Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৬ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৬৭৯

 

 

সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী জাতীয় ফুটবল দলের পাহাড়ি

কৃতী ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য উপদেষ্টা

   

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর):    

      পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আজ ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে সিএইচটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী জাতীয় ফুটবল দলের পাহাড়ি কৃতী ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

      প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধভাবে সুন্দর পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের মূল স্রোত ধারার সাথে সম্পৃক্ত রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য উন্নয়ন কাজ করতে বদ্ধপরিকর। তিনি সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।

      খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আন্তর্জাতিক ফিফা রেফারি হিসেবে জয়া চাকমা, নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও রূপনা চাকমা প্রমাণ করে দেখালেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মেয়েরা চেষ্টা করলে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা সম্ভব। তিনি পরবর্বীতেও এরকম কৃতী খেলোয়াড় গড়ে তোলার জন্য শিক্ষক ও স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানান।

     অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের প্রথম ফিফা নারী রেফারি জয়া চাকমা, সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪-এর বিজয়ী পাহাড়ি কৃতী নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও রূপনা চাকমা প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। পরে সিএইচটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন উপদেষ্টা।

     ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) তুষার কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজ রাশিদা ফেরদৌস এনডিসি, মং রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, প্রকৌশলী কুবলেশ্বর চাকমা, প্রকৌশলী ক্যাসাচিং মারমা, প্রধান শিক্ষক বীরসেন চাকমা, নলিনী মোহন চাকমা বক্তব্য রাখেন।

 

                                                         #

রেজুয়ান/শিবলী/মোশারফ/আব্বাস২০২৪/২২২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৬৭৮

 

 

সাইকোমেট্রিক্স বিষয়টি সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে

                                         -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) :    

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সাইকোলজি যদি সায়েন্স হয় তাহলে সাইকোমেট্রিক্স হলো টেকনোলজি। এটি একটি বিচিত্র বিষয়। সাইকোমেট্রিক্স বিষয়টি সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সাইকোমেট্রিক্স এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে- এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইকোমেটরিক্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা মানুষকে নিয়ে ডিল করি। সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করি, গবেষণা করি। কোনো কিছু করতে মেজারমেন্ট করতে হয়, থিসিস হিসেবে ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন থিসিসে ভেরিয়েশন হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আই কিউ টেস্ট এর প্রয়োজন হয়। কারণ তার ক্যাপাবিলিটি রয়েছে কি না সেটির জন্য সাইকোলজি টেস্ট খুবই প্রয়োজন। এই দেশের উপযোগী করে আই কিউ টেস্ট তৈরি করতে হবে। সাইকোমেট্রিক্স বিষয়টি সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সাইকোমেট্রিক্স এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে- এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, মানসিকভাবে সুস্থ জাতি গঠনে মনোবিজ্ঞানের গুরুত্বকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ আরো বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমদ বশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ'র ইন্টারনাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, আইইউবিএটি'র প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান ও ডাক্তার মোঃ কামাল উদ্দিন।

#

জাহাঙ্গীর/শিবলী/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৬৭৭  

 

শব্দদূষণ বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে

                                                ---পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর):    

            পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। বাংলাদেশ শব্দ দূষণে পৃথিবীতে এক নম্বর অবস্থানে আছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছি কিন্তু এরকম একটি প্র্যাকটিস (অনুশীলন) চালু রাখবো সেটি হতে পারে না। অন্তত শহরগুলোতে শব্দ দূষণ বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

            আজ রাজধানীর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ অডিটোরিয়ামে ৩য় ন্যাশনাল ন্যাচার ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।  

            উপদেষ্টা বলেন, শব্দদূষণের প্রথম উৎস হচ্ছে হর্ন। এটি আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা নিজেদের গাড়ি থেকেই যদি হর্ন না বাজানোর অভ্যাস করতে পারি তাহলে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সামনের ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকার ১০টি রাস্তায় হর্ন বাজানো বন্ধে সচেতনতা তৈরি করা হবে। তারপর আমরা আইন প্রয়োগের কাজ শুরু করবো। আমরা এর মধ্যেই বিমানবন্দর এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করেছি এবং সেখানকার কিছু অভিজ্ঞতাও আমাদের হয়েছে। জলবায়ুগত পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, গত ৫০ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে। আবার দক্ষিণ অঞ্চলে এরকম বন্যাও মানুষ আগে কখনো দেখেনি। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি বড় কারণ হচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো।

            রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, আমাদের কাছে (বাংলাদেশে) নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে। যা আমরা অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় অনেক কম টাকায় পেতে পারি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিটি ভবনের উপরই যে সোলার প্যানেল রয়েছে সেটি কাজ করে না। যদি ওই সোলার প্যানেলগুলো কাজ করত তাহলে ২০ মিনিট কিংবা কয়েক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে কাউকে চিন্তিত হতে হতো না৷ আর সরকারকেও উচ্চ মূল্যে জ্বালানি কিনে এনে সরবরাহ করতে হতো না। সৌর এবং বায়ু বিদ্যুতে বাংলাদেশে বড় সম্ভাবনা রয়েছে।

            তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে উন্নত বিশ্বের ভোগবাদী জীবনযাপনের জন্য। যা ফরাসি বিপ্লবের পরে শুরু হয়েছে। এর কারণেই গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ অনেক প্রাণ ও জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য আমাদের জীবনযাত্রার বর্তমান ধরন পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা যদি আমরা উন্নত করতে পারতাম তাহলে ঢাকার উপর এতো চাপ পড়তো না। প্রকৃতির প্রতি ন্যায় বিচার করতে হলেই আমাদের লাইফ স্টাইল বা জীবন ধারা পাল্টাতে হবে।

            তিনি আরও বলেন, পলিথিনের বিকল্প কি হবে সেটা নিয়ে বিতর্ক করা একটি ‘অযৌক্তিক বিতর্ক’। আমরা যে পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার করছি সেটি ১০০ বছরেও মাটিতে ও পানিতে মিশবে না। এটি ভেঙে যাবে। ভেঙে গিয়ে মাইক্রো প্লাস্টিক হবে। সেই মাইক্রো প্লাস্টিকগুলো পর্যায়ক্রমে মানুষের শরীরে আসবে।

            ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ (এনডিসি, পিএসসি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাচার ক্লাবের চিফ কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ নুরুন্নবীসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

                                                     #

আবদুল্লাহ আল মামুন/শিবলী/মোশারফ/আব্বাস /২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৬৭৬

 

বইপাঠের মাধ্যমে জ্ঞানের অনুষদ বিস্তৃত হয়

                                  ---ধর্ম উপদেষ্টা

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর):    

          ধর্ম উপদেষ্টা বলেছেন, বই জ্ঞানের বাহক। বইপাঠের মাধ্যমে জ্ঞানের অনুষদ বিস্তৃত হয়।

          আজ রাজধানীর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বইমেলায় ড. মুহাম্মদ সাদিক হুসাইনের 'ওরিয়েন্টালিজম ও ইসলাম' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, জ্ঞানের আলোকচ্ছটায় মানুষের অন্তর আলোকিত হয়, দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হয়। জ্ঞানের আলোয় মানুষের অন্তরের কলুষতা ও মলিনতা বিদূরিত হয়। এ সময় তিনি অধ্যয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

          উপদেষ্টা আরো বলেন, ওরিয়েন্টালিজমের কেবলই নেতিবাচক দিক আছে এমনটা নয়, এর ইতিবাচক দিকও আছে। তবে নেতিবাচক দিকটাই বেশি। উপদেষ্টা ইসলামি স্কলারদের ধর্মতত্ত্বের ওপর জ্ঞান অর্জনের আহ্বান জানান।

          লেখক সম্পর্কে ড. খালিদ বলেন, ড. মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন একজন বিদগ্ধ লেখক। তিনি বাংলা ও আরবি জানেন এবং ইংরেজিতেও তাঁর দখল রয়েছে। তাঁর লেখা ‘ওরিয়েন্টালিজম ও ইসলাম’ বইটি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ল' রিসার্চ ও লিগ্যাল এইড সেন্টার (বিআইএলআরসি) বহুদিন যাবত ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশ করে আসছে। তাদের গবেষণা পত্রিকাটিও মানসম্পন্ন প্রকাশনা।

          বিআইএলআরসি'র নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ রইছ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।

          পরে উপদেষ্টা আয যিহান পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত প্রিয় ব্যক্তিত্ব প্রিয় বই, লেখালেখির নিয়মকানুন, মনুষ্যত্বের উন্নত বৈশিষ্ট্য, পজিটিভ প্যারেন্টিং সিক্রেটস, ইসলামের অনন্য আদব ও ভদ্রতা শিরোনামে পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

 

                                                 #

আবুবকর/শিবলী/সঞ্জীব/আব্বাস /২০২৪/১৯৫৯ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৬৭৫

 

 

হাজীদের রিফান্ডের টাকা ফেরতের নামে সক্রিয় প্রতারক চক্র, সতর্ক থাকতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

 

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর):    

হাজীদের রিফান্ডের টাকা ফেরতের নামে একাধিক প্রতারক চক্র মাঠে সক্রিয় থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এরূপ প্রতারক চক্র হতে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র হজের রিফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে হাজী, হজ এজেন্সির মালিক বা প্রতিনিধি ও হজ গাইডদেরকে ফোন করে তাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ কিংবা নগদ ইত্যাদির তথ্য চাচ্ছে। এভাবে কয়েকটি প্রতারণার ঘটনাও ঘটেছে।

উল্লেখ্য, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে  হাজী, হজ এজেন্সি ও হজ গাইডদের রিফান্ডের টাকা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে BEFTN অথবা চেকের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। এজন্য কোনো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ কিংবা নগদের তথ্য চাওয়া হয় না। প্রতারক চক্র ফোন করে টাকা ফেরতের কথা বলে এরূপ কোনো তথ্য চাইলে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এছাড়া, এ ধরনের ফোন আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে এই মন্ত্রণালয়। ইতোপূর্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

#

আবুবকর/শিবলী/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭২০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৬৭৪

 

বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্র-জনতার সংগ্রামের ফল

                         সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

 

রংপুর, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) :    

        সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্র-জনতার সংগ্রামের ফল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পেয়েছি, দেশ পেয়েছি ও পতাকা পেয়েছি। কিন্তু সাম্য, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। গত ১৫ বছর  অন্যায়, জুলুম, নির্যাতনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের ফলে ছাত্র-জনতাকে আবারও ২০২৪ সালে সংগ্রাম করতে হলো। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জনমানসে জেগেছে বৈষম্যহীন, মুক্ত মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা। আমরা সে আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। 

আজ রংপুর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের পুর্নবাসন ও দেশ গঠনে কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেককে চিহ্নিত করতে হবে। পূর্বের ন্যায় আবারও ভুল করা যাবে না। যে কষ্ট আমরা ৫৩ বছর ধরে বহন করেছি এবং মুক্তিযুদ্ধের নামে বার বার ভুল করেছি, সে ভুল আমরা করবো না। ২০২৪ সালে তরুণ সমাজ যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন ও যে সাহস দেখিয়েছিন তা সারা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। যুগে যুগে এটা নিয়ে গবেষণা হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমারা দ্বিতীয়বার নতুন করে সমাজ গড়ার যে সুযোগ পেলাম তা কাজ লাগাতে হবে।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন আবু সাঈদ তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আর যারা আহত হয়েছেন তাঁদেরও ভুলে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা তাঁদের পাশে থাকবো। আমাদের কাজের সমালোচনা ও তিরস্কার করুন কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নিবেন না। কাজ করতে ভুল হতে পারে। ভুল শুধরে এগিয়ে যেতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, আবু সাঈদ সাহসের প্রতীক হয়ে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করে দিয়েছেন। তাঁর সাহস অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে। তাঁদের বীরত্বের কাছে আমরা মাথা নত করি। তাঁরা আমাদের যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।  

 

রংপুরের জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন প্রমুখ। বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের ৪৪ পবিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দুই কোটি বিশ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবার, সরকারি কর্মকর্তা, শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

রফিকুল/শিবলী/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১৬৭৩

 মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষক উপদেষ্টা
          

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) :   

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক ১৯৭১ সালের মুক্তি  সংগ্ৰামের সাহসী কাহিনী, তথ্যচিত্র, আলোকচিত্র এবং ইতিহাসের নানান স্মারকের সমন্বয়ে গড়ে উঠা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আজ পরিদর্শন করেন। তিনি জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারি ঘুরে দেখেন।   

­­­ পরিদর্শনের শুরুতেই উপদেষ্টা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘প্রজ্জ্বলিত শিখা চির অম্লান’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া, তিনি জাদুঘরের রক্ষিত ­­­পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। 

­­­­মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতা লাভের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ  করে উপদেষ্টা বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাঙালি জাতির ভাষা ও স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ সারা পৃথিবীর মানুষকে স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র আদায়ের লড়াইয়ের জন্য অনুপ্রেরণা দেবে।  

এসময় জাদুঘরের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল হক, ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের ও জাদুঘরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

এনায়েত/রবি/সাঈদা/মানসুরা/২০২৪/১০৩০ ঘন্টা   

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১৬৭২

শহিদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ উদ্বোধন করলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) :   

আজ জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘শহিদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ’ উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের ত্যাগ ও রক্তের মূল্য কখনও পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্মান প্রদর্শনের সুযোগ আছে, সেটা আমরা চেষ্টা করছি।  তিনি আরো বলেন, সারাদেশে ২২০টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মিত হবে। আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ সকল স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলার শহিদদের নামে নামকরণ করা হবে।   

উপদেষ্টা আরো বলেন, ২০২৫ সালের যে পাঠ্যপুস্তক আসবে, সেই পুস্তকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আমাদের শহিদদের বীরত্বগাঁথা লেখা থাকবে। সরকারের পরিকল্পনা আছে পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে যেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধারণ করতে পারে। সেই লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে শহিদদের বীরত্বগাঁথা তুলে ধরার প্রচেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নেয়া হচ্ছে।        

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্লাহ। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম ভূইয়া এবং মাতা ফারহানা দিবা।

#

নূর/রবি/সাঈদা/শফিক/২০২৪/১০৩০ ঘন্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৬৭১

টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ন (১৬ নভেম্বর):

 

          সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :     

মূলবার্তা:

        ‘হাজীদের রিফান্ডের টাকা দেয়ার নামে প্রতারণার অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, নগদ বা বিকাশের গোপন পিন নম্বর কাউকে দিবেন না-ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।’

#

সিদ্দীক/রবি/সাঈদা/মানসুরা/২০২৪/১৪০০ ঘণ্টা  

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১৬৭০

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) :    

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। তিনি রাজনীতি করেছেন সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে একতাবদ্ধ করতে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ করে তিনি কারাবরণ করেন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসাই তাঁকে জননেতায় পরিণত করেছে।  মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করুক- এ প্রত্যাশা করি।

আমি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

রাহাত/রবি/সাঈদা/শফিক/২০২৪/১০৩০ ঘন্টা  

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

2024-11-16-16-31-997d455017f7ae49e9d56d9cb5b114cd.docx