তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭৬
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে
---জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
মেহেরপুর, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশ ও জাতি গঠনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
গতকাল মেহেরপুর সরকারি কলেজ আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজেদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করতে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি মননশীল বই পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন আত্মউন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার মোঃ রফিউল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
#
শিবলী/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭৫
বেতার শান্তি ও মানবতার মন্ত্রে উজ্জীবিত অনুষ্ঠান প্রচার করবে
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
এ বছরের বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বেতার ও শান্তি’ (Radio and Peace) সামনে রেখে বাংলাদেশ বেতারকে শান্তি ও মানবতার মন্ত্রে উজ্জীবিত অনুষ্ঠানমালা গ্রন্থনা ও প্রচারের নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
ড. হাছান বলেন, ‘করোনাপীড়িত, ইউক্রেনযুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ও উৎপাদন সংকটে নিপতিত বিশ্বে আজ যে অশান্তি বিরাজ করছে, সেখান থেকে উত্তরণের জন্য বেতারকে শান্তির বার্তা দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির আগ্রাসনে আমরা যেন যন্ত্র হয়ে না যাই, আমাদের মমত্ববোধ, সহমর্মিতা যেন না হারিয়ে যায় সেজন্য মানবতার পতাকা তুলে রাখতে হবে। বেতারের সেই ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
‘বাংলাদেশ বেতারের স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়ে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে এবং স্বাধীনতার পর দেশ গঠনেও অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, উঁচু পাহাড় থেকে সমুদ্র অবধি পৌঁছে যাওয়া বেতার তরঙ্গ মানুষকে বহু জরুরি তথ্য দেয়, বোধ সমৃদ্ধ করে।’
‘তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিস প্রধান সুসান মারী ভাইজ (Susan Maree Vize) অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মোঃ ইরফান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে নৃত্য পরিচালক হাসনা ফিতরিয়া ফাহমিদা বানুর দলের ‘একটি দেশ একটি নেতা, একটি ডাকে স্বাধীনতা’ গীতিনৃত্যের মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংগীতশিল্পী পূর্ণ চন্দ্র রায়, পল্লবী সরকার মালতী, অলোক সেন, তাসমিনা চৌধুরী অরিন, নাজু আখন্দ ও তার দল এবং আবৃত্তিকার লাল্টু হোসাইন ও ফাতেমা আফরোজ সোহেলী এতে অংশ নেন।
এর আগে দুপুরে বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষ্যে বেতার থেকে সংলগ্ন এলাকা ভ্রমণকারী র্যালি উদ্বোধন করেন সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রোতাক্লাবের সদস্যরা দিনব্যাপী আয়োজনে যোগ দেন।
#
আকরাম/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭৪
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে তুরস্কে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বঙ্গভবন, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক । আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিক নির্দেশনা এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন। তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে কাজ করারও কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
এ সময় রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদিন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আজ বিকেলে তিনি ফোন করে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
ফোনালাপে তাঁরা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন।
#
ইমরানুল/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/আব্বাস/২০২৩/২০১১ ঘণ্টা
থ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭৩
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে
-- পরিবেশমন্ত্রী
জুড়ী (মৌলভীবাজার), ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ ভাতা বৃদ্ধি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এসকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
পরিবেশমন্ত্রী আজ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী দেশকে নিয়ে দূরদর্শী চিন্তা করেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন ও দেশের উন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, ভাইস-চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা এবং সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুলেশ চন্দ্র চন্দ প্রমুখ।
এরপর মন্ত্রী পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের হাজী মাহমুদ আলী দাখিল ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন এবং সুধী সমাবেশে যোগদান করেন ও নয়াবাজারে গ্রান্ড শাপলা কনভেনশন হল উদ্বোধন করেন। এছাড়াও জুড়ী উপজেলা ওয়েলফেয়ার এন্ড এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে এবং আদর্শ দরিদ্র তহবিল নয়াবাজার এর যৌথ উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
#
দীপংকর/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৬২১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭২
সরকার তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজাচ্ছে
--- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নতুন প্রজন্মকে সুস্থ ধারার ক্রীড়াচর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টসহ নিয়মিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে ‘সবার জন্য ক্রীড়া’ একটি জনপ্রিয় স্লোগান। এ স্লোগানের ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজাচ্ছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে বিভিন্ন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকগণও বক্তব্য রাখেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশব্যাপী ক্রীড়াচর্চার সুযোগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া ক্লাব ও যুব ক্লাবকে ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ক্রীড়া পরিদপ্তরের মাধ্যমে বিগত ৫ বছরে রেকর্ড পরিমাণ ৩৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ক্রীড়া সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ’ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প সফলভাবে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ১২৫টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১৮৬টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। তিনি ক্রীড়াচর্চাকে আরো বিকশিত করতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান মানুষ ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এ সময় স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি ক্রীড়াবিদদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
#
আহসান/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭১
স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে
--- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের চলমান লড়াইয়েও বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে উন্নয়নবিরোধী অপশক্তির অনলাইন অপপ্রচার বা গুজবের বিরুদ্ধে ডিজিটাল লড়াইও আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে উন্নয়নের যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানসহ স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুল হক এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম রেজা বক্তৃতা করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার এসময় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধ উল্লেখ করে বলেন, এদেশের মায়েরা নিজে না খেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়েছেন, আশ্রয় দিয়েছেন। ডাক হরকরা অস্ত্র বহন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। আমাদের খুব বেশি অস্ত্র ছিল না, আমাদের পক্ষে ছিল সাধারণ জনগণ। একাত্তরের যুদ্ধে জয়ী হয়েছি কিন্তু যুদ্ধটা এখনো থামেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রূপান্তরের যে যুদ্ধটা শুরু করেছেন তা অব্যাহত রাখতে হবে। এ যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গোড়াপত্তন করেছিলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরাজিত শত্রুর দোসরদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মকে লড়াই করতে হবে। তিনি এসময় ডিজিটাল অপপ্রচারের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
#
শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭০
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাথে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া (Guner Ureya) আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে উভয় দেশ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট এ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বৈঠকে তাঁরা দু’দেশের আইসিটি খাতে যৌথ সহযোগিতা বৃদ্ধি, স্টার্টআপ, গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরো এগিয়ে যাবে। তিনি আগামীতে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরো গভীর হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
শহিদুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৯
জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেপ্টেম্বর থেকে
--স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে মহিলাদের জন্য জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটি ১০ থেকে ১৫ বছরের কন্যা শিশুদের শরীরে দেয়া হবে। বর্তমানে মহিলাদের ক্যান্সারে মৃত্যু সব থেকে বেশি জরায়ু ক্যান্সারের কারণেই হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ফলে, দেশে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে যাবে।”
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘দেশব্যাপী প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সভায়
এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে এবং জেলা, উপজেলা হাসপাতালের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করা নিয়ে ব্যাপক উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ‘ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে দেশের ১৫ লাখ দরিদ্র পরিবারের ৬০ লাখ মানুষের প্রতিজনকে বিনামূল্যে সরকারি ওষুধের বাইরে আরো ৫০ হাজার টাকার ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশে বর্তমানে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিসের মতো কঠিন ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভেজাল খাদ্য, অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল, বায়ু দূষণসহ নানা কারণে এই অসংক্রামক রোগগুলোতে দেশের শতকরা ৬৭ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে। এই রোগগুলোর চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এজন্য সরকার অসহায়, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ৬টি জেলাকে এই ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের আওতায় আনা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক মিনি পকেট হেলথ গাইড বই দেয়া হয়েছে বলে জানান। দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে মাসের ৩০ দিন ২৪ ঘণ্টাই প্রদানের ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মোঃ সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ অন্যান্য যুগ্মসচিব ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৬২১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৪ জন।
#
কবীর/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৬
১৭ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সকল কৃষিবিদ কাজ করে যাবে
- কৃষিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি):
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আমরা সকল কৃষিবিদ নিরলসভাবে কাজ করে যাব।
৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে এসে কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ সেই ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে, আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ ও কেক কেটে কৃষিবিদ দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিপেশায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদের সরকারি চাকুরিতে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদার ঘোষণা দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্যও নানান সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করেছিলেন। কাজেই এই দিনটি দেশের সকল কৃষিবিদদের জন্য পরম আনন্দের, গৌরবের ও অহংকারের। কৃষিবিদ দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীতে আজ সকল কৃষিবিদদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস, উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, সকল কৃষিবিদ আজকের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা ধারণ করে তা অব্যাহত রাখবে। চাল, ভুট্টা, শাকসবজি, আলু, মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ কৃষি উৎপাদনের সাফল্যকে আরো বৃদ্ধি করা হবে।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে কৃষিবিদ ও কৃষকের অবদানে দেশের কৃষি আজ নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার পর সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্য যোগান সম্ভব হতো না। খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে হতো। আর এখন ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য আমরা উৎপাদন করছি। খাদ্যের কোন সংকট এখন আর হয় না। বিগত ৫০ বছরে চালের উৎপাদন চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু মোট উৎপাদন নয়, এই ৫০ বছরে উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে সাড়ে চার গুণ।
পরে কৃষিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত কৃষিবিদ দিবসের সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।
সেমিনারে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সুবর্ণজয়ন্তীতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ও সেমিনারে সারা দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি নবীন- প্রবীণ কৃষিবিদ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
#
কামরুল/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সাঈদা/মাহমুদা/শামীম/২০২৩/১৫০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৫
সাবেক উপসচিব হোসনে আরার স্বামী পাভেল খাঁনের মৃত্যুতে
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের শোক
ঢাকা, ৩০ মাঘ ( ১৩ ফ্রেবুয়ারি ) :
বিসিএস -তথ্য (সাধারণ) ক্যাডারের সদস্য ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের সাবেক উপসচিব হোসনে আরার স্বামী পাভেল খাঁন এর মৃত্যুতে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন ও মহাসচিব প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
গতকাল বিকেল ৪ টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পাভেল খাঁন মিরপুর ডিওএইচএস- এর বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি....................রাজিউন) ।
মরহুমের লাশ হিমঘরে রাখা হয়েছে। তাঁর সন্তানরা দেশের বাইরে থেকে ফিরলে দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
#
মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সাঈদা/ইমা/২০২৩/১৪৪০ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৪
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩০ মাঘ ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘কোস্ট গার্ড দিবস, ২০২৩’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সুসংগঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বাহিনীর সদস্যগণ নিজেরাই নৌকা ক্রয় করে শত্রুর মোকাবিলা করেছেন এবং সফলতার সঙ্গে 'অপারেশন জ্যাকপট' পরিচালনা করেছেন। জাতির পিতার পরামর্শে নারায়ণগঞ্জ ড্রাইডক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ১৯৭২ সালে প্রথম যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করে। তিনি যুগোস্লাভিয়া ও ভারত থেকে ৫টি আধুনিক রণতরী সংগ্রহ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘The Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974’ প্রণয়ন করেন। ফলে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেশের নদ-নদী ও সমুদ্রের জলরাশিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার হয়। এই আইনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে আমাদের সরকারের উদ্যোগে সমুদ্র বিজয় সম্ভব হয়।
আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থেকেও সুনীল অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম জলসীমায় নিরাপত্তা জোরদার করার উপর গুরুত্ব দিয়ে একটি বিশেষায়িত বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’ উত্থাপন করে। উক্ত প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী একটি বিকল্প বাহিনী হিসেবে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ প্রতিষ্ঠিত হলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর এ সংস্থাটি পূর্ণদ্যোমে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯৬ সালে আমরা কোস্টগার্ডকে ২টি টহল জাহাজ এবং ২টি রিলিফ বোট হস্তান্তর কর