তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯১৪
অটিজম সচেতনতায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোলমডেল
-- মাসুদ বিন মোমেন
নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), ১ এপ্রিল :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গত ৮ বছর যাবৎ অটিজম ও অন্যান্য নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশকে অটিজম সচেতনতার ক্ষেত্রে বিশ্বের বুকে রোলমডেলে পরিণত করেছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের একটি সাইড ইভেন্টে একথা বলেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। “চড়ঢ়ঁষধঃরড়হং রহ গড়াবসবহঃ : অফফৎবংংরহম ঃযব ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং ধহফ ঈযধষষবহমবং ঃড় ঊহংঁৎব ঈধৎব ধহফ ঝবৎারপবং ঃড় গরমৎধহঃং রিঃয অঁঃরংস ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃধষ উরংধনরষরঃরবং” শিরোনামের এই সাইড ইভেন্টটি বাংলাদেশ মিশনের সাথে যৌথভাবে আয়োজন করে কাতার মিশন ও অটিজম স্পিকস্ গ্লোবালি, আর এতে স্পন্সর করে চীন, ইন্ডিয়া ও তুরস্কের স্থায়ী মিশন।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “বাংলাদেশ এ অঞ্চলের গুটিকয়েক দেশের মধ্যে অন্যতম, যে দেশ শুধু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনই নয়, এ সংক্রান্ত অপশনাল প্রটোকলও অনুস্বাক্ষর করেছে। তাছাড়া জাতীয় ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২১) বাংলাদেশ সরকার অটিজম, নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক ইস্যুগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য, বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা হোসেনের অটিজম সংক্রান্ত অবদানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, “বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে নিরলসভাবে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখার জন্য তিনি আজ পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’ এবং ‘সাউথ এশিয়ান অটিজম নেটওয়ার্ক’ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা অটিজম বিষয়টিকে শুধু আমাদের অঞ্চলেই নয়, বিশ্বের সামনে পুরোভাগে এনে দিয়েছে”।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টের চলতি দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রদূত মোমেন জাতিসংঘের পাবলিক ইনফরমেশন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আরেকটি সাইড ইভেন্ট ‘ঞড়ধিৎফ অঁঃড়হড়সু ধহফ ঝবষভ-উবঃবৎসরহধঃরড়হ’ -এ সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশ মিশন এই ইভেন্টটিরও কো-স্পন্সর করে।
#
সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯১৩
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ক্রিকেট কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৮ চৈত্র (১ এপ্রিল) :
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তর আয়োজিত অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ক্রিকেট কার্নিভ্যাল আজ ঢাকা শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার ক্রিকেট কার্নিভ্যালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আয়োজিত ক্রিকেট কার্নিভ্যালে ১০টি প্রতিষ্ঠানের ২৫০ জন অটিস্টিক ছেলে-মেয়ে অংশগ্রহণ করে।
#
শফিকুল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯১২
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ চৈত্র (১ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২ এপ্রিল ২০১৭ দশম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিস্টিক ব্যক্তি, অটিস্টিক শিশু কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স¦কীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
এক সময় অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক ধারণা ছিল। আমার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ-এর নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য স¦াস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিশ্ব স¦াস্থ্য সংস্থা তাঁকে ‘এক্সিলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করে। সম্প্রতি সায়মা ওয়াজেদ ইউনেস্কো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনেস্কে-আমির জাবের আল-আহমদ আল-সাবাহ পুরস্কার’ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন। তাঁর পরামর্শে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। অটিস্টিক শিশু শনাক্তকরণ, সেবা প্রদান এবং তাদের মা-বাবা বা যতœদানকারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিনাক’ (ঈঘঅঈ) প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এটিকে ইনস্টিটিউট অভ্ পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি এন্ড অটিজম (ওচঘঅ) - এ রূপান্তর করা হয়েছে।
আমরা প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, সরকারি চাকুরিতে কোটা সংরক্ষণ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন, বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, প্রতিটি জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করেছি। আমরা অটিস্টিক ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছি। এ সকল কর্মসূচি গ্রহণের ফলে অটিস্টিক শিশু ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে।
আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও ¯েœহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।
সরকারের পাশাপাশি আমি দেশি-বিদেশি সংস্থা, সে¦চ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯১১
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ চৈত্র (১ এপ্রিল):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ দিবস উপলক্ষে আমি অটিস্টিক ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের অভিভাবক ও তাদের উন্নয়নে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
অটিস্টিক ব্যক্তিও রাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকের মতো সমমর্যাদার অধিকারী। তাদের অন্তর্নিহিত গুণাবলি ও সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা সম্ভব। বর্তমান সরকার অটিস্টিকসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ চাহিদাকে বিবেচনায় এনে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক অধিকার, কর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে কল্যাণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফলে তারা আজ রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
সভ্যতা ও উন্নয়নে অটিস্টিক ব্যক্তিগণ অনবদ্য অবদান রাখছেন। অটিস্টিক ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তারা যাতে আত্মপ্রত্যয়ী ও স্বাবলম্বী হয়ে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সাথে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখতে পারেন তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, মানবহিতৈষী সংগঠন, সুধী সমাজসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯১০
স্পিকারের সাথে জাপান, বেলারুশ ও কিউবা’র ডেলিগেশন প্রধানগণের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ চৈত্র (১ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার, সিপিএ চেয়ারপার্সন ও ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে এসেম্বলিতে আগত জাপান, বেলারুশ ও কিউবা’র ডেলিগেশন প্রধানগণ আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
স্পিকার আইপিইউ এসেম্বলিতে আগত প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আইপিইউ এসেম্বলির মতো বৃহৎ আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। তিনি বলেন, ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি আয়োজন বাংলাদেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংসদ ও সহযোগী সংস্থা থেকে আগত প্রতিনিধিদের এ মিলনমেলা বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি, বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার জাপান প্রতিনিধিদলের প্রধান, হাউজ অভ্ রিপ্রেজেনটেটিভ সদস্য ঝযঁহপযর ঝটতটকও এর সাথে সাক্ষাৎকালে বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং উন্নয়ন অংশীদার। স্পিকার বলেন, সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থসামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান।
জাপান প্রতিনিধিদলের প্রধান Shunchi SUZUKI বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপান যেমন বাংলাদেশের পাশে ছিল তেমনি বর্তমান উন্নয়ন কর্মকা-েও পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ছয় বছর পূর্বে সুনামী ও ভূমিকম্পে জাপান ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ জাপানের পাশে থাকায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্পিকার বেলারুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান Sergei Rakhmanov এর সাথে সাক্ষাৎকালে বলেন, বেলারুশের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালের পর থেকে চলমান সম্পর্ক ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় করা সম্ভব।
স্পিকার কিউবা ডেলিগেশন হেড, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনের প্রধান ও আইপিইউ এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য Maria Yolanda Ferrer Gomez, MP এর সাথে সাক্ষাৎকালে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাষ্ট্রোর বন্ধুত্বপূর্ণ অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তানের অন্যায় আচরণের বিপক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে কিউবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ নির্মাণে কিউবার অবদানের কথা স্পিকার কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
কিউবা ডেলিগেশন প্রধান, Maria Yolanda Ferrer Gomez, MP বলেন, বাংলাদেশ কিউবার পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের পর থেকে কিউবা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ও কিউবার সংসদীয় প্রতিনিধি পর্যায়ে সম্পর্কোন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময় ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে তিন দেশের প্রতিনিধিদলের সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
তারিক/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০৯
ভূমি সেবার মান বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হতে হবে
--- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ চৈত্র (১ এপ্রিল) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ভূমি সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে আন্তরিক সেতু বন্ধন তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, সেবা প্রদান ও সেবা গ্রহণে অস্বস্তিকর বিষয় হচ্ছে দুর্নীতি। এছাড়া মামলা মোকদ্দমা অনেক সময় ভূমি সেবা প্রদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা গেলে ভূমি সেবার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে সারা দেশে ভূমি সেবা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে র্যালি শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর এবং বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা র্যালিতে অংশ নেন। র্যালিটি আরপিএটিসি, ইস্কাটন থেকে বিয়াম ফাউন্ডেশনে গিয়ে শেষ হয়। বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভূমিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বোমা, খুন, জখম, জঙ্গিদের কখনও প্রশ্রয় দেয় না। এগুলো সরকারের উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রের সাড়িতে দাঁড় করাতে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ভূমি মালিকানাকে নিরাপদ ও টেকসই করতে ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জমির মালিকানা বিরোধ অনেক কমে আসবে। ভূমি অধিকার যাতে কোনোভাবেই ক্ষুণœ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। পাঠ্যপুস্তকে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ভূমি সেবা শুধু এক সপ্তাহের জন্য নয়, সারা বছর জুড়ে সেবা প্রদানকারীরা ভূমি সেবা প্রদান করে যাবেন। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনাকে এনালগ পদ্ধতি থেকে ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বহাল রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
#
রেজুয়ান/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭২২ ঘণ্টা