Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৩ নভেম্বর ২০২৪

Handout                                                                                                   Number: 1655

 

Government Working to Ensure Coexistence of Elephants and Humans

                                                                                 --- Environment Advisor
 

Dhaka, 13 November:

            Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change stated that the government is actively working to ensure the coexistence of wild elephants and humans. As part of this effort, a plan is being developed to promote peaceful coexistence between elephants and humans in the KEPZ area of Chattogram. She stressed the need for everyone’s cooperation in this endeavor.

            The Advisor made these remarks at a meeting held at the Bangladesh Secretariat in Dhaka today, where progress on the activities of a specialist committee addressing elephant protection and conflict resolution in the KEPZ and surrounding areas was reviewed.

            The Environment Advisor noted that specific zones for elephant movement should be identified through tracking and analysis of their migration routes. A collaborative effort involving KEPZ, the Forest Department, IUCN, district administration, and experts will be implemented. Additionally, five new Elephant Response Teams will be formed and trained.

            Meanwhile, a separate operation against illegal polythene manufacturers was conducted in the Chawkbazar area of Dhaka. Three factories had their power connections disconnected and were sealed, with 2,460 kg of banned polythene seized. Led by Executive Magistrate Kazi Tamzid Ahmed of the Department of Environment, this operation was supported by the army, RAB, and police. Such anti-polythene operations will continue.

            Separately, at the ‘First Grant Ceremony’ event of the Bangladesh-US Friendship Project held at Hotel Sheraton, the Advisor, as Chief Guest, urged NGOs to work on women’s empowerment, food security, child rights, education, health, and environmental development. She emphasized the need to work together with values guiding efforts to build an equitable society.

#

 Dipankar/Mehedi/Sanjib/Joynul/2024/2020 hour 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ১৬৫৪

 

বন্য হাতির সুরক্ষায় হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

                                                                      - পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন্য হাতির সুরক্ষায় হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের কেইপিজেড এলাকায় হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রামের কেইপিজেড ও আশপাশের এলাকায় হাতির সুরক্ষা এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে বিশেষজ্ঞ কমিটির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হাতির চলাচলের পথ বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন জোন চিহ্নিত করতে হবে। কোরিয়ান ইপিজেড, বন বিভাগ, আইইউসিএন, জেলা প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে কাজ করবে। আরো ৫টি এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হবে, যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, ঢাকার চকবাজার এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এতে ৩টি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করা হয় এবং ২,৪৬০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।

একই দিনে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা মৈত্রী প্রকল্পে প্রথম অনুদান প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিশু অধিকার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে কাজ করতে হবে। সবাইকে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে আসতে হবে।

#

দীপংকর/মেহেদী/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৪০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৬৫৩

অনলাইনে এলডি ট্যাক্স পরিশোধ কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ

করতে ভূমি মালিকদের প্রতি আহ্বান ভূমি উপদেষ্টার

 

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):

          ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ ভূমি মন্ত্রণালয়ের চলমান শতভাগ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) পরিশোধ কার্যক্রমকে সফল ও ফলপ্রসূ করতে ভূমি মালিকদের দায়িত্বশীল সহায়ক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

          আজ তেজগাঁও ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় ও ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের তেজতুরী বাজার মৌজার অনলাইনে শতভাগ এলডি ট্যাক্স পরিশোধ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

          উপদেষ্টা বলেন, ভূমিসেবা পুরোপুরি হয়রানিমুক্ত ও জনবান্ধব করতে মিউটেশন, এলডি ট্যাক্স ও খতিয়ান সেবা সম্পূর্ণ অনলাইনে হচ্ছে। দেশে-বিদেশে যে কোনো স্থান থেকে ঘরে বসে বা কলসেন্টারের মাধ্যমে এসব সেবা গ্রহণ করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, এলডি ট্যাক্স শতভাগ অনলাইনে পরিশোধ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ভূমিসেবা ক্যাম্পে কর পরিশোধ কার্যক্রমে মালিকগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, এতে করে সাধারণ মানুষ অনলাইনে সেবা গ্রহণে আরো অনুপ্রাণিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ-সহ স্থানীয় ভূমি মালিকগণ বক্তব্য রাখেন।

          সকল নাগরিকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন, জনবান্ধব ও নির্ঝঞ্ঝাট ভূমিসেবা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে নানামুখী উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে ঢাকা জেলার তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের তেজতুরী বাজার মৌজার ভূমিসেবাকে পাইলটিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।

          তেজতুরি বাজার মৌজার যে কোন নাগরিক www.ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে এ মৌজায় অবস্থিত হোল্ডিংয়ের এলডি ট্যাক্স ঘরে বসেই নির্বিঘ্নে ও শতভাগ অনলাইনে দিতে পারবেন এবং সাথে সাথে দাখিলা পেয়ে যাবেন। ঘরে বসে নাগরিক-কর্তৃক পরিশোধিত কর তাৎক্ষণিক জমা হবে সরকারি কোষাগারে অটোমেটেড চালানের মাধ্যমে।

          পরে ভূমি উপদেষ্টা অনলাইনে এলডি ট্যাক্স প্রদানকারী, ভূমি কুইজ বিজয়ী, ভূমি কর্মী ও অ্যাম্বাসেডরদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন। তিনি নাগরিক ভূমিসেবা ক্যাম্পের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও আগত ভূমি মালিকদের সাথে কথা বলেন।

#

আহসান/মেহেদী/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১৫ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ১৬৫২

 

জাহাজ নির্মাণ শিল্পের শ্রমিকদের উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

 

নারায়ণগঞ্জ, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):

          দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অবস্থিত কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড পরিদর্শনকালে নৌ-উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি শিপইয়ার্ডগুলোতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে শিশুশ্রম বন্ধের নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনা করতে হবে। শ্রমিকদের অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা গেলে দেশের অর্থনীতি আরো বেগবান হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের জাহাজ শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি শিপইয়ার্ডে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিকদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা কর্ণফুলী শিপইয়ার্ডে নির্মানাধীন বিআইডব্লিউটিসিএ’র চারটি কোস্টাল প্যাসেঞ্জার ভেসেল ও তিনটি প্যাসেঞ্জার ক্রুজ ভেসেল এবং বিআইডব্লিউটিএ এর ড্রেজারসমূহের নির্মাণ কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ডেমরার ছনপাড়াতে নির্মাণাধীন ইকোপার্ক পরিদর্শন করেন এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নদীকেন্দ্রিক পর্যটনব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। নদীকেন্দ্রিক পর্যটনব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করার জন্য উপদেষ্টা এ সময় নদীকেন্দ্রিক পর্যটন চালুর জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

                                                            #            

আরিফ/মেহেদী/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৭১০ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ১৬৫১

 

নারীদের সম্মানের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে

                            --- শারমীন এস মুরশিদ

 

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):

মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারীদের সম্মানের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। মূল্যবোধ, রাজনৈতিক আচার-আচরণে যে ঘাটতি রয়েছে তার পরিবর্তন করতে হবে। সুস্থ দেশ গড়ার স্বার্থে নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে সত্যের জায়গায় দাঁড়িয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইউএন উইমেনের যৌথ আয়োজনে ‘Multistakeholder Consultation on Beijing+30 Report’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান গণজাগরণে নারীদের ভূমিকা অপরিসীম । বিগত ৫০ বছরে আমাদের সন্তানরা যা চেয়েছে তার ওপর গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অগ্রভাগে ছেলেদের পাশাপাশি আমরা নারীদের আগমন দেখেছি। নারীদের সক্রিয়তা প্রশাসন, রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করেছে। আমরা আশাবাদী জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং বিপিএফএ (Beijing Platform for Action) এর কার্যকরী বাস্তবায়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও অংশীজন এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে নিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাবো।

সেমিনারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বেগম মমতাজ আহমেদ। সেমিনারে ‘National Revenue of Beijing+30 Report’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পলিসি লিডারশিপ এন্ড এডভোকেসি ইউনিটের যুগ্ম সচিব দিলারা বেগম।

#

রফিকুল/মহেদী/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৭৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১৬৫০

মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে   --- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, নাগরিকদের শিক্ষিত করে তোলা এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও সার্বজনীন করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় রিসোর্স হলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক স্কুলের অবকাঠামো, সেখানে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক রয়েছে, শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সে সমস্ত শিক্ষকগণ ভবিষ্যৎ নাগরিকদের যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

          উপদেষ্টা আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষায় পরিমার্জিত ডিপ্লোমা সম্পর্কিত কার্যকর সমীক্ষা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে খাবার কর্মসূচি  পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। স্কুলগুলোকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে বাচ্চারা আনন্দের সাথে লেখাপড়া করতে পারে। নাগরিকদের শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তাদের মূল বেসিস হলো মাতৃভাষা। মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে; তা না হলে উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারবে না। শিক্ষা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। নাগরিককে যৌক্তিকভাবে শেখাতে হবে, যাতে সে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে।

          অনুষ্ঠানে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কনসালটেন্ট দেবরাহ ওয়েবার্ন (Deborah wyburn), জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সহকারী বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান এবং এটিএম রাফেজ আলম। তাদের উত্থাপিত সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা হয় ।

          জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ্ ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মাইকেল ক্রেজজা (Michal krejza)। অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, অর্থ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর ৭৫ জন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

#

জাহাঙ্গীর/মেহেদী/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৮৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ১৬৪৯

নিটোরে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ঢাকায় শেরে বাংলা নগরে আজ জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরা হাসপাতালের চিকিৎসক ও ভর্তিকৃত রোগীদের সাথে কথা বলেন। নিটোরে যুক্তরাজ্যের দু’জন চিকিৎসক আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

          এসময় নিটোরের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজজামান জানান, যুক্তরাজ্য থেকে আসা দু’জন  চিকিৎসক হাসপাতালে আহত এবং ভর্তিকৃত ৮৫ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। তাঁরা আজ পর্যন্ত ১৬ জনের সার্জারি করেছেন এবং আগামীকাল আরো দু’জনের সার্জারি করবেন।

          পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, হাসপাতাল এবং ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

শাহাদাত/ফাতেমা/রবি/সুবর্ণা/আলী/মাসুম/২০২৪/১৫৫৫ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                               নম্বর: ১৬৪৮

সহকারী সচিব হারুন অর রশিদের মৃত্যুতে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টার শোক

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (পিআরএল ভোগরত) মোঃ হারুন অর রশিদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

গতকাল এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ‘হারুন অর রশিদ ছিলেন একজন কর্তব্যজ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা। তাঁর মৃত্যুতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিবারের জন্য একটি অপূরণীয় অংশচ্ছেদ হয়েছে।’

তাঁর মৃত্যুতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গভীরভাবে শোকাহত। তারা তাঁর বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে।

#

আসিফ/ফাতেমা/আলী/মাসুম/২০২৪/৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                        নম্বর : ১৬৪৭

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বাণী

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) : 

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   

“বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিবাদন জানাচ্ছি। ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ এর প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।

ডায়াবেটিস একটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানাবিধ শারীরিক জটিলতা হতে পারে। এসব ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং তা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষই জানেন না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। ডায়াবেটিস থাকলে নিকটস্থ ডায়াবেটিস সেন্টার থেকে সেবা নিতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সচেতনতাও এক্ষেত্রে খুব জরুরি বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।”  

#

আশরোফা/ফাতেমা/সুবর্ণা/আলী/আসমা/২০২৪/১১০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                               নম্বর : ১৬৪৬

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) : 

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় ব্যাধি। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায় এবং এর ঝুঁকি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বেই দিন দিন ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সারাজীবন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা, অন্ধত্ব, মাড়ির রোগ এবং অঙ্গ বিচ্ছেদের মতো মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

নগরায়ণের প্রভাবে আমাদের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। একই সঙ্গে কায়িক পরিশ্রমের অভাবে দেশে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, গণমাধ্যম, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আমি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।

আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

রাহাত/ফাতেমা/আলী/আসমা/২০২৪/১১০০ ঘণ্টা

 

2024-11-13-14-40-b1e73cc8ddaab127b1cc84e84fd952c8.docx