তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩০০
কলকাতায় পালিত হলো বঙ্গবন্ধুর
৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস
কলকাতা, ১৫ আগস্ট :
বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্বরে স্থানীয় সময় সকাল ৮.০০ ঘটিকায় শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। “মুজিব চিরঞ্জীব”মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দুপুরে খাবারের আয়োজন করা হয় এতিম খানার দুস্থ ও অনাথ শিশুদের জন্য। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র হিসেবে ১৯৪৫-৪৬ সালে ৮, স্মিথ লেনের বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিকেলে ‘বাংলাদেশ গ্যালারিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। যথাক্রমে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মোঃ বশির উদ্দিন, পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, প্রথম সচিব (বাণ্যিজিক), মোঃ শামসুল আরিফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক), মিজ সানজিদা জেসমিন।
সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শ্রী স্নেহাশীষ সুর বলেন, দেশবাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর এতটাই বিশ্বাস ছিল যে, তিনি নিজের জীবন নিয়ে সতর্ক বার্তাও গুরুত্ব দেননি। পশ্চিমবঙ্গ পিএসসি এর সাবেক চেয়ারম্যান এবং পশ্চিমবঙ্গের রেডক্রস এর সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ নুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থান করে নিয়েছে। বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত রুমে থাকতে পারাকে জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রফেসর শ্রী সুরঞ্জন দাশ বঙ্গবন্ধুকে অভিহিত করেন উন্নয়নশীল বিশ্বের মুক্তির মহানায়ক হিসেবে। সাবেক সংসদ ও বার এসোশিয়েসন কলকাতা-এর সাবেক সভাপতি, সরদার আমজাদ আলী স্বাধীনতা যুদ্ধে “বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমিতি’ এর ভূমিকার বর্ণনা দেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মূখ্যমন্ত্রীর মূখ্য উপদেষ্টা শ্রী আলাপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ভাষিক জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নির্মাণে করে দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি ও পরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ১৯৭৫ সালে বেঁচে গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের ওপর পরবর্তীতে ১৯ বার হামলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন সিকদার মোঃ আশরাফুর রহমান, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) এবং দূতালয় প্রধান।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
#
রঞ্জন/রফিক/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/২৩০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯৯
নয়াদিল্লীতে জাতীয় শোক দিবস পালিত
নয়াদিল্লী, ১৫ আগস্ট :
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ভারতের নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রথমেই দূতাবাস কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের পর দূতাবাস কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দূতাবাসের উপ-হাই কমিশনার মোঃ নুরাল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। সভা পরিচালনা করেন কাউন্সিলর শফিউল আলম।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটাই লক্ষ্য ছিলো পরাধীন জাতিকে স্বাধীন করা এবং দুঃখী বাঙালির মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছিলেন বলেই তিনি আজও প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড। জাতি হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং তাঁর সূযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করা।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত সকল শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও শোক দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু: দ্যা লিজেন্ড ফরএভার’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় হল মিলনায়তনে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবীসহ স্থানীয় আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাবান/রফিক/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯৮
জাতির পিতার আদর্শকে বাংলার মাটি থেকে কোনোভাবেই নিশ্চিহ্ন করা যাবে না
---গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এদেশের মাটি থেকে কোনোভাবেই নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়।
আজ ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার, ভৌত অবকাঠামো পুনর্র্নিমাণ, জনপ্রশাসন সংস্কার সর্বোপরি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তিনি সকল সেক্টরে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। এতে স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্রের গাত্রদাহ শুরু হয় এবং তারা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে এদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্তব্ধ করে দিতে চায়।
কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের সর্বস্তরের জনগণের মাঝে যে আদর্শের বীজ বপন করেছেন, যে চেতনার ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে সেই আদর্শ ও চেতনা বাংলার মাটি থেকে কোনোভাবেই নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়। এ দেশের ঘরে ঘরে আজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তৈরি হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই অক্লান্ত শ্রম কখনোই বিফলে যাবে না, সবার অক্লান্ত শ্রম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অবশ্যই একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
অনুষ্ঠানে ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগীর সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন, তারাকান্দা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন খণ্ডসভা, পথসভা, অসহায়, দুঃস্হ ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও জাতির পিতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে আয়োজিত পৃথক দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
#
রেজাউল/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২২১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯৭
অসাবধানতাবশত শব্দ উচ্চারণ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ব্যাখ্যা
রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামের রাজীপুরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বক্তৃতার এক পর্যায়ে 'জাহান্নাম' শব্দ উচ্চারণ করে ফেলেন। সাথে সাথে প্রতিমন্ত্রী সেটি সংশোধন করে নেন।
মন্ত্রীর এ অসাবধানতাবশত এ উচ্চারণকে মহলবিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপপপ্রয়াসে লিপ্ত না হবার জন্য তিনি বিনীত অনুরোধ করেছেন।
#
তুহিন/রফিক/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/২১১৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯৬
ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে
---জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এ দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে চলেছে তাদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত ‘অনুভবে ও অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু: জনসেবায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
#
শিবলী/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২১০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯৫
বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত মানুষের আশার আলো
---প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
চিলমারী (কুড়িগ্রাম), ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তির অগ্রদূত। নিপীড়িত মানুষের আশার আলো। সংগ্রামী জনতার প্রেরণার মিনার। তিনিই প্রথম নিপীড়িত বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন একটি ভূখণ্ড, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা। আমরা প্রত্যেকেই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করি, তবেই তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। তাই সবাইকে অঙ্গীকার করতে হবে সোনার বাংলা গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার।
আজ চিলমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার নীতি ও আদর্শ ধারণ করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর তা করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী সরকারের বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
#
তুহিন/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২১১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯৪
বঙ্গবন্ধু জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন
---পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সরকারে ছিলেন, কিন্তু জাতির পিতা হিসেবে এই সাড়ে তিন বছরে জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা দরকার সবগুলো তিনি সমাধান করে গেছেন। আর সেই সাথে আমাদের দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেছেন।’
‘জাতির ভিত্তি রচনার জন্য দরকার একটা শাসনতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মাথায় একটা অপূর্ব শাসনতন্ত্র আমাদের দিয়ে গেছেন। অথচ পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে নয় বছর, আর আমেরিকার শাসনতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে তেরো বছর।’
আজ রাজধানীর বেইলি রোডস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ প্রতিপাদ্যের উক্ত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
স্মরণ সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পোয়েট অভ্ পলিটিক্স খ্যাত বঙ্গবন্ধু কেবল এ দেশের নয়-তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নেতা, দেশে দেশে নিপীড়িত জনতার সংগ্রামী চেতনার এক জীবন্ত কিংবদন্তি। আর তাই, বঙ্গবন্ধুকে হারানোর বেদনা কেবল এ দেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে ধ্বনিত হয়, বিশ্বের নেতৃবৃন্দও শোকার্ত হন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য যা যা করার, আমি যতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছি এই প্রচেষ্টা অবশ্যই চালিয়ে যাবো।’
‘বঙ্গবন্ধু সবক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, আর তার দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছেন। এর ফলে আমরা বিশ্বে একটা বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছি, একটা ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। সম্প্রতি আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিরাট সেতু নিজেদের পয়সায় তৈরি করেছি।’
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটা উন্নত, সমৃদ্ধিশালী, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি হবে- যেখানে অন্ন, বস্ত্র বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য যেন নিশ্চিত হয়- এই প্রচেষ্টাই শেখ হাসিনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’ এ অবস্থায় ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার শুরু করেছে উল্লেখ করে দেশবাসীকে এসব অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলারও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন আর স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু ছিল বঙ্গবন্ধুর নিত্যসঙ্গী। তিনি নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বহুবার। একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হয়েছিল তাঁর জন্য। বাঙালির প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থা ছিল আকাশচুম্বী। সেজন্যই হাসিমুখে, নির্ভীকচিত্তে মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সব ধরনের জুলুম-নির্যাতন বরণ করেছেন তিনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী ও ক্যারিশম্যাটিক নেতা। সক্রেটিসের যোগ্য শিষ্য প্লেটো তাঁর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে আদর্শ রাষ্ট্রনায়কের যেসব গুণের কথা উল্লেখ করেছেন শেখ মুজিবের মধ্যে সেসব গুণের সমাবেশ ঘটেছিল। শেখ মুজিব আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, প্রজাপ্রেমী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন। সেই শুদ্ধ চিত্তের মানুষটিকেই কয়েকজন স্বার্থপর-ঘাতক সপরিবারে হত্যা করলো- যা শুধু বাঙালির ইতিহাসেরই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও একটি কলঙ্কজনক ঘটনা বলে বিবেচিত।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত একটি অডিও-ভিজুয়াল প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষাংশে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করে দোয়া করা হয়।
#
মোহসিন/রফিক/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯৩
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ
---পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। কিছু স্বাধীনতাবিরোধী দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিরোধিতা করলেও তারা সফল হতে পারবে না। তিনি বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকলে মিলে কাজ করে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে পারলে জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকীতে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে বন অধিদপ্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণ, উপকূল সংরক্ষণে বনায়ন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, হাওড়-বাঁওড়, নদ-নদী ও অন্যান্য জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং দেশের বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করেছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আর আসবে না। জাতির পিতার জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও, তাঁর আদর্শ আছে, দর্শন আছে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তাঁর স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব এখন আমাদের সকলের। মন্ত্রী এসময় জাতির পিতার নির্দেশনা মতো সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভার পরে দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে শাহাদতবরণকারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাঁদের সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
#
দীপংকর/রফিক/মোশারফ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯২
পনেরো আগস্ট জাতির ললাটে কলঙ্ক লেপন করেছে
---মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পনেরই আগস্টের হৃদয় বিদারক ঘটনা বাঙালি জাতির ললাটে ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতকের জাতির কলঙ্ক কালিমা লেপন করেছে। ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট, তেশরা নভেম্বরের রক্তের প্রবাহ মাস্টার দা সুর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, তিতুমীর আর হাজী শরিয়ত উল্লাহর রক্তপ্রবাহ এক হয়ে মিশে আছে।
আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির'র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফয়জুল আজিম এবং বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন বক্তৃতা করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ল্যাফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের দৃঢ়তার বিভিন্ন ঘটনাবলি তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি কাঠামো দাঁড় করিয়েছেন, প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন, পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন, টিএন্ডটি বোর্ড স্থাপন করেছেন, ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষার আমূল পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরকে যুগের চাহিদা মেটানোর উপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেন। বস্তুতপক্ষে একবিংশ শতাব্দীর আজকের জীবনযাপন এবং ৪১ সালে যেখানে বাংলাদেশ পৌঁছাবে তার বীজ বপন করে গেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে আঠারো বছরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ বেয়ে তা অঙ্কুরিত করে বৃক্ষে রূপান্তরিত করেছেন।
মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরে বলেন, ইয়াহিয়া খানের লিগ্যাল ফ্রেম ওয়ার্কের অধীনে অভ্যন্তরীণ বিরোধিতা সত্ত্বেও সত্তরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছিল বঙ্গবন্ধুর দৃরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তের ফসল। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধকে বিচ্ছিন্ন আন্দোলন বলার সুযোগ ছিল না। সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ বিজয়ে পুরো দেশের সকল জনতা এক হবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাঙালির এই যুদ্ধে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা ক্ষমতা দখল করেই পাকিস্তানি প্রভুদের খুশি করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে এহেন কাজ নেই যা করেননি। একাত্তরের স্বীকৃত রাজাকার শাহ আজিজ, আবদুল আলীম, মাওলানা মান্নানকে বানালেন মন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতের আমির গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব প্রদান ও একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে করা হয় পুনর্বাসিত। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে নিরাপদ আশ্রয় দেয়া হয়। দালাল আইন বাতিল করে সাড়ে সাত হাজার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আসামিদের দেয়া হয় দায়মুক্তি। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়কদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মুখথুবড়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার মাসকেই ষড়যন্ত্রকারীরা বেছে নেয়া হয়। ১৫ আগস্ট ’৭৫ সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী জনসমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করে পরাজিত শক্তির প্রমাণ করেছে তারা কখনও বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না। পৃথিবীর সভ্য সমাজের কাছে আমাদের নীতি-নৈতিকতা, সংস্কৃতি ও জাতীয় চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয় এ হত্যাকাণ্ডের পর।
এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাসমূহের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
পরে মন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকায় বেসিস সদর দপ্তরে বেসিস আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২১১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯১
বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান
-- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই জাতির পিতা এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ এ জাতি<