Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ নভেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 30.11.2017

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩২৫৯

রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় শ্রম কল্যাণ কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচন

রাঙ্গামাটি, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক বলেছেন, শ্রমিকদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানে সরকার প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করবে। শ্রমিকরা যাতে স্বল্পখরচে আধুনিক চিকিৎসাসেবা পেতে পারে সে জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় শ্রম কল্যাণ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করার সময় এসব কথা বলেন। শ্রম অধিদপ্তর ও সেনা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে ১ দশমিক ৫ একর জমিতে এ শ্রম কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সটি নির্মাণে ৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, শ্রম সচিব আফরোজা খান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, সেনা কল্যাণ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমোডর কামরুল হক, সেনা কল্যাণ সংস্থার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুল আজিম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার ফলে এ অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির দ্বার উন্মোচিত হয়। শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
#

জুলফিকার/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩২৫৮

এক্সপো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সিরামিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর)
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের সিরামিক খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, ঔষধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও সিরামিক পণ্য রপ্তানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ খাতগুলোর পণ্য রপ্তানিতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। দেশে ৬২ টি সিরামিক কারখানা রয়েছে। এ শিল্পে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। প্রায় ৫ লাখ মানুষ কাজ করছে। সিরামিকের মান উন্নত হওয়ার কারণে বিশ^বাজারে বাংলাদেশের তৈরি সিরামিক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দিন দিন এখাতের  রপ্তানি বাড়ছে। এ শিল্পকে সুরক্ষার জন্য সরকার সিরামিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে। 
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী “সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৭” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত অর্থবছরে বিশে^র  ৫৮টি দেশে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সিরামিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সরকার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। সরকার শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করছে। তখন শুল্কমুক্তভাবে সিরামিক বিদেশে রপ্তানির সুযোগ হবে।
সিরামিক এক্সপোতে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের ৬০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। ১৫০টি বুথে ১০০ টির বেশি ব্রান্ড স্থান পেয়েছে। এক্সপো চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা,এমপি-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান, এফবিসিসিআই-এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, ফেয়ার প্রজেক্টিং কমিটির চেয়ারম্যান ইরফান উদ্দিন। 
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী রেড কারপেট ৩৬৫ লিমিটেড আয়োজিত  চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট এন্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো-২০১৭, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেব্রিক এন্ড ইয়ার্ন এক্সপো-২০১৭ এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ডাইস পিগমেন্টস এন্ড কেমিক্যাল এক্সপো-২০১৭-এর উদ্বেধন করেন। এ তিনটি তৈরি পোশাকের সহায়ক সেক্টর। এতে ১২টি দেশের ২০০টি’র বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। 
#

লতিফ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৩২৫৭

নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রুখতে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে
                                                    --- মেহের আফরোজ চুমকি
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর)
          মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা রুখতে সরকারের পাশাপাশি দেশের জনগণকেও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডের নারী এবং কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক গবেষণামূলক প্রতিবেদন ‘কার শহর’ (হুজ সিটি) প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) কমান্ডার মোহাম্মদ মুফতি মাহমুদ খান, বিআরটিএ’র সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী, ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসারের পরিচালক হিরা মিয়া, আরবান প্লানিংয়ের প্রফেসর ড. আক্তার মাহমুদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহানাজ হুদা, ইউএন উইমেন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শওকো ইসহিকাওয়া।  
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, জয় অ্যাপ ও জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টার ১০৯ চালু হওয়ায় সহিংসতার হার কিছুটা কমেছে। এসব হেল্পলাইন ও অ্যাপ এর বিষয়ে আরো সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে তা সংযোজন করা হয়েছে। এ সহায়তার বিষয়ে গণমাধ্যমকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, পারিবারিকভাবে সন্তানকে মানবিকভাবে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। 
অনুষ্ঠানে বক্তারা পাবলিক পরিবহনে নারীর নিরাপত্তা, বাসচালক ও হেলপারদের জেন্ডার সচেতনতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা প্রণয়ন কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানিসহ সকল ধরনের জেন্ডার বৈষম্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মার্কেট প্লেসে শৌচাগার ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও সড়ক ও গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা জোরদার, ফুটপাত নারীবান্ধব করা, পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, নারীর জন্য বাজেটের সাথে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করার ওপরও সুপারিশ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে  এ গবেষণা প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বিশ্বব্যাপী ১৬ দিন ধরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৫ টি দেশে ‘কার শহর’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষণায় বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কঙ্গো, জর্ডান, লাইবেরিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে নগরে নারীর নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে এ গবেষণায়। এতে নারীর প্রতি সহিংসতার সামগ্রিক পরিস্থিতি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইন কাঠামোর উপস্থিতি, নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে বাজেট বরাদ্দের পরিকল্পনা, জেন্ডার সংবেদনশীল নগর পরিকল্পনা এবং জেন্ডারবান্ধব গণপরিবহন পরিকল্পনা এবং নকশা। 
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ঘরে, বাইরে এবং গণপরিসরে নারীর প্রতি সহিংসতার বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করতে হবে। সরকারি কাঠামো, কর্মক্ষেত্র, বিচারবিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গভিত্তিক বৈসম্য দূরীকরণে প্রত্যক্ষ নীতিমালা, সেবাসমূহ ও উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ, নারী  প্রতিরোধে নীতিমালা প্রণয়ন, প্রকল্প, সেবা প্রদান এবং বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে নারী ও সহিংসতার শিকার ব্যক্তির অংশগ্রহণের প্রত্যক্ষ সুযোগ প্রদান, বাসস্টপ, শেল্টার, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে স্বচ্ছ উপাদান ব্যবহার, পথ নির্দেশনার তথ্য বোর্ড, জরুরি ফোন নম্বর, পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ 
করা হয়।
#

খায়ের/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৪৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩২৫৬

শিক্ষার মানোন্নয়নে পরামর্শক কমিটির সভায় শিক্ষামন্ত্রী
মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে


ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর)
মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণের জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির একটি বর্ধিত সভা আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এ বিষয়ে গত বছরের ২৫-২৬ নভেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত কর্মশালার সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। পাঠ্যক্রম পরিমার্জন কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মঞ্জুর আহমেদ। তিনি জানান,  শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের জন্য একটি সাব-কমিটি কাজ করছে। পরিমার্জনের জন্য একটি কাঠামোও তিনি সভায় উপস্থাপন করেন। এর উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে মান নিশ্চিতকরণের জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহের ইমপ্যাক্ট স্টাডি বিষয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ। সভায় জানানো হয়, উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রধান পরীক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ফলে খাতার যথাযথ মূল্যায়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সভায় শিক্ষাক্রম সংস্কার, একই ধরণের প্রশ্নপদ্ধতি, ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষা এবং শিক্ষকদের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভাশেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও পাঠদান এবং কারিকুলাম পরিমার্জনের বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি পাঠ্যবই রঙিন ও সহজপাঠ্য করে  ছাপা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল পাঠ্যবই সহজ, সুখপাঠ্য ও আকর্ষণীয় করা হবে যাতে পড়াশুনায় শিক্ষার্থীরা আরো আগ্রহী হয়। তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়নেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষক নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে। সভার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে বলে জানান মন্ত্রী। 
পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমদ, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপিকা তাসলিমা বেগম, বেগম তানজিল আশ্রাফ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
#

আফরাজুর/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮০০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩২৫৫ 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ীকমিটির বৈঠক
 
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর):
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ীকমিটির ২৫তম বৈঠক কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খোরশেদ আরা হক এবং জয়া সেন গুপ্তা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। 
 
বৈঠকে ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৫’ এর বর্তমান অগ্রগতি এবং সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কমিটি মাধ্যমিক পর্যায়ে কিশোরীদের প্রজননস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করে। বৈঠকে উপজেলা পর্যায়ে বিশেষ করে ইউএনও, পুলিশ ও ভূমি অফিসে প্রয়োজনীয় যানবাহন দ্রুত সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
 
কমিটি প্রস্তাবিত ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৫’ প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
 
বৈঠকের শুরুতে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী শিলা ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
 
নীলুফার/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম /২০১৭/১৫২৭ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                       নম্বর : ৩২৫৪ 
 
এসএমই শিল্পখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে
                                                                     - শিল্পমন্ত্রী 
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর) : 
 
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতে এসএমই শিল্পখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে এখন গোটা পৃথিবীতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এখাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে আসতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
 
ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী আজ ২১তম আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেজ এর উদ্যোগে নয়াদিল্লীর ইন্ডিয়া হ্যাবিটেট সেন্টারে দু’দিন ব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ঝযৎর গ.ঠবহশধরধয ঘধরফঁ। এতে ভারতের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পবিষয়ক এরৎরৎধল ঝরহময, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ঝঁৎবংয চৎধনযঁ, মরিশাসের বাণিজ্য, শিল্প ও সমবায়মন্ত্রী ঝড়ড়সরষফঁঃয ইযড়ষধয বক্তব্য রাখেন। 
 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে এসএমইখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীলতার প্রয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি গবেষণা জোরদার করতে হবে। এখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আইনি ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো, কর ব্যবস্থা, প্রতিযোগিতামূলক নীতি ও অর্থায়নের সুযোগ অবারিত করতে হবে। এর মাধ্যমে দ্রুত নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যমোচন এবং জনকল্যাণ নিশ্চিতের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি অভিমত দেন।  
 
সম্মেলনের সাইড লাইনে আমির হোসেন আমু মরিশাসের বাণিজ্য, শিল্প ও সমবায়মন্ত্রী সোমিলদূত ভোলার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। এসময় তারা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, শিল্পখাতে যৌথ বিনিয়োগ, এসএমইখাতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা করেন। শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ, প্লাস্টিক, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির জন্য মরিশাসের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এবিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন।  
#
 
জলিল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৭/১৫৫৩  ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩২৫৩ 
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
 
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর):
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৯তম বৈঠক আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, তালুকদার আব্দুল খালেক, বি এম মোজাম্মেল হক, সৈয়দ আবু হোসেন, মমতাজ বেগম এবং হ্যাপি বড়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। 
 
বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি এবং পিপলস এন্ড পলিটিক্স কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের তৃতীয় সৎ এবং চতুর্থ কর্মঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান হয়।  
 
বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বন্যায় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫টি জেলায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ এবং ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
 
কমিটি ইডকল কোম্পানির কার্যক্রম ও সোলার প্যানেলের মূল্য বেশি হওয়ার যৌক্তিক কারণসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে। এছাড়া, আগাম বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়  অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সংসদীয় কমিটির ভারত ও নেপালের  উজানের নদ-নদী ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চল পরিদর্শনের সূচি চূড়ান্ত করার সুপারিশ করে।
 
বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালসহ  মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
কামাল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম /২০১৭/১৫২৪ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩২৫২ 
 
আরো ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অনুমোদন 
 
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর): 
 
নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিদ্যমান ৫৩টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি আরো ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এসব ট্রাইব্যুনালের জন্য বিচারকসহ ২ শত ৪৬ টি পদ এবং গাড়িসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির অনুমোদনও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 
 
#
 
রেজাউল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম /২০১৭/১৪৪৫ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩২৫০ 
বিশ্ব এইডস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর): 
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
“বৈষম্যহীন এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
এইডস-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। ইউএন-এইডস (টঘঅওউঝ) এর তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৬৭ মিলিয়ন মানুষ এইডস-এ আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতি রোগে মৃত্যুবরণ করেছে। এখনও এ মরণঘাতি রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বর্তমানে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস এর সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য আমার অধিকার’ (জরমযঃ ঃড় যবধষঃয )’ সময়োপযোগী  ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
 
বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% এর নিচে, এটি একটি স্বস্তির বিষয়। তবে ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এদেশে এইডস এর ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে আমি মনে করি। এর পাশাপাশি আমাদের দেশের প্রচলিত ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক অনুশাসনগুলো মেনে চলতে হবে।
 
এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাসংস্থা, গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
 
আমি ‘বিশ্ব এইডস দিবস- ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম /২০১৭/১২৩২ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩২৫১
 
বিশ্ব এইডস দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
 
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (৩০ নভেম্বর): 
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য আমার অধিকার’ (জরমযঃ ঃড় যবধষঃয) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি। 
 
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% এর নিচে, যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি-৬) অর্জনের মধ্য দিয়ে এইডস নির্মূলে আমরা আমাদের দৃঢ়তা প্রকাশ করছি।
 
বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এইচআইভি/এইডস বিষয়ক লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে এইডস রোগ নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আশা করি সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এইডস নির্মূল করতে সক্ষম হবে।
 
জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থা, মাদক বর্জন, নৈতিকতার উন্নয়ন, ধর্মীয় অনুশাসন ও যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমেও আমরা বাংলাদেশকে এইডস থেকে ঝুঁকিমুক্ত করতে পারি। এক্ষেত্রে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
 
আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
 
আমি বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।  
            জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
          বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
 
#
ইমরুল/অনসূয়া/আশরোফা/শহিদ/রফিকুল/শামীম /২০১৭/১২২৮ ঘণ্টা 
 
Todays handout (3).docx