তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৩১
সিজিএ কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) কার্যালয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। আজ প্রত্যুষে সিজিএ জামে মসজিদে কোরআন পাঠ এবং সিজিএ চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে হিসাব ভবনের কনফারেন্স রুমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, কর্মজীবন ও আদর্শের ওপর ডকুমেন্টরি প্রদর্শন এবং আলোচনা করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) ফাহমিদা ইসলাম। আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতাসহ দেশের জন্য জীবনদানকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে সকল মন্ত্রণালয়ের চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার (সিএএফও), ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্টস (ঢাকা) সহ সিজিএ কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হাসিনুর/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/কলি/আসমা/২০২৩/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৩০
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ
বীরউত্তমের মৃত্যুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখেন। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। তিনি তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
#
বিবেকানন্দ/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৯
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে
-- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকেই হত্যা করা নয়, তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর্যন্ত জাতির পিতার রক্তের উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক লড়াই করতে হয়েছে। তার প্রজ্ঞাবান গতিশীল নেতৃত্বের কাছে ষড়যন্ত্রকারিদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তার শাসনকালের সাড়ে উনিশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে চূড়ান্ত বিজয়ে রূপান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এই জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু গবেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (অব.) বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: হারুনুর রশিদ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের পিতা উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ, বহু জাতি দাসত্ব ও পরাধীনতার শেকল পরে আছে এবং তারা যুদ্ধ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর, কিন্তু বিজয়ের মুখ দেখছে না, স্বাধীনতার সুখ তারা পাচ্ছে না। কারণ তাদের একজন বঙ্গবন্ধু নাই।
আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই হাজার বছরের পরাধীন এ জাতি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পেরেছে। পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা করার মতো জাতি রাষ্ট্রের পিতা পাওয়া কঠিন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবেই।
মন্ত্রী বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের নতুন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুখী -সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার চুড়ান্ত পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রাম এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দেশ প্রেমিক প্রতিটি মানুষকে সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করে যেতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একটি জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর নেতৃত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের পক্ষ থেকে ধানমণ্ডীতে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
#
শেফায়েত/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৮
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যের ঘটনাগুলো আরো গবেষণা করে বের করা প্রয়োজন
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা,, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নেপথ্যের ঘটনাগুলো আরো গবেষণা করে বের করা প্রয়োজন।’ তিনি আরো বলেন, ’বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে কোন কোন দেশের কূটনীতিকরা ঢাকায় আনাগোনা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তারা কোন কোন দেশের লোকেরা কী বলেছেন সেগুলোও গবেষণা করে দেখা উচিত।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে দেশে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। বাসন্তীর কাহিনী প্রচার করা হয়েছিল। তখন বহু লোক দেশে আনাগোনা শুরু করে এবং একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। আজকের বাংলাদেশেও সেরকম একটা অস্থিরতা সৃষ্টির প্রয়াস চলছে। ঐ সময়ের সাথে একটা সাদৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভাবনীয় অগ্রগতির পরেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে আমরা যে ধরনের অস্থিরতা দেখেছিলাম, মনে হয় এখনো সেই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগেছে। সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের যে অপপ্রচার শুরু হয়েছে তা প্রতিহত করতে আমাদের আরো সক্রিয় হতে হবে।’ ৭৫ এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে- বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, একটি চেতনা, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন, একটি জাতিস্বত্তা সৃষ্টি করে গেছেন। শুধু একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র তৈরি করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা সদ্য স্বাধীন দেশকে শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা প্রয়োজন জাতির পিতা হিসাবে তিনি সেই সব কাজ করে গেছেন।’ ড. মোমেন বলেন, ‘যতগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, এই অল্প দিনে সবগুলোর সদস্য পদ বাংলাদেশ অর্জন করেছিল। এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও বাংলাদেশ অর্জন করতে সক্ষম হয়।’
ড. মোমেন আরো বলেন, ‘পৃথিবীর খুব কম দেশই আছে যারা এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতোগুলো রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। শুধু স্বীকৃতি অর্জন নয়, মাত্র দু’মাসের মাথায় বন্ধুপ্রতিম ভারতের সৈন্যদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। খুব কম দেশেই এধরণের নিদর্শন আছে। এই জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু মাত্র ৯ মাসের মধ্যে একটি সুন্দর, শক্তিশালী সংবিধান দিয়ে গেছেন। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এতো অল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নের নজির আছে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে- শিক্ষা ক্ষেত্রে, শিল্প ক্ষেত্রে, কৃষি ক্ষেত্রে, সর্বক্ষেত্রেবঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা তৈরি করে গেছেন আজ শেখ হাসিনা সেই পথ ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন ফলে দেশের উন্নয়ন এতো ত্বরান্বিত হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সারাবিশ্বকে জানাতে আমাদের সবগুলো মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছি। যেখান থেকে ঐ দেশে যারা বাঙালি আছেন তাদের নিয়ে, সেই দেশের থিংকট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিভিন্ন ধরনের সভা, সেমিনারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে।’ ড. মোমেন বলেন, ‘বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে- বঙ্গবন্ধু মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য জীবনের ১৪টি বছর কারাবরণ করেছেন। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অনন্য দেশ যেখানে গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য, মানবাধিকারের জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে।’ এছাড়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে যে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে সেটাও বিশ্ববাসীকে জানানো দরকার বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা আমীর হোসেন আমু, এমপি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অনেকেই মনে করেছিলেন, এই হত্যাকাণ্ড পরিবারকেন্দ্রিক। তবে পরে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়, এটা পরিবারকেন্দ্রিক নয়। এটা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।’ তিনি আরও বলেন, আমরা কোনোভাবেই মাঠের আন্দোলনকে ভয় পাই না। তবে বিএনপি মাঠের আন্দোলনে পরাজিত বলেই আজ বিদেশি শক্তির ওপর ভর করছে। বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে।’
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলেছে। বিশ্বে আমাদের আগে সম্মান কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে, সেটা সকলেই জানেন। এই সম্মান হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। আমাদের দেশ ছোট হলেও শেখ হাসিনা অনেক বড় নেতা।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি থাকা বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা ছিনিয়ে এনেছিলাম আমাদের মহান স্বাধীনতা।’
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ তাঁর পরিবারের শাহাদত বরণকারী সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নানাবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ পালন করেছে। এগুলোর মধ্যে আজ (১৫ আগস্ট ২০২৩) ভোরে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণ, সকাল ১১ টায় ঢাকাস্থ বিদেশী রাষ্ট্রদূতগণকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং এরপরে বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়ে বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগষ্ট-এর শহিদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন।
#
মোহসিন/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৬
বান্দরবানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
বান্দরবান, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
আজ বান্দরবানে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বান্দরবানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আজ বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর দলীয় কার্যালয়ে কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলা সদরের মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোঃ সৈকত শাহীন, পৌরসভার মেয়র মোঃ সামশুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৫
বাঙালির বেদনাবিধূর আগস্ট মাস ঘিরে বিএনপি-জামাতের নাশকতার ছক
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
‘বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর আগস্ট মাস ঘিরে বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে নাশকতার ছক আঁকা হয়েছে’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
১৫ আগস্ট রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর (ডিএফপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে গতরাত থেকে। এটি হচ্ছে বিএনপি-জামাত আগস্ট মাস জুড়ে সারা দেশব্যাপী যে নাশকতা-বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করেছে তারই অংশ।’
আগস্ট মাস এলেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠী তৎপর হয় উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারা দেশে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফাটানো হয়েছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলাতেই বোমা ফাটানো হয়েছে।’
আগস্ট মাসকে বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর মাস হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই আগস্ট মাসেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এই আগস্ট মাসেই মহাপ্রয়াণ ঘটেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, মৃত্যুবরণ করেছেন দ্রোহের কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এই আগস্ট মাসেই ফাঁসির মঞ্চে নিজে গলায় দড়ি পরিয়েছেন ক্ষুদিরাম বসু।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর এই মাস এলেই বাঙালিবিরোধী, বাঙালিত্ববিরোধী, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি তৎপর হয়। সে জন্য আমাদের সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আর দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ডিএফপি’র মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া সভায় বক্তব্য দেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের আরো কর্মসূচি
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সকালে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাবৃন্দ ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ৪১টি বিদ্যাপীঠের শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্যসচিব। ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংস্থার সদস্যরা এতে অংশ নেয়।
#
আকরাম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৪
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন জিয়া
-- খাদ্যমন্ত্রী
নিয়ামতপুর (নওগাঁ), ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়া খুনিদের কাউকে এমপি, কাউকে মন্ত্রী আবার কাউকে বিদেশে রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিলেন।
আজ নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ত্রিশূল সমাজ কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে একটি দলের নেতার নেতৃত্বে যিনি পরবর্তীতে সেনা প্রধান হন, একটি রাজনৈতিক দলও করেন। ইনডেমিনিটির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে তারা। স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়, পুরস্কৃত করে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে সাবলম্বী করেছে। অবহেলিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষজন আজ আলোকিত। তারা আর পিছিয়ে নেই, উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত তারা।
মন্ত্রী এসময় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সকল ধর্মের মানুষকে এক হওয়ার আহ্বান জানান এবং শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেওয়ারও আহ্বান জানান। প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন সকল ধর্মের মানুষ। স্বাধীন দেশকে সোনার বাংলা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল। ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতের ইতিহাস অনেকই জানে না। সেই ইতিহাস মা বোনদের জানাতে হবে। তিনি বলেন, ত্রিশূল সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি ধরে রাখতে কাজ করেছে। দেশে-বিদেশে তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার আহ্বান জানান।
ত্রিশূলের সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিয়ামতপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ, থানা অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব-সহ সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ।
এর আগে ত্রিশূলের সদস্যরা শোক র্যালি বের করে। এ সময় র্যালিটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
#
কামাল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৩
যথাযথ মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
যথাযথ মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
জাতীয় শোক দিবস ও স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর ভূমি ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভূমি সচিব সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উপর্যুক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারিক-সহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর, সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
#
নাহিয়ান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২২
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বারবার স্মরণ করা দরকার
--- পার্বত্য সচিব
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি একজন অকুতোভয় বীর। তিনি বাঙালির চেতনা। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুকে বারবার স্মরণ করা দরকার।
আজ রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য সচিব বলেন, একসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন এবং চেতনাবোধ সম্পর্কে বাংলাদেশের এ প্রজন্মকে সুস্থধারার ধারণা প্রদান না করে বরং বিদ্বেষী মনোভাব জাগিয়ে তোলা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশের জ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিজীবী প্রজন্মকে যেভাবে হত্যা করে দেশের মেধাকে ধ্বংস করেছিল। ঠিক একই কায়দায় বিশ্বাসঘাতক কুচক্রীমহল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে ভিন্ন পথে ধাবিত করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। কিন্তু বর্তমান স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধকে স্মরণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আলেয়া আক্তার, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, উপসচিব সজল কান্তি বনিক, আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরী ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও উপসচিব মোঃ লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডী ৩২ নম্বর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান। পরে ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সম্মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন পার্বত্য সচিব। এ উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে শোক দিবসের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
#
রেজুয়ান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২১
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান বিজিবি’র
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মসূচি পালন করেছে এবং দেশব্যাপী দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে।
দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটসমূহের মসজিদে জোহর নামাজের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শাহাদাত বরণকারী পরিবারবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা