Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৭ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ৯২৬

 

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

 

কলকাতা (ভারত), ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ):

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের ৫২ বছরপূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা।

 

সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

 

এরপর উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের নেতৃত্বে উপ-হাইকমিশনের রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কনস্যুলার এবং প্রেস উইং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাগণকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

 

বিকালে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের সভাপতিত্বে উপ-হাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সদস্য এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বরেন্দু মন্ডল ও  পশ্চিমবঙ্গের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক শ্রী দেবদীপ পুরোহিত। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়। এরপর কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী এবং কাউন্সিলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।

 

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়েই জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তার কথা। আজ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক অগ্রসর একটি দেশ। প্রতিবেশী ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ভূমিমন্ত্রী।

 

শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল। এই ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েই ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান উপ-হাইকমিশনের বাঙালি কর্মকর্তারা বিদ্রোহ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টি এই মিশন কাজ করেছিল বাংলাদেশ হাইকমিশন হিসেবে।

 

বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, ১৮ মিনিটের ১৩০৫ শব্দের সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি জাতির পিতা দিয়েছিলেন সবদিক বুঝে। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে জাতির পিতা স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তৈরি হওয়ার কথাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

 

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।

#

 

রঞ্জন/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৯২৫

 

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বজুড়ে চিরন্তন প্রেরণার উৎস

                                     -- ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব

 

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ):

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে শক্তি ও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব শাব্বির আহমদ চৌধুরী।

আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ : বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামের চিরন্তন প্রেরণা” শীর্ষক সেমিনারে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট ও বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা এভাবে মূল্যায়ন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি অভ্ হেরিটেজ ইন দ্য মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্বের ইতিহাসবিদদের মূল্যায়নের অর্থ হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু আমাদেরকে অর্থাৎ বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছে তাই নয়, বরং এর আকর্ষণ এই ভাষণের সময়, স্থান ও উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে চিরন্তন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

সেমিনারের মূল বক্তা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘বিশ্বের ২৪০০ বছরের ৪১টি শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ রয়েছে। কিন্তু এতগুলো ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মেমোরি অভ্‌ দ্য ওয়ার্ল্ড-এ অন্তর্ভুক্তির বিশেষ কারণ রয়েছে। অন্যদের ভাষণগুলোর প্রত্যেকটি নিরাপদ পরিবেশে সুরক্ষিত স্থান থেকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একমাত্র ভাষণ, যা তিনি অরক্ষিত অবস্থায় দিয়েছিলেন।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদানের দূরদর্শিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ দিতে হতো, বঙ্গবন্ধু মানুষকে মারতে চান নাই। তাই তিনি ৭ই মার্চে অত্যন্ত সুচতুরভাবে স্বাধীনতার ডাক দিলেন কিন্তু ঘোষণা দিলেন না, আর মানুষ সেটা গ্রহণ করেছিল।’

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। এরপর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের উপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজুয়াল প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

মোহসিন/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৯২৪

 

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন স্মার্ট মেধার

                       -- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ):

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন স্মার্ট মেধার। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে আমার সোনার ছেলে চাই। সেই সোনার ছেলে হলেন আপনারা। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের  মেধাশ্রমের যে অবদান রয়েছে তার কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভালো কাজ করার চর্চা করতে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন। তাহলেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

আজ ঢাকায় সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক মন্ত্রণালয়ের চারজন কর্মকর্তার অবসরজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় বিদায় সংবর্ধিতদের উপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব   মোঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব (প্রশাসন) আলেয়া আক্তার, যুগ্মসচিব মোঃ হুজুর আলী, অনুষ্ঠানের সঞ্চালক উপসচিব সজল কান্তি বণিক, উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, সিনিয়র সহকারী সচিব মুন্না রাণী বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে অবসরজনিত সংবর্ধিতদের ফুলের শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।

মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের জন্য, জাতির জন্য ভালো কিছু করার চিন্তা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সবসময়ই লালন করতে হবে। মন্ত্রী উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, আমি আজ যা করবো, আমার পরেরজন কাল তা-ই অনুসরণ করবে। কাজেই সকলকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করার কারণেই আমরা আজ একটা অবস্থানে আসতে পেরেছি। মন্ত্রী বান্দরবানের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বান্দরবানকে মনে করি এটি আমার একটি পরিবার। সবাই আমার আপনজন। যেমন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের শিঁকড় হচ্ছে জনগণ। দেশের জনগণ কীভাবে ভালো থাকবে, দেশ কীভাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে তার চিন্তায় সবসময় প্রধানমন্ত্রী মগ্ন থাকেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং তাঁর আলোচনার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। যার ফলস্বরূপ আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি এবং ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি এবং শহিদ জাতীয় চারনেতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

#

রেজুয়ান/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর :  ৯২৩

 

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে

                                     -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর), ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ):

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে অহংকার ও গর্বের জায়গায় নিয়ে গেছেন। এ গর্বের জায়গাকে ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। আঘাত আসতে পারে, আঘাত আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ আমরা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চলতে চাই। ৭ মার্চের ভাস্কর্য ‘জয় বাংলা’ উদ্বোধন-সেটাই আমাদের অঙ্গীকার এবং শপথ।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জস্থ সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান্যের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান এবং বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতার সুখ উপভোগ করছি। স্বাধীনতার সুখ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা নির্মিত হয়েছে। পরাজিত শক্তিরা আন্তর্জাতিক ইস‍্যুকে কেন্দ্র করে সোনার বাংলাকে ছিন্নভিন্ন করতে চায়। এ সোনার বাংলাকে ছিন্নভিন্ন করার জন‍্য তারা ‘পদযাত্রা’ করে। ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচির কথা শুনলে আমার হাসি পায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা আমরা যদি পদযাত্রা করি তাহলে রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা কেউ বাঁচতে পারবে? মানুষের পায়ের নিচে পদদলিত হয়ে তারা মৃত‍্যুবরণ করবে। আমরা রক্তাক্ত সেই বাংলাদেশ চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানবতার নেত্রী। আন্তর্জাতিক গণমাধ‍্যম তাঁকে মাদার অভ্‌ হিউমেনিটি বলেছে। তিনি মানবতার জননী। সেই নেত্রী কারো মানবিক অধিকার হরণ করতে চান না। তিনি বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র করতে চান। বাংলাদেশকে যারা ছিন্নভিন্ন করতে চায়; তারা যদি আরো বেশি  বাড়াবাড়ি করে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি ৭১ সালের মতো আবারো পদযাত্রা শুরু করবে। সেই পদযাত্রায় এদের কেউ বাঁচতে পারবে না।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৯২২

ভিয়েতনাম মিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্‌যাপন

হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) :

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-ইউনেস্কোর  ‘মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’-কে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনাম ৭ই মার্চ ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করেছে। জাতীয় সংগীত সহকারে এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, বাংলা, ইংরেজি ও ভিয়েতনামিজ ভাষায় ৭ই মার্চের ভাষণ পাঠ এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

          দিবসটি প্রবাসী বাংলাদেশি, ভিয়েতনামিজ অতিথিবৃন্দ, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দূতাবাসে উদ্‌যাপন করা হয়।

          ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

          রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ-স্বাধীনতার উদাত্ত আহ্বান। মহাসংগ্রামী এ নেতার নেতৃত্বে¡ আপামর জনতা সে সময় মুক্তি সংগ্রামে সংঘবদ্ধ হয়েছিল। তাই ৭ই মার্চ ১৯৭১ইং এর ভাষণ পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার যে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিল - তারই ফলস্বরূপ আমাদের স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু এবং সে সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

          স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

          পরিশেষে ৭ই মার্চের ভাষণ বাংলা, ইংরেজি এবং ভিয়েতনামিজ ভাষায় পড়ে শোনানো হয়, ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

#

সামিনা নাজ/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/২০৩০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৯২১

ইসলামাবাদে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্‌যাপন

ইসলামাবাদ, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) :

          বাংলাদেশ হাইকমিশন, ইসলামাবাদ যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ, উদ্দীপনায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্‌যাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।

          আজ দূতালয় প্রাঙ্গণে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর হাইকমিশনার মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

          হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শুরু হয় এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ  উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

          হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশ্যে তার বলিষ্ঠ তর্জনীর ইশারায় বজ্রকন্ঠে স¦াধীনতার ডাক দিয়েছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স¦াধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বানে জেগে উঠেছিল সমগ্র বাঙালি জাতি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’  ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল সংখ্যায় ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ (পয়েট অভ্ পলিটিক্স) আখ্যায়িত করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সেই ১৮ মিনিটের অলিখিত জ্বালাময়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সংগ্রামী জাতিতে পরিণত করতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স¦াধীনতা ঘোষণার সাথে সাথে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, নয় মাসের সংগ্রামে ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লাখ মা বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল একটি মানচিত্র, একটি লাল সবুজের পতাকা, এক স¦াধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।

          হাইকমিশনার আরো বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার যে ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দূরদর্শী  নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

          আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

#

খাদীজা/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৪৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ৯২০

 

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে তথ্য কমিশনে আলোচনা সভা

 

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) :

            ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় তথ্য কমিশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

            সভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনের পরিচালক (গ.প্র.প্র.) ড. মোঃ আঃ হাকিম, উপপরিচালক (প্রশাসন) সোহানা নাসরিনসহ তথ্য কমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

            আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট, ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে তথ্য কমিশন।

 

#

লিটন/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮৪০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৯১৯

 

বিআরটিএ’র হিসাব অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ৩০৮টি

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০৩ জন

 

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) :

 

বিআরটিএ’র বিভাগীয় অফিসসমূহের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি-২০২৩ মাসে দুর্ঘটনায় পতিত যানবাহনের মধ্যে প্রাইভেটকার ২০টি, বাস ৭৪টি, পিকআপ ১৭টি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ২০টি, ট্রাক ৮৩টি, মোটরসাইকেল ১০২টি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ১৫টি, ইজিবাইক ১৮টি, ট্রাক্টর ১২টি, অ্যাম্বুলেন্স ২টি, ভ্যান ১০টি, মাইক্রোবাস ৭টি ও অন্যান্য যান ৭৫টি সহ মোট ৪৫৫টি।

ঢাকা বিভাগে ৮৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৮ জন নিহত এবং ৭২ জন আহত হয়, চট্রগ্রাম বিভাগে ৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬ জন নিহত এবং ১৩৮ জন আহত হয়, রাজশাহী বিভাগে ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়, খুলনা বিভাগে ৩৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়, বরিশাল বিভাগে ১৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়, সিলেট বিভাগে ১২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়, রংপুর বিভাগে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।

উল্লেখ্য, জানুয়ারি-২০২৩ মাসে সারা দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৩২২টি এবং এ সকল দুর্ঘটনায় ৩৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৩৩৬ জন।

#

ওয়ালিদ/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৮৩৩ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ৯১৮

 

৭ মার্চ ছাড়া স্বাধীনতার ইতিহাস অপূর্ণ, অথচ বিএনপি দিনটি পালনই করে না

                                                                --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) :  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ, জনসভাকে বাদ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয় না। বিশ্বের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ভাষণ একটি দেশ বদলে দিয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ৭ মার্চ বিএনপি পালন করে না। যারা ৭ মার্চ পালন করে না, অস্বীকার করে, তারা স্বাধীনতাকে কতটুকু স্বীকার করে, কতটুকু বিশ্বাস করে সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।’ 

আজ রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ অনুষ্ঠানমালায়  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ স্বাগত ভাষণ এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ আলোচকের বক্তব্য দেন। এদিন সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং তথ্য অধিদফতর আয়োজিত আলোকচিত্র ও বই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘৭ মার্চকে অস্বীকার করে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না, অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ রাষ্ট্রীয় বেতার যন্ত্রে, টেলিভিশনে, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানমালায় বন্ধ ছিল, এমনকি ভাষণের সিডি সব জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ধ্বংস করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি দেওয়ার আগে পর্যন্ত ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর অপরাধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরকার আমাদের দলের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।’ 

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৮, ’৭৯, ’৮০, ’৮১ সালে ছাত্রলীগের নবীন কর্মী হিসেবে আমি চট্টগ্রাম শহরে জনসভার মাইকিং করতাম। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গেলে প্রথমে আমরা ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে দিতাম, মানুষ জমে যেতো। তারপর জনসভার কথা বলতাম।’ 

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আজকে ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের একটি অনন্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কো সংরক্ষণ করেছে, বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। পৃথিবীতে অনেক কালজয়ী ভাষণ আছে। সেই কালজয়ী ভাষণগুলোর বেশিরভাগই যেমন নেলসন ম্যান্ডেলা, নেতাজী সুভাষ বসুর ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে আমরা দেখি কোনো দাড়ি-কমা-সেমিকোলন ছাড়া, কোনো ইতস্তত ভাব ছাড়া তিনি এক নাগাড়ে দাঁড়িয়ে সব কথা বলে গিয়েছেন এবং গণমানুষের ভাষায় কথা বলেছেন।’ 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭০ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা ছিল ১২ লাখ কয়েক হাজার। আর জনসভায় হাজির ছিল ১০ লাখ মানুষ। শহরের বেশিরভাগ পুরুষ সেখানে চলে গিয়েছিল, আশপাশের জেলা থেকেও মানুষের সমাগম ঘটেছিল। এই ভাষণের মাধ্যমে একটি জাতির জন্ম হয়েছিল। একটি নিরস্ত্র জাতি, সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়ে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ বদলে দিয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে, তাই এই ভাষণ আমার বিবেচনায় বিশ্বের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ এবং জাতিসংঘ সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।’ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আজকের এই দিনে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই ১৫ আগস্টে শহিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহিদদের প্রতি। আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে শুনেছিলাম যে, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর গায়ে একটু তাপ, জ্বর জ্বর ভাব ছিল। তখন অনেকেই অনেক নোট দিয়েছিলেন বলার জন্য। বঙ্গমাতা বলেছিলেন যে, তুমি যেটি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, জাতির জন্য ভালো মনে করবে সেটাই বলবে। এবং বঙ্গবন্ধু সেটাই বলেছিলেন। তাই এখানে বঙ্গমাতারও ভূমিকা ছিল।’ 

#

মীর/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৯১৭

শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) :

          শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। আজ রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

          শিল্প মন্ত্রণালয়ের চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং মন্ত্রণালয়ের লবিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের মরহুম সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মন্ত্রণায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

মাহমুদুল/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৭৩০ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৯১৬

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) :  

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৮১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।          

 <

2023-03-07-16-18-557ccc5c426e8340f9f72369473946fd.docx