত হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন এবং বইয়ে কোনোভাবেই যেন ন্যূনতম ইতিহাস বিকৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৯০
সরকার চায় কৃষক তার ফসলের ভালো দাম পাক
---খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার চায় কৃষক তার ফসলের ভালো দাম পাক। কৃষক ভালো দাম পেলে সরকার খুশি। সেটা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৩ ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না। চালের মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, অনেকে মনে করেছিল দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবে। তাই আমন মৌসুমে তারা মজুত করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ৪ লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষক যদি ধানের দাম ঠিকভাবে না পায় তাহলে সরকার প্রয়োজনে ৭ থেকে ৮ লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায় সেটা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিশ্চিত করতে হবে। তবে ধানের আর্দ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। আর্দ্রতা ঠিক থাকলে ধান ফেরত দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকের সব ধান কেটে ফেলা উচিত। কেননা এরই মধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
গত মৌসুমে যে সকল মিল মালিক চাল দেওয়ার জন্য চুক্তি করেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফিট লিস্টে নাম না পাঠানোর জন্য খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা চুক্তি করে সরকারকে সহায়তা করেছে তারা সরকারের সুনজরে আছে। যারা আংশিক শর্ত পূরণ করেছে তারাও এ বছর চুক্তি করতে পারবে। একইসঙ্গে কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে, এ বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় বোরো ধান, চাল ও গমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২৩ মৌসুমে ৪ লাখ টন ধান, ১২ দশমিক ৫০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ আজ ৭ মে থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।
প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা। ২০২২ সালে ধান-চালের দাম ছিল যথাক্রমে ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ২৮ টাকা।
#
কামাল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/শামীম/২০২৩/১৭২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার
৮২৩ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৭২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮৮
নেত্রকোনায় নিহত স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণের বাড়িতে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
নেত্রকোনা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোন দুষ্কৃতকারী অপকর্ম করে পার পাবে না। তাকে শাস্তি পেতেই হবে। শেখ হাসিনা চান দেশের সবাই শান্তিতে থাকবে ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’
আজ নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রেমনগর- ছালিপুরা গ্রামে বখাটের হামলায় নিহত স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণের বাড়িতে নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানানোর সময় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাসেমসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গত ২ মে বারহাট্টার প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি বর্মণ (১৫) বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে আহত করে কাওসার (১৮)। এলাকাবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তি বর্মণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে কুপিয়ে খুন করেছে বলে জানা যায়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই
নিহতের গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘাতক কাওসারকে গ্রেফতার করে।
#
এনায়েত/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৭১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮৭
রাষ্ট্রপতির সাথে সেনাবাহিনী প্রধান এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আজ বঙ্গভবনে সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন সেনাপ্রধান। তিনি সেনাবাহিনীর উন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের অগ্ৰগতি তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনী দেশের গৌরব, একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেনাবাহিনী তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনী প্রধান তার সম্প্রতি ভারত সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
পরে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির নিকট বার্ষিক অডিট ও হিসাব রিপোর্ট পেশ করেন। এ সময় সিএজি প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্রপতির নিকট ৪৭টি অডিট ও হিসাব রিপোর্ট পেশ করেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে অডিটের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, জনগণের অর্থ যাতে সঠিকভাবে ব্যয় হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিতে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
#
হাসান/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/রাসেল/মাহমুদা/শামীম/২০২৩/১৫০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮৬
টেলিভিশনে স্ক্রল প্রচারের জন্য
সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা :
“জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এর জন্য আবেদন জমা দেয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে ১০ মে”
-বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড
#
সাইফুল্লাহ/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৩২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮৫
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২
আবেদনের সময় ১০ মে পর্যন্ত
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এ অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদের নিকট থেকে আগামী ১০ মে বুধবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও এই ফরম ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের ২ কপি ডিভিডি/পেনড্রাইভ- এ জমা দিতে হবে। পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী, কলাকুশলী, ব্যক্তিদের প্রত্যেকের ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবিসহ জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি অথবা পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং শিশু-শিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন; যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে (২০২২ সালে) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে; স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সেগুলোকে বিবেচ্য বছরে (২০২২ সালে) সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একথা জানায়।
#
সাইফুল্লাহ/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/রাসেল/শামীম/২০২৩/১২৫৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮৪
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধি। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জীন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় বিবাহের পূর্বে এই রোগের জীন বাহক কিনা তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের মৃত্যু ও অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সী শিশু মৃত্যু হার, অপুষ্টি, খর্বতা, কম-ওজন ইত্যাদি হ্রাসে ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কমসূচি (৪র্থ এইচপিএনএসপি) এর মোট ২৯টি অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় ২০১৭-২০২২ মেয়াদে সেক্টর ওয়াইড কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মা ও শিশুর জন্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নতুন রোগ নিয়ন্ত্রণ, উন্নত ও দক্ষ ঔষধখাত এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হচ্ছে।
দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া এবং এর বাহকে-বাহকে বিয়ে প্রতিরোধের জন্য দেশের প্রতিটি বাড়ি ও মহল্লায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি আমি সকল পেশাজীবী ব্যক্তি ও সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।
আমি বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাহানা/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/মাহমুদা/আসমা/২০২৩/১০৩০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮৩
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ৮ মে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসিমিয়া রোগের বাহক হলে তা জিনগত কারণে সন্তানদের মধ্যে বিস্তার ঘটতে পারে। এ জন্য পুরুষ বা মহিলা এ রোগের বাহক কী-না তা বিবাহপূর্ব পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা জরুরি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিন বাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও ভয়াবহ বংশগত রক্ত স্বল্পতার এ রোগটি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলা খুবই জরুরি। জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এবং ক্ষেত্রবিশেষ তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়া বিস্তার রোধে বাহকদের মধ্যে এবং আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমি সমাজের সচেতন নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/সাঈদা/মাহমুদা/শামীম/২০২৩/১১১৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৮২
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীত স্রষ্টা। চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবেও রয়েছে তাঁর বিশ্বখ্যাতি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠেছিল প্রেরণার বিশেষ উৎস। শাশ্বত বাংলার মানুষের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ- বেদনা অর্থাৎ সকল অনুভব বিশ্বস্ততার সঙ্গে উঠে এসেছে রবীন্দ্র সাহিত্যে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছাতেই রবীন্দ্রনাথের অনবদ্য সৃষ্টি 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি আমাদের জাতীয় সংগীত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সংকট উত্তরণে প্রেরণা নিতেন রবীন্দ্র সাহিত্য থেকে। ১৯১৩ সালে 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির বহুত্ববাদ, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস মতাদর্শ, ইসলাম ধর্মের সুফিবাদ এবং বাংলার বাউলদের ভা