Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২২ জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৮৮

 

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সংযোগ, সীমান্ত,

নদী ও বিদ্যুৎখাতে বিশেষ গুরুত্ব, ১০ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

                                                     -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

                                                             

নয়াদিল্লি (ভারত), ৮ আষাঢ় (২২ জুন):

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজনৈতিক সংহতি, সহযোগিতার নবক্ষেত্র উন্মোচন এবং জনগণের ‘ফ্রেশ ম্যান্ডেট’ বা নবরায় নিয়ে গঠিত দু’দেশের সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে গত দশকে দু’দেশের সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে তাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

 

আজ ভারতের নয়াদিল্লিতে হোটেল তাজ প্যালেসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

এ দিন সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের আগে এ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরপর তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এবং গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণে যোগদানের পর আবারও তাঁর আমন্ত্রণে অত্যন্ত কম সময়ের ব্যবধানে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে আসা সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের এ সফর অত্যন্ত সফল।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও কর্মকর্তাদেরসহ দলগতভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে একান্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপক্ষীয় সকল বিষয় আলোচনা হয়। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান।”

 

১০ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

 

বৈঠক শেষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ, বাংলাদেশ-ভারত গ্রিন পার্টনারশিপ, সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, বাংলাদেশ ও ভারতের রেল মন্ত্রণালয়দ্বয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভারতের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে  গবেষণা সহযোগিতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধসংক্রান্ত  সমঝোতা নবায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন এবং মৎস্যম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়নসহ মোট দশটি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষরের কথা বর্ণনা করেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

‘কানেক্টিভিটি’, সীমান্ত হত্যা, নদী ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতায় বিশেষ গুরুত্ব

 

দু’দেশের মধ্যে সংযোগ বা কানেক্টিভিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর যাতে ভারতের উত্তর-পূর্ব বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের জন্য ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে তাদের আগ্রহ ও আমাদের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

 

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে রাজনৈতিকভাবে দু’দেশের ঐক্যমতের অভাব নেই জানিয়ে হাছান বলেন, এরপরও যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোও যাতে একদম কমানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

এছাড়া, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে। এগুলোর নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, বন্যা দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়েও গুরুত্বসহকারে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

মন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতার প্রসার, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা এবং ভারত যে ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন করছে সেটি থেকে কিভাবে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।

 

এ সময় পেঁয়াজ, তেল, গম, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট কোটা সংরক্ষণ ও আমদানি যাতে বন্ধ না হয়, সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি, জানান হাছান।

 

বহুপাক্ষিক ফোরামে সমর্থন

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আরো জানান, ব্রিকস সদস্য বা অংশীদার যে কোনো পদে আমরা ভারতের সমর্থন চেয়েছি এবং তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। পাশাপাশি বিমসটেক, ইন্ডিয়ান ওশান রিম এসোসিয়েশনসহ বহুপাক্ষিক ফোরামগুলোতে অবস্থান শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা ছিল ইতিবাচক।

 

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় চীনের ভূমিকা বৃদ্ধির কথাও এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে এটি আলোচনা করবেন বলেছেন। ভিসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশিদের জন্য ভারত বছরে প্রায় ২০ লাখ ভিসা প্রদান করে, মেডিক্যাল ভিসা ত্বরান্বিত করতে ও অন্যান্য ভিসার অযথা বিলম্বরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের মিশনগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

#

 

আকরাম/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৮৭

মালয়েশিয়ায় ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রদর্শনী

দেশি-বিদেশি দর্শকগণ আবেগাপ্লুত                                                           

কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া), ২২ জুন:

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক  চলচ্চিত্র ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ এর   প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মালয়েশিয়ার  প্রখ্যাত মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিতে (এম এম ইউ) শুক্রবার  (২১  জুন) সন্ধ্যায়  সিনেমাটি প্রদর্শিত  হয়।

          মালয়েশিয়ায়  নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান ও তার সহধর্মিণী পেন্ডোরা চৌধুরী, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বি এন রেড্ডি (B N Reddi), মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক দাতো ড. মাজলিহাম মোঃ সৌদ (Prof. Dato’ Dr. Mazliham Mohd Su’ud), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা , বিভিন্ন  দেশের কূটনীতিক কোরের সদস্য ,  বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ,   মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ সপরিবারে  চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।

          বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত 'মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ প্রদর্শনীর পূর্বে সিনেমার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান এবং  ভারতীয় হাইকমিশনার বি এন রেড্ডি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লক্ষ শহিদ ও সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষ মা - বোনের   প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাঙালিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের আপোষহীন সংগ্রাম এবং বাঙালি জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ এই সিনেমার মাধ্যমে  নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন কালোত্তীর্ণ ব্যক্তিত্ব  এবং সম্মোহনী নেতা । এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর পাশাপাশি ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন,  শুধু বাঙালি জাতি নয় পৃথিবীর সকল স্বাধীনতাকামী মানুষ এবং জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু প্রাস‌ঙ্গিক  কারণ  বঙ্গবন্ধু শুধু  রাজনীতিবিদ নয়, তিনি ছিলেন মানবিক একজন মানুষ। তিনি নির্যাতিত  মানুষের অধিকারের  জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বি এন রেড্ডি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে  বলেন,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের একজন নেতা ছিলেন না;  তিনি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে এক অনন্য সাধারণ  ব্যক্তিত্ব।  তাঁর অদম্য স্পৃহা,  জনগণের প্রতি অপরিসীম  ভালোবাসা  এবং স্বাধীনতার অর্জনে অটল অঙ্গীকার উপমহাদেশের সম্মিলিত চেতনায় একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে।  তিনি আরও বলেন, ছবিটি বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ যাত্রা, তাঁর আত্মত্যাগ এবং  অটল সংকল্পের উদ্‌যাপন।

          প্রদর্শনী শেষে প্রবাসী বাঙালি এবং বিভিন্ন দেশের দর্শকগণ সিনেমার নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, দেশের প্রতি মমত্ববোধ এবং বিপথগামীদের হাতে তাঁর সপরিবারে মর্মান্তিক মৃত্যু দেখে দর্শকরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই বায়োপিকের শুটিং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শেষ হয়।

#

মারুফ/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৫১৮৬

 

সরকার পরিকল্পিত, গণমুখী ও বাসযোগ্য টেকসই গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করছে

                                                                             -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

 

আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ৮ আষাঢ় (২২ জুন):  

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে পরিকল্পিত, গণমুখী ও বাসযোগ্য টেকসই গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাস করে। এ নীতিতে সারাদেশে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূলনীতি গ্রাম শহরের উন্নতি। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার এ দর্শনকে ধারণ করে দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ এর সফল বাস্তবায়ন এবং অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলমতের উর্ধ্বে ওঠে সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বরিশালের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

 

#

 

আহসান/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৮৫

 

স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় অসৎ উপায়ে ভূমি ক্রয়ের প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে

                                                                     ---ভূমিমন্ত্রী

                                                              

বরিশাল, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):

 

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, আমরা পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে দুর্নীতি নির্মূলের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। এই উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

আজ বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনবান্ধব ডিজিটাল জরিপ বিষয়ক কর্মশালা ও অংশীজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনার স্মার্ট ডিজিটালাইজেশন বৈধ মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। এটি অবৈধ দখল রোধ করার পাশাপাশি অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থে ভূমি ক্রয়ের প্রচেষ্টাও প্রতিহত করবে। প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবস্থাকে ভূমি মালিকানা ব্যবস্থাপনার সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছি। এই উদ্যোগ সফল হলে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, সচেতন নাগরিকই স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিকরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকেন। নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে দূর্নীতি অনেকাংশেই হ্রাস পাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়  এস্টাব্লিশমেন্ট অভ্ ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইডিএলএমএস) প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

                                                  #

 

নাহিয়ান/পাশা/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৫১৮৪

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :  

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ২১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি । এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৬ জন।

#

দাউদ/পাশা/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৭১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৫১৮৩

টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন): 

          সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :    

মূলবার্তা:

‘রাসেল ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক নয়, বাড়াতে হবে সাবধানতা ও সচেতনতা’- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

#

দীপংকর/রবি/সাজ্জাদ/আলী/মাসুম/২০২৪/১৪৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৮২

রাসেল'স ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন): 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজ ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সারাদেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ দেশের সমগ্র স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিকট সর্পদংশন ও রাসেল'স ভাইপারের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এছাড়া, তিনি দেশের সমগ্র হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুদ রাখার নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, রাসেল ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক নয়, বাড়াতে হবে সাবধানতা ও সচেতনতা। রাসেল'স ভাইপারের যে এন্টিভেনম সেটা সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তিনি আরো বলেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে নিতে যেন দেরি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রচার-প্রচারনার ওপর তিনি জোর দেন।

এছাড়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ দেন।

এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

শাহাদাত/রবি/সাজ্জাদ/আলী/মাসুম/২০২৪/১৪৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৫১৮১

রাসেল ভাইপার বিষয়ে জন উদ্বেগের প্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি:

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):  

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া, বোড়া বা উলুবোড়া) দেখা যাওয়ার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন এবং জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সম্পর্কে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় অবগত। এ প্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা এবং জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হলো:

রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মানুষের সাথে এই সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সাপ সাধারণত নীচুভূমির ঘাসবন, ঝোঁপজঙ্গল, উন্মুক্ত বন, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। সাপটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সাথে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে গেলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। রাসেল ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। তাই, সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

সাপের কামড় এড়াতে করণীয়:

- যেসব এলাকায় রাসেল ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন;

- লম্বা ঘাস, ঝোঁপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন, গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢুকাবেন না;

-  সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট ও লম্বা প্যান্ট পরুন;

- রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন;

- বাড়ীর চারপাশ পরিষ্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখুন;

- পতিত গাছ, জ্বালানি লাকড়ি, খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন;

- সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না;

-  প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন।

সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে করণীয়:

- দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া করা যাবে না, পায়ে দংশনে- বসে যেতে হবে, হাঁটা যাবে না, হাতে দংশনে- হাত নড়াচাড়া করা যাবে না;

 হাত-পায়ের গিড়া নাড়াচাড়ায় মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে;

- আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে;

- ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি থাকলে খুলে ফেলুন;

- দংশিত স্থানে কাঁটবেন না, সুঁই ফোটাবেন না, কিংবা কোনোরকম প্রলেপ লাগাবেন না বা অন্য কিছু প্রয়োগ করা উচিত নয়;

- সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না;

- যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেতে হবে;

- আতঙ্কিত হবেন না, রাসেল ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

রাসেল'স ভাইপারের প্রাদুর্ভাব কমাতে করণীয়:

বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এবং কিছু প্রজাতির সাপ 'রাসেল'স ভাইপার' খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসকল বন্যপ্রাণীকে মানুষের নির্বিচারে হত্যার কারণে প্রকৃতিতে রাসেল ভাইপার বেড়ে যাচ্ছে। তাই বন্যপ্রাণী দেখলেই অকারণে তা হত্যা ও এদের আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকুন।

#

দীপংকর /রবি/সাজ্জাদ/আলী/মাসুম/২০২৪/১৪৩২ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৫১৮০

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৩ জুন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:  

“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে সংগঠনের সকল নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে; শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, জাতীয় চার নেতা, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদগণসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের-যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি এবং আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের গণমানুষের প্রাণের সর্ববৃহৎ সংগঠন।

পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন এক সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা ও বিশ্বশান্তির পথকে প্রশস্ত করা। কারাবন্দি অবস্থায় তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান নবগঠিত সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় সম্মেলনেই তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রজ্ঞা, শ্রম, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও অবিচল আদর্শকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রশ্নে হয়ে উঠেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। হাজার বছরের শাসন-শোষণের ইতিহাস মুছে ফেলে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগঠনটিকে প্রস্তুত করতে শেখ মুজিবকে যেমন অসংখ্য
চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে, তেমনি তাঁর ব্যক্তি-জীবনকেও বিসর্জন দিতে হয়েছে। কালের পরিক্রমায় তিনি হয়ে
উঠেন- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির জাতির পিতা।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখণ্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই সংগঠনটি ভাষা-শিক্ষা’র অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’- দাবিতে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সচিবালয়ের ১নং গেইট থেকে পিকেটিং করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গ্রেফতার হন। তাঁর পরামর্শে ’৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারি ‘ভাষা দিবস’ সমর্থনে ধর্মঘট আহ্বান ও ১৪৪-ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত এবং কারান্তরীণ অবস্থায় অনশন ঘোষণা ভাষা আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনকে ত্বরান্বিত করে। ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ ২১-দফা ইশতাহার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে এবং মন্ত্রিসভা গঠন করে। কিন্তু, পাকিস্তানের গভর্নর সে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় মন্ত্রিসভা গঠন করে। সেসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাদেশ ঘুরে মহকুমা ও থানা পর্যায়ে দলীয় কর্মীবাহিনীকে নিয়োজিত করে পূর্ব-বাংলায় বিরাজমান তীব্র খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করেন। মাত্র দু’বছরের কম সময়েই জনকল্যাণকর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয় এবং পূর্ব-বাংলার স্বায়ত্তশাসনসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সামরিক শাসন জারির ফলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়। দৃঢ়-প্রত্যয়ী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তৃণমূল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে মনোনিবেশ করেন ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। জনগণই আওয়ামী লীগের মূলশক্তি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ’৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি মুক্তির সনদ রচনা এবং ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে, শুরু করে প্রহসন। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য ৬-দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তা সরকার জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করে। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ

2024-06-22-16-03-63bc1944be6c81026a8af86b216bb148.docx