তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৫২
বাংলাদেশ সফলতার সাথে এসডিজি বাসত্মবায়নে প্রস'ত
-- পরিকল্পনা মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুসত্মফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস'ান ৪৪তম এবং ক্রয় সড়্গমতার দিক থেকে ৩২তম অবস'ানে আছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত ১০টি দেশের কাতারে শামিল হবেই।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ সেম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৫’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমাদের বহু দূর এগুতে হবে। চলমান অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে অন্যান্য বিষয়ের সাথে বিভিন্ন ড়্গেত্রে যথাযথ পরিসংখ্যান প্রয়োজন। বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে যেমন সফলতা অর্জন করেছে তেমনি সফলতার সাথে এসডিজি অর্জনেও প্রস'ত।
এর আগে মন্ত্রী রিপোর্ট অন বাংলাদেশ সেম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৫ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। রিপোর্টে মোট ১৫টি ড়্গেত্রে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয় ২০১৫ সাল পর্যনত্ম বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার (১৫৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন) যা ২০১১ সালে ছিল ১৫ কোটি ৬০ হাজার (১৫০ দশমিক ৬মিলিয়ন)। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১১ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের ২০১১ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৯ বছর ২০১৫ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ দশমিক ৯ বছর হয়েছে। শিড়্গার হার ২০১১ সালে ছিল ৫৫ দশমিক ৮। ২০১৫ সালে শিড়্গার হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩ দশমিক ৬ ভাগে উপনীত হয়েছে। ২০১১ সালে প্রতি হাজারে জন্ম হার ছিল ১৯ দশমিক ২ এবং ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতিহাজারে ১৮ দশমিক ৮। অনুরূপ মৃত্যুহার একই সময়ে ৫ দশমিক ৫ ভাগ থেকে কমে ৫ দশমিক ১ ভাগে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস'াপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক আবদুল ওয়াজেদ, বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইডার এবং প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল হক বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৫১
সিভিল সার্ভিস দিবসে সচিবালয়ে প্রতিবন্ধী সন্তানের স¦াস্থ্যসেবা
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
২৩ জুন আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস দিবস।
এ উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ১০টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে সকল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের এবং প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স¦াস্থ্যসেবা প্রদান করবে।
সেবা কার্যক্রমটি সচিবালয় ক্লিনিকের সম্মুখে পরিচালিত হবে।
#
আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৫০
বাজার তদারকি
৪৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ১২ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজবাড়ী, পটুয়াখালী, ভোলা, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার ও ময়মনসিংহে আজ বাজার তদারকি করা হয়।
ঢাকা মহানগরীর খিলগাঁও এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে পলাশ ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ২৫ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে চমক সুইটস এন্ড বেকারিকে ১০ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে মুক্তা বিরিয়ানি হাউজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহানগরীর বাড্ডা এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে সাদিয়া হোটেলকে ৩০ হাজার টাকা এবং অভিযোগের ভিত্তিতে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ফিউশন কাফেকে ৪ হাজার টাকা ও ফুড্স ডিনারকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও কলাবাগান এলাকায় পরিমাপে কারচুপির অপরাধে জান্নাত গোস্ত বিপনীকে ৫ হাজার টাকা ও সততা গোস্ত বিতানকে ৫ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে ঘরোয়া রেস্টুরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা ও প্রিন্স রেস্তোরাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, রংপুর সদর উপজেলায় ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার ৫শ’ টাকা, ভোলার লালমোহন উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার ৫শ’ টাকা, কুমিল্লা সদর উপজেলায় ১টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা ও অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে সরবরাহ না করার অপরাধে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ১ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ৫শ’ টাকা প্রদান করা হয় এবং ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৪ হাজার জরিমানা করা হয়।
#
আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৯
নৌপথ খননে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়েছেন নৌমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
দেশের ৫৩টি নৌপথের উন্নয়ন, সমীড়্গা পরিচালন ও খননের জন্য বিশ্বব্যাংকের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে ‘অভ্যনত্মরীণ নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন’ শীর্ষক ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ অভ্যনত্মরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপড়্গ (বিআইডবিস্নউটিএ)’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় এবং বিআইডবিস্নউটিএ’র পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. সেলিম বক্তব্য রাখেন। সমীড়্গা প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দলনেতা থিউন এলজিংগা (ঞযবঁহ ঊষুরহমধ) মূলপ্রবন্ধ উপস'াপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, নৌপথে যাত্রী ও পণ্য নিরাপদে পরিবহণের লড়্গ্যে সরকার আনত্মরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নৌপথ খননের ওপর গুরম্নত্ব দিয়ে সরকারের গত মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ওয়ার্কশপে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস'ার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।
অভ্যনত্মরীণ নৌপথের নাব্যতা উন্নয়নে সমীড়্গা প্রকল্পটি নেদারল্যান্ডসের জঐউঐঠ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের সাবকনসালটেন্ট ওডগ, উবাপড়হ এবং ইবঃং. সমীড়্গার ফলাফলের ভিত্তিতে বিআইডবিস্নউটিএ সম্ভাব্য বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করবে।
#
জাহাঙ্গীর/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৮
উপবৃত্তি সেরা বিনিয়োগ হিসেবে সারাবিশ্বে প্রশংসিত
-- শিড়্গামন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশের শিড়্গাখাতের উন্নয়নে উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুসত্মক বিতরণ কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়নে সেরা বিনিয়োগ হিসেবে সারাবিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। শিড়্গাড়্গেত্রে দেশের সাফল্য অব্যাহত রাখতে এ ধরণের শিড়্গামুখী কর্মসূচি সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে বাসত্মবায়নের জন্য শিড়্গামন্ত্রী শিড়্গক কর্মকর্তাসহ সংশিস্নষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিড়্গামন্ত্রী আজ ঢাকার সেগুনবাগিচায় আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সারাদেশে শিড়্গাপ্রতিষ্ঠানসমূহে অধ্যয়নরত দরিদ্র শিড়্গার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের ড়্গেত্রে যথাযথ শিড়্গার্থী নির্বাচনের লড়্গ্যে নতুন উদ্ভাবিত সফটওয়ারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
এ অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবিত সফটওয়ারের সাহায্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারি কলেজ, সিলেটের মদনমোহন কলেজ এবং পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজে শিড়্গার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রত্যড়্গ করেন শিড়্গামন্ত্রী।
নতুন উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিতে উপবৃত্তি পেতে ইচ্ছুক শিড়্গার্থীরা নিজেরাই শিড়্গাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে নির্ধারত ফরম পূরণ করবে এবং তাদের আবেদন যাচাই করে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।
মন্ত্রী অনুষ্ঠানস'ল থেকে সারাদেশে ৭ হাজার কলেজ ও মাদরাসার ৫ লাখ ২৫ হাজার ৬ শত ৮৬ জন শিড়্গার্থীর মোবাইল একাউন্টে উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের চলতি অর্থবছরের ১৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা প্রেরণ করেন। উপকারভোগীদের শতকরা ৪০ ভাগ ছাত্রী এবং শতকরা ১০ ভাগ ছাত্র।
জনাব নাহিদ অনুষ্ঠানস'ল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় উপকারভোগী শিড়্গার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং উপবৃত্তির অর্থ তাৎড়্গণিকভাবে প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত হন। উলেস্নখ্য, গত বছর থেকে শিড়্গার্থীদের মোবাইল একাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ প্রেরণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিড়্গা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিড়্গা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস'াপনা পরিচালক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বক্তৃতা করেন।
শিড়্গামন্ত্রী বলেন, উপবৃত্তির জন্য শিড়্গার্থী নির্বাচন এবং উপবৃত্তির টাকা নির্বাচিত শিড়্গার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার ড়্গেত্রে বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতি, অনিয়ম ও দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ ছিল। নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এসব সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
#
সাইফুলস্নাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৭
আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
আগামীকাল ২৩ জুন আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস দিবস। দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহ এ দিনে জনগণকে কিছু সেবা প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে এবং কারওয়ান বাজার মসজিদের উত্তর পাশের গেটে বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) এর মাধ্যমে খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে চিনি বিক্রয়।
কারওয়ান বাজার ও মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর মাধ্যমে মৌসুমী ফলের মধ্যে ফরমালিন বা বিষাক্ত কোন কেমিক্যাল আছে কিনা তা তাৎক্ষণিক বিনামূল্যে পরীক্ষা করে জনসাধারণকে জানিয়ে দেয়ার জন্য দু’টি মান পরীক্ষা স্পট চালু এবং বিএসটিআই উক্ত দিবসে তাদের ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে প্রদেয় সেবা জনসাধারণের নিকট প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এতদিন যাবৎ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আবেদনকারীদের মেধাসম্পদ বিষয়ক আবেদন গ্রহণে করছে। এতে আবেদনকারীদের সময় ও অর্থের অপচয় হতো এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিড়ম¦না ও ভোগান্তির শিকার হতো। ঐ দিন ডিপিডিটি শিল্প মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মেধাসম্পদ বিষয়ক আবেদন গ্রহণ পদ্ধতি চালু করবে।
উপরোক্ত কর্মসূচিসমূহ ২৩ জুন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চালু থাকবে। জনগণকে উপরোক্ত সেবাসমূহ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
জহির/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৬
পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য উৎপাদন বিষয়ক গবেষণার
ফলাফল অবহিতকরণ সভা
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
আজ ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য উৎপাদন’ বিষয়ক গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ও রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, মুখ্য গবেষক অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারাকাত, আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মেসবাহ কামাল ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল অশান্ত ও সংঘাতময় এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির পর অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির পরিবেশ ও বহুপ্রতীক্ষিত উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়। শান্তিচুক্তির পর পশ্চাদপদ ও পিছিয়ে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হয়।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় প্রান্তিক কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি ও জুমিয়া পরিবারের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। কৃষির ওপর নির্ভরশীল পার্বত্যবাসীর উন্নয়নের জন্য ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন, ফলজ ও বনজ চারা বিতরণসহ উৎপাদমুখী কৃষি ব্যবস্থার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জুমিয়া পুনর্বাসন, উচ্চভূমি বন্দোবস্তকরণ, কমলা বাগান, রাবার বাগান সৃজন ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ইক্ষু চাষ, তুলা ও রেশম বাগান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য মিশ্্র ফল বাগান প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই বিষয়ে উল্লেখ্য, গত ৪/৫ বছর হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণে ভালমানের আম, লিচু আনারসসহ অন্যান্য ফলমুল উৎপাদিত হচ্ছে। এই সকল উৎপাদিত সুস্বাদু ফলমুল সমতল এলাকার মানুষের চাহিদা মিটাতেও সক্ষম হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য উৎপাদন’ বিষয়ক গবেষণাটি একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে ভবিষ্যত কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। যা পার্বত্য এলাকার কৃষি কাজের সাথে জড়িত প্রান্তিক মানুষ বিশেষ করে জুম চাষের সাথে নির্ভরশীল দরিদ্র মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং এলাকার মানুষের দারিদ্র্যবিমোচনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
সভায় বিভিন্ন বেসরকারি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৮০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
#
জুলফিকার/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৫
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনা
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ও উপকুলের সুরক্ষা’ বিষয়ে আজ ঢাকায় মন্ত্রী হোস্টেলের আইপিডি সম্মেলনকক্ষে এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ গোলটেবিল বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, উপকূলীয় এলাকার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প পাস করা হয়েছে, বাঁধগুলো শক্তভাবে করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সি এম বি নামে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া তিনি কোস্ট ট্রাস্টের প্রতিনিধিদের পলিসি পেপার তৈরি করে সংসদ সদস্যসহ মন্ত্রণালয়কে প্রেরণের অনুরোধ করেন।
সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, তালুকদার মো. ইউনুস, তালুকদার আব্দুল খালেক, এ কে শাহজাহান কামাল, মুস্তফা লৎফুল্লাহ, মো. নবী নেওয়াজ, পঞ্চানন বিশ^াস, টিপু সুলতান, নাহিম রাজ্জাক, এম এ আউয়াল, রহিম উল্লাহ, জেবুননেছা আফরোজ, আলী আজম, মো. ইলিয়াছ এবং আশেক উল্লাহ রফিক, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের চেয়ারম্যান ড. আতিক রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের প্রতিনিধি উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের মেম্বার সেক্রেটারি এবং কোস্ট ট্রাস্টের সিও রেজাউল করিম চৌধুরী বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বেড়ীবাঁধ তৈরি, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা, নদীর গতিপথ ফিরিয়ে আনা, চ্যানেলগুলো খনন, সুইচ গেটগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বেশি করে বাজেট বরাদ্দ প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন।
কোস্ট ট্রাস্টের সুপারিশকৃত এলাকায় বেড়ীবাঁধগুলো করা এবং ৬০ এর দশকে নির্মিত বেড়ীবাঁধগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ, জলবায়ুর ট্রাস্টের টাকা সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় ব্যয় করা, পার্লামেন্ট ককাস টিম গঠন, উপকূলীয় বোর্ড গঠন, উপকূলকে নিয়ে পৃথক বাজেট প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
#
এমাদুল/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৬৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৪
সংসদ সদস্যদের ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দ পাওয়া সংক্রান্ত সংবাদের ব্যাখ্যা
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
জাতীয় সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বক্তৃতার উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংসদ সদস্যদের ফ্ল্যাট ও প্লট পাওয়া সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে নি¤œরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
“গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকা শহরে কয়েকটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তুলেছে। এসব এলাকায় বর্তমানে কোন আবাসিক প্লট বিক্রি অবশিষ্ট নেই। অপরদিকে স্বল্প পরিমাণ জমিতে অধিক লোকের বসবাসের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্বের ১৮ নম্বর সেক্টর, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট সর্বসাধারণের মধ্যে সহনীয় মূল্যে বিক্রি করা হবে। ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের জন্য বিশেষ কোন সুবিধা বা কোটা রাখা হয়নি। সকল শর্তপূরণ করে যেকোন সংসদ সদস্য সাধারণ জনগণের মতই এসব ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। যেহেতু এসব ফ্ল্যাট জনগণের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে, সে হিসেবেই গণপূর্তমন্ত্রী সংসদ সদস্যগণকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য বলেছেন। বিশেষ কোন সুবিধা বা কোটার আওতায় তারা ফ্ল্যাট পাবেন না।
রাজউকের চলমান পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্পে বর্তমানে কোন অবিক্রিত আবাসিক প্লট নেই। ফলে সংসদ সদস্যগণ প্লট কেনায় আগ্রহী হলেও তাদের জন্য কোন প্লট বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে রাজউক কোন আবাসিক এলাকার প্রকল্প গ্রহণ করলে সেখানে সাধারণ জনগণের মতো সংসদ সদস্যগণও আবেদন করতে পারবেন। শর্তাবলি পূরণসাপেক্ষে তারা প্লট গ্রহণের সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের জন্য বিশেষ কোন সুবিধা রাখা হয় না। উল্লেখ্য পূর্বাচল প্রকল্পের শর্তে ঢাকা শহরের আবাসিক ফ্ল্যাটের মালিকগণ প্লটের জন্য আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ফলে ভবিষ্যতে আবাসিক প্লট প্রকল্পে অনুরূপ সুযোগ রাখা হলে, তা শুধু সংসদ সদস্যগণের জন্য নয়, সাধারণ জনগণও সে সুযোগ পাবেন।
প্রকাশিত সংবাদে ধারণা হয় যে, বিশেষ ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যগণকে ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে, যা কোনভাবেই সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।”
#
কিবরিয়া/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৩
স্পটে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন প্রদান আগামীকাল
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
২৩ জুন আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস দিবস।
এ উপলক্ষে বিআরটিএ’র সেবা কার্যক্রম গ্রহীতাদের জন্য সহজলভ্য করতে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় সদরে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে স্পটে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে।
#
আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৬২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪২
বিমানবন্দরে কার্গো শেডের উদ্বোধন
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও বিমানবন্দর উন্নয়ন অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পৃক্ত। মানুষের চাহিদা পূরণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমদানি ও রপ্তানির বিকল্প নেই। এর বিশাল একটি অংশ বিমানবন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়।
মন্ত্রী আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিজিএমইএ’র সহযোগিতায় নির্মিত কার্গো-শেডের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সময়ের প্রয়োজনে দেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি রপ্তানি পণ্যসমূহের যথাযথ বিন্যাস এবং সঠিক সময়ে শিপমেন্ট ও ডেলিভারি প্রদানে অবকাঠামোগত সহযোগিতা প্রদানে সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিসমূহকেও এগিয়ে আসতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব আবুল হাসনাত জিয়াউল হক, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদ, সিভিল এভিয়েশনের মেম¦ার অপারেশন মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিমানবন্দরের পরিচালক জাকির হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
তুহিন/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৬৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪১
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব আক্তারী মমতাজ ও দপ্তর/সংস্থার পক্ষে এর প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মশিউর রহমান ও মাহমুদা আখতার মীনা এবং দপ্তর ও সংস্থাসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন। এর ধারাবাহিকতায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক এ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি সচিব বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক ও উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি, সে স্বপ্ন পূরণের পথে এ চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগত কৌশল। মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনয়নে এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতেও এ চুক্তি সাহায্য করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হবে এবং প্রদেয় সেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রবর্তন করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়। মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যক্রম পদ্ধতি নির্ভর থেকে ফলাফল নির্ভর করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বস্তুনিষ্ঠ পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে, যা সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
#
কুতুবুদ-দ্বীন/মোবাস্বেরা/খাদীজা/গিয়াস/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪০
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এদিনে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি সংগঠনের অগণিত নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হককে। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে।
আমি স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ আমাদের পূর্বসূরি নেতা-কর্মীদের- যাঁদের অক্লান্ত শ্রম, মেধা ও ত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ গণমানুষের এক বিশাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখ-ে যা কিছু বিশাল অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সঙ্গে এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৫২’র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২’র আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪’র দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সবই পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক এবং সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্বদানের সুমহা