Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ০২ নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৪২০৬

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী শ্রমিকদের দাবি পেশ

 

 

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

          করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মরত বেশ কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক করোনা শুরু হওয়ার আগে ছুটিতে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সে দেশে ফেরত যেতে পারেনি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু শ্রমিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

 

          মালয়েশিয়াতে ফেরত প্রত্যাশী শ্রমিকদের একটি অংশ আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমবেত হয় এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। পররাষ্ট্র সচিব এসময় বিদেশি শ্রমিক প্রবেশের ব্যাপারে মালয়েশিয়ার চলমান নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রমিকদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং মালয়েশিয়ায় নতুন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হলে ইতিপূর্বে দেশে আসা শ্রমিকদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে যাওয়ার বিষয়টি মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতার অনুরোধের ভিত্তিতে শ্রমিকদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও মালয়েশিয়ায় তাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে বলে সে দেশের কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে ।

 

          শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। তাদের দাবি সম্পর্কে প্রবাসীবান্ধব বর্তমান সরকার অবগত আছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের যে কোন বিষয়ে সামষ্টিকভাবে দাবি প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ব্যাপক সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের ইতিবাচক ভাবমূর্তির কথা বিবেচনা করে শ্রমিকদের স্বার্থের জন্য হানিকর কিছু করা বাঞ্ছনীয় নয় ।

 

          এসময় শ্রমিক প্রতিনিধিরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, শীঘ্রই তাদের সমস্যার সমাধান হবে।

 

 #

তৌহিদুল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২১১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪২০৫

 

করোনা মহামারি বিশ্বকে ডিজিটাল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়েছে

                                                                ---টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

 

ঢাকা,  ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিদ্যমান ডিসরাপটিং উদ্ভাবন ইতিমধ্যে শারীরিক, ডিজিটাল এবং জৈবিক বিশ্বের মধ্যকার সীমারেখা পাল্টে দিয়েছে। ৫জি ইন্টারনেট, ইন্টারনেট অভ্‌ থিংস, বিগডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমস, মেশিন লার্নিং, থ্রিডি- প্রিন্টিং, ন্যানো টেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির উন্নয়ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সোপান। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগে ডিসরাপটিং ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রয়োগে লাগসই পরিকল্পনা প্রয়োজন। করোনা মহামারি ইতোমধ্যে ডিজিটাল হওয়ার সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিশ্বকে উপলব্ধি করিয়েছে।

 

          মন্ত্রী আজ অন-লাইনে আইটিইউ রিজিওনাল ডেভলপমেন্ট ফোরাম ফর এশিয়া- প্যাসিফিক রিজন-২০২০ লিডারশিপ ডায়ালগে ডিজিটাল বিকাশ এবং এসডিজির দিকে অগ্রগতি অর্জনে ক্রস-সেক্টরিয়াল সহযোগিতা বিষয়ে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারিকে বিশ্বের বহু দেশের জন্য এসডিজি অর্জনের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ২০৩০ সালে বিশ্ব জনসংখ্যার ৬ শতাংশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করবে বলে যে ধারনাটি ছিল করোনা তা অনেকটাই পাল্টে দিচ্ছে। এর প্রভাবের কারণে অতিরিক্ত ৭১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকতে পারে। এ দিক থেকে এসডিজি-১ এর অর্জন অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। একইভাবে কোভিডজনিত এসডিজি-১৭ পর্যন্ত সবগুলো অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হবে বলে মন্ত্রী পৃথকভাবে এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, করোনার বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভাল করবে। কোভিড বিপর্যয়ের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সফলতাই এর বড় প্রমাণ বলে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

 

          অনুষ্ঠানে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীসহ মঙ্গোলিয়া, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন। আইটিইউ এর এশিয়া প্যাসিফিক রিজনের আঞ্চলিক পরিচালক অসতকো ওকোডা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

 

 

#

 

শেফায়েত/ফারহানা/খালিদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৯৫৮ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪২০৪

 

বাংলাদেশ থেকে পলিমাটি আমদানি করতে আগ্রহী মালদ্বীপ

ঢাকা,  ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

 

          বাংলাদেশ থেকে পলিমাটি আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ। আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লা শহিদের (Abdulla Shahid) টেলিফোন আলাপকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

          আলাপকালে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেন তাঁরা। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফোরামেও দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ পিপিইসহ করোনা চিকিৎসাসামগ্রী আমদানি করতে পারবে বলে এসময় উল্লেখ করেন ড. মোমেন।

          আব্দুল্লা শহিদ করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাংলাদেশ সরকারের সফলতার প্রশংসা করেন। নিকট ভবিষ্যতে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মালদ্বীপের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

#

 

তৌহিদুল/ফারহানা/খালিদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৮৫৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৪২০৩

অর্থমন্ত্রীর সাথে ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে এক ভার্চুয়ার সভার মাধ্যমে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য-বিনিয়োগ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অর্থমন্ত্রী নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে ভারতের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারত শুধু বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন-সহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে। ভবিষ্যতে  আইটি সেক্টর, সাস্থ্যসেবাখাত-সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ ভারতের জন্যও সম্মানের। বাংলাদেশ ও ভারত ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি-সহ অনেক বিষয়ে সম্পর্কিত। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার বহুবিধ সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সকল ধরণের সহযোগিতা  প্রদানের আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী।

#

তৌহিদুল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৮৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪২০২

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে

                                                           ----স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা,  ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

 

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, "বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে আগামী শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারিভাবে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কোভিড নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কাজেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও আতঙ্কিত হবার কারণ নেই। সম্মিলিতভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে।"

          আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত "জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০" পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে উদ্বোধক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

          সন্ধ্যানীর সেবাদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "সন্ধানী ৪৩ বছর যাবৎ দেশের মানুষের জন্য মহৎ কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সন্ধানীর সকল মহৎ কাজে সঙ্গেই থাকবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবদের যথাযথ উদ্যোগ নেবার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

          শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সন্ধানী কর্তৃক এখন পর্যন্ত ৪০৯০টি কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে অনেকেই কর্ণিয়া দানে অঙ্গীকার করলেও শেষ পর্যায়ে তা আর দিতে পারেন না। অঙ্গীকারকারীর পরিবারের বাধায় অনেক সময় কর্ণিয়া পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

          স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি তানভীর হাসান ইকবাল, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী ও মহাসচিব ডা. মোঃ জয়নুল ইসলাম।

#

 

মাইদুল/ফারহানা/খালিদ/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৮৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৪২০১

২০২১ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক ৪০টি সার্ভিস ও টুলস অনলাইনে আসবে

                                                                             -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ভাষা-প্রযুক্তি বিষয়ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সার্ভিসগুলো দেশের তথ্যপ্রযুক্তির পরিকাঠামো বদলে দেবে। আইসিটি বিভাগের অধীনে ভাষা-প্রযুক্তি বিষয়ক ৪০টি সার্ভিস ও টুলস তৈরির কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৪০টি সার্ভিস অনলাইনে আসবে। একই সঙ্গে ই- নথিকে ডি-নথিতে রূপান্তর করার জন্য এতে টেক্সট টু স্পিচ, বানান ও ব্যাকরণ সংশোধক এবং ওসিআর এর মত সার্ভিসগুলোও যুক্ত করা হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প-সহ আইসিটি বিভাগের বিসিসি’র আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্ক্রিন রিডার, ব্রেইল কনভার্টার, সাইন টু টেক্সট রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব করা হবে। এছাড়া, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষা তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনতে ইউনিভার্সাল বোর্ড নামে একটি লেআউট ফ্রি কিবোর্ড তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের ভাষা সংরক্ষণের জন্য ডিজিটাল রিসোর্স আর্কাইভও তৈরি করা হচ্ছে।

          মতবিনিময়কালে ক্রাউডসোর্স অ্যাপ্লিকেশন, এনএলপি পাইপলাইন ও স্ক্র্যাপারের মতো টুলসগুলো দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে বলে অবহিত করা হয়। বাংলা থেকে ১০টি ভাষায় যান্ত্রিক অনুবাদক সার্ভিস তৈরির কার্যক্রম চলছে বলেও তিনি জানান। ২০২১ সালের মধ্যে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্ভিসগুলো দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে জুম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন।

          পরে প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের সার্বিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

#

শহিদুল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৫৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৪২০০

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :     

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৮৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৭৩৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৯৮৮ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন-সহ এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৬৬ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২৭ হাজার ৯০১ জন।

#

হাবিবুর/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৪৫ ঘণ্টা  


তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৪১৯৯

গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিতে সামাজিক সচেতনতা জরুরি 

                                         - মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর):

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ গৃহকর্মীদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন নয়। গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিতে সামাজিক সচেতনতা জরুরি। 

          আজ ঢাকা  রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অভ লেবার স্টাডিজ ও রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে যৌথ ‘গৃহকর্মীদের জন্য শোভন কাজ’ সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয়তা ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানে সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। সংবিধান অনুযায়ী গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে গৃহকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এজন্য মন্ত্রী আইন করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

          মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১১ সালে আইএলও কনফারেন্সে গৃহকর্মীদের জন্য শোভন কাজ' সংক্রান্ত কনভেনশন-১৮৯ গৃহীত হওয়ার দিন বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। কাজে এ কনভেনশন অনুসমর্থন বাংলাদেশ নৈতিক দায়িত্ব। 

          বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অভ লেবার স্টাডিজের মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেইলি অবজারভার পত্রিকার অনলাইন সম্পাদক ও লেবার রাইট জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাজী আঃ হান্নান। সঞ্চালনা করেন বাসস এর সিনিয়র সাংবাদিক ও লেবার রাইট জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। 

#

মারুফ/পরীক্ষিৎ/অনসূয়া/খোরশেদ/২০২০/১৫৪০ ঘণ্টা       

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৪১৯৮

করোনামুক্ত হলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী

ঢাকা,  ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

          করোনা চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে আজ বাসায় ফিরেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এজন্য তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন ।   

          মন্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ অক্টোবর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সিএমএইচ-এ ভর্তি হন।

          মন্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর নির্বাচনী এলাকাসহ অনেকে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন, দোয়া করেছেন । এজন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।  

          দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে ফোন করেছেন তাঁর শারীরিক অবস্থা জানার জন্য। অসুস্থতার কারণে অনেকের ফোন ধরতে পারেননি-এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন । 

#

শাহেদ/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/কুতুব/২০২০/১৫৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর : ৪১৯৭

জেলহত্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“তেসরা নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্ট চালিয়েছিল।

পঁচাওরের সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতারা পরবর্তী ২১ বছর ধরে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। শাসকগোষ্ঠী কখনও সামরিক লেবাসে, কখনও গণতন্ত্রের মুখোশ পরে, অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা ধরে রাখে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার বদলে বিদেশে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করে এবং অনেককে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। অবৈধ শাসকরা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বাংলাদেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দেয়।

আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনে। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারকাজ সম্পন্ন করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। জনগণকে দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করছি, বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধান সংশোধন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সবসময়ই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। আদালত কর্তৃক ভয়াবহ ২১-এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়েছে।

আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র-বিরোধীদের যেকোন অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দেশবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।  

আমরা সকল বাধা-বিপত্তি ও দুর্যোগ সামাল দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছি। করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারিতেও এবার ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগী সনাক্তের সাথে সাথে আমরা ৩১-দফা নির্দেশনা জারি করেছিলাম। আর্থিক খাতের আশু সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে ২১টি প্যাকেজের আওতায় ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। পৌনে বারো বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক প্রতিটি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি। নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।  

আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করে গড়ে তুলি জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।    

আমি জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। 

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু 

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

সরওয়ার/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/খোরশেদ/২০২০/১১৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর: ৪১৯৬

জেলহত্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী 

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“আজ ৩রা নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের স্মরণ করছি।

আমাদের স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’দশকের অধিককাল ধরে জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আহ্বানে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় তাঁর অবর্তমানে ১৯৭১ সালে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাঁদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ চির অম্লান থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন-এটাই হোক জেল হত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

আমি জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

আজাদ/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১১১০ ঘণ্টা

2020-11-02-21-23-f85de38bdb97578e639b78953c892108.docx