Handout Number : 2922
Government attaches highest priority
to ensuring smooth and sustainable LDC graduation
Dhaka, 23 June 2021 :
The Government of Bangladesh attaches highest priority to ensuring smooth and sustainable LDC graduation from Bangladesh with momentum in its plans and executing such plans accordingly-- Principal Secretary to the Honourable Prime Minister Dr. Ahmad Kaikaushas said.
“To this end, we have established an effective platform to support Sustainable Graduation taking all the relevant stakeholders on board”—he said while speaking as a chief guest of a virtual meeting on ‘Graduation of Bangladesh from the least developed country (LDC) category and smooth transition towards sustainable development’ held on Wednesday.
Economic Relations Division (ERD) of the Government of Bangladesh, The United Nations Office of the High Representative for the Least Developed Countries, Landlocked Developing Countries and Small Island Developing States (UN-OHRLLS) and UN Committee for Development Policy (CDP) jointly organized the meeting.
The meeting reviewed the priorities of Bangladesh in preparing for graduation from the LDC category, smooth transition and the most important international support measures (ISMs)—including both traditional and new forms of support—needed from the international community.
Principal Coordinator (SDGs Affairs) of Prime Minister’s Office Ms. Zuena Aziz, Director of OHRLLS and Chair of the UN Inter Agency Task Force on LDC Graduation Heidi Schroderus-Fox and UN CDP Member and Chair for Sub-Group on LDCs TaffereTesfachew spoke during the inaugural session the event.
Secretary, Prime Minister’s Office Md. Tofazzel Hossain Miah chaired the event, while CDP Secretary Mr. Roland Mollerus joined him as the co-chair.
High officials from government’s Ministries and Divisions, UN Systems, development and trading partners, and private sector participated in the meeting.
It is notable that Bangladesh has been recommended for graduation from the LDC status during the latest triennial review of CDP in February, 2021. Recognising the impacts of COVID-19 pandemic, CDP has also recommended an extended, five-year long preparatory period from 2021 to 2026 as well as enhanced monitoring, analysis and transition support.
During the preparatory period, Bangladesh will prepare a smooth transition strategy (STS) in cooperation with development and trading partners and with targeted assistance from the United Nations system, especially members of the Inter-Agency Task Force (IATF) on LDC Graduation Support.
The STS is expected to provide the basis for a successful transition, ensuring that LDC-specific ISMs are phased out in a way that does not disrupt the country’s development progress. The Economic Relations Division, Ministry of Finance will coordinate the process of preparing the STS by involving all the stakeholders.
The virtual meeting was comprised of two business sessions. The first session was themed on ‘Preparing for Graduation and Smooth Transition and Support’. During this session, Secretary of the Ministry of Commerce Tapan Kanti Ghosh spoke on the challenges of LDC graduation and way forward while ERD Secretary Fatima Yasmin delivered a presentation on ‘Planned Strategy for Smooth Graduation’.
This session also featured a presentation on ‘Preparing for Graduation and Smooth Transition – what next after CDP recommendation’ from Matthias Bruckner from CDP Secretariat while Mereseini Bower from the same entity delivered a presentation on ‘New Sustainable Graduation Support Facility’.
The second business session was themed on ‘Results of a Survey on Assistance Measures for LDC graduation in Bangladesh’. During this session, Member of UN CDP Dr.Debapriya Bhattacharya spoke on the ‘CDP’s Contribution to the Fifth UN Conference on LDCs and Global Support Measures’. Consultant of United Nations Department of Economic and Social Affairs (UN DESA) Dr. Fahmida Khatun presented the draft Survey Report on ‘Assistance Measures for LDC graduation in Bangladesh– Key Findings and Recommendations’ in the meeting.
Member of the Planning Commission Dr.ShamsulAlam, Foreign Secretary Mr.Masud Bin Momen, Member of the Planning Commission Sharifa Khan and Secretary of the Statistics and Informatics Division Mohammad YaminChowdhury also gave their comments during this business session. Secretary, Prime Minister’s Office Md. Tofazzel Hossain Miah extended his gratitude to the UN team for their positive remarks and also hopes that both the side will work jointly in the coming days to materialise the initiatives for sustainable graduation.
#
Towhidul/Nice/Rafiqul/Rezaul/2021/2240 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯২০
খ্যাতিমান প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
খ্যাতিমান প্রকাশক ও শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, মহিউদ্দিন আহমদ দেশের সৃজনশীল বইয়ের বাজারকে আন্তর্জাতিক পরিসরে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এছাড়া তিনি ২০১২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশ করেছেন।
প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদের সাথে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রকাশনার পাশাপাশি মহিউদ্দিন আহমেদ নিজেও লেখালেখি করেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রকাশনায় অনন্য অবদান রাখার কারণে মহিউদ্দিন আহমেদ বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
রাশেদুজ্জামান/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯১৯
তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন আওয়ামী লীগের অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক শক্তি
-- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে এখন যে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে তার অন্তর্নিহিত একমাত্র শক্তি ত্যাগী ও পোড় খাওয়া তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং যথাযথ মূল্যায়ন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহের টাউন হলে (তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম) জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭২ বছরে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। দলের এই সাফল্যের একমাত্র হাতিয়ার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি তৃণমূলের এবং তৃণমূলের সাথে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গভীর আস্থা ও সুসম্পর্ক। এ সুসম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে জনসম্পৃক্ত এবং জনগণের দলে পরিণত হয়েছে।
এ সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় স্বার্থান্বেষী নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং দলের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পার্টির অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। এই অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড নিয়ন্ত্রণ এখন আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্র ও তৃণমূলের পারস্পরিক আস্থা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হবে না বলে আমার বিশ্বাস।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এই ধারাবাহিক সাফল্য গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এখন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যেমন সুসংগঠিত হয়েছে তেমনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে ত্বরান্বিত। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের পথে। তার এই অসাধারণ নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে কর’।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে নেতৃবৃন্দ টাউন হল অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনে অংশ নেন।
#
রেজাউল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯১৮
ইতিহাসে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা সমার্থক হয়ে থাকবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
সাভার, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
ইতিহাসে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা সমার্থক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) প্রাঙ্গণে ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘খামারি মাঠ দিবস ২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বিএলআরআই-এর ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে, যতদিন এই ভূখণ্ডে লাল-সবুজের পতাকা উড়বে, ততদিন আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে। ক্রান্তিকালে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলার পথে-প্রান্তরে তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করে মানুষকে বুঝিয়েছেন ছয় দফা হচ্ছে আমাদের মুক্তি, আমাদের স্বাধীকার, আমাদের অধিকার আদায়ের ম্যাগনাকার্টা। অপরদিকে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন, পুনরুজ্জীবিত করেছেন। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী যোগ করেন, “এ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু তখন পরিকল্পনা করেছিলেন। সে সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের বিকাশের কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টিই প্রমাণ করে দেশের উন্নয়নের স্বার্থ বিবেচনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গৌণ কোন খাত নয়।”
প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের অসহায় মানুষরা কেউই বিপন্ন অবস্থায় থাকবে না। নিজেদের কখনো ছোট ভাববেন না। আপনারা নিজ উদ্যোগে স্বাবলম্বী হোন। সরকার আপনাদের পাশে আছে। করোনায় বিপর্যস্ত খামারিদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আরো প্রণোদনা দেওয়া হবে। সহজশর্তে স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়া হবে। দেশের উন্নয়নে আপনাদের অবদান কোন অংশে কম নয়।”
প্রাণিসম্পদ খাতে টিকা সমস্যাসহ অন্য যেকোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “প্রাণিসম্পদের যে রোগের কারণে খামারিরা শঙ্কায় থাকে, মাংস বিদেশে রপ্তানি করা যায় না, সে রোগগুলো নির্মূল করা হবে। সে লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। প্রাণিসম্পদ খাতে গৃহীত প্রকল্প গ্রামীণ নারীসহ দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, বেকারত্ব দূর হচ্ছে এবং উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে প্রান্তিক মানুষ অবদান রাখছে। এভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রসরমান বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে চলেছেন।”
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিএলআরআই’র মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএলআরআই’র অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আজহারুল আমিন। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯১৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৮ হাজার ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ১৬৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন-সহ এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭৮৭ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন।
#
দলিল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯১৬
উন্নত প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানির পরিবেশ সমৃদ্ধ করবে
-বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরæল হামিদ বলেছেন, উন্নত প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানির পরিবেশ সমৃদ্ধ করবে। ইউরোপীয় দেশসমূহের সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ‘টিম ইউরোপ ইনিসিয়েটিভ অন গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন’ (নবায়ণযোগ্য জ্বালানি পরিবর্তনের বিষয়ে টিম ইউরোপ উদ্যোগ) উদ্যোগটির বাংলাদেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান পর্যালোচনায় নবায়ণযোগ্য জ্বালানির অংশ পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। ২০৪১ সালে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির অংশ ৪০% হবে। ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টিমের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুৎ সেবা দেয়া হচ্ছে। নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে রূপটপ সোলার জনপ্রিয় বিজনেস মডেল হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে জমি স্বল্পতর জন্য সৌরবিদ্যুতের বড় প্রকল্প নেয়া যাচ্ছে না। সৌরবিদ্যুতে কম জমি লাগে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রয়োজন।
টিম ইউরোপ ইনিসিয়েটিভ-এর সাথে বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, ওশান নবায়ণযোগ্য জ্বালানি নিয়ে অনুসন্ধান ও কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান কাজগুলোতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। ইউরোপের অভিজ্ঞতা এসব বিষয় উন্নয়নে আশানুরূপ অবদান রাখবে। মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে একত্রে কাজ করতে পারলে উভয়পক্ষই উপকৃত হবে।
গ্রিন ইনক্লোসিভ ডেভেলপমেন্ট এর সোশাল প্রোটেকশন বিভোগের টিম লিডার কোয়েন এভারার্ট (Koen Everaert)-এর সঞ্চালনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসজে টিরিংক (Rensje Teerink), জার্মান দূতাবাসের হেড অভ্ কো-অপারেশন কারেন ব্লুম (Caren Blume), স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, কে এফ ডব্লিও ও এএফডি এবং ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯১৫
বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ, এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পর্যায়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে। এই কর্মকৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুতি প্রতিরোধ এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হবে। বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জৈবিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে একীভূত করা হবে। তাদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন, অভীষ্ট ও ব-দ্বীপ পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করছে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত "অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন" বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষ ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত বন্যা, গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও খরাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে। এসব দুর্যোগ নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ সামাজিক অবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের প্রাণহানি, অবকাঠামোর ক্ষতি এবং জীবন ও জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিবার কিংবা এলাকাবাসী তাদের বসত বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বর্তমানে যে পরিমাণ বাস্তুচ্যুতি ঘটছে তার মাত্রা ও তীব্রতা আসন্ন বছরগুলোতে আরো অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এসব কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের একক বৃহত্তম ক্ষতিকর রূপ হতে যাচ্ছে অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি।
এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ, জলবায়ু সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ অর্জনের লক্ষ্যে "বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২০২১" প্রণয়ন করেছে। এই পরিকল্পনায় প্রতীয়মান হয় যে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি নগরায়নের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তাই সুশৃঙ্খল অভিবাসন ব্যবস্থা পদ্ধতির মাধ্যমে নগরগুলো থেকে এই চাপ সুষ্ঠুভাবে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প হচ্ছে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সরকারের এই কৌশলগত রূপকল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার বৃহত্তর সামাজিক উন্নয়ন কাঠামোর (SDF) মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নীতিমালা, কর্মপরিকল্পনা এবং কৌশল ঢেলে সাজাচ্ছে এবং নতুন করে প্রণয়ন করছে।
#
সেলিম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৭৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯১৪
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জবাবদিহিতা ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই চুক্তির ফলে বার্ষিক মূল্যায়নের মাধ্যমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ ও এতে কর্মরত সকলের সক্ষমতা একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় পরিমাপ হবে যা ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়ন করতে সবার আন্তরিক হতে হবে। ন্যায়-নীতি ও আইন মেনে আমাদের সবার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে। কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকলে, দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে দেশ অবশ্যই সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তব্যনিষ্ঠা আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়। তাঁর নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও কর্তব্যনিষ্ঠ হবো।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম এবং হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মোঃ আলতাফ হোসেন নিজ নিজ দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
#
তানভীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৭৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯১৩
বাঙালির সব অর্জন এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
‘বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দু’টি নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জন।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘আমাদের মুক্তি আমাদের স্বাধীনতা’ শীর্ষক হাওয়াইয়ান গিটারে ৫০ জন শিল্পীর দেশাত্মকবোধক সঙগীতের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশ হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ও গিটারচর্চার পথিকৃৎ মো: হাসানুর রহমান বাচ্চু ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি ও গবেষক আমিনুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
‘১৯৪৯ সালে ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পরই তখনকার ‘ড্রয়িংরুমভিত্তিক রাজনীতি’ জনগণের কাছে যায় এবং প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ হলেও পরে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ইতিহাসের দিকে দৃকপাত করে তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো সংবিধান ছিল না। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহিদ সোহওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান রচিত হয়। ১৯৫২ সালে আমাদের ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা হলেও প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষা চালু হওয়া, ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ সবই শুরু হয় ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার পর।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬দফা ঘোষণা করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বাঙালির মনন তৈরি করেছিলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের হয়েই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ ধস নামানো বিজয় অর্জন করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা ঘোষণা স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। সেকারণেই আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে।
পাতা-২
আমাদের এই বাঙালি সংস্কৃতিটা হারিয়ে যেতো। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বিধায় আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ভাষা আমরা এটি রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-আমি কি ভুলিতে পারি’- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই গান বিভিন্ন ভাষায় সারা পৃথিবীতে বাজানো হয়।
আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ খাদ্যঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ, মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে, সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবউন্নয়ন সব সূচকে পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করা, করোনার মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে, বলেন ড. হাছান।
হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে হাওয়াইয়ান গিটারে দেশের গানের সিডির মোড়ক উন্মোচনকে তাৎপর্যপূর্ণ বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেতারের পাশাপাশি সকল টেলিভিশনেও হাওয়াইয়ান গিটারভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের ৫০জন সদস্যের বাজানো একটি দেশের গানে ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের সদস্য কবির আহমদ, মোঃ শফিউল্লাহ খোকন, মোঃ ফরহাদ আজিজ এবং আব্দুর রউফ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৭২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী